25-07-2020, 07:47 PM
""দুই""
তবে নিশিকান্ত অর্ণবকে নিয়ে অবশ্য বেশীদিন ভাবার সময় পায়নি,কারন কিছুদিনের মধ্যই আরেকটা মৃত্যু, এটাও সেই অদ্ভুত ধরনেরই মৃত্যু।
শরীরে কোন আঘাত বা প্রতিরোধের চিহ্ন ও নেই, পরনে স্টাইলিশ জামা কাপড় আর ব্যাগে টাকাতে ভর্তি, তবে তফাৎ শুধু দুজায়গাতে ।
প্রথমত এই মৃত্যুতে মানুষটির শরীরের তাপ কমে যাওয়াতে আচমকা স্ট্রোক হয়ে মারা গেছেন,
আর দ্বিতীয়ত এইবার ছেলের জায়গায় একটি তরুণী মেয়ে, নাম ঋতুপর্ণা মিশ্র।
এই মেয়েটিও কলেজে পড়তো বোটানি নিয়ে, অন্য কলেজে।
তার বাড়ীর লোকও যথারীতি জানায় যে ঋতুপর্ণাও যথেষ্ট অসুস্থ ছিল আর তারও বাইরে চিকিৎসা করতে যাবার কথা ছিল,
তবে অর্ণবের বাড়ীর লোক আর ঋতুপর্ণার বাড়ীর লোক জোর দিয়েই বলে যে মৃত দুজন কোনভাবেই একে অপরকে চিনতো বা জানতো না।
নিশিকান্ত পোড় খাওয়া অফিসার, এই দুই মৃত্যুর মধ্য সে তাড়াতাড়ি একটা লিঙ্ক খুজতে যায়,
যুবতী সুন্দরী মেয়ে আর জোয়ান সুন্দর শিক্ষিত ছেলে, হয়তো তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল যেটা বাড়ীর লোকে জানতো না,
আর অর্ণব মারা যাওয়াতে হয়তো ঋতুপর্ণাও সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্য করে নিয়েছিলো।
কিন্তু এইবারও নিশিকান্ত ব্যর্থ হয়, ঋতুপর্ণা আর অর্ণবের সমস্ত বন্ধুদের জেরা করেও সে কোন তথ্য পায়না,
সবাই শুধু একটাই কথা বলে যে দুজনের কারুর মুখেই কোনদিনও একে ওপরের নামও শোনেনি,
তবে নিশিকান্ত কোনদিনও কাউকে বিশ্বাস করার মানুষ ছিলনা তাই সে মোবাইল কোম্পানির কাছে ওই দুজনের নম্বর নিয়ে দারস্থ হয়েও কোন সুবিধা করতে পারে নি,
কারন ওই দুজনের মধ্য যে কোনদিনও কথা হয়নি সেটা স্পষ্টই দেখা যাচ্ছিলো।
নিশিকান্তের মাথায় এমনিতেই চুলের আধিক্য কম তার ওপর পর পর এই রকম দুটো মৃত্যু,
নিশিকান্ত ভালো করেই বুঝতে পারছিলো যে তার মাথায় টাক পড়তে হয়তো খুব একটা আর দেরি নেই।
ঋতুপর্ণার বাড়ীর লোকও কোন খুনের মামলা করতে রাজী হয়না আর ঋতুপর্ণার পোস্টমর্টেম রিপোর্টে এটাই লেখা ছিল যে শরীর আগে থেকেই দুর্বল ছিল তার ওপর আচমকাই শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়াতে সেই ধাক্কা সামলাতে না পেরে তার ম্যাসিভ হার্ট এট্যাক হয়।
তবে অর্ণবের দেহটা যেমন পাওয়া গেছিলো একটা মড়া নদীর ধারে ,
ঋতুপর্ণার দেহটা অবশ্য পাওয়া গেছিলো সেই নদীরই একটা ধারে জঙ্গলের মধ্য।
তবে তা অর্ণবের দেহ যেখানে পাওয়া গেছিলো তার থেকে চার কিলোমিটার দুরে।
নিশিকান্ত কেমন যেন বুঝতে পারছিলো যে এই দুটো মৃত্যুর মধ্য কোথাও যেন একটা যোগসূত্র আছেই কিন্তু সে খুজে পাচ্ছিলো না,
এটা ভাবতে ভাবতেই নিশিকান্তের চোখ থেকে ঘুম একদমই যেন বিদায় নিয়ে নিয়েছিল।
মদ আর নারী দুইই নিশিকান্তের খুব প্রিয় কিন্তু সে সবসময় একটা নিয়মই মেনে চলতো, যতক্ষণ না সে নিজের হাতের কাজ শেষ করতো ততক্ষণ মদ সে ছুতও না,
আর মেয়ের শরীর তো দুরের কথা তার ছায়াও মারাতে পছন্দ করতো না,
কারন সে জানতো যে কাজকে অসম্মান করে যদি সে নিজেকে ফুর্তির বানে ভাসিয়ে দেয় তাহলে সেই অসম্পূর্ণ কাজটা হয়তো কোনদিনও শেষ হবেনা।
নিশিকান্ত তাই কোনও কেস সফল ভাবে শেষ হলে নিজেকে নিজেই পুরস্কার হিসাবে সাতদিনের একটা ফুর্তি, প্রচণ্ড ফুর্তি উপহার দিতো,
