25-07-2020, 09:46 PM
"" চার""
নিশিকান্ত এক সপ্তাহ ধরে অর্ণব, ঋতুপর্ণা আর ভৈরব সবার পাস্ট, প্রেসেন্ট ঘেটেও তেমন কিছু লিঙ্ক বার করতে পারলো না,
শুধু ওরা তিনজনেই বিজ্ঞান নিয়ে পরে বা পড়ান, তবে একটা ছোট্ট লিঙ্কও পেয়েছিলো কিন্তু সেটা বিরাট কিছু নয়।
ক্লাস টেনে পড়ার সময় ঋতুপর্ণা আর অর্ণব দুজনেই মাস দুয়েক ভৈরব বাবুর কাছে কিছুদিন কেমিস্ট্রি পড়েছিলো ,আলাদা আলাদা ব্যাচে।
এটা ছাড়া আর নিশিকান্ত তাদের মধ্য দুর দুর থেকেও কোনও যোগাযোগ স্থাপন করতে ব্যর্থ হল।
নিশিকান্ত সকালে একদিন থানায় বসে আকাশ পাতাল ভাবছিলো তখনই তার চিন্তায় ব্যাঘাত ঘটে আর একজন ভদ্রমহিলা নিশিকান্তের সামনে এসে দাঁড়ায়।
নিশিকান্ত তার চিন্তার ব্যাঘাত ঘটায় চোখে একরাশ বিরক্তি নিয়েই তাকায় আর অবাক হয়ে দেখে একটি অনন্য সুন্দর ভদ্রমহিলা তার সামনে দাড়িয়ে, মুখে দুশ্চিন্তার স্পষ্ট ছাপ।
ভদ্রমহিলা খুব একটা ফর্সা নন, তবে তার স্লিম চেহারায় এই রঙটাই যেন মানায়,
মাথার চুল থেকে ওনার টানা টানা চোখ সবই যেন ভগবান অতি নিপুন হাতে বানিয়েছিলেন,
নিশিকান্ত নিজেই বুঝতে পারে যে সে একটু হ্যাংলার মতই তাকিয়ে ছিল ভদ্রমহিলার দিকে,
আসলে তারও খুব একটা দোষ নেই এই অদ্ভুত মৃত্যুর রহস্যর চক্করে পরে সে প্রায় মাসখানেক হল প্রায় সন্ন্যাসী হয়ে গেছিলো,
তার ওপর এমন সুন্দরী মহিলা!
তাই নিশিকান্ত একটু ভাবুক হয়ে উঠেছিলো,
ভদ্রমহিলা এতক্ষণে কথা বলেন আর তার স্নিগ্ধ রূপের মতই তার গলাও সুরেলা ছিল, সেই সুরেলা গলাতেই তিনি বলেন
”সার আমার ছেলের খুব বিপদ, প্লিস আপনি ওকে বাঁচান!”।
ভদ্রমহিলার কথাতে যেন নিশিকান্ত বাস্তবে ফিরে আসেন , নিশিকান্ত এবার ভদ্রমহিলার দিকে তাকিয়ে বলেন
” কি হয়েছে ঠিক করে বলুন”।
ভদ্রমহিলা তার অদ্ভুত সুরেলা গলাতেই বলে
”সার আমার নাম অপর্ণা ঘোষ, আমি এই শহরের একটা কলেজে বাইলোজি পড়াই,
বেশ কিছুদিন ধরে আমার কলেজে পড়া ছেলে খুব ভয়ে ভয়ে আছে,
কারা যেন ওকে মেরে ফেলবে এই ভয়েই আছে, আপনি প্লিস একটু চলুন, যেয়ে ওকে একটু বোঝাবেন ”
নিশিকান্ত এমনিতেই মহিলাদের একটু বেশীই দুর্বল,
তারপর আবার এই ভদ্রমহিলা মারকাটারি সুন্দরী, নিশিকান্ত পারলে তখনই উঠে ভদ্রমহিলার সঙ্গে যাওয়ার জন্য এক পায়ে খাড়া,
নিশিকান্ত তাড়াতাড়ি উঠতে গিয়েই দেখে থানার পুরনো কনস্টেবল সুধিরবাবু তার দিকে তাকিয়ে ইশারায় যেতে বারন করছে।
নিশিকান্ত একটু থমকে যায় আর ইশারাটা বুঝে এইবার প্রবল অনিচ্ছা স্বত্তেও ভদ্রমহিলাকে বলেন
