15-08-2020, 10:39 PM
পরদিন সকালে মাকে যখন দেখলাম তখন আমার রাতের ঘটনা মনে পরে গেলো । ব্লাউজ এর দুটো হুক খোলা , বার বার চেপে চেপে ধরছে নিজের ভরাট মাই । আর দু নিটোল রানের চাপায় বালিস এর করুন দশা করা আমার মা এখন সম্পূর্ণ নর্মাল । ঘরের কাজ করছে নাস্তা তৈরি করছে আমাদের জন্য ।
কলেজ যাবি না অপু ?
যাবো মা
যা তারাতারি লক্ষি ছেলের মতো তৈরি হয়ে নে
সাধারন কথাবার্তা একজন মায়ের এমন কথাই তো বলা উচিৎ , তার তো নিজের স্বামীর সাথে দাম্পত্য জীবন নিয়ে অন্য একটি ছেলের বয়সী ছেলের সাথে আলোচনা করার কথা নয় । তার তো ছেলেকে পাশের ঘরে রেখে যৌন জ্বালায় ছটফট করার কথা না । নাকি আমি সেদিন ভুল ভাবছিলাম , কোমরে সাড়ি গুজে রুটি সেঁকায় নিয়োজিত মহিলাটি আমার মা হলেও একজন নারী , তার জৈবিক চাহিদা পুরন করার ১০০ গাভ অধিকার তার আছে ।
দিন দিন কালু খুব বেশি ব্যাস্ত হয়ে পরছিলো আব্বার অনুপুস্থিতিতে আব্বার সব কাজের দেখভাল করতো কালু । একটা বোবা ছেলে কি করে এসব পারে । তাও বয়সে আমার খুব বেশি বড় নয় । কিন্তু কালু কে কে আটকায় , দিব্যি দেখাশুনা করছে এমনকি দিলিপ কাকু নিজেও ওর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে কাজ করে । কালুকে দিন দিন ধরাছোঁয়ার বাইরে মনে হচ্ছিলো , মনে হচ্ছিলো ও বয়সে আমার অনেক বড় । যখন আব্বা বাড়িতে না থাকতো তখন ও বাড়ির কর্তার মতো আচরন করতো । এমন কি মা ওর সাথে সলা পরামর্ষ করতো । বাড়িতে এলে আব্বাকে যেমন করে সরবত দেয়া হতো তেমন করে কালুকেও দেয়া শুরু হলো ।
কালু বাড়িতে এসে আম্মা আম্মা বলে ডাক দিলেই মা দৌড়ে বেড়িয়ে আসতো । তারপর হেঁসে কালুর জন্য হাত মুখ ধোয়ার ব্যাবস্থা করতো । দুজনে বসে গল্প করতো মা কালুর কাছ থেকে বাইরের খবরা খবর নিতো যেমনটি আব্বার সাথে করতো ।
দিন কেটে যাচ্ছিলো ঠিক মতই , আব্বা দিন দিন আরও বেশি বাড়ির বাইরে শহরে কাটাতে লাগলেন । কথা হচ্ছিলো আমাকেও শহরে নিয়ে যাওয়া হবে ওখানে ইকলেজে ভর্তি করে দেয়া হবে । ঠিক এর মাঝে একটা বিপত্তি বাধলো
কলমি ফিরে এলো , ওর পাতলা অবয়ব আর পাতলা ছিলো না । শরীর এর মদ্ধভাগে একটি বারতি অংশ ছিলো । পেট ফুলে এক হাত বেড়িয়ে আছে । কলমি একা আসেনি , সাথে লোকজন ও আছে , গ্রামের গণ্যমান্য বেক্তি বর্গ আর আব্বার চাচার ছেলেরা । এসে দাবি করলো আব্বা কলমিকে পেট বাধিয়ে দিয়েছে । বিশাল হুরুস্থুল ব্যাপার , আব্বার সৎ চাচার ছেলেরা পারলে তখনি আব্বা কে শহর থেকে এনে জুতা পেটা করে । বাড়িতে তখন আব্বা ছিলো না , দিলিপ কাকু ও চুপসে গেছেন ,
প্রথমে ভরকে গিয়েছিলাম পরে আমার দিলিপ কাকু আর কলমির সেই দিনের কথা মনে পরে গেলো । কিন্তু সাহস করে কাউকে বলতে পারলাম না । সিদ্ধান্ত হলো আব্বা যতদিন না আসে ততদিন কলমি আমাদের বাড়ি থাকবে । আর ওর যেন কোন ক্ষতি না হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে ।
