22-07-2020, 06:43 PM
পর্ব-১০
-----------------------------------
তিন জন একত্রে বসে নাস্তা করতেছি।এমন সময় দেখি বাবা বাসায় চলে আসলো।
স্যার আপনি?কেমন আছেন?
এইতো আছি।তুমি কেমন আছো?
ভাল আছি,তা স্যার আপনি এখানে হঠাৎ,,,।
সান্তা,এইটা আমার বাবা।
ও।
তা মা তোমার উপর আমি অন্যায় করে ফেলেছি অনেক।পরে শুনলাম,তারপর তোমাকে অনেক খুঁজেছি।তোমার বাসায়ও গিয়েছিলাম,কিন্তু তোমরা নাকি বাসাটাও ছেড়ে চলে গিয়েছো।
(আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম,তাহলে আমার ধারনা সঠিক,সেই দু'জনের মধ্যে আমার বাবাও ছিল,আমার ভাবতেও ঘৃনা হচ্ছে,আমার বাবা শেষ পর্যন্ত এমন একটা কাজ করতে পারলো।)
আরে না স্যার,তার জন্য আপনি নিজেকে কেন দায়ি করছেন।আপনি তো আর জানতেন না,সেদিন আসলে কি হয়েছিল।
(তার মানে কি বাবা সেদিন সেখানে ছিলেন না।তাহলে বাবা কি ভুল করেছেন।যার জন্য বাবা সান্তার কাছে লজ্জিত)
বাবা,আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল,তুই কি এই মেয়ের কথা বলেছিলি।
হুম বাবা।
তারমানে,আমার সেদিনের করা ভুলের জন্য আজ এই মেয়ের জীবনটা নষ্ট হয়েছে।তখন যদি আমি একটা বার সত্যিটা জানার চেষ্টা করতাম,তাহলে আজ এমন দিন দেখতে হত না আমাকে।কি পাপটাই না করেছি আমি।
স্যার,এমন ভাবে বলবেন না দয়া করে।এতে আপনারতো কোন দোষ নেয়।
সব আমার কপালে ছিল।তাই এমন হয়েছে।আমি আমার ভাগ্যটাকে মেনে নিয়েছি।
(আমি বাবা আর সান্তার কথা ঠিক বুজতে পারতেছিনা।বাবা কি ভুল করেছে)
এমন সময় মা বলে উঠল,আগে নাস্তা করে নাও,পরে কথা বলা যাবে।মেয়েটাকে কিছু খেতে দাওতো।
আচ্ছা।
তারপর নাস্তা শেষ করে,বাবা জানতে চাইলো,সেদিন কি শরিফ একাই ছিল,নাকি সাথে আরও কেউ ছিল।
হুম ছিল একজন সাথে।আপনার মনে আছে কি,সেদিন কোম্পানি বড় একটা অডার পেয়েছিল দেশের বাহিরের।
হুম মনে আছে।
সেদিন প্রডাক্টস দেখার জন্য যে লোকটা এসেছিল,সেই লোক আর শরিফ স্যার মিলে সেদিন আমাকে,,,,।
কিন্তু আমাকে একটা কথা বলতো,তোমার অফিসতো ৬:০০ টার সময় শেষ হয়।আর সেই লোকটা তো প্রায় রাত ৭:৩০ পর্যন্ত অফিসে এসেছিল।
হুম।কিন্তু সেদিন শরিফ স্যার আমাকে বলেছিল যে,তোমার কাজের দক্ষতার জন্যই এত বড় একটা অডার পেয়েছি,তাই আমি চাই,তুমিই তার সাথে কথা বলে অডারটা নিয়ে নাও।তারপর এইসব হয়েছিল।
ও,,,।
(এখন বুজতে পারলাম,আমার ভাবনা ভুল ছিল।আমি অযথা বাবাকে এতক্ষন ভুল বুঝলাম।
আচ্ছা বাদ দিন না স্যার এইসব কথা।অতিত মনে করতে চাইনা স্যার আমি।আর আমার জন্য নিজে কষ্ট পাবেন না স্যার।স্যার আমি অতীত ভুলে গিয়ে নতুন করে বাঁচতে চাই।তাই এসেছিলাম এখানে।শ্রাবন বলেছিল একটা চাকরির কথা।কিন্তু,,,,।
কিন্তু কি মা?