” ঠিক আছে ম্যাদাম আপনি আপনার ঠিকানা লিখিয়ে দিয়ে যান, আমি একটু জরুরী কাজ সেরে আসছি”।
ভদ্রমহিলা নিজের নাম ঠিকানা লিখিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় করুন ভাবে নিশিকান্তের দিকে তাকিয়ে বলে যায়
” সার প্লিস একটু দেখবেন কিন্তু, আমি অপেক্ষা করে থাকবো ”
নিশিকান্ত বিমর্ষ মুখে দাড়িয়ে দেখে যে অপর্ণা ঘোষ তার সুন্দর নিতম্ব দুলিয়ে কীভাবে তার চোখের সামনে থেকে চলে গেল,
সে চলে যেতেই নিশিকান্ত প্রায় তেড়ে গিয়ে সুধিরবাবুর দিকে যেয়ে পরে খিঁচিয়ে জিগ্যেস করে
”কি হলো অমন ভাবে ইশারা করছিলেন কেন? আমি কি আপনার প্রেমিকা না আপনি গরমে পাগল হয়ে গেছেন?”
নিশিকান্তের এই মেজাজের সঙ্গে সুধিরবাবু আগে কক্ষনো সেই ভাবে পরিচিত ছিলেন না,
তাই নিশিকান্তের এই জেরার সামনে পরে উনি তোতলাতে শুরু করে দেন আর কোনও মতে সেই অবস্থাতেই বলে
”সার আমি কেন পাগল হব? ওই ভদ্রমহিলারই বরঞ্চ মাথায় একটু ছিট আছে, ওনার কোনও ছেলেই নেই তো তাকে আবার কে থ্রেট দেবে সার?”
বলে এবার সুধিরবাবু আরও সংযোজন করে বলে
”সার ওনাকে এই শহরের সবাই মোটামোটি চেনেন, উনি সত্যিকারের ভালো শিক্ষিকা তাই কেউ কিছু মনে করেনা,
ওনার বাড়ীতে উনি আর ওনার বৃদ্ধ মা ছাড়া কেউ নেই।
ওনার মাঝে মাঝে একটু ছিটটা বেড়ে যায় আর উনি সোজা থানায় চলে আসেন কমপ্লেন লেখাতে আর কি”।
নিশিকান্তর একটু খারাপই লাগলো ব্যাপারটা শুনে, ওনার তখনো ভালো করে বিশ্বাস হচ্ছিলো না যে ওত সুন্দরী আর শিক্ষিত ভদ্রমহিলা একটু ছিটিয়াল!।
পরেরদিন যে ঘটনাটা ঘটলো তাতে নিশিকান্তর মাথা থেকে সমস্ত অপ্রাসঙ্গিক চিন্তা ভাবনা বের করে দিল,
পরেরদিন সকালে নিশিকান্ত তার কোয়াটারে বসে সকালের পেপার পরছিলো একমনে।
নিশিকান্তের মোবাইলটা এমন সময় বেজে উঠে, নিশিকান্ত আনমনেই ফোনটা তুলে আর কল রিসিভ করতেই ওপার থেকে সহায় সাহেবের সেই ঝাড়,
সহায় সাহেবের চেচানির কারন হল আবার একটা লাশ পাওয়া গেছে, সেই একই রকম রহস্যময় ভাবে।
নিশিকান্ত ঘরের পাজামা পাঞ্জাবি পরেই সোজা নদীর ধারে সেই স্পটে চলে যায় নিজের বুলেটটাতে চেপে।
ততক্ষণে তার থানার বাকিরাও এসে পৌঁছে গেছে,
যে জুনিয়ারটাকে নিশিকান্ত সহায় সাহেবের ঝাড়টা ট্র্যান্সফার করে দিয়েছিলো সেটাও ভিজে বেড়ালের মত মুখে একপাশে দাড়িয়ে তাকে আড়চোখে দেখে যাচ্ছিলো,
নিশিকান্ত আর বেশী দেরি না করে সোজা পুলিসি বেষ্টনীর মধ্য পরে থাকা বডিটা দেখতে চলে গেল।