কলমি আমাদের বাড়িতে বাড়ির বউ এর মতো থাকতে লাগলো । ওকে আলাদা একটা ঘর দেয়া হলো , আমাকে দেখলেই কলমি সুধু হাসত । একবার আমাকে একা পেয়ে বলল
ভাইজান তুমি তো কিছুই পারলা না দেখসো তোমার আব্বা কি করসে , এখন আমি তোমার ছোট আম্মা হবো আর এই পেটে তোমার ছোট ভাই । দেখাবা তোমার ছোট ভাই রে
এই বলে কলমি নিজের শরীরের আঁচল সরিয়ে প্রচণ্ড ফুলে থাকা পেট দেখিয়েছিলো আমাকে , আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম কলমির ফাটা ফাটা চামড়া আর ফোলা নাভি দেখে দৌড়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিলাম ।
মা কে দেখে সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য হয়েছিলাম আমি , তার কোন ভাবান্তর ছিলো না , কলমির খুব যত্ন নিতো সময় মতো খাবার দিত , সব সময় ওর কি লাগবে সেদিকে খেয়াল রাখতো । নিজে নিজের মতো থাকতো নিত্য কাজ করতো আপন মনে। কেউ কোন শান্তনা দিতে এলে তাকে বলতো ওই মেয়ের পেট থেকে বাচ্চা যদি বলে ওঠে তবুও মাই বিশ্বাস করবো না। লোকজন আগে পিছে নানা ধরনের কথা বলতো মায়ের এমন আচরনে । কেউ বলতো অতি শোকে পাগল হয়ে গেছে । কেউ বলতো আহারে এমন সোনার মতো বউটার সাথে এমন করলো ।
সবচেয়ে বেশি যে রিয়েক্ট করেছিলো সে হচ্ছে কালু , সে সুধু সারাক্ষণ ফোঁস ফোঁস করতো । কলমি মেয়টাকে ও আগেও পছন্দ করতো না আর এখন তো পছন্দ করার কোন প্রশ্ন ই আসে না । এমন ভাবে তাকাত যেন ওকে কাঁচা খেয়ে ফেলবে। তবে কলমি সেদিকে তেমন ভ্রূক্ষেপ করতো না । বরং ওকে দেখে মনে হতো ও কালুর সামনে আরও বেশি করে ঢং করে নিজের ফোলা পেট দেখিয়ে বেড়াতো ।
আমি মন থেকে চাইছিলাম যে গিয়ে বলি এই কাজ দিলিপ কাকুর , কিন্তু বলতে পারছিলাম না , আর বল্লেও প্রমান করবো কি করে । তাছারা কলমি যদি আমার বেপারেও কিছু বলে দেয় সেই ভয় ও ছিলো মনে । এমনিতেই বাড়িতে থমথমে একটা
চিঠি পেয়ে আব্বার আরও আগেই চলে আসার কথা ছিলো কিন্তু উনি এলেন প্রায় ৭-৮ দিন পর । তবে আব্বা যেদিন ফিরে এলেন সেদিন একা এলেন না সাথে করে পীর সাহেব এর এক চ্যালা নিয়ে এলেন । আব্বা কে দেখে মনেই হচ্ছে না উনি কোন বিষয় নিয়ে চিন্তিত । তবে ওনার স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে গিয়েছিলো অনেক, চোখের নিচে কালি পরে গিয়েছিলো ।
আব্বা আসার পর বাড়িতে সালিস হলো , আব্বার সৎ চাচার ছেলেরা খুব চেষ্টা করলো কলমির পেটের বাচ্চা কে আব্বার বলে চালিয়ে দিতে । কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি । সম্ভব হয়নি পীর সাহেব এর জন্য । ওনার একজন এসিস্টেন্ট যিনি আব্বার সাথে বাড়িতে এসেছিলেন উনি পীর সাহেবের কাছ থেকে পানি পড়া নিয়ে এসেছিলেন ।