এখন আমাকে দেখার পর আমাকে চাকরি দিবেন কি দিবেন না,সেইটাতো আমি জানি না।
চাকরি দেবনা কেন বল মা।আগে শ্রাবনের কথায় তোমার চাকরি দিয়েছি তোমাকে না দেখেই।আর এখন তোমাকে দেখার পর আমারতো ইচ্ছা,তোমার হাতে সব দ্বায়িত্ব তুলে দেব।কি মা তুমি নেবে না,পুরো অফিসের দ্বায়িত্ব।
স্যার আমাকে এত বড় দ্বায়িত্ব দিবেন না দয়া করে।আমি যতটুকু পারি আপনাকে আর আপনার ছেলেকে সাহায্য করবো।
না মা,শ্রাবনকে সাহায্য করতে হবে না।পুরো দ্বায়িত্বটাই তোমার উপর থাকবে, আমি আর শ্রাবন তোমাকে সাহায্য করবো। শ্রাবন বাবা,আমি কি ভুল বলেছি কিছু।
আমি বাবাকে সুঁজা জরিয়ে ধরে কাঁদতে লাগলাম,আর বলতে লাগলাম বাবা তুমি এত এত ভাল কেন।তোমার মত বাবা পাওয়া আসলে ভাগ্যে ব্যাপার।
স্যার আমি কি এত বড় দ্বায়িত্ব নিতে পারবো।
আমাকে স্যার বলবে না এরপর থেকে।আমাকে আংকেল বলবা,ঠিক আছে।
ঠিক আছে স্যার।
আবারও স্যার বলতেছ তুমি?
সরি ভুল হয়েছে আংকেল।
এখন ঠিক আছে।আর তুমি ভয় পাচ্ছ কেন মা।বলেছিতো আমি আর শ্রাবণ তোমাকে সাহায্য করবো'তো।আর আমি কোন কথা শুনতে চাইনা,শনিবার থেকে তুমি অফিস জয়েন করবে শেষ কথা।
ঠিক আছে আংকেল।
তারপর সান্তাকে নিয়ে চলে এলাম বাহিরে।কিছু সময় আড্ডা দিয়ে সান্তাকে বাসায় পৌছিয়ে দিয়ে আমিও চলে এলাম বাসায়।
শনিবার দিন সকালে আমি আর বাবা সান্তাকে নিয়ে অফিসে চলে এলাম।সবাইকে সান্তার দ্বায়িত্বের কথা বলে দিল।সবাই যেন সান্তাকে সাহায্য করে।
এদিকে শরিফ আংকেলতো অবাক ।সান্তার দ্বায়িত্বে কাজ করতে হবে বলে।আংকেল বাবাকে কিছু একটা বলতে চাইছিল,কিন্তু বাবা ওনার কোন কথায় শুনতে চাইনা।
দু,দিন পর সান্তা হঠাৎ.......।
চলবে........
-----------------------------------
তিন জন একত্রে বসে নাস্তা করতেছি।এমন সময় দেখি বাবা বাসায় চলে আসলো।
স্যার আপনি?কেমন আছেন?
এইতো আছি।তুমি কেমন আছো?
ভাল আছি,তা স্যার আপনি এখানে হঠাৎ,,,।
সান্তা,এইটা আমার বাবা।
ও।
তা মা তোমার উপর আমি অন্যায় করে ফেলেছি অনেক।পরে শুনলাম,তারপর তোমাকে অনেক খুঁজেছি।তোমার বাসায়ও গিয়েছিলাম,কিন্তু তোমরা নাকি বাসাটাও ছেড়ে চলে গিয়েছো।
(আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম,তাহলে আমার ধারনা সঠিক,সেই দু'জনের মধ্যে আমার বাবাও ছিল,আমার ভাবতেও ঘৃনা হচ্ছে,আমার বাবা শেষ পর্যন্ত এমন একটা কাজ করতে পারলো।)
আরে না স্যার,তার জন্য আপনি নিজেকে কেন দায়ি করছেন।আপনি তো আর জানতেন না,সেদিন আসলে কি হয়েছিল।
(তার মানে কি বাবা সেদিন সেখানে ছিলেন না।তাহলে বাবা কি ভুল করেছেন।যার জন্য বাবা সান্তার কাছে লজ্জিত)
বাবা,আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল,তুই কি এই মেয়ের কথা বলেছিলি।
হুম বাবা।
তারমানে,আমার সেদিনের করা ভুলের জন্য আজ এই মেয়ের জীবনটা নষ্ট হয়েছে।তখন যদি আমি একটা বার সত্যিটা জানার চেষ্টা করতাম,তাহলে আজ এমন দিন দেখতে হত না আমাকে।কি পাপটাই না করেছি আমি।
স্যার,এমন ভাবে বলবেন না দয়া করে।এতে আপনারতো কোন দোষ নেয়।