সামনে গিয়ে নিশিকান্ত আগে গ্লাভস পড়া হাতে বডিটাকে উল্টে পাল্টে নানা ভাবে দেখেও কিছু দেখতে পেল না,
না কোনও আঘাত না কোনও ধস্তাধস্তির চিহ্ন, দেহটি ছিল একটি বছর সাতাশ আটাশ বছর বয়েসের একটি সুন্দর, স্বাস্থ্যবান ছেলের।
তার ব্যাগের থেকে তার পরিচয় পত্র হিসাবে পাওয়া আইডেন্টিটি কার্ড থেকে জানা যায় যে ছেলেটির নাম নয়ন মুখার্জি,
তার আইডেন্টিটি কার্ডটা একটা কলেজের ল্যাবের ছিল।
নিশিকান্ত ফোন করে যানতে পারে যে ছেলেটি জেলার একটি কলেজে সদ্য জুলজির মাস্টার্স কমপ্লিট করে সেখানেই কাজ করছিলো,
আর আগের সবারই মত এও বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিল আর তারও বাইরে যাবার কথা ছিল ডাক্তার দেখাবার জন্য।
আগের তিনবারের মতই এবারও এই ছেলেটির পরনে মৃত্যুর সময় ধোপদুরুস্ত পোশাকই ছিল আর তার মানিব্যাগে টাকা, পয়সা ভর্তি ছিল।
নিশিকান্ত কিন্তু এইবার প্রথমেই ছেলেটির মানিব্যাগ বার করে তার কাঙ্ক্ষিত জিনিষটি খুজতে থাকে আর অল্পক্ষণ খুজতেই যেটার আশা করছিলো সেই জিনিসটা পেয়েও যায়,
একটি মিকি মাউসের স্টিকার!
নিশিকান্ত এক সপ্তাহ ধরে অর্ণব, ঋতুপর্ণা আর ভৈরব সবার পাস্ট, প্রেসেন্ট ঘেটেও তেমন কিছু লিঙ্ক বার করতে পারলো না,
শুধু ওরা তিনজনেই বিজ্ঞান নিয়ে পরে বা পড়ান, তবে একটা ছোট্ট লিঙ্কও পেয়েছিলো কিন্তু সেটা বিরাট কিছু নয়।
ক্লাস টেনে পড়ার সময় ঋতুপর্ণা আর অর্ণব দুজনেই মাস দুয়েক ভৈরব বাবুর কাছে কিছুদিন কেমিস্ট্রি পড়েছিলো ,আলাদা আলাদা ব্যাচে।
এটা ছাড়া আর নিশিকান্ত তাদের মধ্য দুর দুর থেকেও কোনও যোগাযোগ স্থাপন করতে ব্যর্থ হল।
নিশিকান্ত সকালে একদিন থানায় বসে আকাশ পাতাল ভাবছিলো তখনই তার চিন্তায় ব্যাঘাত ঘটে আর একজন ভদ্রমহিলা নিশিকান্তের সামনে এসে দাঁড়ায়।
নিশিকান্ত তার চিন্তার ব্যাঘাত ঘটায় চোখে একরাশ বিরক্তি নিয়েই তাকায় আর অবাক হয়ে দেখে একটি অনন্য সুন্দর ভদ্রমহিলা তার সামনে দাড়িয়ে, মুখে দুশ্চিন্তার স্পষ্ট ছাপ।
ভদ্রমহিলা খুব একটা ফর্সা নন, তবে তার স্লিম চেহারায় এই রঙটাই যেন মানায়,
মাথার চুল থেকে ওনার টানা টানা চোখ সবই যেন ভগবান অতি নিপুন হাতে বানিয়েছিলেন,
নিশিকান্ত নিজেই বুঝতে পারে যে সে একটু হ্যাংলার মতই তাকিয়ে ছিল ভদ্রমহিলার দিকে,
আসলে তারও খুব একটা দোষ নেই এই অদ্ভুত মৃত্যুর রহস্যর চক্করে পরে সে প্রায় মাসখানেক হল প্রায় সন্ন্যাসী হয়ে গেছিলো,
তার ওপর এমন সুন্দরী মহিলা!
