Thread Rating:
  • 24 Vote(s) - 3.17 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
চোরাবালি (কালেক্টেড)
#22
পর্ব দুই। পাহাড়ি বলাকা (#3-#8)

বিশুদার ডাকে যখন ঘুম ভাংলো তখন বাজে সকাল দশ’টা। শীতকাল, চারপাশে সবুজ খেতের মাঝখান থেকে হাইওয়ে চলে যায় কোন সুদুর প্রান্তে। এই রাস্তার যেন আর শেষ নেই কোথাও। সময় যত পেরিয়ে যায়, নীলাঞ্জনার বুকের মাঝের ধুকপুকানিটা বেড়ে ওঠে, যে পথ নিয়েছে সেটা ঠিক’ত? বাড়ি ফিরে যাওয়ার রাস্তা এখন বন্ধ হয়ে যায়নি। সেই সাথে চোখের সামনে ভেসে ওঠে চকচকে কাগজের ওপরে বড় বড় সব মডেলদের ছবি। কি সুন্দর সাজ, অনেক টাকা নিশ্চয় ওদের কাছে, কি সুন্দর চুলের রঙ, কত মসৃণ ত্বক, নিশ্চয় অনেক বড় বাড়ি এদের, চারপাশে লোকজন সব সময়ে ঘুরঘুর করে।
 
রুদ্রকে ছোট এক ধাক্কা দিয়ে বলে, “বিশুদাকে বল না কোথাও থামাতে, একটু ফ্রেশ হব।”
রুদ্র, বিশুদাকে বলে, “বিশুদা, কোন ধাবায় একটু দাঁড় করিও ফ্রেস হব।”
সারা রাত একটানা গাড়ি চালিয়ে বিশুদার ও একটু ঘুম এসে গিয়েছিল। মাথা দুলিয়ে বলল, “হ্যাঁ এই একটু পরে, বহরমপুর পেরিয়ে যাওয়ার পর থামবো। আমিও বেশ টায়ার্ড হয়ে পড়েছি, একটু রেস্ট নেব।”
নীলাঞ্জনা, বিশুদাকে জিজ্ঞেস করে, “আচ্ছা আর কতক্ষন লাগবে কোলকাতা পৌঁছাতে?”
বিশুদা উত্তর দেয়, “তোদের ডানকুনি নামিয়ে দেব। ডানকুনি পৌঁছাতে এখন ঘন্টা দশেক লাগবে, সেখান থেকে তোরা ট্রেনে করে শিয়ালদা চলে যেতে পারবি।”
নীলাঞ্জনা চিন্তায় পরে যায়, এখন দশটা বাজে, ডানকুনি পৌঁছাতে পৌঁছাতে তাহলে রাত আট’টা বেজে যাবে। শীতের রাত, নতুন জায়গা, বেশ ভয় ভয় করে ওর। রুদ্রের কানে কানে জিজ্ঞেস করে, “আচ্ছা, যদি মানবের সাথে দেখা না হয় তাহলে কি করব? অন্য কারুর সাথে কি কোন যোগাযোগ করেছিস?”
একটু চিন্তায় পরে যায় রুদ্র, তেমন ভাবে আর কারুর সাথে যোগাযোগ করেনি, “না রে ঠিক তেমন ভাবে কারুর সাথে যোগাযোগ করা হয়নি।”
নীলাঞ্জনাও চিন্তা ব্যাক্ত করে উত্তর দেয়, “তুই সত্যি পাগল ছেলে। মানব কে চিনি না জানি না, শুধু শুধু কেন আমাদের সাহায্য করতে যাবে বল?”
চিন্তামগ্ন রুদ্র বলে, “হুম সত্যি রে, এইদিক ত ভাবিনি।”
নীলাঞ্জনা কিঞ্চিত রেগে যায় ওর কথা শুনে, “সব সময়ে একটা প্লান বি মাথায় রাখতে হয় বুঝলি। কোলকাতা জায়গা পুরো নতুন, মানুষ জন সবাই অচেনা কে কোন মতলবে বসে আছে কি করে জানবো বল।”
মাথা দুলায় রুদ্র, হুম সত্যি কথা। খানিক চিন্তা করে বলে, “আচ্ছা চল, যেখানে থামব সেখান থেকে একবার ঋষিকে ফোন করে দেখব, যদি ওর কোন চেনা জানা কেউ থাকে কোলকাতায়। আমার আত্মীয় যে নেই তা নয়, তবে পালিয়ে ত আর তাদের বাড়ি ওঠা যায় না।” বলেই দুইজনে হেসে ফেলে।

