07-07-2020, 11:06 AM
(#১০)
সোমবারে মানসী আর ভাস্করের দেখা হলে মানসী সব বলে ভাস্করকে। আরও বলে যে ওর মনে হচ্ছে ওর নতুন বৌদি আসাতে ওদের বিয়ে করতে আর কোন অসুবিধা হবে না। ভাস্কর মানসীর হাত ধরে বসে থাকে।
অনেকক্ষণ বসে থেকে ভাস্কর বলে যে ও আর অপেক্ষা করতে পারছে না।
মানসী – চলো তবে কালকেই বিয়ে করে ফেলি
ভাস্কর – তোমার দাদা মেনে নেবে ?
মানসী – দাদা মেনে নেওয়ার আগে অন্য কথা আছে ?
ভাস্কর – কি কথা ?
মানসী – আমরা দুজনে কি বিয়ে করতে প্রস্তুত আছি ?
ভাস্কর – আমারও ভয় লাগে। আর একটা কথা তোমাকে আগে বলিনি সেটা বলতে চাই।
মানসী – কি বল ?
ভাস্কর – আমি তোমাকে বিয়ে করলেও আমার বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবো না।
মানসী – কেন ? সে আবার কি কথা ?
ভাস্কর – সেটা আরেকটা সমস্যা
মানসী – কি সমস্যা সেটা বল
ভাস্কর – আমি ওই সমস্যা তোমাকে কি করে বলি সেটা ভেবে পাচ্ছি না।
ভাস্কর – ভীষণ লজ্জার ব্যাপার
মানসী – যতই লজ্জার কিছু হল একদিন না একদিন তো জানবোই। তাই আজই বলে ফেল।
ভাস্কর – ভুদেব কাকু
মানসী – সে আবার কে ?
ভাস্কর – ভুদেব কাকু বাবার বন্ধু ছিল। আমার বাবা বেঁচে থাকতেই সেই কাকুর সাথে আমার মায়ের একটা সম্পর্ক ছিল
মানসী – তোমার বাবা জানতেন ?
ভাস্কর – মনে হয় জানতেন, কিন্তু কোন কারনে কিছু বলতেন না বা বলতে পারতেন না
মানসী – তাতে এখন কি হয়েছে ?
ভাস্কর – ওই ভুদেব কাকু এখন রোজ রাতে এসে আমার মায়ের সাথে থাকে
মানসী – ওনার বিয়ে হয় নি ?
ভাস্কর – অনের বৌ অনেক আগেই ওনাকে ছেড়ে চলে গেছে। আমি তখন দুবাই থাকতাম। তাই সেসব ঠিক জানি না
মানসী – তোমার মাকে জিজ্ঞাসা করো নি ?
ভাস্কর – মা মানুষের সব থেকে শ্রদ্ধার জায়গা। আমার ইচ্ছা করে না মায়ের সাথে এইসব কথা বলতে।
মানসী – তোমার মা তোমার অযত্ন করেছে কখনও ?
ভাস্কর – না না মা আমাকে খুব ভালবাসে
মানসী – তবে আর অসুবিধা কোথায়
ভাস্কর – আমার ওই ভুদেব শুয়োরের বাচ্চাটাকে পছন্দ নয়
মানসী – বাবা মায়ের বন্ধুর সম্বন্ধে এইভাবে কথা বলতে নেই সোনা
ভাস্কর – সেই জন্যেই তো কিছু বলি না। মাও ওনার সাথে একটু শান্তিতে থাকে। তবে...
মানসী – তবে কি ?
