Thread Rating:
  • 50 Vote(s) - 3.42 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
নতুন জীবন - Written By sagnik
#38
আইসা- তারপর বলো, চাকরি বাকরি করবে
না তুমি?
সাগ্নিক- কি চাকরি করবো আর? এখন তো
পেট চালানোই দায়। সারাদিন হকারি করে
কি আর পড়াশোনা হয়?
আইসা- যা রেজাল্ট শুনলাম তাতে তো
কোথাও হয়ে যাওয়া উচিত। যথেষ্ট স্মার্ট
তুমি। আর যেভাবে সেজেগুজে এসেছো,
তাতে তো প্রতিদিনের সাগ্নিকের সাথে
এই সাগ্নিকের কোনো মিলই নেই।
সাগ্নিক- এক দুটো ভালো জামাকাপড়
রাখতে হয় আর কি।
আইসা- তুমি আমাদের কোম্পানিতে
ইন্টারভিউ দিতে পারো।
সাগ্নিক- কি কোম্পানি আপনার?
আইসা- ফুড প্রসেসিং।
সাগ্নিক- আমার কোনো অভিজ্ঞতা নেই।
আর তাছাড়া প্রাইভেট কোম্পানি খুব
খাটায়।
আইসা- খাটনি আছে, তবে টাকাও আছে।
সাগ্নিক- আচ্ছা, নেক্সট রিক্রুটমেন্ট হলে
জানাবেন।
আইসা- কিছু মনে কোরোনা বাট ড্রিঙ্কস
নেবে কি একটু?
সাগ্নিক- আপনি ড্রিঙ্ক করেন?
আইসা- রাখি ঘরে। একলা থাকি। মাঝে
মধ্যে খারাপ লাগে, বোর লাগে। তখন একটু
আধটু। আর প্রাইভেট জবে এসবের অভ্যেস
রাখতে হয়।
সাগ্নিক- আচ্ছা। যদি তাই হয়, আপত্তি নেই।
তবে পরে গিলটি ফিল করবেন না তো যে
দুধওয়ালার সাথে ড্রিঙ্ক নিয়েছেন?
আইসা- আরে রাখো তো। তুমি যাই করো না
কেন। তুমি ক্লাস ছেলে। টেস্ট আছে
তোমার একটা। বোঝা যায়। আর যথেষ্ট
বড়লোক বাড়ির ছেলে তুমি। নেহাত কপাল
দোষ। এখানেও তো কম করছো না। ছ’মাসের
মধ্যে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু
করেছো, টিউশন পড়াচ্ছো, আবার ব্যবসাও
করছো। তুমি একদিন ভালো স্ট্যান্ড করে
যাবে, মিলিয়ে নিয়ো আমার কথা।
আইসা উঠে কিচেনের দিকে গেলো।
ঢিলেঢালা পোষাকে পাছাটাও ঠিকঠাক
বোঝার উপায় নেই। একটু পর দু’হাতে দুটো
গ্লাস নিয়ে এলো। বেশ বড়ো গ্লাস। বড়ো
পেগ।
আইসা- ওয়াইন। অসুবিধে নেই তো?
সাগ্নিক- গরীবেরা যা পায়, তাতেই খুশী।
আইসা- আহহ। বড্ড ন্যাকামি করছো। বড়ো
বানালাম। বারবার উঠতে ইচ্ছে করে না।
সাগ্নিক- নো প্রোবলেম ম্যাডাম।
দু’জনে হাসতে হাসতে ড্রিঙ্ক নেওয়া শুরু
করলো।
আইসা- চলো পাশের রুমে যাই।
দু’জনে পাশের রুমে গেলো। এটা বোধহয়
আইসার বেডরুম। বিশাল বড় কাঁচের
জানালা। পর্দা সরিয়ে দিলো আইসা।
রাতের আকাশ। সামনে দামী সোফা। দু’জনে
বসলো সেখানে। আবছা আলো ঘরে। খুব
সুন্দর লাগছে আকাশটা। দু’জনে চুপচাপ
ড্রিঙ্ক নিতে লাগলো। সাথে চিপস। ২-৩
সিপ নেবার পর সাগ্নিকের একটু অস্বস্তি
কাটলো। আইসারও কাটলো হয়তো।
আইসা- বাড়ির লোকদের মিস করো না?
সাগ্নিক- করি। কিন্তু বাড়ি ফিরবো না।
আপনি?
আইসা- আমিও করি।
সাগ্নিক- কোথায় বাড়ি আপনার?
আইসা- মুর্শীদাবাদ।
সাগ্নিক- আপনার সম্পর্কে কিন্তু কিছুই
জানি না আমি।
আইসা- কি আর জানবে। বাড়ির বড় মেয়ে।
আমরা তিনবোন, একভাই। ফুড টেকনোলজি
পড়লাম এইচ এসের পর। পড়ার পর বাড়ি
ফিরলাম। চাকরীও হলো। বিয়ে ঠিক হলো।
বিয়ের কয়েকদিন আগে ছেলেটার আগের
প্রেমিকা ঘরে উঠে পড়লো, বিয়ে
ক্যানসেল। বিয়ে ক্যানসেল হবার
মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম।
চাকরিটাও ছেড়ে দিয়েছিলাম। পড়ে
ভাবলাম আমার জন্য কারো পৃথিবী থেমে
নেই। আবার ইন্টারভিউ দিলাম। এই
কোম্পানি তখন নতুন। অভিজ্ঞতা ছিলো
বলে পেয়েও গেলাম। তারপর এই ৯ বছর হলো।
শুরুতে কাটিহার পোস্টিং ছিলো। তারপর
বর্ধমান। তারপর প্রমোশন পেয়ে দেড় বছর
হলো এখানে আছি।
সাগ্নিক- প্যাথেটিক। আর বিয়ে করবেন না?
আইসা- নাহহ। কাজ নিয়েই বেঁচে থাকার
ইচ্ছে আছে।
সাগ্নিক- এখনও বিয়ের বয়স আছে কিন্তু!
আইসা- ৩৬ চলছে সাগ্নিকবাবু। এই বয়সে
কারো গলায় ঝুলতে চাই না।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: নতুন জীবন - Written By sagnik - by ChodonBuZ MoniruL - 18-08-2020, 03:07 PM
RE: নতুন জীবন - Written By sagnik - by TheLoneWolf - 21-10-2020, 12:34 PM



Users browsing this thread: 16 Guest(s)