09-08-2020, 04:00 PM
সব নরম, গরম চেহারা দেখে সাগ্নিক বেশ হর্নি
হয়ে উঠলো। শেষ পাতে একটু ড্রিঙ্ক পড়াতে
অবস্থা ভালোই খারাপ হতে লাগলো। তার ওপর
পাওলার লাস্যময়ী চেহারাটা। উফফফফফফ। নিজের
শরীর ও মনের ওপর কন্ট্রোল কমছে
সাগ্নিকের। দেরী করা সমীচীন মনে
করলো না। তাড়াতাড়ি বাপ্পাদা ও বৌদিকে বলে বিদায়
নিলো সে। তাও ১২ টা বাজে। পরদিন দুধ দেওয়াও
আছে।
সকালে একটু দেরীতেই ঘুম ভাঙলো। তাড়াতাড়ি
বাড়িগুলো দিতে লাগলো। পরিমরি করে ছুটতে
ছুটতে সব ডেলিভারি দিলো। বহ্নিতার কাছে
ঢুকতে ৯ টা বেজে গেলো।
বহ্নিতা- কি ব্যাপার? দেরী করলে যে।
সাগ্নিক- স্যরি বৌদি। কাল ১২ টার পর এসেছি। আর
লেট হবে না।
বহ্নিতা- ইটস ওকে। এক আধদিন হতেই পারে। আর
কতগুলো আছে?
সাগ্নিক- গোটা দশেক। তোমাদের
অ্যাপার্টমেন্টেই।
বহ্নিতা- বাহ। দিয়ে এসো তো একবার। দুটো
খরচ এনে দিয়ো দোকান থেকে। নামতে
ইচ্ছে করছে না।
সাগ্নিক- আচ্ছা। কি খরচ? একবারে নিয়ে আসবো।
বহ্নিতা- চিনি আর হ্যান্ডওয়াস।
সাগ্নিক- বেশ।
সব বাড়িতে দিয়ে চিনি আর হ্যান্ডওয়াস কিনে সাগ্নিক
আবার বহ্নিতার ফ্ল্যাটে এসে বেল টিপলো।
বহ্নিতা দরজা খুলে সাগ্নিককে ভেতরে ডাকলো।
এখনও এলোমেলো বহ্নিতা।
বহ্নিতা- সকালে তোমার দাদা ছেলেটাকে নিয়ে
বেরিয়ে গেলো। তারপর আর কিছু গোছগাছ
হয়নি। চা খাবে তো?
সাগ্নিক- না বৌদি। বাড়ি যাবো। রান্না করতে হবে।
খেতে হবে।
বহ্নিতা- আরে। চা করি একটু। আর আজ সকালে রান্না
হয়েছে। দরকার পড়লে খেয়ে যেয়ো।
ছেলেটার ছুটি শেষ। কলেজে দিয়ে দাদা অফিসে
ঢুকবে। নইলে তো অন্যদিন তুমি কলিং বেল
টিপলেই উঠি।
সাগ্নিক- বেশ। চা করো তবে।
বহ্নিতা কিচেনে চলে গেলো। চা করে নিয়ে
এলো দুজনের জন্য।
বহ্নিতা- আচ্ছা তুমি থাকো কোথায়?
সাগ্নিক- স্টেশনের দিকেই। বাপ্পাদার বাড়ির
কাছেই।
বহ্নিতা- তোমার বাবা-মা?
সাগ্নিক- আমি আসলে কোলকাতার ছেলে। বাবা-মা
এর সাথে ঝামেলা হয়েছে। বাড়ি থেকে বের
করে দিয়েছে। তারপর কোথায় যাবো?
ট্রেনে চাপি। এখানে এসে নামি। বাপ্পাদার
দোকানের সামনে দুদিন পড়ে ছিলাম। পরে
বাপ্পাদাই বুদ্ধি দেয়। কিছু পুঁজি ছিলো। তাই দিয়ে দুধ
কিনে বাড়ি বাড়ি দিতে শুরু করি।
বহ্নিতা- তাই না কি? কতদিন ধরে করছো এসব?