ভাস্কর – ভুদেব কাকুর অন্য মেয়ে দেখলেই প্রেম জেগে ওঠে। উনি যেখানে থাকবেন সেখানে আমি তোমাকে নিয়ে যাবো না।
মানসী – আমাকে কেউ কিছু করতে পারবে না
ভাস্কর – সে পারুক আর নাই পারুক আমি তোমাকে বিয়ে করে ওখানে নিয়ে যাবো না।
মানসী – তবে আমরা বিয়ে করে থাকবো কোথায়
ভাস্কর – সেটাই তো সমস্যা
ওই চায়ের দোকানের মাসী ওদের সব কথাই শোনেন। মানসী বা ভাস্করও ওনার সামনে কিছু লুকায় না। তবে সাধারণত মাসী ওদের মধ্যে কোন কথা বলে না। সেদিন মাসী চুপ থাকে না।
মাসী – তোমাদের সমস্যার একটা সমাধান আছে আমার কাছে।
মাসী – দেখো বাবা আমি একা একা থাকি। আমার একটা ঘর খালিই পড়ে আছে। তোমরা ওখানে এসে থাকো।
মানসী – না না মাসী তা হয় না
মাসী – কেন মা, আমি তোমাদের কেউ না বলে আমার বাড়িতে থাকবে না ?
মানসী – না মাসী তা নয়, তবে...
মাসী – তবে কি ? তুমি কি ভাবছ আমি তোমাদের টাকা আছে শুনে থাকতে দিতে চাইছি ?
মানসী – ছি ছি মাসী সেইরকম ভাববো কেন !
মাসী – দেখো আমারও তো বয়েস হল, একা থাকি। একটু ভয় ভয় লাগে।
ভাস্কর – আপনার ছেলে এলে কোথায় থাকবে ?
মাসী – আমার ওই ঘর ছেলে বৌয়ের জন্যেই তোমার মেসোমশায় বানিয়েছিলেন। কিন্তু সেতো গত দশ বছরে একবারও আসেনি।
ভাস্কর – ভাড়া দিয়ে দেন না কেন ?
মাসী – একই ঘরের মধ্যে অচেনা কাউকে ভাড়া দিতে সাহস হয় না
মানসী – আমরাও তো অচেনা
মাসী – তোমরা অচেনা কেন হবে ? এতদিন ধরে দেখছি। মানুষ চিনতে সব সময় ভুল হয় না।
মানসী – তাও কেমন কেমন লাগছে। তবে মাসী ভাড়া নিতে হবে।
মাসী – দেখো ছেলে বৌয়ের জন্যে ঘর বানিয়েছিলাম। ওরা তো থাকল না, মেয়ে জামাইই না হয় থাকবে। আর মেয়ের কাছ থেকে কেউ ভাড়া নেয় নাকি !
মানসী আর ভাস্কর কি বলবে ভেবে পায় না। এই পৃথিবীতে যাদের ওরা নিজের বলে জানত তাদের প্রায় কারো কাছ থেকেই কোন সহায়তা পায়নি। আর যাদের কে চেনে না বা জানে না তাদের কাছ থেকেই অযাচিত ভাবে সাহায্য পেয়ে যাচ্ছে। ভাস্করের মুখ খুশীতে ভরে ওঠে। মানসী মেয়ে, আর মেয়েদের সুখে কেঁদে ফেলাটাই নিয়ম। তাই ও কেঁদে ফেলে আর মাসীকে জড়িয়ে ধরে।
মাসী – দেখো এই সংসারে সবাই সুখে থাকতে চায়। আমি আর তোমার মেসোমশায় ছেলেকে নিয়ে সুখেই ছিলাম। অনেক স্বপ্নও দেখেছিলাম। কিন্তু ছেলে বড় হয়ে নিজের সুখ বেশী করে দেখল, বাবা মায়ের সুখের কথা একটুও ভাবল না।
মানসী – আমরা থাকলে তোমার সুখ কেন হবে ?
মাসী – একা থাকলে পান্তা ভাতই খাই বা রাজভোগ খাই, সুখ আসে না। তোমরা সাথে থাকলে সেই সুখ পাবো।
মানসী – ঠিক আছে আমরা বিয়ে করে মাসী তোমার কাছেই আসবো।
মাসী – তোমরা কাল থেকে আমার দোকানে দেখা না করে, আমার বাড়িতে বসে গল্প করো।
মানসী – যাঃ তাই হয় নাকি, পাড়ার কে কি বলবে ?
মাসী – পাড়ার লোকে কি বলল তা নিয়ে তোমাদের চিন্তা করতে হবে না। তোমার পেছনে লোকে কি বলে সেটা তোমার সমস্যা হওয়া উচিত নয়। তোমরা ঠিক থাকলে বা পাপ না করলে লোকের কোথায় কি আসে যায় !
