25-07-2020, 11:43 PM
"" দুই""
আমি বললাম, বুঝলাম না।
ও বলল, আমার জীবনটা পঁচিশ বছর আগেই থেমে গিয়েছে। আর টানতে পারছি না। বাঁচার সাধ নেই এতটুকু। একমাত্র তােমাদের উপস্থিতি আর সঙ্গের জন্য ব্যাকুল হই।
আমার ভেতরটা হু-হু করে উঠল। চোখের সামনে ভেসে উঠল অম্বরের মত সেদিন বিদায় নেবার আগে আমাদের কথা ফুরিয়ে গেল।
দশদিন নার্সিংহােমে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বেচে গেল অম্বর। ভলকে ভলকে লিভাত পচা রক্তবমি করেও বেঁচে গেল ও। নার্সিংহােমে গিয়ে তাকাতে পারিনি ওর মৎস নির্বাসিত একটি মানুষের ক্ষীণ দুটি চোখ হাতছানি দিয়ে মৃত্যুকে ডাকছে যেন। ডাক্তার অম্বরকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে—চিরতরে মদ বন্ধ না করলে তিনমাসের বেশি বাঁচবে না। কিন্তু অম্বর উল্টো পথ ধরে লাগাতার মদ্যপান করে একমাসের মধ্যে নিজের চিতা সাজাবার ব্যবস্থা করে দিল।
আমরা ওর বন্ধু এবং পরিচিতরা কেওড়াতলায় যাবার আগে মিলিত হলাম এত বাড়িতে। অম্বরের মা ওর মাথার কাছে বসে আছড়াচ্ছেন আর বুক ভাসাচ্ছেন চোখ জলে। বাড়ির আর সকলকে দেখে মনে হল, এরা এ-বাড়ির লােক নয়। পাড়ায় কেউ অসুস্থ গেলে যেমন দেখতে যায় অনেকে—এদের দেখেও ঠিক সেরকম মনে হল। সবচেয়ে আশ্চর্য হলাম অম্বরের বউ আর মেয়েকে দেখে। চোখ একেবারে খটখটে শুকনাে। মদ হেসে হেসে সকলের সঙ্গে কথা বলছে। ওর বৌদি সজল চোখে শাশুড়িকে সামলাবার চেষ্টা করছেন। শ্মশান থেকে ফেরার দুদিন পরে ডাকযােগে খামবন্ধ একটা চিঠি আসে অফিসের ঠিকানায়। খামের বাঁদিকে পরিষ্কার হস্তাক্ষরে লেখা : অম্বর সান্যাল, শান্তি পারাবার, পরলােক।
চিঠিটা পেয়ে চোখ ফেটে জল আসছিল। ঝাপসা চোখের সামনে খুলে ধরলাম অম্বরের সুদীর্ঘ পত্র। অম্বর লিখেছে :
আমি বললাম, বুঝলাম না।
ও বলল, আমার জীবনটা পঁচিশ বছর আগেই থেমে গিয়েছে। আর টানতে পারছি না। বাঁচার সাধ নেই এতটুকু। একমাত্র তােমাদের উপস্থিতি আর সঙ্গের জন্য ব্যাকুল হই।
আমার ভেতরটা হু-হু করে উঠল। চোখের সামনে ভেসে উঠল অম্বরের মত সেদিন বিদায় নেবার আগে আমাদের কথা ফুরিয়ে গেল।
দশদিন নার্সিংহােমে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বেচে গেল অম্বর। ভলকে ভলকে লিভাত পচা রক্তবমি করেও বেঁচে গেল ও। নার্সিংহােমে গিয়ে তাকাতে পারিনি ওর মৎস নির্বাসিত একটি মানুষের ক্ষীণ দুটি চোখ হাতছানি দিয়ে মৃত্যুকে ডাকছে যেন। ডাক্তার অম্বরকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে—চিরতরে মদ বন্ধ না করলে তিনমাসের বেশি বাঁচবে না। কিন্তু অম্বর উল্টো পথ ধরে লাগাতার মদ্যপান করে একমাসের মধ্যে নিজের চিতা সাজাবার ব্যবস্থা করে দিল।
আমরা ওর বন্ধু এবং পরিচিতরা কেওড়াতলায় যাবার আগে মিলিত হলাম এত বাড়িতে। অম্বরের মা ওর মাথার কাছে বসে আছড়াচ্ছেন আর বুক ভাসাচ্ছেন চোখ জলে। বাড়ির আর সকলকে দেখে মনে হল, এরা এ-বাড়ির লােক নয়। পাড়ায় কেউ অসুস্থ গেলে যেমন দেখতে যায় অনেকে—এদের দেখেও ঠিক সেরকম মনে হল। সবচেয়ে আশ্চর্য হলাম অম্বরের বউ আর মেয়েকে দেখে। চোখ একেবারে খটখটে শুকনাে। মদ হেসে হেসে সকলের সঙ্গে কথা বলছে। ওর বৌদি সজল চোখে শাশুড়িকে সামলাবার চেষ্টা করছেন। শ্মশান থেকে ফেরার দুদিন পরে ডাকযােগে খামবন্ধ একটা চিঠি আসে অফিসের ঠিকানায়। খামের বাঁদিকে পরিষ্কার হস্তাক্ষরে লেখা : অম্বর সান্যাল, শান্তি পারাবার, পরলােক।
চিঠিটা পেয়ে চোখ ফেটে জল আসছিল। ঝাপসা চোখের সামনে খুলে ধরলাম অম্বরের সুদীর্ঘ পত্র। অম্বর লিখেছে :
""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