সব আমার কপালে ছিল।তাই এমন হয়েছে।আমি আমার ভাগ্যটাকে মেনে নিয়েছি।
(আমি বাবা আর সান্তার কথা ঠিক বুজতে পারতেছিনা।বাবা কি ভুল করেছে)
এমন সময় মা বলে উঠল,আগে নাস্তা করে নাও,পরে কথা বলা যাবে।মেয়েটাকে কিছু খেতে দাওতো।
আচ্ছা।
তারপর নাস্তা শেষ করে,বাবা জানতে চাইলো,সেদিন কি শরিফ একাই ছিল,নাকি সাথে আরও কেউ ছিল।
হুম ছিল একজন সাথে।আপনার মনে আছে কি,সেদিন কোম্পানি বড় একটা অডার পেয়েছিল দেশের বাহিরের।
হুম মনে আছে।
সেদিন প্রডাক্টস দেখার জন্য যে লোকটা এসেছিল,সেই লোক আর শরিফ স্যার মিলে সেদিন আমাকে,,,,।
কিন্তু আমাকে একটা কথা বলতো,তোমার অফিসতো ৬:০০ টার সময় শেষ হয়।আর সেই লোকটা তো প্রায় রাত ৭:৩০ পর্যন্ত অফিসে এসেছিল।
হুম।কিন্তু সেদিন শরিফ স্যার আমাকে বলেছিল যে,তোমার কাজের দক্ষতার জন্যই এত বড় একটা অডার পেয়েছি,তাই আমি চাই,তুমিই তার সাথে কথা বলে অডারটা নিয়ে নাও।তারপর এইসব হয়েছিল।
ও,,,।
(এখন বুজতে পারলাম,আমার ভাবনা ভুল ছিল।আমি অযথা বাবাকে এতক্ষন ভুল বুঝলাম।
আচ্ছা বাদ দিন না স্যার এইসব কথা।অতিত মনে করতে চাইনা স্যার আমি।আর আমার জন্য নিজে কষ্ট পাবেন না স্যার।স্যার আমি অতীত ভুলে গিয়ে নতুন করে বাঁচতে চাই।তাই এসেছিলাম এখানে।শ্রাবন বলেছিল একটা চাকরির কথা।কিন্তু,,,,।
কিন্তু কি মা?
এখন আমাকে দেখার পর আমাকে চাকরি দিবেন কি দিবেন না,সেইটাতো আমি জানি না।
চাকরি দেবনা কেন বল মা।আগে শ্রাবনের কথায় তোমার চাকরি দিয়েছি তোমাকে না দেখেই।আর এখন তোমাকে দেখার পর আমারতো ইচ্ছা,তোমার হাতে সব দ্বায়িত্ব তুলে দেব।কি মা তুমি নেবে না,পুরো অফিসের দ্বায়িত্ব।
স্যার আমাকে এত বড় দ্বায়িত্ব দিবেন না দয়া করে।আমি যতটুকু পারি আপনাকে আর আপনার ছেলেকে সাহায্য করবো।
না মা,শ্রাবনকে সাহায্য করতে হবে না।পুরো দ্বায়িত্বটাই তোমার উপর থাকবে, আমি আর শ্রাবন তোমাকে সাহায্য করবো। শ্রাবন বাবা,আমি কি ভুল বলেছি কিছু।
আমি বাবাকে সুঁজা জরিয়ে ধরে কাঁদতে লাগলাম,আর বলতে লাগলাম বাবা তুমি এত এত ভাল কেন।তোমার মত বাবা পাওয়া আসলে ভাগ্যে ব্যাপার।
স্যার আমি কি এত বড় দ্বায়িত্ব নিতে পারবো।
আমাকে স্যার বলবে না এরপর থেকে।আমাকে আংকেল বলবা,ঠিক আছে।
ঠিক আছে স্যার।
আবারও স্যার বলতেছ তুমি?
সরি ভুল হয়েছে আংকেল।
এখন ঠিক আছে।আর তুমি ভয় পাচ্ছ কেন মা।বলেছিতো আমি আর শ্রাবণ তোমাকে সাহায্য করবো'তো।আর আমি কোন কথা শুনতে চাইনা,শনিবার থেকে তুমি অফিস জয়েন করবে শেষ কথা।
ঠিক আছে আংকেল।
তারপর সান্তাকে নিয়ে চলে এলাম বাহিরে।কিছু সময় আড্ডা দিয়ে সান্তাকে বাসায় পৌছিয়ে দিয়ে আমিও চলে এলাম বাসায়।
শনিবার দিন সকালে আমি আর বাবা সান্তাকে নিয়ে অফিসে চলে এলাম।সবাইকে সান্তার দ্বায়িত্বের কথা বলে দিল।সবাই যেন সান্তাকে সাহায্য করে।
এদিকে শরিফ আংকেলতো অবাক ।সান্তার দ্বায়িত্বে কাজ করতে হবে বলে।আংকেল বাবাকে কিছু একটা বলতে চাইছিল,কিন্তু বাবা ওনার কোন কথায় শুনতে চাইনা।
দু,দিন পর সান্তা হঠাৎ.......।
চলবে........