05-03-2019, 04:16 PM
সতী - ১৩(১)
ঝুমা রায়ের কথা ভুলেই যেতে হল সজীবকে। গাবতলী থেকে খাসী কিনে একটা ভ্যানে চড়ে ছাগল নিয়ে যখন বাসার গলিতে ঢুকছিলো তখন সে দেখতে পেল রবিন মামার গাড়ি বের হচ্ছে। তবে সেটাতে রবিন মামা নেই। রবিন মামাকে সে পেল তাদের বাসার নিচে। তিনি মসজিদের ইমাম সাহেবকে ডেকে এনেছেন। আরো কিছু মুসল্লীও আছে সেখানে। রবিন ভ্যান ভাড়া দিতে দিতেই দেখলো রবিন মামা নিজেই খাসীটাকে ভ্যান থেকে নামিয়ে ভিতরে নিয়ে গেলেন। একজন কসাইকে সেটা ধরিয়ে দিয়ে সজীবের উদ্দেশ্যে বললেন-তোমার জন্য বুজানের অনেক দরদ সজীব। তুমি তার কইলজার টুকরা। তোমারে চাকরী দিতে পেরে আমার ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। মনোযোগ দিয়ে চাকরী করবা। তোমার জন্য কন্যা দেখবো আমি। দুলাভাই উল্টাপাল্টা মেয়ে গছিয়ে দিবে তোমারে। আর শোন ব্যাংকের মেয়েদের চরিত্র ভাল না। হুটহাট প্রেমে পইরা যাইয়ো না। ব্যাংকে অনেক ডিভোর্সি ছেমড়ি আছে। তাদের পাত্তা দিবানা। ওগুলা নষ্টা ছেমড়ি। যার তার সাথে শুতে দ্বিধা করে না। তাদের থেকে সাবধানে থাকবা। জ্বী মামা- বলে সজীব সিঁড়ির দিকে যাচ্ছিলো। তখুনি রবিন মামা তাকে আবার ডাক দিলেন। কৈ যাও? তোমাকে এখানে থাকা লাগবে। আমি সব ম্যানেজ করে দিয়েছি। ইমাম সাহেবের সাথে দাঁড়ায়ে থাকো। তিনি যা বলবেন সেইভাবে কাজ হবে।
ইমাম সাহেব বললেন তুমি নামাজে যাও না। এইটা ঠিক না। যা খুশী করো পাঁচবেলা আল্লার কাছে হাজীরা দিতে হবে। এইটা খুব জরুরী। আবারো- জ্বী মামা -বলার পর রবিন মামা বললেন- আমি বের হয়ে যাচ্ছি। এইখানে খাসী কাটাকুটি হবে দেখে গাড়ি বাইরে পাঠায়ে দিসি। তোমাদের গাড়িটা খুব পছন্দ হইসে আমার। একটা চাদর আইনা ঢাইকা দাও গাড়িটারে। কাইল আমি একটা কাভার পাঠিয়ে দিবো। বুজানরে বইলো, আমি আর উপরে উঠলাম না। একবার অফিসে যেতে হবে। রবিন মামা দেরী করলেন না চলে গেলেন। সজীব তখুনি ফোনে বার্তা আসার শব্দ পেলো। কসাইদের কাটাকুটি দেখতে দেখতে সে এক কোনে গিয়ে মোবাইল বার্তাটা দেখলো। ঝুমা রায়ের বার্তা। আপনি আমাকে কেনো অনুসরন করেন? আমার পিছু পিছু সারাদিন থাকেন কেনো? লোকটার নাম খায়ের না। লোকটার নাম মোজাফ্ফর। লোকটার নম্বরে কথা বলে দেখুন। আর কোন কারণ না থাকলে আমার পিছু ছেড়ে দিন। বার্তাটা পড়ে কনফিউজ্ড হল সজীব। খায়ের নামটাতো লোকটার বলা। কিন্তু ঝুমা রায় লোকটার নাম মোজাফ্ফর বলছে কেনো! লোকটার ফোন নম্বর দেয়া আছে বার্তার শেষে। কোন কিছু না ভেবেই সেই নম্বরে আঙ্গুল ছোঁয়াতে কল