পীর সাহেব এর হুকুম ছিলো কলমিকে যেন অইদিন রাত শেষে দিনের প্রথম আলো ফোঁটার সময় , গোসল করিয়ে ভেজা কাপরে সেই পড়া পানি খাওয়ানো হয় । যদি কলমি যা বলছে তা সত্যি হয় তাহলে কলমির কিচ্ছু হবে না পীর সাহেব নিজেই এসে কলমির সাথে আব্বার বিবাহ সম্পন্ন করে দেবেন । আর যদি মিথ্যা হয় তবে কলমির পেট ফেটে ও মারা যাবে ।
ওই এলাকায় পীর সাহেব এর কথা অমান্য করার মতো কেউ ছিলো না তাই কেউ টু শব্দটি করলো না । তবে আমার কিছু লোক একটা প্রশ্ন তুলল রাতের বেলা কলমির কোন ক্ষতি হবে না তো । কিন্তু পীর সাহেবের এসিস্টেন্ট সেই বেপারেও সমাধান দিয়ে দিয়েছিলেন । সেটা হচ্ছে গ্রামের দুজন লোক কলমির পাহারায় থাকবে ।
সেদিন রাতে আমাদের বাড়িতে কেউ ঘুমায় নি , আব্বা সারারাত বারান্দায় বসে ছিলো আর আমি মায়ের সাথে । মা আমাকে মুখ গোমড়া করে বসে থাকতে দেখে মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিলেন ।
কিরে অপু ভয় হচ্ছে ?
আমি মাথা নেড়ে সায় জানাতেই বলেছিলেন
তোর আব্বা কে আমি চিনি , উনি এই কাজ কোনদিন করবেন না । নে তুই ঘুমা আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি । সেদিন শুয়ে শুয়ে আমি ভাবছিলাম মায়ের আচরন নিয়ে , নিজের স্বামীর উপর এতো বিশ্বাস অথচ , আজকাল কালুর বাড়ার দিকে উপোষীর মতো তাকিয়ে থাকে । কালুর সামনে নিজের বুকের আঁচল সরিয়ে দেয় । কিছুতেই মেলাতে পারছিলাম না মায়ের ওই আচরন । আজো পারিনি ।
সকালে উঠেতে আমার দেরি হয়েগিয়েছিলো অনেক , আমি ঘুম থেকে উঠেই নিচে চলে এসেছিলাম । পুরো বাড়ি স্বাভাবিক গুটি কয়েক লোক এখানে সেখানে বসে গল্প করছেন ।আব্বা কে বা কলমিকে কথাও দেখতে পাইনি । পরে নানা জনের কাছে জানতে পেরেছিলাম , কলমি রাতের অন্ধকারে পালিয়েছিলো পীর সাহেব এর পানি পড়ার ভয়ে । মাঝে মাঝে খুব জানতে ইচ্ছে করে অইদিন পানি পড়াতে কি সত্যি কিছু ছিলো নাকি পীর সাহেব খুব বুদ্ধিমান ছিলেন । উনি জানতেন ভয়েই পালিয়ে যাবে কলমি ।
আমি আপনাদের কাছে যে গল্প বলতে বসেছি তার সাথে এই ঘটনাটা তেমন একটা গুরুত্ব পূর্ণ ঘটনা ছিলো না । তবে আপনাদের বললাম এই কারনে যে এই ঘটনার একটা অন্য তাৎপর্য ছিলো , আমার আব্বা আর মায়ের একে অপরের প্রতি ভালবাসা কি গভীর ছিলো ওই ঘটনা আমাকে বুঝতে সিখিয়েছিলো । কেমন করে মা নিজেকে ধরে রেখেছিলো ওই ঘটনার সময় আমার এখনো অবাক লাগে । অনেক শিক্ষিত মহিলারাও আজকাল এমন কোন ঘটনার মুখো মুখি হলে ভেঙ্গে পরে। আর আমার মা তো ছিলো ১৫ তে বিয়ে হয়ে যাওয়া গ্রাম্য মেয়ে ।
এছাড়া পরবর্তী সময়ে ঘটা নানা গুরুত্ব পূর্ণ ব্যাপারেও আমার আব্বা আর মায়ের বোঝাপড়া কেন অটুট ছিলো সেটাও এই ঘটনাটি আমাকে বুঝতে সাহায্য করেছে । ওরা একে অপর কে বিশ্বাস করতো , ভালোবাসতো নিঃস্বার্থ ভাবে । এ জিনিস আজ কাল পাওয়া খুব মুশকিল ।
কলেজ যাবি না অপু ?