নীলাঞ্জনা মনে মনে অঙ্ক কষে নেয়, যদি মানবের সাথে দেখা না হয় তাহলে একবার জিনিয়াকে ফোন করবে। যদি জিনিয়াও জাল হয় তাহলে সব পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে, শেষ পর্যন্ত ফিরে যেতে হবে শিলিগুড়ি। ওর সাধের স্বপ্ন স্বপ্ন হিসাবে থেকে যাবে। আরো একটা পথ আছে, বাড়ি ফিরে যাওয়ার আগে একবার শেষ যুদ্ধ করা। যা টাকা এনেছে, কয়েকদিন হোটেলে কাটিয়ে একটা ছোট বাড়ি খোঁজা, তারপর যাদের সাথে এতদিন যোগাযোগ করেছিল তাদের মাধ্যমে কাজ খোঁজা। 
চিন্তামগ্ন নীলাঞ্জনাকে দেখে রুদ্র জিজ্ঞেস করে, “কি রে কোথায় চলে গেলি?”
চোয়াল চেপে উত্তর দেয় নীলাঞ্জনা, “তোর মতন বুদ্ধু সত্যি আর একটা এই পৃথিবীতে নেই।”
সুন্দরী খেপে গেছে দেখে, মান ভাঙ্গানোর জন্য জড়িয়ে ধরে বলে, “আরে আমি আছি ত, এত চিন্তা করছিস কেন?”
নীলাঞ্জনা কপট হেসে উত্তর দেয়, “হ্যাঁ হ্যাঁ, জানা আছে তোর মুরোদ কত। আচ্ছা বাবা দেখা যাবে।” 

বহরমপুর পেরিয়ে যাওয়ার কিছু পরে একটা ধাবায় ট্রাক দাঁড় করালো বিশুদা। সারা রাত গাড়ি চালিয়ে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। বিশুদা জানালো এইবার কয়েক ঘন্টা মদন ট্রাক চালাবে আর বিশুদা একটু পেছনে গিয়ে ঘুমিয়ে নেবে। এই শুনে, নীলাঞ্জনা রুদ্রের জামা টেনে ক্ষোভ প্রকাশ করল। ট্রাকে ওঠার সময়েই মদনের চোখের চাহনি রুদ্রের নজরে পড়েছিল। 

ওকে আস্বস্থ করে বলল, “আরে বাবা, এত ভয় পাচ্ছিস কেন রে। পেছনে বিশুদা থাকবে ত আর আমি ত সঙ্গেই আছি।”
নীলাঞ্জনা তাও বলে, “ও যেভাবে আমার দিকে দেখছিল তাতে কি করতে কি করবে কোন বিশ্বাস নেই। তুই বাবা প্যাকড খাবার আনিস, ওই আলু পরোটা আমি খাবো না।”
এই ভীতিটা অমলুক নয়, বিদেশ বিভূঁইয়ে অজানা অচেনা লোকেরা কখন কি করে বসে তার নেই ঠিক। সায় দিল রুদ্র, “ঠিক আছে। তুই ব্রাস করে ফ্রেস হয়ে নে আমি ততক্ষনে বিস্কুট, জল কিনে আনছি।”

