25-07-2020, 09:48 PM
"" পাঁচ""
পরপর তিন রাত নিশিকান্ত জেগেই ছিল, তার চোখে এক ফোঁটাও ঘুম ছিলও না।
এই তিন দিন সে থানাতেও যায়নি আর ঘর থেকেও বেরোয়নি, শুধু সিগারেট খেয়ে গেছে আর চারটে মানুষের ফাইল খুঁটিনাটি ভাবে পরে গেছে।
লালু যে নিশিকান্তের সঙ্গে প্রায় তার চাকরি জীবনের প্রথম থেকেই আছে সেও তার বাবুর এইরকম থমথমে রূপ আগে দেখেনি,
লালু বার দুয়েক চেষ্টা করেছিলো খাবার কথা বলতে কিন্তু নিশিকান্তের মুখ চোখ দেখে সে আর সাহস পায়নি।
নিশিকান্তের ঘরটা ধোয়ায় একদম ভর্তি ছিল তবুও নিশিকান্তের কোনও ভ্রুক্ষেপ ছিল না,
সে নিজের মনেই বসে বসে একটা অঙ্ক মেলাবার চেষ্টা করে যাচ্ছিলো।
তবে অঙ্কটা খুবই দুষ্ট ছিল সেটা ধরা দিতে দিতেও যেন ধরা দিচ্ছিলো না,
নিশিকান্ত এইবার আস্তে আস্তে বিরক্ত হয়ে উঠছিলো তবুও কোনও ভাবেই সে অঙ্কটাকে মেলাতে পারছিলো না,
নিশিকান্ত অতীত অভিজ্ঞতায় জানতো যে বেশী জোরজার করলে হয়তো অঙ্কটা কোনভাবেই মিলবে না।
তাই বাধ্য হয়েই নিশিকান্ত ঘর থেকে বের হয় যাতে তার মাথায় একটু তাজা হাওয়া লাগে আর বুদ্ধিগুলো ভালো করে খেলতে পারে।
লালু নিশিকান্ত কে বারান্দায় দাঁড়াতে দেখে তাড়াতাড়ি এগিয়ে আসে কিছু দরকারে লাগতে পারে ভেবে,
কিন্তু নিশিকান্ত লালুকে হাত তুলে নিরস্ত করে নিজের মনেই বারান্দায় দাড়িয়ে নানা কথা ভেবে যাচ্ছিলো,
আর উদাস চোখে দেখে যে একটা কুকুর কে কীভাবে দুটো কাক মিলে বোকা বানাচ্ছিলো,
কুকুরটার সামনে একটা রুটি পড়েছিল আর কাক দুটোর খিদে পেয়েছিলো তবে কুকুরটার সামনে যাওয়া যাচ্ছিলো না গেলেই দাঁত খিঁচিয়ে তেড়ে আসছিলো,
নিশিকান্ত মজার দৃষ্টিতেই দৃশ্যটা দেখছিলো, তখনই সে দেখে কাকগুলো একটু যেন অন্যভাবে তাদের প্ল্যান সাজালো,
একটা কাক এইবার ক্রমাগত কুকুরটার মাথার উপরে উড়ে তাকে বিরক্ত করতে শুরু করলো আর আরেকটা কাক দুরে বসে দেখতে লাগলো,
সেই কুকুরটা রেগে গিয়ে প্রথম কাকটাকে ধরার জন্য তেড়ে নিয়ে গেলো সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় কাকটা এসে রুটির টুকরোটা মুখে নিয়ে উড়ে গেল।
কাক দুটোর এই বুদ্ধি দেখে নিশিকান্ত তিনদিন পরে খোলা মনে হো হো করে হেসে উঠে,
হাসতে হাসতেই আচমকা একটা কি যেন তার মাথার ভেতরে ঝিলিক দিয়ে উঠে আর সঙ্গে সঙ্গেই সে ঘরের ভিতরে গিয়ে ভৈরব হাজরার ফাইলটা নিয়ে একটা কিছু দেখেই নিজের ফোনটা তুলে সোজা সহায় সাহেব কে ফোন করে,
কিন্তু সহায় সাহেব কোন কাজে ব্যাস্ত থাকার জন্য তার ফোনটা রিসিভ করে না।
নিশিকান্ত কোনরকমে এইবার রেডি হয়ে হাতে ফাইলগুলো নিয়ে সোজা সহায় সাহেবের বাংলোর দিকে তার বুলেটটা হাওয়ার বেগে ছুটিয়ে দেয় তবে তার মন্দ ভাগ্য এখানেও তাকে তাড়া করে,
কারন সহায় সাহেব ততক্ষণে অফিসের দিকে চলে গেছেন।
নিশিকান্ত তাড়াতাড়ি অফিসে পৌঁছে দেখে যে সহায় সাহেবের ঘরের সামনে দুটো সেন্ট্রি পাহারায় ছিল,
তবে নিশিকান্তের তখন যেরকম অবস্থা ছিল তাতে তার কোন বাধায় সহ্য করার ক্ষমতা ছিলনা।
