28-07-2020, 12:58 PM
পর্ব-১৩
-----------------------------------
এই মেয়ে গুলো যেভাবে টানা টানি করতেছে,আমার মনে হচ্ছে আমাকে ওরা যে কোন সময় খেয়ে ফেলতে পারে।
এদিকে সান্তা আমার সাথে ঘটে যাওয়া কান্ড দেখে হাঁসতেছে।
হঠাৎ সান্তা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল,তুমি এখান থেকে একটা মেয়ে পছন্দ করো,
মানে কি এসবের।
মানে হল,তোমার টাকা লাগবে না,এরা সবাই আমার পরিচিত লোক,আমি এখানেই ছিলাম।আর এখান থেকেই নিজের শরীর বিক্রি করতাম।এখন তুমি বলো,আজকে রাতটা কার সাথে কাটাতে চাও,এখান থেকে যে কোন মেয়েকে নিয়ে আজকের রাতটা কাটিয়ে দিতে পারো।অথবা তুমি চাইলে ২-৩ জনও নিতে পারো।
সান্তা,তুমি জানো,আমি এই গুলো পছন্দ করি না।তারপরও তুমি আমাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে আসবে।আমার ভাবতেই ঘৃন্না হচ্ছে।
এখানে ঘৃনা করার কি আছে।তুমি জানো,এদের কাছ থেকে একটু মজা পেতে মানুষ কত টাকা-পয়সা নষ্ট করছে।রোজ এখানে কত লোক আসে একটু মজা পেতে,আর তুমি কি না ছি-ছি করতেছো।
কোন মানুষ কি করলো সেটা জানার দরকার নেয় আমার।আর আমাকে যদি সেই সব মানুষ মনে করে থাকো।তাহলে তুমি মস্ত বড় ভুল করেছো।
এমন কেন করতেছো,একটা রাত্রি তো কিচ্ছু হবে না।তারচেয়ে বরং মজা নিতে থাকো।
শেষ-মেষ তুমিও আমার সাথে এমন করতে পারলে।এই দেখো,আমার যদি এমন কাজ করার ইচ্ছা থাকতো,তাহলে এতদিন তোমার কি অবস্থা হত একটু ভেবে দেখো।
কি এমন অবস্থা হতো?
তুমি বুঝনা কি হত।আমি ইচ্ছা করলে প্রতিদিন তোমাকে ভোগ করতে পারতাম,নিজের শরিরের চাহিদা প্রতিদিন মিটাতে পারতাম।আমি যদি তোমাকে এমনটা ভাবতাম,তাহলে তুমি এতদিন এখানে থেকেই তোমার শরীর বিক্রি করতে হত।তোমাকে,,,,,,,কথাটা শেষ করার আগে সান্তা আমাকে জরিয়ে ধরে মুখের উপর হাত দিয়ে চেপে ধরলো।
আমি জানি তুমি এমন না।তোমার মনটা অনেক ভাল।
তাহলে তুমি আমাকে এই বাঁজে জায়গায় কেন নিয়ে এলে।
তাহলে শুনো, কেন তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছি।আমি যখন আমার পরিবর্তনের কথা তাদের কাছে বললাম যে সবকিছুর মূলে রয়েছো তুমি।কিন্তু তারা বিশ্বাস করতে পারেনি।তারা আমাকে বলল,আমার শরীর দেখিয়ে নাকি আমি তোমাকে পাগল করেছি।তাই ওদের ধারণা ভুল প্রমান করার জন্য তোমাকে নিয়ে এসেছি এখানে।প্রমান করতে এসেছি,আমি যার হাত ধরে নতুন জীবনের সূচনা করছি,তার চরিত্র খারাপ না।
তুমি কাজটা ভাল করোনি।আর ছাড়ো আমাকে,আমি চলে যাব এখন
(((কষ্ট করে গল্প লিখি আপনাদের মনে আনন্দ দেওয়ার জন্য। আপনারা আনন্দ ঠিকই উপভোগ করেন বিনিময়ে একটা লাইক কমেন্ট করে আমাকে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করেন না। খুব খারাপ লাগে। একা একা আনন্দ করার চেয়ে সবাই মিলে আনন্দ করার মজাই আলাদা। সতরাং সকলে লাইক কমেন্ট করে জানাবেন।)))
এখন গল্পে আসি,,,,,,
আমিও যাব,কিন্তু।
কিন্তু কি আবার?