হয়ে গেল। তিনটা রিং পুরোপুরি না হতেই একটা ভারি কন্ঠস্বর ভেসে এলো। সজীব রেকর্ড বাটনে চেপে দিলো। জ্বী আমি সজীব। আমাকে চিনবেন না আপনি। আপনি খায়ের সাহেব না-জানতে চাইলো সজীব। হ্যাঁ, কি চান। কাট কাট প্রশ্ন করা হল ফোনের ওপাড় থেকে। জ্বী আমি কিভাবে বলব বুঝতে পারছিনা। আসলে আমার স্যারের জন্য একটা কম বয়েসী মেয়ে দরকার। টাকা যত লাগে পেয়ে যাবেন। আমার স্যার যমুনা ব্যাংকের ডাইরেক্টর। ওপাশ থেকে খেকিয়ে উঠলো লোকটা। আমার নম্বর কে দিলো আপনাকে? ফাইজলামি করেন? নতুন নাকি এই লাইনে? আপনি দেলোয়ারের সাথে কথা বলেন। ফাল্তু যতসব! বাক্যটা বলেই ফোন কেটে দিলো ওপাশ থেকে। সজীব কলটা রেকর্ড হয়েছে কিনা নিশ্চিত হল। তারপর ফিরতি বার্তায় ঝুমাকে বলল-আমি মোটেও আপনাকে ফলো করছি না। লোকটার নাম মোজাফ্ফর নয়। তার নাম খায়ের। সে খারাপ মানুষ। খুব সম্ভবত নারী পাচারকারী। ভাল থাকবেন। বার্তাটা সেন্ড করে সজীবের জেদ বেড়ে গেল। সে খায়েরের ফোন নম্বর তার কলিম চাচাকে পাঠালো। বলল-কাকু দেখবেন এটা কার নাম্বার?আমার মনে হচ্ছে সে নারী পাচারকারী। কাকুর কাছে বার্তা পাঠিয়ে আরেক বিপদে পরল সজীব। কাকু ফোন দিয়ে তাকে ধমকে ধামকে বললেন-ওসব মানুষের ফোন নম্বর তোমার কাছে কোত্থেকে এসেছে? চাকরী বাকরীর পিছনে না ঘুরে তোমাকে গোয়েন্দাগিরি করতে কে বলেছে? তুমি আমার সাথে যোগাযোগ রাখো না কেন? কাকুকে বাবা যেমন ভয় খায় সজীবও ভয় খায়। ডিবি-র ডিআইজি না কি পোষ্টে আছে এখন। শুধু ধমকে কথা বলেন। সজীব হু হা ছাড়া তেমন কোন জবাব করতে পারে না। তবু ঝুমার উপর রাগ থেকে সে বলে -কাকু আমাকে নম্বরটা একজন দিয়েছে। আর আমি শিওর যে তার নাম খায়ের। কিন্তু সে নিজেকে মোজাফ্ফর পরিচয় দিচ্ছে। সে নারী ব্যবসার সাথে জড়িত। আপনি পারলে ওকে ধরেন নাহলে বাদ দেন। এই কথা বলার পর কলিম কাকু হেসে দিলেন হো হো করে। বললেন ভাতিজা তোমার বাপও কিন্তু আমারে ডরায়, এমনে কথা বলে না। তুমি আগামী শুক্রবারে আমার সাথে দেখা করবা। বাসায় আসবা। বলে তিনি ফোন কেটে দিলেন। জাহান্নামে যাক -নিজেকেই বলল সজীব। তারপর ইমাম সাহেবের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে সে চলে গেল বিল্ডিং এর বাইরে। একটা মোবাইল সীম কিনতে হবে তাকে। আম্মুকে সিম্ফনি ফোনটা দিতে হবে। সেটার জন্য সীম কেনা হয় নি। খাসীর মাংস দিয়ে খিচুরি বানানো হবে আর সেগুল সব এতিমখানায় দেয়া হবে। সজীবদের বাসাতেও দেয়া হবে কিছুটা। ইমাম সাহেব তেমনি বলেছেন।তবে সেটা শেষ হতে অনেক সময় লাগবে।
