25-07-2020, 09:50 PM
"" ছয়""
সেন্ট্রিরা ভালভাবেই তাকে বলে যে সার মিটিঙে ব্যস্ত আছেন,
আপনি প্লিস একটু অপেক্ষা করুন কিন্তু নিশিকান্ত এই সামান্য কথাতেই তার মেজাজ হারিয়ে ফেলে আর চিৎকার করেই বলে
”আমি এখনই সহায় সাহেবের সঙ্গে দেখা করবো, পারলে আটকে দেখাও”
বলেই ওই সেন্ট্রিদের প্রায় ধাক্কা দিয়েই সে সহায় সাহেবের ঘরে ঢুকে যায়।
সহায় সাহেব বাইরের চিৎকার চেঁচামিচির আওয়াজ ভালো ভাবেই পাচ্ছিলেন এইবার চোখে বিরক্তি নিয়ে তিনি দেখেন যে নিশিকান্ত তিন চারদিনের না কামানো দাড়ি নিয়ে,
ঘরের নোংরা পাজামা পাঞ্জাবি পরে হাতে ফাইলের স্তূপ নিয়ে দাড়িয়ে আছে, চোখের দৃষ্টি উত্তেজনায় একদম পাগলের মত হয়ে গেছে।
সহায় সাহেব যতই নিশিকান্তকে ভালবাসুক তবে তারও একটা সম্মান ছিল এই অফিসে,
তাই তিনি এইবার একটু রেগেই নিশিকান্তকে বলে
” নিশিকান্ত এটা কি হচ্ছে? তুমি কি দেখছ না যে আমি একটা জরুরী মিটিঙে কতটা ব্যাস্ত আছি?”
নিশিকান্ত উত্তেজনার চোটে খেয়ালই করেনি যে সহায় সাহেব কতটা বিরক্ত হয়ে তাকে ”নিশি” না বলে নিশিকান্ত বলে সম্বোধন করলো,
নিশিকান্ত তড়বড় তড়বড় করে বলে
”সার আমি কেসটায় একটা ব্রেক থ্রু মনে হয় পেয়ে গেছি, আপনি প্লিস একটু সময় দেন তাথলে আমি… ”
বলতে বলতেই সে সহায় সাহেবের হাতের ইশারায় থেমে যায়।
সহায় সাহেব এইবার তার ভরাট গলায় বলে
” সরি নিশিকান্ত আমি আর কেসটা পুরোপুরি তোমার কাছে রাখতে পারিনি,
এটা জানাতে আমি তোমাকে গত তিন দিনে অন্তত বার কুড়ি ফোনও করেছি তবে তুমি কোনও ফোনই রিসিভ করনি,
তাই বাধ্য হয়েই আমি তোমাকে না জানিয়ে কেসটা কলকাতার আই. বি থেকে আসা এক অফিসারকে দিয়ে দিয়েছি,
কারন মাস পাঁচেক সময় পেয়েও তুমি আমাকে কোন ফ্রুটফুল রেজাল্ট দিয়ে উঠতে পারোনি,
তুমি এইবার ওই অফিসারকে সাহায্য করবে, নাউ লেট মি ইন্ট্রডিউস ইউ তো মিস শালিনী শর্মা, আমাদের নতুন ইনভেস্টিগেটিং অফিসার”
নিশিকান্ত তার আঘাত তখনো ভালো করে সামলাতে পারেনি তারই মধ্য সে চোখ তুলে দেখলো সহায় সাহেবের পাশেই একটি ফর্সা
,ছোট চুলের মহিলা বসে রয়েছেন, তবে তাকে চট করে কেউই মহিলা হয়তো ভাবতে পারবেনা কারন তার পোশাক আশাক থেকে শুরু করে হাবভাব সবই পুরুষ মানুষের মত,
তবে নিশিকান্ত একটা জিনিষ লক্ষ্য করলো যে সহায় সাহেব যখন তাকে শালিনী শর্মার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলো ,
তখন শালিনী শর্মা যেন তাকে দেখেও না দেখা করলো, একটা উপেক্ষার দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়েই মুখ ঘুরিয়ে নিল।
এই হাবভাব দেখে নিশিকান্ত কোনও কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ সহায় সাহেব কে একটা স্যালুট দিয়ে থমথমে মুখে বেরিয়ে গেল পেছনে অনেক দর্শকের অবাক চোখ ছেড়ে।
