18-07-2020, 03:17 AM
(This post was last modified: 20-06-2024, 11:50 AM by শাওন রায়. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
Update 4
তা, পরের দিন সকালে। দেখি, বাবা বলছে, আমার ঘুমের ওষুধটা গেলো কই?
আমি এবার আমতা আমতা করতে লাগলাম। বাবা বলল
“তাহলে ওষুধ কি গায়েব হয়ে গেলো?”
আমি এবার আমার কাছে থাকা ওষুধটা নিয়ে এসে বললাম
“এই নাও...”
মা তখন বলল
“বাকিগুলো গেলো কই?”
আমি হেসে বললাম, জানি না... বলে চলে গেলাম।
যাবার পর, মা রাতে ঘরে এসে বলল,
“তুই ঘুমের ওষুধ খাস নাকি?”
“না মা... ঘুমের ওষুধ খাই না!”
“তাহলে, ওগুলো গেলো কই?”
মানুষ যেমন অপরাধীর দিকে যেমন ভাবে তাকায়, মা আমার দিকে যেন পুরোই তেমন ভাব করে তাকিয়ে আছে। বুঝলাম, বিশ্বাস করছে না। আমি বললাম
“মা, ব্যাপারটা এমনি অদ্ভুত যা বলে বুঝাতে পারব না।“
“মা, আমি বুঝব...”
“মা, দ্যাখো কিছুই বলতে চাইছি না। এখন... পরে বুঝবে...”
মা এবার চলে গেলো। বলল
“ব্যাপারটা যেন খারাপ না হয়...”
আমি হেসে বললাম
“খারাপ হওয়ার তো কিছুই নেই... দেখা যাক কি হয়!”
মা হেসে চলে যায়। আমায় বুকে টেনে নিয়ে বলে
“বাবা, তুই আমাদের সব। চিন্তা করিস না। সব ঠিক হয়ে যাবে...”
আমি মজা পেয়ে বললাম
“হবে হবে...” মনে মনে কি করে এর পরের বার মায়ের সাথে খেলা যায়, তা ভাবতে ভাবতে আমি ঘুমিয়ে পরলাম। স্বপ্নে মায়ের কথা মনে হল...
দেখা যাক, কি হয়!
তা, পরের দিন সকালে, আমি গিয়ে মা কে জিগ্যেস করলাম
“মা, তোমার সাথে একটু জরুরি কাজ আছে...”
“কি?”
“আমি চাইছি এই সেমিস্টারে আমি একটা রিসার্চ করবো। তুমি সাহায্য করবে?”
“হ্যাঁ বল...”
আমি মা কে বললাম
“মা, তুমি একটু আমার জন্য মডেলিং করবে?”
“মডেলিং?”
“হ্যাঁ, মডেলিং...”
বলে, মা হাসল। বললাম
“কিছু ছবি পাঠাতে হবে আমার এক স্যারকে। দেখাতে হবে যে আমি ফটোগ্রাফি পারি...”
“আচ্ছা... তা কি ভাবে করবি?”
“মা, আমার মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে করতে পারব...”
“আচ্ছা... তা আমার কি করতে হবে?”
“চল ছাঁদে... ছাঁদে গিয়ে একটা সুট করি...”
“ছাঁদে? ওখানে গেলে তো বিপদ...”
“কিসের বিপদ?”
“আহা, পাশে একটা তিনতলা ফ্ল্যাট বানাচ্ছে... ওরা কি বলবে?”
“আহা, আমি তো তোমার কয়েকটা ছবিই তুলবো...”
“ঠিক আছে...”
আমি তারপর, মা কে নিয়ে ছাঁদে গেলাম। গিয়ে বললাম
“মা, একটা সুন্দর দেখে শাড়ি পরে নিয়ো...”
মা, সুন্দর করে শাড়ি পড়ার কারণে, মা কে বেশ লাগছিল... তবে সব ঢেকে ঢুকেই রেখেছিল... তবে, গরমে গিয়ে একটু খারাপ অবস্থা হয়ে গেছিল... আর তখনই দেখলাম, আমাদের ছবি তলার সাথে সাথে ওদের একজন ছবি তুলে ফেলল... মা হেসে বলল
“শোন চল আমরা নিচে যাই... ভাল লাগছে না...”
আমরা নিচে নেমে যেতেই মা বেডরুমে শাড়ী খুলতে লাগলো। আমি বললাম
“কি হয়েছে মা? ছবি তুলতে দিলে না...”
মা, আঁচলটা সরিয়ে ফেলেছে। আমি সাথে সাথে বললাম
“মা, একটা চান্স দাও দেখি...”
“কিসের?”
“আহা, ছবি তোলার...”
মা শাড়ির আঁচল ঠিক করার আগেই বললাম
“মা, এভাবেই থাকো...”
“কিরে তুই কি পানু ছবির ডিরেক্টর হবি নাকি?”
“না মা... কিন্তু এই ছবিগুলোর মধ্যে একটা ভাব আছে... একটা গাম্ভীর্য আছে...”
মা আর কিছু বলতে পারে না... আমি এবার মায়ের পেছন দিক থেকে ছবি নিতে নিতে বললাম
“মা, একটু হামাগুড়ি দিয়ে বসতে পারবে? তাহলে ভাল হত!”
“হামাগুড়ি?”
“হ্যাঁ... হামাগুড়ি...”
“কেন?”
তখন বাবা এসে পড়ল... বাবা বলল,
“কি করছো তোমরা?”
“এই একটা কাজ করছিলাম আর কি...”
বাবা বলল
“ঠিক আছে...”
আমি আর কিছু করলাম না। চলে গেলাম...
চলবে...
OFFICIAL TELEGRAM PUBLIC GROUP:
T---DOT----ME----/maeradorerpacha
T---DOT----ME----/maeradorerpacha