পরপর তিন রাত নিশিকান্ত জেগেই ছিল, তার চোখে এক ফোঁটাও ঘুম ছিলও না।
এই তিন দিন সে থানাতেও যায়নি আর ঘর থেকেও বেরোয়নি, শুধু সিগারেট খেয়ে গেছে আর চারটে মানুষের ফাইল খুঁটিনাটি ভাবে পরে গেছে।
লালু যে নিশিকান্তের সঙ্গে প্রায় তার চাকরি জীবনের প্রথম থেকেই আছে সেও তার বাবুর এইরকম থমথমে রূপ আগে দেখেনি,
লালু বার দুয়েক চেষ্টা করেছিলো খাবার কথা বলতে কিন্তু নিশিকান্তের মুখ চোখ দেখে সে আর সাহস পায়নি।
নিশিকান্তের ঘরটা ধোয়ায় একদম ভর্তি ছিল তবুও নিশিকান্তের কোনও ভ্রুক্ষেপ ছিল না,
সে নিজের মনেই বসে বসে একটা অঙ্ক মেলাবার চেষ্টা করে যাচ্ছিলো।
তবে অঙ্কটা খুবই দুষ্ট ছিল সেটা ধরা দিতে দিতেও যেন ধরা দিচ্ছিলো না,
নিশিকান্ত এইবার আস্তে আস্তে বিরক্ত হয়ে উঠছিলো তবুও কোনও ভাবেই সে অঙ্কটাকে মেলাতে পারছিলো না,
নিশিকান্ত অতীত অভিজ্ঞতায় জানতো যে বেশী জোরজার করলে হয়তো অঙ্কটা কোনভাবেই মিলবে না।
তাই বাধ্য হয়েই নিশিকান্ত ঘর থেকে বের হয় যাতে তার মাথায় একটু তাজা হাওয়া লাগে আর বুদ্ধিগুলো ভালো করে খেলতে পারে।
লালু নিশিকান্ত কে বারান্দায় দাঁড়াতে দেখে তাড়াতাড়ি এগিয়ে আসে কিছু দরকারে লাগতে পারে ভেবে,
কিন্তু নিশিকান্ত লালুকে হাত তুলে নিরস্ত করে নিজের মনেই বারান্দায় দাড়িয়ে নানা কথা ভেবে যাচ্ছিলো,
আর উদাস চোখে দেখে যে একটা কুকুর কে কীভাবে দুটো কাক মিলে বোকা বানাচ্ছিলো,
কুকুরটার সামনে একটা রুটি পড়েছিল আর কাক দুটোর খিদে পেয়েছিলো তবে কুকুরটার সামনে যাওয়া যাচ্ছিলো না গেলেই দাঁত খিঁচিয়ে তেড়ে আসছিলো,
নিশিকান্ত মজার দৃষ্টিতেই দৃশ্যটা দেখছিলো, তখনই সে দেখে কাকগুলো একটু যেন অন্যভাবে তাদের প্ল্যান সাজালো,
একটা কাক এইবার ক্রমাগত কুকুরটার মাথার উপরে উড়ে তাকে বিরক্ত করতে শুরু করলো আর আরেকটা কাক দুরে বসে দেখতে লাগলো,
সেই কুকুরটা রেগে গিয়ে প্রথম কাকটাকে ধরার জন্য তেড়ে নিয়ে গেলো সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় কাকটা এসে রুটির টুকরোটা মুখে নিয়ে উড়ে গেল।
কাক দুটোর এই বুদ্ধি দেখে নিশিকান্ত তিনদিন পরে খোলা মনে হো হো করে হেসে উঠে,
হাসতে হাসতেই আচমকা একটা কি যেন তার মাথার ভেতরে ঝিলিক দিয়ে উঠে আর সঙ্গে সঙ্গেই সে ঘরের ভিতরে গিয়ে ভৈরব হাজরার ফাইলটা নিয়ে একটা কিছু দেখেই নিজের ফোনটা তুলে সোজা সহায় সাহেব কে ফোন করে,
কিন্তু সহায় সাহেব কোন কাজে ব্যাস্ত থাকার জন্য তার ফোনটা রিসিভ করে না।
নিশিকান্ত কোনরকমে এইবার রেডি হয়ে হাতে ফাইলগুলো নিয়ে সোজা সহায় সাহেবের বাংলোর দিকে তার বুলেটটা হাওয়ার বেগে ছুটিয়ে দেয় তবে তার মন্দ ভাগ্য এখানেও তাকে তাড়া করে,
কারন সহায় সাহেব ততক্ষণে অফিসের দিকে চলে গেছেন।
নিশিকান্ত তাড়াতাড়ি অফিসে পৌঁছে দেখে যে সহায় সাহেবের ঘরের সামনে দুটো সেন্ট্রি পাহারায় ছিল,
তবে নিশিকান্তের তখন যেরকম অবস্থা ছিল তাতে তার কোন বাধায় সহ্য করার ক্ষমতা ছিলনা।
""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!