এদের বলে নেই,যে তুমি কত ভাল একটা মনের মানুষ,এদের জানা দরকার।
আরে বাদ দাওতো,কিছুই বলতে হবে না।
বলতে হবে।
কি বলবা।
এই যে তুমি শুধু আমার একটা কথায় এদের কাজের ব্যবস্থা করতে চাইছিলা।বলবো যে,আমার একটা কথায় সব কিছু ছেড়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া শুরু করেছো।
বলবো যে,তোমার মত ভাল মানুষের জন্য আমি নতুন করে বাঁচতে শিখেছি।
বলবো যে,তুমি আছো বলেই আজ আমি একটা পতিতা থেকে নতুন জীবন শুরু করতে পেরেছি।আর এরা কিনা তোমার চরিত্র নিয়ে খারাপ কথা বলেছে,তাও আমাকে নিয়ে।এদের জানা দরকার,বর্তমানে রক্তের সম্পর্ক থাকলেও কেউ কাউকে সাহায্য করে না।আর সেখানে আপনি আমার জন্য কতকিছু করতেছেন।আপনার মত মানুষ লাক্ষে একটা পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ।আর এরা আপনার চরিত্র নিয়ে খারাপ কথা বলেছে।
হঠাৎ সবাই সান্তাকে আর আমার কাছে ক্ষমা চাইতে লাগলো।আমরা বুঝতে পারছি,আমাদের মস্ত বড় ভুল হয়ে গেছে।দয়া করে আমাদের মাফ করে দেন।
সান্তা:কারো চরিত্র নিয়ে কথা বলার আগে তার সম্পর্কে ভাল করে খুঁজ-খবর নিয়ে তারপর কথা বলতে হয়।নয়তো,,,
কথাটা শেষ করার আগেই কয়েকজন সান্তাকে জরিয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।
সান্তা বুঝতে পারতেছে না,ঠিক কি করবে এমন সময়।
তাই আমি সান্তাকে বললাম,ভুলতো মানুষি করে,আর ক্ষমাও কিন্তু মানুষি করে।আর যে ক্ষমা করতে জানে,সে হল মহৎ লোক।
সত্যি বলতে তাদের কান্না দেখে কখন যে নিজেই কেঁদে দিয়েছি,আমি বুঝতেই পারিনি।
তোমরা দেখেছো,তোমরা যার চরিত্র নিয়ে বাজে কথা বলেছো।একটা বার তার দিকে তাঁকিয়ে দেখো,তোমাদের জন্য তার দু'চোঁখে পানি।
আচ্ছা বাদ দাওতো,যার জন্য এসেছো,সেই কথাটা বলো আগে।তারপর সান্তা সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললো,তোমাদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে,তোমরা চাইলে কাজে জয়েন করতে পারো।যদি তোমাদের কাজ করার ইচ্ছা থাকে,তাহলে আগামিকাল সকালে (শ্রাবনের একটা কার্ড এগিয়ে দিয়ে) এই ঠিকানাতে চলে এসো তোমরা।আর এখন আমরা আসতেছি,সবাই ভাল থেকো।
তোমরা এখন যেতে পারবে না।আগে আমরা চাই,তোমরা আমাদের সাথে বসে কিছু মুখে দিয়ে তারপর এখান থেকে যাবে।
আচ্ছা,ঠিক আছে।
তারপর সবাই একত্রে বসে খাবার খেয়ে চলে এলাম।অনেকটা রাত হয়েছে, তাই সান্তাকে আমাদের বাসায় নিয়ে এলাম।
বাসায় আসতেই দেখতে পেলাম বাবা মা এখনও জেঁগে আছেন।
সান্তাকে দেখেতো মা বাবা অনেক খুশি।মা সান্তাকে একটা রুম দেখিয়ে দিয়ে বলল,মা তুমি ফ্রেশ হয়ে নিচে আসো,একত্রে বসে ডিনার করবো।
এদিকে আমিও ফ্রেশ হওয়ার জন্য রুমের দিকে যাব,এমন সময় বাবা ডাঁক দিল।
কি হয়েছে বাবা,কিছু বলবা।
হুম।
তাহলে বলো।
আমি আর তোর মা সিদ্বান্ত নিয়েছি এবার তোমার বিয়ে করাবো।