তাই নিশিকান্ত একটু ভাবুক হয়ে উঠেছিলো,
ভদ্রমহিলা এতক্ষণে কথা বলেন আর তার স্নিগ্ধ রূপের মতই তার গলাও সুরেলা ছিল, সেই সুরেলা গলাতেই তিনি বলেন
”সার আমার ছেলের খুব বিপদ, প্লিস আপনি ওকে বাঁচান!”।
ভদ্রমহিলার কথাতে যেন নিশিকান্ত বাস্তবে ফিরে আসেন , নিশিকান্ত এবার ভদ্রমহিলার দিকে তাকিয়ে বলেন
” কি হয়েছে ঠিক করে বলুন”।
ভদ্রমহিলা তার অদ্ভুত সুরেলা গলাতেই বলে
”সার আমার নাম অপর্ণা ঘোষ, আমি এই শহরের একটা কলেজে বাইলোজি পড়াই,
বেশ কিছুদিন ধরে আমার কলেজে পড়া ছেলে খুব ভয়ে ভয়ে আছে,
কারা যেন ওকে মেরে ফেলবে এই ভয়েই আছে, আপনি প্লিস একটু চলুন, যেয়ে ওকে একটু বোঝাবেন ”
নিশিকান্ত এমনিতেই মহিলাদের একটু বেশীই দুর্বল,
তারপর আবার এই ভদ্রমহিলা মারকাটারি সুন্দরী, নিশিকান্ত পারলে তখনই উঠে ভদ্রমহিলার সঙ্গে যাওয়ার জন্য এক পায়ে খাড়া,
নিশিকান্ত তাড়াতাড়ি উঠতে গিয়েই দেখে থানার পুরনো কনস্টেবল সুধিরবাবু তার দিকে তাকিয়ে ইশারায় যেতে বারন করছে।
নিশিকান্ত একটু থমকে যায় আর ইশারাটা বুঝে এইবার প্রবল অনিচ্ছা স্বত্তেও ভদ্রমহিলাকে বলেন
” ঠিক আছে ম্যাদাম আপনি আপনার ঠিকানা লিখিয়ে দিয়ে যান, আমি একটু জরুরী কাজ সেরে আসছি”।
ভদ্রমহিলা নিজের নাম ঠিকানা লিখিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় করুন ভাবে নিশিকান্তের দিকে তাকিয়ে বলে যায়
” সার প্লিস একটু দেখবেন কিন্তু, আমি অপেক্ষা করে থাকবো ”
নিশিকান্ত বিমর্ষ মুখে দাড়িয়ে দেখে যে অপর্ণা ঘোষ তার সুন্দর নিতম্ব দুলিয়ে কীভাবে তার চোখের সামনে থেকে চলে গেল,
সে চলে যেতেই নিশিকান্ত প্রায় তেড়ে গিয়ে সুধিরবাবুর দিকে যেয়ে পরে খিঁচিয়ে জিগ্যেস করে
”কি হলো অমন ভাবে ইশারা করছিলেন কেন? আমি কি আপনার প্রেমিকা না আপনি গরমে পাগল হয়ে গেছেন?”
নিশিকান্তের এই মেজাজের সঙ্গে সুধিরবাবু আগে কক্ষনো সেই ভাবে পরিচিত ছিলেন না,
তাই নিশিকান্তের এই জেরার সামনে পরে উনি তোতলাতে শুরু করে দেন আর কোনও মতে সেই অবস্থাতেই বলে
”সার আমি কেন পাগল হব? ওই ভদ্রমহিলারই বরঞ্চ মাথায় একটু ছিট আছে, ওনার কোনও ছেলেই নেই তো তাকে আবার কে থ্রেট দেবে সার?”