যাবো মা
যা তারাতারি লক্ষি ছেলের মতো তৈরি হয়ে নে
সাধারন কথাবার্তা একজন মায়ের এমন কথাই তো বলা উচিৎ , তার তো নিজের স্বামীর সাথে দাম্পত্য জীবন নিয়ে অন্য একটি ছেলের বয়সী ছেলের সাথে আলোচনা করার কথা নয় । তার তো ছেলেকে পাশের ঘরে রেখে যৌন জ্বালায় ছটফট করার কথা না । নাকি আমি সেদিন ভুল ভাবছিলাম , কোমরে সাড়ি গুজে রুটি সেঁকায় নিয়োজিত মহিলাটি আমার মা হলেও একজন নারী , তার জৈবিক চাহিদা পুরন করার ১০০ গাভ অধিকার তার আছে ।
দিন দিন কালু খুব বেশি ব্যাস্ত হয়ে পরছিলো আব্বার অনুপুস্থিতিতে আব্বার সব কাজের দেখভাল করতো কালু । একটা বোবা ছেলে কি করে এসব পারে । তাও বয়সে আমার খুব বেশি বড় নয় । কিন্তু কালু কে কে আটকায় , দিব্যি দেখাশুনা করছে এমনকি দিলিপ কাকু নিজেও ওর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে কাজ করে । কালুকে দিন দিন ধরাছোঁয়ার বাইরে মনে হচ্ছিলো , মনে হচ্ছিলো ও বয়সে আমার অনেক বড় । যখন আব্বা বাড়িতে না থাকতো তখন ও বাড়ির কর্তার মতো আচরন করতো । এমন কি মা ওর সাথে সলা পরামর্ষ করতো । বাড়িতে এলে আব্বাকে যেমন করে সরবত দেয়া হতো তেমন করে কালুকেও দেয়া শুরু হলো ।
কালু বাড়িতে এসে আম্মা আম্মা বলে ডাক দিলেই মা দৌড়ে বেড়িয়ে আসতো । তারপর হেঁসে কালুর জন্য হাত মুখ ধোয়ার ব্যাবস্থা করতো । দুজনে বসে গল্প করতো মা কালুর কাছ থেকে বাইরের খবরা খবর নিতো যেমনটি আব্বার সাথে করতো ।
দিন কেটে যাচ্ছিলো ঠিক মতই , আব্বা দিন দিন আরও বেশি বাড়ির বাইরে শহরে কাটাতে লাগলেন । কথা হচ্ছিলো আমাকেও শহরে নিয়ে যাওয়া হবে ওখানে ইকলেজে ভর্তি করে দেয়া হবে । ঠিক এর মাঝে একটা বিপত্তি বাধলো
কলমি ফিরে এলো , ওর পাতলা অবয়ব আর পাতলা ছিলো না । শরীর এর মদ্ধভাগে একটি বারতি অংশ ছিলো । পেট ফুলে এক হাত বেড়িয়ে আছে । কলমি একা আসেনি , সাথে লোকজন ও আছে , গ্রামের গণ্যমান্য বেক্তি বর্গ আর আব্বার চাচার ছেলেরা । এসে দাবি করলো আব্বা কলমিকে পেট বাধিয়ে দিয়েছে । বিশাল হুরুস্থুল ব্যাপার , আব্বার সৎ চাচার ছেলেরা পারলে তখনি আব্বা কে শহর থেকে এনে জুতা পেটা করে । বাড়িতে তখন আব্বা ছিলো না , দিলিপ কাকু ও চুপসে গেছেন ,
প্রথমে ভরকে গিয়েছিলাম পরে আমার দিলিপ কাকু আর কলমির সেই দিনের কথা মনে পরে গেলো । কিন্তু সাহস করে কাউকে বলতে পারলাম না । সিদ্ধান্ত হলো আব্বা যতদিন না আসে ততদিন কলমি আমাদের বাড়ি থাকবে । আর ওর যেন কোন ক্ষতি না হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে ।
কলমি আমাদের বাড়িতে বাড়ির বউ এর মতো থাকতে লাগলো । ওকে আলাদা একটা ঘর দেয়া হলো , আমাকে দেখলেই কলমি সুধু হাসত । একবার আমাকে একা পেয়ে বলল
ভাইজান তুমি তো কিছুই পারলা না দেখসো তোমার আব্বা কি করসে , এখন আমি তোমার ছোট আম্মা হবো আর এই পেটে তোমার ছোট ভাই । দেখাবা তোমার ছোট ভাই রে
এই বলে কলমি নিজের শরীরের আঁচল সরিয়ে প্রচণ্ড ফুলে থাকা পেট দেখিয়েছিলো আমাকে , আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম কলমির ফাটা ফাটা চামড়া আর ফোলা নাভি দেখে দৌড়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিলাম ।