কি বলছো তোমরা।আমি এখন বিয়ে-টিয়ে করতে পারবো না।
আগে মেয়েটার নামটাতো শুন,পরে নাহয় না করলি বিয়ে।
হুম বলো কে এই রাজকন্যা।
তার আগে বল,তুই কি সান্তাকে ভাল-টালো বাসিস নিতো আবার।
ভালবাসলেই কি আর না বাসলেই কি।
তোমরা তো আর এমন একটা মেয়েকে মেনে নিবে না।
কেন মেনে নিব না।
কারন সে একটা পতিতা ছিল।
হুম বুঝলাম,কিন্তু আমি আর তোর মা ঠিক করেছি সান্তার সাথেই তোর বিয়েটা দিব।
কিন্তু বাবা তোমরা তো জানো মেয়েটার অতীত।পরেতো আবার ঐ মেয়েটাকে কষ্ট দিবে না।
(এমন না যে সান্তাকে আমি ভালবাসিনা,তা কিন্তু না।আমিও সান্তাকে অনেক ভালবাসি।আর সবচেয়ে বড় কথা হল,এমন একটা মেয়েকে জীবন সাথী করতে পারলে তো আমি ধন্য।কিন্তু বাবা মাকে বুঝতে দিলাম না যে আমিও সান্তাকে ভালবাসি)
দেখ বাবা অতীত দিয়ে কারো বিচার করা যায় না।সবচেয়ে বড় কথা হলো,তুই যে সান্তার জন্য নিজের এতটা পরিবর্তন করতে পারছো।তাই আমরা ভেবে দেখলাম সান্তা যদি তোমার সারা জীবনের দ্বায়িত্ব নিয়ে নেয়,তাহলে আমাদের পরিবারটা অনেক সুখি একটা পরিবার হবে।
কিন্তু বাবা আমর কথায় তো আর লাভ নেয়।আগে জানতে হবে সান্তা আমাকে ভালবাসে কি না।
সান্তার কথা বলতে বলতেই সান্তা হাজির।
যেই মা সান্তাকে বলতে যাবে,ঠিক তখনি সান্তা বলে উঠলো,আন্টি,,,,
দেখুন আন্টি এটা হয় না।.....
চলবে........
-----------------------------------
এই মেয়ে গুলো যেভাবে টানা টানি করতেছে,আমার মনে হচ্ছে আমাকে ওরা যে কোন সময় খেয়ে ফেলতে পারে।
এদিকে সান্তা আমার সাথে ঘটে যাওয়া কান্ড দেখে হাঁসতেছে।
হঠাৎ সান্তা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল,তুমি এখান থেকে একটা মেয়ে পছন্দ করো,
মানে কি এসবের।
মানে হল,তোমার টাকা লাগবে না,এরা সবাই আমার পরিচিত লোক,আমি এখানেই ছিলাম।আর এখান থেকেই নিজের শরীর বিক্রি করতাম।এখন তুমি বলো,আজকে রাতটা কার সাথে কাটাতে চাও,এখান থেকে যে কোন মেয়েকে নিয়ে আজকের রাতটা কাটিয়ে দিতে পারো।অথবা তুমি চাইলে ২-৩ জনও নিতে পারো।
সান্তা,তুমি জানো,আমি এই গুলো পছন্দ করি না।তারপরও তুমি আমাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে আসবে।আমার ভাবতেই ঘৃন্না হচ্ছে।
এখানে ঘৃনা করার কি আছে।তুমি জানো,এদের কাছ থেকে একটু মজা পেতে মানুষ কত টাকা-পয়সা নষ্ট করছে।রোজ এখানে কত লোক আসে একটু মজা পেতে,আর তুমি কি না ছি-ছি করতেছো।
কোন মানুষ কি করলো সেটা জানার দরকার নেয় আমার।আর আমাকে যদি সেই সব মানুষ মনে করে থাকো।তাহলে তুমি মস্ত বড় ভুল করেছো।
এমন কেন করতেছো,একটা রাত্রি তো কিচ্ছু হবে না।তারচেয়ে বরং মজা নিতে থাকো।
শেষ-মেষ তুমিও আমার সাথে এমন করতে পারলে।এই দেখো,আমার যদি এমন কাজ করার ইচ্ছা থাকতো,তাহলে এতদিন তোমার কি অবস্থা হত একটু ভেবে দেখো।
কি এমন অবস্থা হতো?