ব্যাগের ভেতর থেকে একটা ছোট তোয়ালে আর ব্রাস টুথ পেস্ট বের করে বাথরুমের দিকে চলে গেল। যাওয়ার সময়ে পেছনে নজর দিয়ে দেখল যে মদন ওর দিকে জুলুজুলু চোখে তাকিয়ে। সত্যি, লোকটা কিছু করে বসবে না ত, একটু ভয় পেয়েছিল। বাথরুম থেকে বেড়িয়ে দেখতে পেল যে রুদ্র, বিশুদা আর মদন কিছু কথা বলছে, ওটা দেখেই নীলাঞ্জনার কেমন একটা খটকা লাগলো, কি ব্যাপার। 

রুদ্রকে ইশারায় কাছে ডেকে জিজ্ঞেস করল, “কি ব্যাপার রে?”
রুদ্র হেসে ফেলল, “তুই মদন কে চিন্তা করিস না, ও একটু পাগলাটে গোচের লোক। আমি বিশুদাকে সব কিছু বললাম, তখন বিশুদা ওর ব্যাপারে আমাকে জানাল। ছেলেটা অরুনাচলের ওইদিকে কোন এক ছোট গ্রামে থাকত, কাজ নেই খাওয়া নেই এই অবস্থায় বিশুদার সাথে একবার ওই জায়গায় দেখা হয়েছিল, সেই থেকে বিশুদার এক্কেবারে বিশ্বস্থ ছেলে। ও কোনদিন তোর মতন এত সুন্দরী কাছ থেকে দেখেনি, তাই ঐ ভাবে তোর দিকে দেখে, ও কিছু করবে না, বিশুদাকে একদম ভগবানের মতন মানে।”
নীলাঞ্জনা হেসে দিল, “আচ্ছা, তুই কিছু খেয়েছিস?” কিন্তু তাও মনের ভেতরে এক সংশয় থেকে যায়।
রুদ্র বলল, “হ্যাঁ, আমি আলু পারাঠা খেয়েছি আর এই তোর জন্য বিস্কিট আর কোল্ড ড্রিঙ্কস।”

খেয়ে দেয়ে আবার যাত্রা শুরু। মদনের হাতে ট্রাকের স্টিয়ারিং, বিশুদা ট্রাকের পেছনে ঘুমাতে চলে গেছে। একটানা গোঁ গোঁ আওয়াজ করে এক ভাবে ধেয়ে চলেছে গাড়ি এক নতুন আলেয়ার হাতছানির দিকে। পৃথিবীতে যা কিছু অজানা, অচেনা, অধরা তার দিকেই মানুষের মোহ সব থেকে বেশি, সেই দিকেই ধেয়ে যায় মানুষ, এটাই মানুষের অবচেতন প্রবৃত্তি। ঘন্টা তিনেক পরে আবার ওদের ট্রাক থামে এবং বিশুদা আবার ট্রাক চালাতে শুরু করে। অবশেষে যখন নীলাঞ্জনা আর রুদ্র, ডানকুনি পোউছাল, তখন বাজে রাত দশ’টা। বিশুদা ওদের স্টেসানের কাছেই নামিয়ে দিল, এতরাতে হাইওয়েতে নামিয়ে দিলে কি করে কোথায় যাবে। শীতকালের রাত, একটা গা ছমছমে ভাব, চারপাশে অন্ধকার। স্টেসানেও লোকজন খুব কম।