মা কে দেখে সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য হয়েছিলাম আমি , তার কোন ভাবান্তর ছিলো না , কলমির খুব যত্ন নিতো সময় মতো খাবার দিত , সব সময় ওর কি লাগবে সেদিকে খেয়াল রাখতো । নিজে নিজের মতো থাকতো নিত্য কাজ করতো আপন মনে। কেউ কোন শান্তনা দিতে এলে তাকে বলতো ওই মেয়ের পেট থেকে বাচ্চা যদি বলে ওঠে তবুও মাই বিশ্বাস করবো না। লোকজন আগে পিছে নানা ধরনের কথা বলতো মায়ের এমন আচরনে । কেউ বলতো অতি শোকে পাগল হয়ে গেছে । কেউ বলতো আহারে এমন সোনার মতো বউটার সাথে এমন করলো ।
সবচেয়ে বেশি যে রিয়েক্ট করেছিলো সে হচ্ছে কালু , সে সুধু সারাক্ষণ ফোঁস ফোঁস করতো । কলমি মেয়টাকে ও আগেও পছন্দ করতো না আর এখন তো পছন্দ করার কোন প্রশ্ন ই আসে না । এমন ভাবে তাকাত যেন ওকে কাঁচা খেয়ে ফেলবে। তবে কলমি সেদিকে তেমন ভ্রূক্ষেপ করতো না । বরং ওকে দেখে মনে হতো ও কালুর সামনে আরও বেশি করে ঢং করে নিজের ফোলা পেট দেখিয়ে বেড়াতো ।
আমি মন থেকে চাইছিলাম যে গিয়ে বলি এই কাজ দিলিপ কাকুর , কিন্তু বলতে পারছিলাম না , আর বল্লেও প্রমান করবো কি করে । তাছারা কলমি যদি আমার বেপারেও কিছু বলে দেয় সেই ভয় ও ছিলো মনে । এমনিতেই বাড়িতে থমথমে একটা
চিঠি পেয়ে আব্বার আরও আগেই চলে আসার কথা ছিলো কিন্তু উনি এলেন প্রায় ৭-৮ দিন পর । তবে আব্বা যেদিন ফিরে এলেন সেদিন একা এলেন না সাথে করে পীর সাহেব এর এক চ্যালা নিয়ে এলেন । আব্বা কে দেখে মনেই হচ্ছে না উনি কোন বিষয় নিয়ে চিন্তিত । তবে ওনার স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে গিয়েছিলো অনেক, চোখের নিচে কালি পরে গিয়েছিলো ।
আব্বা আসার পর বাড়িতে সালিস হলো , আব্বার সৎ চাচার ছেলেরা খুব চেষ্টা করলো কলমির পেটের বাচ্চা কে আব্বার বলে চালিয়ে দিতে । কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি । সম্ভব হয়নি পীর সাহেব এর জন্য । ওনার একজন এসিস্টেন্ট যিনি আব্বার সাথে বাড়িতে এসেছিলেন উনি পীর সাহেবের কাছ থেকে পানি পড়া নিয়ে এসেছিলেন ।
পীর সাহেব এর হুকুম ছিলো কলমিকে যেন অইদিন রাত শেষে দিনের প্রথম আলো ফোঁটার সময় , গোসল করিয়ে ভেজা কাপরে সেই পড়া পানি খাওয়ানো হয় । যদি কলমি যা বলছে তা সত্যি হয় তাহলে কলমির কিচ্ছু হবে না পীর সাহেব নিজেই এসে কলমির সাথে আব্বার বিবাহ সম্পন্ন করে দেবেন । আর যদি মিথ্যা হয় তবে কলমির পেট ফেটে ও মারা যাবে ।
ওই এলাকায় পীর সাহেব এর কথা অমান্য করার মতো কেউ ছিলো না তাই কেউ টু শব্দটি করলো না । তবে আমার কিছু লোক একটা প্রশ্ন তুলল রাতের বেলা কলমির কোন ক্ষতি হবে না তো । কিন্তু পীর সাহেবের এসিস্টেন্ট সেই বেপারেও সমাধান দিয়ে দিয়েছিলেন । সেটা হচ্ছে গ্রামের দুজন লোক কলমির পাহারায় থাকবে ।
সেদিন রাতে আমাদের বাড়িতে কেউ ঘুমায় নি , আব্বা সারারাত বারান্দায় বসে ছিলো আর আমি মায়ের সাথে । মা আমাকে মুখ গোমড়া করে বসে থাকতে দেখে মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিলেন ।
কিরে অপু ভয় হচ্ছে ?