ঝুমা রায়ের কথা ভুলেই যেতে হল সজীবকে। গাবতলী থেকে খাসী কিনে একটা ভ্যানে চড়ে ছাগল নিয়ে যখন বাসার গলিতে ঢুকছিলো তখন সে দেখতে পেল রবিন মামার গাড়ি বের হচ্ছে। তবে সেটাতে রবিন মামা নেই। রবিন মামাকে সে পেল তাদের বাসার নিচে। তিনি মসজিদের ইমাম সাহেবকে ডেকে এনেছেন। আরো কিছু মুসল্লীও আছে সেখানে। রবিন ভ্যান ভাড়া দিতে দিতেই দেখলো রবিন মামা নিজেই খাসীটাকে ভ্যান থেকে নামিয়ে ভিতরে নিয়ে গেলেন। একজন কসাইকে সেটা ধরিয়ে দিয়ে সজীবের উদ্দেশ্যে বললেন-তোমার জন্য বুজানের অনেক দরদ সজীব। তুমি তার কইলজার টুকরা। তোমারে চাকরী দিতে পেরে আমার ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। মনোযোগ দিয়ে চাকরী করবা। তোমার জন্য কন্যা দেখবো আমি। দুলাভাই উল্টাপাল্টা মেয়ে গছিয়ে দিবে তোমারে। আর শোন ব্যাংকের মেয়েদের চরিত্র ভাল না। হুটহাট প্রেমে পইরা যাইয়ো না। ব্যাংকে অনেক ডিভোর্সি ছেমড়ি আছে। তাদের পাত্তা দিবানা। ওগুলা নষ্টা ছেমড়ি। যার তার সাথে শুতে দ্বিধা করে না। তাদের থেকে সাবধানে থাকবা। জ্বী মামা- বলে সজীব সিঁড়ির দিকে যাচ্ছিলো। তখুনি রবিন মামা তাকে আবার ডাক দিলেন। কৈ যাও? তোমাকে এখানে থাকা লাগবে। আমি সব ম্যানেজ করে দিয়েছি। ইমাম সাহেবের সাথে দাঁড়ায়ে থাকো। তিনি যা বলবেন সেইভাবে কাজ হবে।
ইমাম সাহেব বললেন তুমি নামাজে যাও না। এইটা ঠিক না। যা খুশী করো পাঁচবেলা আল্লার কাছে হাজীরা দিতে হবে। এইটা খুব জরুরী। আবারো- জ্বী মামা -বলার পর রবিন মামা বললেন- আমি বের হয়ে যাচ্ছি। এইখানে খাসী কাটাকুটি হবে দেখে গাড়ি বাইরে পাঠায়ে দিসি। তোমাদের গাড়িটা খুব পছন্দ হইসে আমার। একটা চাদর আইনা ঢাইকা দাও গাড়িটারে। কাইল আমি একটা কাভার পাঠিয়ে দিবো। বুজানরে বইলো, আমি আর উপরে উঠলাম না। একবার অফিসে যেতে হবে। রবিন মামা দেরী করলেন না চলে গেলেন। সজীব তখুনি ফোনে বার্তা আসার শব্দ পেলো। কসাইদের কাটাকুটি দেখতে দেখতে সে এক কোনে গিয়ে মোবাইল বার্তাটা দেখলো। ঝুমা রায়ের বার্তা। আপনি আমাকে কেনো অনুসরন করেন? আমার পিছু পিছু সারাদিন থাকেন কেনো? লোকটার নাম খায়ের না। লোকটার নাম মোজাফ্ফর। লোকটার নম্বরে কথা বলে দেখুন। আর কোন কারণ না থাকলে আমার পিছু ছেড়ে দিন। বার্তাটা পড়ে কনফিউজ্ড হল সজীব। খায়ের নামটাতো লোকটার বলা। কিন্তু ঝুমা রায় লোকটার নাম মোজাফ্ফর বলছে কেনো! লোকটার ফোন নম্বর দেয়া আছে বার্তার শেষে। কোন কিছু না ভেবেই সেই নম্বরে আঙ্গুল ছোঁয়াতে কল হয়ে গেল। তিনটা রিং পুরোপুরি না হতেই একটা ভারি