বলে এবার সুধিরবাবু আরও সংযোজন করে বলে
”সার ওনাকে এই শহরের সবাই মোটামোটি চেনেন, উনি সত্যিকারের ভালো শিক্ষিকা তাই কেউ কিছু মনে করেনা,
ওনার বাড়ীতে উনি আর ওনার বৃদ্ধ মা ছাড়া কেউ নেই।
ওনার মাঝে মাঝে একটু ছিটটা বেড়ে যায় আর উনি সোজা থানায় চলে আসেন কমপ্লেন লেখাতে আর কি”।
নিশিকান্তর একটু খারাপই লাগলো ব্যাপারটা শুনে, ওনার তখনো ভালো করে বিশ্বাস হচ্ছিলো না যে ওত সুন্দরী আর শিক্ষিত ভদ্রমহিলা একটু ছিটিয়াল!।
পরেরদিন যে ঘটনাটা ঘটলো তাতে নিশিকান্তর মাথা থেকে সমস্ত অপ্রাসঙ্গিক চিন্তা ভাবনা বের করে দিল,
পরেরদিন সকালে নিশিকান্ত তার কোয়াটারে বসে সকালের পেপার পরছিলো একমনে।
নিশিকান্তের মোবাইলটা এমন সময় বেজে উঠে, নিশিকান্ত আনমনেই ফোনটা তুলে আর কল রিসিভ করতেই ওপার থেকে সহায় সাহেবের সেই ঝাড়,
সহায় সাহেবের চেচানির কারন হল আবার একটা লাশ পাওয়া গেছে, সেই একই রকম রহস্যময় ভাবে।
নিশিকান্ত ঘরের পাজামা পাঞ্জাবি পরেই সোজা নদীর ধারে সেই স্পটে চলে যায় নিজের বুলেটটাতে চেপে।
ততক্ষণে তার থানার বাকিরাও এসে পৌঁছে গেছে,
যে জুনিয়ারটাকে নিশিকান্ত সহায় সাহেবের ঝাড়টা ট্র্যান্সফার করে দিয়েছিলো সেটাও ভিজে বেড়ালের মত মুখে একপাশে দাড়িয়ে তাকে আড়চোখে দেখে যাচ্ছিলো,
নিশিকান্ত আর বেশী দেরি না করে সোজা পুলিসি বেষ্টনীর মধ্য পরে থাকা বডিটা দেখতে চলে গেল।
সামনে গিয়ে নিশিকান্ত আগে গ্লাভস পড়া হাতে বডিটাকে উল্টে পাল্টে নানা ভাবে দেখেও কিছু দেখতে পেল না,
না কোনও আঘাত না কোনও ধস্তাধস্তির চিহ্ন, দেহটি ছিল একটি বছর সাতাশ আটাশ বছর বয়েসের একটি সুন্দর, স্বাস্থ্যবান ছেলের।
তার ব্যাগের থেকে তার পরিচয় পত্র হিসাবে পাওয়া আইডেন্টিটি কার্ড থেকে জানা যায় যে ছেলেটির নাম নয়ন মুখার্জি,
তার আইডেন্টিটি কার্ডটা একটা কলেজের ল্যাবের ছিল।
নিশিকান্ত ফোন করে যানতে পারে যে ছেলেটি জেলার একটি কলেজে সদ্য জুলজির মাস্টার্স কমপ্লিট করে সেখানেই কাজ করছিলো,
আর আগের সবারই মত এও বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিল আর তারও বাইরে যাবার কথা ছিল ডাক্তার দেখাবার জন্য।
আগের তিনবারের মতই এবারও এই ছেলেটির পরনে মৃত্যুর সময় ধোপদুরুস্ত পোশাকই ছিল আর তার মানিব্যাগে টাকা, পয়সা ভর্তি ছিল।
নিশিকান্ত কিন্তু এইবার প্রথমেই ছেলেটির মানিব্যাগ বার করে তার কাঙ্ক্ষিত জিনিষটি খুজতে থাকে আর অল্পক্ষণ খুজতেই যেটার আশা করছিলো সেই জিনিসটা পেয়েও যায়,
একটি মিকি মাউসের স্টিকার!
""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!