সাগ্নিক- এই মাস দুয়েক। বাপ্পাদা আমার ভগবান বলতে
পারো।
বহ্নিতা- বাপ্পাদা খুব ভালো মানুষ। অনেক মানুষের
হেল্প করে। আর তোমার পড়াশুনা?
সাগ্নিক- পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইতিহাসে। চাকরির
প্রত্যাশী।
বহ্নিতা- তা বাড়ি থেকে বের করে দিলো
কেনো?
সাগ্নিক- ওই পারিবারিক সমস্যা। আমিও আর
যোগাযোগ করি না।
বহ্নিতা- খুব বড়সড় ঝামেলা হয়েছে বোঝা
যাচ্ছে। বাই দা ওয়ে, চা কেমন হয়েছে বললে
না কিন্তু।
সাগ্নিক- সুন্দর হয়েছে।
বহ্নিতা- কেমন সুন্দর?
সাগ্নিক- কি বলি। তোমার মতো।
বহ্নিতা- যাহ! সুযোগ পেয়েই ফ্লার্ট করে
দিলে?
সাগ্নিক- স্যরি বৌদি।
বহ্নিতা- আরে ঠিক আছে। আমার তোমাকে
ভালো লাগে সাগ্নিক। তোমাকে দেখে কেউ
বলবে না তুমি হকারি করে বেড়াও। কি সুন্দর তুমি
দেখতে। চেহারাও ভালো। বড় চাকুরীজীবি
মনে হয় দেখলে। তুমি যেদিন প্রথম
এসেছিলে, সেদিনই আমার মনে হয়েছিলো
এরকম ছেলে হকারি করছে মানে জীবনে
সমস্যা আছে। তোমার দাদারও তাই মনে
হয়েছিলো, তাই আমরা দুধ নেওয়া শুরু করি।
হয়ে উঠলো। শেষ পাতে একটু ড্রিঙ্ক পড়াতে
অবস্থা ভালোই খারাপ হতে লাগলো। তার ওপর
পাওলার লাস্যময়ী চেহারাটা। উফফফফফফ। নিজের
শরীর ও মনের ওপর কন্ট্রোল কমছে
সাগ্নিকের। দেরী করা সমীচীন মনে
করলো না। তাড়াতাড়ি বাপ্পাদা ও বৌদিকে বলে বিদায়
নিলো সে। তাও ১২ টা বাজে। পরদিন দুধ দেওয়াও
আছে।
সকালে একটু দেরীতেই ঘুম ভাঙলো। তাড়াতাড়ি
বাড়িগুলো দিতে লাগলো। পরিমরি করে ছুটতে
ছুটতে সব ডেলিভারি দিলো। বহ্নিতার কাছে
ঢুকতে ৯ টা বেজে গেলো।
বহ্নিতা- কি ব্যাপার? দেরী করলে যে।
সাগ্নিক- স্যরি বৌদি। কাল ১২ টার পর এসেছি। আর
লেট হবে না।
বহ্নিতা- ইটস ওকে। এক আধদিন হতেই পারে। আর
কতগুলো আছে?
সাগ্নিক- গোটা দশেক। তোমাদের
অ্যাপার্টমেন্টেই।
বহ্নিতা- বাহ। দিয়ে এসো তো একবার। দুটো
খরচ এনে দিয়ো দোকান থেকে। নামতে
ইচ্ছে করছে না।
সাগ্নিক- আচ্ছা। কি খরচ? একবারে নিয়ে আসবো।
বহ্নিতা- চিনি আর হ্যান্ডওয়াস।
সাগ্নিক- বেশ।
সব বাড়িতে দিয়ে চিনি আর হ্যান্ডওয়াস কিনে সাগ্নিক
আবার বহ্নিতার ফ্ল্যাটে এসে বেল টিপলো।
বহ্নিতা দরজা খুলে সাগ্নিককে ভেতরে ডাকলো।
এখনও এলোমেলো বহ্নিতা।
বহ্নিতা- সকালে তোমার দাদা ছেলেটাকে নিয়ে
বেরিয়ে গেলো। তারপর আর কিছু গোছগাছ
হয়নি। চা খাবে তো?