কন্ঠস্বর ভেসে এলো। সজীব রেকর্ড বাটনে চেপে দিলো। জ্বী আমি সজীব। আমাকে চিনবেন না আপনি। আপনি খায়ের সাহেব না-জানতে চাইলো সজীব। হ্যাঁ, কি চান। কাট কাট প্রশ্ন করা হল ফোনের ওপাড় থেকে। জ্বী আমি কিভাবে বলব বুঝতে পারছিনা। আসলে আমার স্যারের জন্য একটা কম বয়েসী মেয়ে দরকার। টাকা যত লাগে পেয়ে যাবেন। আমার স্যার যমুনা ব্যাংকের ডাইরেক্টর। ওপাশ থেকে খেকিয়ে উঠলো লোকটা। আমার নম্বর কে দিলো আপনাকে? ফাইজলামি করেন? নতুন নাকি এই লাইনে? আপনি দেলোয়ারের সাথে কথা বলেন। ফাল্তু যতসব! বাক্যটা বলেই ফোন কেটে দিলো ওপাশ থেকে। সজীব কলটা রেকর্ড হয়েছে কিনা নিশ্চিত হল। তারপর ফিরতি বার্তায় ঝুমাকে বলল-আমি মোটেও আপনাকে ফলো করছি না। লোকটার নাম মোজাফ্ফর নয়। তার নাম খায়ের। সে খারাপ মানুষ। খুব সম্ভবত নারী পাচারকারী। ভাল থাকবেন। বার্তাটা সেন্ড করে সজীবের জেদ বেড়ে গেল। সে খায়েরের ফোন নম্বর তার কলিম চাচাকে পাঠালো। বলল-কাকু দেখবেন এটা কার নাম্বার?আমার মনে হচ্ছে সে নারী পাচারকারী। কাকুর কাছে বার্তা পাঠিয়ে আরেক বিপদে পরল সজীব। কাকু ফোন দিয়ে তাকে ধমকে ধামকে বললেন-ওসব মানুষের ফোন নম্বর তোমার কাছে কোত্থেকে এসেছে? চাকরী বাকরীর পিছনে না ঘুরে তোমাকে গোয়েন্দাগিরি করতে কে বলেছে? তুমি আমার সাথে যোগাযোগ রাখো না কেন? কাকুকে বাবা যেমন ভয় খায় সজীবও ভয় খায়। ডিবি-র ডিআইজি না কি পোষ্টে আছে এখন। শুধু ধমকে কথা বলেন। সজীব হু হা ছাড়া তেমন কোন জবাব করতে পারে না। তবু ঝুমার উপর রাগ থেকে সে বলে -কাকু আমাকে নম্বরটা একজন দিয়েছে। আর আমি শিওর যে তার নাম খায়ের। কিন্তু সে নিজেকে মোজাফ্ফর পরিচয় দিচ্ছে। সে নারী ব্যবসার সাথে জড়িত। আপনি পারলে ওকে ধরেন নাহলে বাদ দেন। এই কথা বলার পর কলিম কাকু হেসে দিলেন হো হো করে। বললেন ভাতিজা তোমার বাপও কিন্তু আমারে ডরায়, এমনে কথা বলে না। তুমি আগামী শুক্রবারে আমার সাথে দেখা করবা। বাসায় আসবা। বলে তিনি ফোন কেটে দিলেন। জাহান্নামে যাক -নিজেকেই বলল সজীব। তারপর ইমাম সাহেবের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে সে চলে গেল বিল্ডিং এর বাইরে। একটা মোবাইল সীম কিনতে হবে তাকে। আম্মুকে সিম্ফনি ফোনটা দিতে হবে। সেটার জন্য সীম কেনা হয় নি। খাসীর মাংস দিয়ে খিচুরি বানানো হবে আর সেগুল সব এতিমখানায় দেয়া হবে। সজীবদের বাসাতেও দেয়া হবে কিছুটা। ইমাম সাহেব তেমনি বলেছেন।তবে সেটা শেষ হতে অনেক সময় লাগবে।
শিশু বলৎকারের মূল কারণ আমি আপনি আমরা। আসুন প্রতিরোধ করি।