ভীত সন্ত্রস্থ নীলাঞ্জনা, রুদ্রের হাত শক্ত করে ধরে জিজ্ঞেস করে, “এবার কি করব? এতরাতে পোউছাব সেটা ত ভাবিনি রে।”
চিন্তায় পরে যায় রুদ্র, মোবাইল ফোনে চারজ নেই। নীলাঞ্জনাকে স্বান্তনা দিয়ে বলে, “দেখাই যাক না কি হয়।”
চোয়াল চেপে উত্তর দেয় নীলাঞ্জনা, “তোর কোন আক্কেল জ্ঞান বলতে কিছু নেই। কতবার বললাম বিশুদাকে বল গাড়িটা একটু তাড়াতাড়ি চালাতে, তাহলে হয়ত সাতটা আট টার মধ্যে পৌঁছাতে পারতাম।”
রুদ্র একটু রেগে যায়, “আরে বাবা এটা ট্রাক, এটা কোন বাস গাড়ি নয় যে হুহু করে চালাবে। আর সত্যি তুই একটা মেয়ে বটে, সেই থেকে মুখ হাড়ি করে শুধু আমাকেই বকাঝকা করে যাচ্ছিস।”
নীলাঞ্জনা বুঝতে পারল যে ওর বাক্য একটু কড়া হয়ে গেছে তাই রুদ্রকে ঠান্ডা করার জন্য মিষ্টি হেসে বলল, “আচ্ছা বাবা আচ্ছা, আমার ঘাট হয়েছে। তুই বল এখন কি করনীয়।”
রুদ্র খানিক ভেবে উত্তর দিল, “একবার মানব কে ফোন করে দেখি।”
মানব কে ফোন করতেই মানব বলল, “আরে তোদের জন্য আমি অনেকক্ষণ থেকেই অপেক্ষা করছিলাম। তোরা এখন কোথায়?”
রুদ্র উত্তর দিল, “ডানকুনি, এবার কি করব বল?”
মানব বলল, “ওই লাইনে এখন প্রচুর ট্রেন পেয়ে যাবি। তোরা ট্রেন ধরে শিয়ালদা চলে আয়, তারপর ওইখান থেকে আমি তোদের নিয়ে আসব।”
উত্তরটা শুনে একটু খটকা লাগলো নীলাঞ্জনার, রুদ্রকে জিজ্ঞেস করল, “মানব আমাদের চেনে না, জানে না, তাও এত খাতির কিসের? কিছু ত স্বার্থ থাকবে না হলে অচেনা একজন এইভাবে সাহায্য করবে না। আমি মানবের সাথে যাবো না, তুই ওকে জিজ্ঞেস কর কোন জায়গায় যেতে হবে আমরা পৌঁছে যাবো।”
এইদিকটা রুদ্র ভেবে দেখেনি, একটু চিন্তা করে মানবকে জিজ্ঞেস করে, “না না, তোমাকে অত কষ্ট করে আমাদের আনতে যেতে হবে না, তুমি বল আমাদের কোথায় যেতে হবে আমরা সেখানে চলে আসব।”

মানব হেসে বলল, “আরে এত ভাবছিস কেন। তোরা প্রথম বার কোলকাতা এসেছিস, কিছু চিনিস না জানিস না, তাই বললাম যে আমি তোদের নিতে আসব।”
সেই কথা শুনে নীলাঞ্জনা মাথা নাড়ায়, “না আমি ওর সাথে যাবো না, ওর কোন বদ মতলব আছে। তুই ফোন রাখ, আমি দেখছি কি করতে পারি।”
অগত্যা রুদ্র বোকার মতন মাথা দুলিয়ে ফোন রেখে দিল। নীলাঞ্জনা ব্যাগ থেকে ডায়রি বের করে, জিনিয়াকে ফোন করল, “হ্যালো, আমি নীলাঞ্জনা বলছি, জেগে আছো না ঘুমিয়ে পরেছ?”
এত রাতে জিনিয়া কোন ফোনের আশা করেনি তাই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, “কি ব্যাপার এত রাতে?”
নীলাঞ্জনা গলা নামিয়ে উত্তর দেয়, “আমি আর রুদ্র বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি, এখন ডানকুনিতে। কিছু সাহায্য করতে পারও কি?”
জিনিয়া আশ্চর্য হয়ে বলে, “কি বলছ, পালিয়ে এসেছ মানে? আসার আগে একটা ফোন করলে না হয় কিছু ব্যাবস্থা করতাম এত রাতে তোমাকে বাড়িতে নিয়ে আসা সমস্যার ব্যাপার। এক কাজ কর, তোমরা আজ রাতে শিয়ালদার কোন এক ছোট হোটেলে থেকে যাও, কাল সকালে দেখা যাবে কি করা যায়।”
নীলাঞ্জনা উত্তর দেয়, “ঠিক আছে, তাহলে কাল সকালে তোমাকে ফোন করব।”
ফোন রাখতেই রুদ্র জিজ্ঞেস করে, “এই জিনিয়া এ আবার কে?”
নীলাঞ্জনা বাঁকা হাসি হেসে উত্তর দেয়, “সব কিছু তোকে জানানোর কি দরকার বল। তুই চুপচাপ থাক।”
মনক্ষুন্ন হয়ে উত্তর দিল রুদ্র, “আমি কিন্তু সবকিছু তোকে বলি, কোন কিছুই লুকাই নি।”
হেসে ফেলে নীলাঞ্জনা, “হ্যাঁ সেটা সত্যি, কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু কথা গোপন থাকা ভালো। দ্যাখ রুদ্র, সবার নিজের নিজের একটা গন্ডী থাকে, সেই কেন্দ্র স্থলে দ্বিতীয় কাউকে আনতে দিতে নেই তাহলে বিদ্রোহের শুরু হয়, বিবাদের সুত্রপাত ঘটে।”
মাথা চুলকিয়ে নীলাঞ্জনার দিকে একভাবে তাকায় রুদ্র, যতটা সরল নিরীহ মেয়েটাকে ভেবেছিল ততটা সরল নয়, বুদ্ধিমতীর সাথে সাথে অনেক চালাক চতুর এই কচি মেয়েটা। “আচ্ছা চল, এবার তুই যা বলবি তাই হবে।”