সেন্ট্রিরা ভালভাবেই তাকে বলে যে সার মিটিঙে ব্যস্ত আছেন,
আপনি প্লিস একটু অপেক্ষা করুন কিন্তু নিশিকান্ত এই সামান্য কথাতেই তার মেজাজ হারিয়ে ফেলে আর চিৎকার করেই বলে
”আমি এখনই সহায় সাহেবের সঙ্গে দেখা করবো, পারলে আটকে দেখাও”
বলেই ওই সেন্ট্রিদের প্রায় ধাক্কা দিয়েই সে সহায় সাহেবের ঘরে ঢুকে যায়।
সহায় সাহেব বাইরের চিৎকার চেঁচামিচির আওয়াজ ভালো ভাবেই পাচ্ছিলেন এইবার চোখে বিরক্তি নিয়ে তিনি দেখেন যে নিশিকান্ত তিন চারদিনের না কামানো দাড়ি নিয়ে,
ঘরের নোংরা পাজামা পাঞ্জাবি পরে হাতে ফাইলের স্তূপ নিয়ে দাড়িয়ে আছে, চোখের দৃষ্টি উত্তেজনায় একদম পাগলের মত হয়ে গেছে।
সহায় সাহেব যতই নিশিকান্তকে ভালবাসুক তবে তারও একটা সম্মান ছিল এই অফিসে,
তাই তিনি এইবার একটু রেগেই নিশিকান্তকে বলে
” নিশিকান্ত এটা কি হচ্ছে? তুমি কি দেখছ না যে আমি একটা জরুরী মিটিঙে কতটা ব্যাস্ত আছি?”
নিশিকান্ত উত্তেজনার চোটে খেয়ালই করেনি যে সহায় সাহেব কতটা বিরক্ত হয়ে তাকে ”নিশি” না বলে নিশিকান্ত বলে সম্বোধন করলো,
নিশিকান্ত তড়বড় তড়বড় করে বলে
”সার আমি কেসটায় একটা ব্রেক থ্রু মনে হয় পেয়ে গেছি, আপনি প্লিস একটু সময় দেন তাথলে আমি… ”
বলতে বলতেই সে সহায় সাহেবের হাতের ইশারায় থেমে যায়।
সহায় সাহেব এইবার তার ভরাট গলায় বলে
” সরি নিশিকান্ত আমি আর কেসটা পুরোপুরি তোমার কাছে রাখতে পারিনি,
এটা জানাতে আমি তোমাকে গত তিন দিনে অন্তত বার কুড়ি ফোনও করেছি তবে তুমি কোনও ফোনই রিসিভ করনি,
তাই বাধ্য হয়েই আমি তোমাকে না জানিয়ে কেসটা কলকাতার আই. বি থেকে আসা এক অফিসারকে দিয়ে দিয়েছি,
কারন মাস পাঁচেক সময় পেয়েও তুমি আমাকে কোন ফ্রুটফুল রেজাল্ট দিয়ে উঠতে পারোনি,
তুমি এইবার ওই অফিসারকে সাহায্য করবে, নাউ লেট মি ইন্ট্রডিউস ইউ তো মিস শালিনী শর্মা, আমাদের নতুন ইনভেস্টিগেটিং অফিসার”
নিশিকান্ত তার আঘাত তখনো ভালো করে সামলাতে পারেনি তারই মধ্য সে চোখ তুলে দেখলো সহায় সাহেবের পাশেই একটি ফর্সা
,ছোট চুলের মহিলা বসে রয়েছেন, তবে তাকে চট করে কেউই মহিলা হয়তো ভাবতে পারবেনা কারন তার পোশাক আশাক থেকে শুরু করে হাবভাব সবই পুরুষ মানুষের মত,
তবে নিশিকান্ত একটা জিনিষ লক্ষ্য করলো যে সহায় সাহেব যখন তাকে শালিনী শর্মার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলো ,
তখন শালিনী শর্মা যেন তাকে দেখেও না দেখা করলো, একটা উপেক্ষার দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়েই মুখ ঘুরিয়ে নিল।
এই হাবভাব দেখে নিশিকান্ত কোনও কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ সহায় সাহেব কে একটা স্যালুট দিয়ে থমথমে মুখে বেরিয়ে গেল পেছনে অনেক দর্শকের অবাক চোখ ছেড়ে।
""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!