মাসী ওদেরকে নিয়ে গিয়ে বাড়ি দেখিয়ে দেয়। বেশ ছোট খাট সুন্দর দুটো ঘর। মাসী একা আর বয়েসের জন্যে ঠিক মত পরিস্কার করতে পারেন না। মাসী ঘরের একটা চাবি ভাস্করকে দিয়ে দেন।
মানসী – আমাকে মেয়ে বললে কিন্তু চাবি দিলে ওকে ?
মাসী – তোমাকে যেমন মেয়ে বলেছি, ভাস্কর কেও ছেলের মত ভাবছি।
ভাস্কর – তোমার ইচ্ছা হলে চাবি তুমি রাখ
মানসী – না রে বাবা, আমি এমনি বলছি। চাবি তুমিই রাখ। পারলে সময় করে এসে সব পরিস্কার করে রেখ।
ভাস্কর – আমি পরিস্কার করবো আর তুমি হাওয়া খাবে ?
মানসী – তুমি পরিস্কার করবে আর আমি সাজাবো। দুজনে মিলে আমাদের সুখ আর মাসীর সুখ বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করবো।
মাসী – আজ থেকেই আমি আর একা নই মা। আমি খুব সুখী।
পরের দিন থেকে ভাস্কর রোজ বিকালের দিকে এসে ঘরের সব কিছু পরিস্কার করে। মানসী সব সময় পার্লার ছেড়ে আসতে পারে না। তাও ওদের আগেকার মত সপ্তাহে তিনদিন আসে। ভাস্করের সাথে প্রেম করে আর সংসারের স্বপ্ন দেখে। ভাস্কর প্রথম দিনই বলে দেয় যে ওরা ওই ঘরে একা থাকলেও, যতদিন না বিয়ে হচ্ছে চুমু খাওয়া ছাড়া কিছু করবে না।
ষষ্ঠ পরিচ্ছদ সমাপ্ত
সোমবারে মানসী আর ভাস্করের দেখা হলে মানসী সব বলে ভাস্করকে। আরও বলে যে ওর মনে হচ্ছে ওর নতুন বৌদি আসাতে ওদের বিয়ে করতে আর কোন অসুবিধা হবে না। ভাস্কর মানসীর হাত ধরে বসে থাকে।
অনেকক্ষণ বসে থেকে ভাস্কর বলে যে ও আর অপেক্ষা করতে পারছে না।
মানসী – চলো তবে কালকেই বিয়ে করে ফেলি
ভাস্কর – তোমার দাদা মেনে নেবে ?
মানসী – দাদা মেনে নেওয়ার আগে অন্য কথা আছে ?
ভাস্কর – কি কথা ?
মানসী – আমরা দুজনে কি বিয়ে করতে প্রস্তুত আছি ?
ভাস্কর – আমারও ভয় লাগে। আর একটা কথা তোমাকে আগে বলিনি সেটা বলতে চাই।
মানসী – কি বল ?
ভাস্কর – আমি তোমাকে বিয়ে করলেও আমার বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবো না।
মানসী – কেন ? সে আবার কি কথা ?
ভাস্কর – সেটা আরেকটা সমস্যা
মানসী – কি সমস্যা সেটা বল
ভাস্কর – আমি ওই সমস্যা তোমাকে কি করে বলি সেটা ভেবে পাচ্ছি না।
ভাস্কর – ভীষণ লজ্জার ব্যাপার
মানসী – যতই লজ্জার কিছু হল একদিন না একদিন তো জানবোই। তাই আজই বলে ফেল।
ভাস্কর – ভুদেব কাকু
মানসী – সে আবার কে ?
ভাস্কর – ভুদেব কাকু বাবার বন্ধু ছিল। আমার বাবা বেঁচে থাকতেই সেই কাকুর সাথে আমার মায়ের একটা সম্পর্ক ছিল
মানসী – তোমার বাবা জানতেন ?
ভাস্কর – মনে হয় জানতেন, কিন্তু কোন কারনে কিছু বলতেন না বা বলতে পারতেন না
মানসী – তাতে এখন কি হয়েছে ?