আমি মাথা নেড়ে সায় জানাতেই বলেছিলেন
তোর আব্বা কে আমি চিনি , উনি এই কাজ কোনদিন করবেন না । নে তুই ঘুমা আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি । সেদিন শুয়ে শুয়ে আমি ভাবছিলাম মায়ের আচরন নিয়ে , নিজের স্বামীর উপর এতো বিশ্বাস অথচ , আজকাল কালুর বাড়ার দিকে উপোষীর মতো তাকিয়ে থাকে । কালুর সামনে নিজের বুকের আঁচল সরিয়ে দেয় । কিছুতেই মেলাতে পারছিলাম না মায়ের ওই আচরন । আজো পারিনি ।
সকালে উঠেতে আমার দেরি হয়েগিয়েছিলো অনেক , আমি ঘুম থেকে উঠেই নিচে চলে এসেছিলাম । পুরো বাড়ি স্বাভাবিক গুটি কয়েক লোক এখানে সেখানে বসে গল্প করছেন ।আব্বা কে বা কলমিকে কথাও দেখতে পাইনি । পরে নানা জনের কাছে জানতে পেরেছিলাম , কলমি রাতের অন্ধকারে পালিয়েছিলো পীর সাহেব এর পানি পড়ার ভয়ে । মাঝে মাঝে খুব জানতে ইচ্ছে করে অইদিন পানি পড়াতে কি সত্যি কিছু ছিলো নাকি পীর সাহেব খুব বুদ্ধিমান ছিলেন । উনি জানতেন ভয়েই পালিয়ে যাবে কলমি ।
আমি আপনাদের কাছে যে গল্প বলতে বসেছি তার সাথে এই ঘটনাটা তেমন একটা গুরুত্ব পূর্ণ ঘটনা ছিলো না । তবে আপনাদের বললাম এই কারনে যে এই ঘটনার একটা অন্য তাৎপর্য ছিলো , আমার আব্বা আর মায়ের একে অপরের প্রতি ভালবাসা কি গভীর ছিলো ওই ঘটনা আমাকে বুঝতে সিখিয়েছিলো । কেমন করে মা নিজেকে ধরে রেখেছিলো ওই ঘটনার সময় আমার এখনো অবাক লাগে । অনেক শিক্ষিত মহিলারাও আজকাল এমন কোন ঘটনার মুখো মুখি হলে ভেঙ্গে পরে। আর আমার মা তো ছিলো ১৫ তে বিয়ে হয়ে যাওয়া গ্রাম্য মেয়ে ।
এছাড়া পরবর্তী সময়ে ঘটা নানা গুরুত্ব পূর্ণ ব্যাপারেও আমার আব্বা আর মায়ের বোঝাপড়া কেন অটুট ছিলো সেটাও এই ঘটনাটি আমাকে বুঝতে সাহায্য করেছে । ওরা একে অপর কে বিশ্বাস করতো , ভালোবাসতো নিঃস্বার্থ ভাবে । এ জিনিস আজ কাল পাওয়া খুব মুশকিল ।