সাগ্নিক- না বৌদি। বাড়ি যাবো। রান্না করতে হবে।
খেতে হবে।
বহ্নিতা- আরে। চা করি একটু। আর আজ সকালে রান্না
হয়েছে। দরকার পড়লে খেয়ে যেয়ো।
ছেলেটার ছুটি শেষ। কলেজে দিয়ে দাদা অফিসে
ঢুকবে। নইলে তো অন্যদিন তুমি কলিং বেল
টিপলেই উঠি।
সাগ্নিক- বেশ। চা করো তবে।
বহ্নিতা কিচেনে চলে গেলো। চা করে নিয়ে
এলো দুজনের জন্য।
বহ্নিতা- আচ্ছা তুমি থাকো কোথায়?
সাগ্নিক- স্টেশনের দিকেই। বাপ্পাদার বাড়ির
কাছেই।
বহ্নিতা- তোমার বাবা-মা?
সাগ্নিক- আমি আসলে কোলকাতার ছেলে। বাবা-মা
এর সাথে ঝামেলা হয়েছে। বাড়ি থেকে বের
করে দিয়েছে। তারপর কোথায় যাবো?
ট্রেনে চাপি। এখানে এসে নামি। বাপ্পাদার
দোকানের সামনে দুদিন পড়ে ছিলাম। পরে
বাপ্পাদাই বুদ্ধি দেয়। কিছু পুঁজি ছিলো। তাই দিয়ে দুধ
কিনে বাড়ি বাড়ি দিতে শুরু করি।
বহ্নিতা- তাই না কি? কতদিন ধরে করছো এসব?
সাগ্নিক- এই মাস দুয়েক। বাপ্পাদা আমার ভগবান বলতে
পারো।
বহ্নিতা- বাপ্পাদা খুব ভালো মানুষ। অনেক মানুষের
হেল্প করে। আর তোমার পড়াশুনা?
সাগ্নিক- পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইতিহাসে। চাকরির
প্রত্যাশী।
বহ্নিতা- তা বাড়ি থেকে বের করে দিলো
কেনো?
সাগ্নিক- ওই পারিবারিক সমস্যা। আমিও আর
যোগাযোগ করি না।
বহ্নিতা- খুব বড়সড় ঝামেলা হয়েছে বোঝা
যাচ্ছে। বাই দা ওয়ে, চা কেমন হয়েছে বললে
না কিন্তু।
সাগ্নিক- সুন্দর হয়েছে।
বহ্নিতা- কেমন সুন্দর?
সাগ্নিক- কি বলি। তোমার মতো।
বহ্নিতা- যাহ! সুযোগ পেয়েই ফ্লার্ট করে
দিলে?
সাগ্নিক- স্যরি বৌদি।
বহ্নিতা- আরে ঠিক আছে। আমার তোমাকে
ভালো লাগে সাগ্নিক। তোমাকে দেখে কেউ
বলবে না তুমি হকারি করে বেড়াও। কি সুন্দর তুমি
দেখতে। চেহারাও ভালো। বড় চাকুরীজীবি
মনে হয় দেখলে। তুমি যেদিন প্রথম
এসেছিলে, সেদিনই আমার মনে হয়েছিলো
এরকম ছেলে হকারি করছে মানে জীবনে
সমস্যা আছে। তোমার দাদারও তাই মনে
হয়েছিলো, তাই আমরা দুধ নেওয়া শুরু করি।