রাতের ট্রেন ধরে নীলাঞ্জনা আর রুদ্র শিয়ালদা পৌঁছায়। রাত এগারোটায়, শিয়ালদা স্টেসান একদম ফাঁকা। স্টেসান চত্তর থেকে বেড়িয়ে দেখে চারদিক কেমন যেন অন্ধকার। ট্যাক্সি ড্রাইভার গুলো, কুলি গুলো, বাকি লোকগুলো কেমন ভাবে ওদের দিকে তাকিয়ে। নীলাঞ্জনা আড় চোখে চারপাশ জরিপ করে দেখে যে এক কোনায় কিছু লোকের জটলা ওদের দিকেই তাকিয়ে কিছু আলোচনা করছে। এমন সময়ে সামনে থেকে একজন এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করে, “ট্যাক্সি চাই ট্যাক্সি, কোথায় যাবে, শোভা বাজারে না বউ বাজারে?” নীলাঞ্জনা ক্ষনিকের জন্য ভয় পেয়ে যায়। কিন্তু এইভাবে ভয় পেলে চলবে না। ওদের হাবভাব দেখে হয়ত লোকজন বুঝে গেছে যে এরা বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে। নীলাঞ্জনা কড়া কণ্ঠে জানিয়ে দেয়, যে ওদের কোন ট্যাক্সির প্রয়োজন নেই। অন্যদিক থেকে একজন এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করে, “হোটেল চাই নাকি?” রুদ্র বলতে যাচ্ছিল, হ্যাঁ। নীলাঞ্জনা ওকে থামিয়ে দিয়ে উত্তর দিল যে ওদের আগে থেকেই হোটেল বুক করা আছে, ওরা কারুর অপেক্ষায় আছে, সে এলেই ওরা তার সাথে চলে যাবে। নীলাঞ্জনার বুকের মাঝের ঢিপ ঢিপানি প্রতি মুহূর্তে বেড়ে ওঠে, কিন্তু সেই অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেই মুশকিল, যেকোনো সময়ে যে কোন ধরনের বিপদ ওদের ছেঁকে ধরবে। রুদ্রের ওপরে যে রাগ হচ্ছিল না সেটা নয়, কিন্তু জানে, এখন রাগ করার সময় নয়, এখন মাথা ঠান্ডা রেখে এই অবস্থা থেকে গা বাঁচিয়ে কোথাও আশ্রয় খোঁজা।
[+] 1 user Likes pnigpong's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: চোরাবালি (কালেক্টেড) - by pnigpong - 08-07-2020, 08:49 PM



Users browsing this thread: 11 Guest(s)