তুমি বুঝনা কি হত।আমি ইচ্ছা করলে প্রতিদিন তোমাকে ভোগ করতে পারতাম,নিজের শরিরের চাহিদা প্রতিদিন মিটাতে পারতাম।আমি যদি তোমাকে এমনটা ভাবতাম,তাহলে তুমি এতদিন এখানে থেকেই তোমার শরীর বিক্রি করতে হত।তোমাকে,,,,,,,কথাটা শেষ করার আগে সান্তা আমাকে জরিয়ে ধরে মুখের উপর হাত দিয়ে চেপে ধরলো।
আমি জানি তুমি এমন না।তোমার মনটা অনেক ভাল।
তাহলে তুমি আমাকে এই বাঁজে জায়গায় কেন নিয়ে এলে।
তাহলে শুনো, কেন তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছি।আমি যখন আমার পরিবর্তনের কথা তাদের কাছে বললাম যে সবকিছুর মূলে রয়েছো তুমি।কিন্তু তারা বিশ্বাস করতে পারেনি।তারা আমাকে বলল,আমার শরীর দেখিয়ে নাকি আমি তোমাকে পাগল করেছি।তাই ওদের ধারণা ভুল প্রমান করার জন্য তোমাকে নিয়ে এসেছি এখানে।প্রমান করতে এসেছি,আমি যার হাত ধরে নতুন জীবনের সূচনা করছি,তার চরিত্র খারাপ না।
তুমি কাজটা ভাল করোনি।আর ছাড়ো আমাকে,আমি চলে যাব এখন
(((কষ্ট করে গল্প লিখি আপনাদের মনে আনন্দ দেওয়ার জন্য। আপনারা আনন্দ ঠিকই উপভোগ করেন বিনিময়ে একটা লাইক কমেন্ট করে আমাকে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করেন না। খুব খারাপ লাগে। একা একা আনন্দ করার চেয়ে সবাই মিলে আনন্দ করার মজাই আলাদা। সতরাং সকলে লাইক কমেন্ট করে জানাবেন।)))
এখন গল্পে আসি,,,,,,
আমিও যাব,কিন্তু।
কিন্তু কি আবার?
এদের বলে নেই,যে তুমি কত ভাল একটা মনের মানুষ,এদের জানা দরকার।
আরে বাদ দাওতো,কিছুই বলতে হবে না।
বলতে হবে।
কি বলবা।
এই যে তুমি শুধু আমার একটা কথায় এদের কাজের ব্যবস্থা করতে চাইছিলা।বলবো যে,আমার একটা কথায় সব কিছু ছেড়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া শুরু করেছো।
বলবো যে,তোমার মত ভাল মানুষের জন্য আমি নতুন করে বাঁচতে শিখেছি।
বলবো যে,তুমি আছো বলেই আজ আমি একটা পতিতা থেকে নতুন জীবন শুরু করতে পেরেছি।আর এরা কিনা তোমার চরিত্র নিয়ে খারাপ কথা বলেছে,তাও আমাকে নিয়ে।এদের জানা দরকার,বর্তমানে রক্তের সম্পর্ক থাকলেও কেউ কাউকে সাহায্য করে না।আর সেখানে আপনি আমার জন্য কতকিছু করতেছেন।আপনার মত মানুষ লাক্ষে একটা পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ।আর এরা আপনার চরিত্র নিয়ে খারাপ কথা বলেছে।
হঠাৎ সবাই সান্তাকে আর আমার কাছে ক্ষমা চাইতে লাগলো।আমরা বুঝতে পারছি,আমাদের মস্ত বড় ভুল হয়ে গেছে।দয়া করে আমাদের মাফ করে দেন।
সান্তা:কারো চরিত্র নিয়ে কথা বলার আগে তার সম্পর্কে ভাল করে খুঁজ-খবর নিয়ে তারপর কথা বলতে হয়।নয়তো,,,
কথাটা শেষ করার আগেই কয়েকজন সান্তাকে জরিয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।
সান্তা বুঝতে পারতেছে না,ঠিক কি করবে এমন সময়।