তবে কেস শেষ না হলে আজ অব্দি নিশিকান্ত কোনদিনও মদের একটা ফোঁটাও ছুঁয়ে দেখেনি,
তেমনি একটা সফল কেসের পুরস্কার যে দুটো স্কচের বোতল, সেটাও নিশিকান্তের ঠিক করাই থাকে।
তবে ঋতুপর্ণার মৃত্যুর পরে নিশিকান্তের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে উঠেছিলো,
কারন ইতিমধ্যিই তার ঘরের দেরাজে ”BLACK DOG” এর তিনটে বোতল জমে গেছিলো আর নিশিকান্ত ছটফট করছিলো সেগুলোকে নিঃশেষ করার জন্য,
কিন্তু সে নিজের কাছেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল তাই সে নিরুপায় অবস্থায় দেখে যাছিলো যে কীভাবে একটার পর একটা ছুটি পেরিয়ে যাচ্ছিলো আর বাজারের মাছওয়ালাটা তার দিকে কেমন করুন ভাবে চেয়ে থাকতো,
কারন নিশিকান্ত মদের ব্যাপারে খুবই শৌখিন ,
আর সে ভেটকি মাছ ছাড়া আর কিছু দিয়েই যে মদ খেতে পছন্দ করেনা সেটা মনে হয় এই গোটা শহরটা ইতিমধ্যিই জেনে গেছিলো।
যতদিন নিশিকান্ত মদ খেতে না পায় তার মেজাজ যেন একদম খাট্টা হয়ে থাকে,
তার রাজেশ খান্নার মত নরম মেজাজ তখন যেন অমিতাভের মত গনগনে হয়ে ওঠে।
নিশিকান্তের এই মেজাজের সঙ্গে তার সহকর্মীরা ভালো ভাবেই ওয়াকিবহাল,
তাই বেশ কিছুদিন ধরে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউই আর নিশিকান্তের সঙ্গে কথা বলছে না।
নিশিকান্ত অনেক ভেবে সবে অর্ণব আর ঋতুপর্ণার মৃত্যুর মধ্য কিছু মিল বার করেছিল,
আর সেই দুজনের মিল-অমিলগুলো ভালো করে খুঁটীয়ে দেখতে দেখতে একটা হাল্কা আভাস পাচ্ছিলেন এক রহস্যর, গভীর রহস্যর।
তবে নিশিকান্ত অর্ণবকে নিয়ে অবশ্য বেশীদিন ভাবার সময় পায়নি,কারন কিছুদিনের মধ্যই আরেকটা মৃত্যু, এটাও সেই অদ্ভুত ধরনেরই মৃত্যু।
শরীরে কোন আঘাত বা প্রতিরোধের চিহ্ন ও নেই, পরনে স্টাইলিশ জামা কাপড় আর ব্যাগে টাকাতে ভর্তি, তবে তফাৎ শুধু দুজায়গাতে ।
প্রথমত এই মৃত্যুতে মানুষটির শরীরের তাপ কমে যাওয়াতে আচমকা স্ট্রোক হয়ে মারা গেছেন,
আর দ্বিতীয়ত এইবার ছেলের জায়গায় একটি তরুণী মেয়ে, নাম ঋতুপর্ণা মিশ্র।
এই মেয়েটিও কলেজে পড়তো বোটানি নিয়ে, অন্য কলেজে।
তার বাড়ীর লোকও যথারীতি জানায় যে ঋতুপর্ণাও যথেষ্ট অসুস্থ ছিল আর তারও বাইরে চিকিৎসা করতে যাবার কথা ছিল,
তবে অর্ণবের বাড়ীর লোক আর ঋতুপর্ণার বাড়ীর লোক জোর দিয়েই বলে যে মৃত দুজন কোনভাবেই একে অপরকে চিনতো বা জানতো না।
নিশিকান্ত পোড় খাওয়া অফিসার, এই দুই মৃত্যুর মধ্য সে তাড়াতাড়ি একটা লিঙ্ক খুজতে যায়,
যুবতী সুন্দরী মেয়ে আর জোয়ান সুন্দর শিক্ষিত ছেলে, হয়তো তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল যেটা বাড়ীর লোকে জানতো না,
আর অর্ণব মারা যাওয়াতে হয়তো ঋতুপর্ণাও সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্য করে নিয়েছিলো।
কিন্তু এইবারও নিশিকান্ত ব্যর্থ হয়, ঋতুপর্ণা আর অর্ণবের সমস্ত বন্ধুদের জেরা করেও সে কোন তথ্য পায়না,
সবাই শুধু একটাই কথা বলে যে দুজনের কারুর মুখেই কোনদিনও একে ওপরের নামও শোনেনি,
তবে নিশিকান্ত কোনদিনও কাউকে বিশ্বাস করার মানুষ ছিলনা তাই সে মোবাইল কোম্পানির কাছে ওই দুজনের নম্বর নিয়ে দারস্থ হয়েও কোন সুবিধা করতে পারে নি,