তাই আমি সান্তাকে বললাম,ভুলতো মানুষি করে,আর ক্ষমাও কিন্তু মানুষি করে।আর যে ক্ষমা করতে জানে,সে হল মহৎ লোক।
সত্যি বলতে তাদের কান্না দেখে কখন যে নিজেই কেঁদে দিয়েছি,আমি বুঝতেই পারিনি।
তোমরা দেখেছো,তোমরা যার চরিত্র নিয়ে বাজে কথা বলেছো।একটা বার তার দিকে তাঁকিয়ে দেখো,তোমাদের জন্য তার দু'চোঁখে পানি।
আচ্ছা বাদ দাওতো,যার জন্য এসেছো,সেই কথাটা বলো আগে।তারপর সান্তা সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললো,তোমাদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে,তোমরা চাইলে কাজে জয়েন করতে পারো।যদি তোমাদের কাজ করার ইচ্ছা থাকে,তাহলে আগামিকাল সকালে (শ্রাবনের একটা কার্ড এগিয়ে দিয়ে) এই ঠিকানাতে চলে এসো তোমরা।আর এখন আমরা আসতেছি,সবাই ভাল থেকো।
তোমরা এখন যেতে পারবে না।আগে আমরা চাই,তোমরা আমাদের সাথে বসে কিছু মুখে দিয়ে তারপর এখান থেকে যাবে।
আচ্ছা,ঠিক আছে।
তারপর সবাই একত্রে বসে খাবার খেয়ে চলে এলাম।অনেকটা রাত হয়েছে, তাই সান্তাকে আমাদের বাসায় নিয়ে এলাম।
বাসায় আসতেই দেখতে পেলাম বাবা মা এখনও জেঁগে আছেন।
সান্তাকে দেখেতো মা বাবা অনেক খুশি।মা সান্তাকে একটা রুম দেখিয়ে দিয়ে বলল,মা তুমি ফ্রেশ হয়ে নিচে আসো,একত্রে বসে ডিনার করবো।
এদিকে আমিও ফ্রেশ হওয়ার জন্য রুমের দিকে যাব,এমন সময় বাবা ডাঁক দিল।
কি হয়েছে বাবা,কিছু বলবা।
হুম।
তাহলে বলো।
আমি আর তোর মা সিদ্বান্ত নিয়েছি এবার তোমার বিয়ে করাবো।
কি বলছো তোমরা।আমি এখন বিয়ে-টিয়ে করতে পারবো না।
আগে মেয়েটার নামটাতো শুন,পরে নাহয় না করলি বিয়ে।
হুম বলো কে এই রাজকন্যা।
তার আগে বল,তুই কি সান্তাকে ভাল-টালো বাসিস নিতো আবার।
ভালবাসলেই কি আর না বাসলেই কি।
তোমরা তো আর এমন একটা মেয়েকে মেনে নিবে না।
কেন মেনে নিব না।
কারন সে একটা পতিতা ছিল।
হুম বুঝলাম,কিন্তু আমি আর তোর মা ঠিক করেছি সান্তার সাথেই তোর বিয়েটা দিব।
কিন্তু বাবা তোমরা তো জানো মেয়েটার অতীত।পরেতো আবার ঐ মেয়েটাকে কষ্ট দিবে না।
(এমন না যে সান্তাকে আমি ভালবাসিনা,তা কিন্তু না।আমিও সান্তাকে অনেক ভালবাসি।আর সবচেয়ে বড় কথা হল,এমন একটা মেয়েকে জীবন সাথী করতে পারলে তো আমি ধন্য।কিন্তু বাবা মাকে বুঝতে দিলাম না যে আমিও সান্তাকে ভালবাসি)
দেখ বাবা অতীত দিয়ে কারো বিচার করা যায় না।সবচেয়ে বড় কথা হলো,তুই যে সান্তার জন্য নিজের এতটা পরিবর্তন করতে পারছো।তাই আমরা ভেবে দেখলাম সান্তা যদি তোমার সারা জীবনের দ্বায়িত্ব নিয়ে নেয়,তাহলে আমাদের পরিবারটা অনেক সুখি একটা পরিবার হবে।
কিন্তু বাবা আমর কথায় তো আর লাভ নেয়।আগে জানতে হবে সান্তা আমাকে ভালবাসে কি না।
সান্তার কথা বলতে বলতেই সান্তা হাজির।
যেই মা সান্তাকে বলতে যাবে,ঠিক তখনি সান্তা বলে উঠলো,আন্টি,,,,
দেখুন আন্টি এটা হয় না।.....
চলবে........