কারন ওই দুজনের মধ্য যে কোনদিনও কথা হয়নি সেটা স্পষ্টই দেখা যাচ্ছিলো।
নিশিকান্তের মাথায় এমনিতেই চুলের আধিক্য কম তার ওপর পর পর এই রকম দুটো মৃত্যু,
নিশিকান্ত ভালো করেই বুঝতে পারছিলো যে তার মাথায় টাক পড়তে হয়তো খুব একটা আর দেরি নেই।
ঋতুপর্ণার বাড়ীর লোকও কোন খুনের মামলা করতে রাজী হয়না আর ঋতুপর্ণার পোস্টমর্টেম রিপোর্টে এটাই লেখা ছিল যে শরীর আগে থেকেই দুর্বল ছিল তার ওপর আচমকাই শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়াতে সেই ধাক্কা সামলাতে না পেরে তার ম্যাসিভ হার্ট এট্যাক হয়।
তবে অর্ণবের দেহটা যেমন পাওয়া গেছিলো একটা মড়া নদীর ধারে ,
ঋতুপর্ণার দেহটা অবশ্য পাওয়া গেছিলো সেই নদীরই একটা ধারে জঙ্গলের মধ্য।
তবে তা অর্ণবের দেহ যেখানে পাওয়া গেছিলো তার থেকে চার কিলোমিটার দুরে।
নিশিকান্ত কেমন যেন বুঝতে পারছিলো যে এই দুটো মৃত্যুর মধ্য কোথাও যেন একটা যোগসূত্র আছেই কিন্তু সে খুজে পাচ্ছিলো না,
এটা ভাবতে ভাবতেই নিশিকান্তের চোখ থেকে ঘুম একদমই যেন বিদায় নিয়ে নিয়েছিল।
মদ আর নারী দুইই নিশিকান্তের খুব প্রিয় কিন্তু সে সবসময় একটা নিয়মই মেনে চলতো, যতক্ষণ না সে নিজের হাতের কাজ শেষ করতো ততক্ষণ মদ সে ছুতও না,
আর মেয়ের শরীর তো দুরের কথা তার ছায়াও মারাতে পছন্দ করতো না,
কারন সে জানতো যে কাজকে অসম্মান করে যদি সে নিজেকে ফুর্তির বানে ভাসিয়ে দেয় তাহলে সেই অসম্পূর্ণ কাজটা হয়তো কোনদিনও শেষ হবেনা।
নিশিকান্ত তাই কোনও কেস সফল ভাবে শেষ হলে নিজেকে নিজেই পুরস্কার হিসাবে সাতদিনের একটা ফুর্তি, প্রচণ্ড ফুর্তি উপহার দিতো,
তবে কেস শেষ না হলে আজ অব্দি নিশিকান্ত কোনদিনও মদের একটা ফোঁটাও ছুঁয়ে দেখেনি,
তেমনি একটা সফল কেসের পুরস্কার যে দুটো স্কচের বোতল, সেটাও নিশিকান্তের ঠিক করাই থাকে।
তবে ঋতুপর্ণার মৃত্যুর পরে নিশিকান্তের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে উঠেছিলো,
কারন ইতিমধ্যিই তার ঘরের দেরাজে ”BLACK DOG” এর তিনটে বোতল জমে গেছিলো আর নিশিকান্ত ছটফট করছিলো সেগুলোকে নিঃশেষ করার জন্য,
কিন্তু সে নিজের কাছেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল তাই সে নিরুপায় অবস্থায় দেখে যাছিলো যে কীভাবে একটার পর একটা ছুটি পেরিয়ে যাচ্ছিলো আর বাজারের মাছওয়ালাটা তার দিকে কেমন করুন ভাবে চেয়ে থাকতো,
কারন নিশিকান্ত মদের ব্যাপারে খুবই শৌখিন ,
আর সে ভেটকি মাছ ছাড়া আর কিছু দিয়েই যে মদ খেতে পছন্দ করেনা সেটা মনে হয় এই গোটা শহরটা ইতিমধ্যিই জেনে গেছিলো।
যতদিন নিশিকান্ত মদ খেতে না পায় তার মেজাজ যেন একদম খাট্টা হয়ে থাকে,
তার রাজেশ খান্নার মত নরম মেজাজ তখন যেন অমিতাভের মত গনগনে হয়ে ওঠে।
নিশিকান্তের এই মেজাজের সঙ্গে তার সহকর্মীরা ভালো ভাবেই ওয়াকিবহাল,
তাই বেশ কিছুদিন ধরে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউই আর নিশিকান্তের সঙ্গে কথা বলছে না।
নিশিকান্ত অনেক ভেবে সবে অর্ণব আর ঋতুপর্ণার মৃত্যুর মধ্য কিছু মিল বার করেছিল,
আর সেই দুজনের মিল-অমিলগুলো ভালো করে খুঁটীয়ে দেখতে দেখতে একটা হাল্কা আভাস পাচ্ছিলেন এক রহস্যর, গভীর রহস্যর।
""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!