ভাস্কর – ওই ভুদেব কাকু এখন রোজ রাতে এসে আমার মায়ের সাথে থাকে
মানসী – ওনার বিয়ে হয় নি ?
ভাস্কর – অনের বৌ অনেক আগেই ওনাকে ছেড়ে চলে গেছে। আমি তখন দুবাই থাকতাম। তাই সেসব ঠিক জানি না
মানসী – তোমার মাকে জিজ্ঞাসা করো নি ?
ভাস্কর – মা মানুষের সব থেকে শ্রদ্ধার জায়গা। আমার ইচ্ছা করে না মায়ের সাথে এইসব কথা বলতে।
মানসী – তোমার মা তোমার অযত্ন করেছে কখনও ?
ভাস্কর – না না মা আমাকে খুব ভালবাসে
মানসী – তবে আর অসুবিধা কোথায়
ভাস্কর – আমার ওই ভুদেব শুয়োরের বাচ্চাটাকে পছন্দ নয়
মানসী – বাবা মায়ের বন্ধুর সম্বন্ধে এইভাবে কথা বলতে নেই সোনা
ভাস্কর – সেই জন্যেই তো কিছু বলি না। মাও ওনার সাথে একটু শান্তিতে থাকে। তবে...
মানসী – তবে কি ?
ভাস্কর – ভুদেব কাকুর অন্য মেয়ে দেখলেই প্রেম জেগে ওঠে। উনি যেখানে থাকবেন সেখানে আমি তোমাকে নিয়ে যাবো না।
মানসী – আমাকে কেউ কিছু করতে পারবে না
ভাস্কর – সে পারুক আর নাই পারুক আমি তোমাকে বিয়ে করে ওখানে নিয়ে যাবো না।
মানসী – তবে আমরা বিয়ে করে থাকবো কোথায়
ভাস্কর – সেটাই তো সমস্যা
ওই চায়ের দোকানের মাসী ওদের সব কথাই শোনেন। মানসী বা ভাস্করও ওনার সামনে কিছু লুকায় না। তবে সাধারণত মাসী ওদের মধ্যে কোন কথা বলে না। সেদিন মাসী চুপ থাকে না।
মাসী – তোমাদের সমস্যার একটা সমাধান আছে আমার কাছে।
মাসী – দেখো বাবা আমি একা একা থাকি। আমার একটা ঘর খালিই পড়ে আছে। তোমরা ওখানে এসে থাকো।
মানসী – না না মাসী তা হয় না
মাসী – কেন মা, আমি তোমাদের কেউ না বলে আমার বাড়িতে থাকবে না ?
মানসী – না মাসী তা নয়, তবে...
মাসী – তবে কি ? তুমি কি ভাবছ আমি তোমাদের টাকা আছে শুনে থাকতে দিতে চাইছি ?
মানসী – ছি ছি মাসী সেইরকম ভাববো কেন !
মাসী – দেখো আমারও তো বয়েস হল, একা থাকি। একটু ভয় ভয় লাগে।
ভাস্কর – আপনার ছেলে এলে কোথায় থাকবে ?
মাসী – আমার ওই ঘর ছেলে বৌয়ের জন্যেই তোমার মেসোমশায় বানিয়েছিলেন। কিন্তু সেতো গত দশ বছরে একবারও আসেনি।
ভাস্কর – ভাড়া দিয়ে দেন না কেন ?
মাসী – একই ঘরের মধ্যে অচেনা কাউকে ভাড়া দিতে সাহস হয় না
মানসী – আমরাও তো অচেনা
মাসী – তোমরা অচেনা কেন হবে ? এতদিন ধরে দেখছি। মানুষ চিনতে সব সময় ভুল হয় না।
মানসী – তাও কেমন কেমন লাগছে। তবে মাসী ভাড়া নিতে হবে।
মাসী – দেখো ছেলে বৌয়ের জন্যে ঘর বানিয়েছিলাম। ওরা তো থাকল না, মেয়ে জামাইই না হয় থাকবে। আর মেয়ের কাছ থেকে কেউ ভাড়া নেয় নাকি !
মানসী আর ভাস্কর কি বলবে ভেবে পায় না। এই পৃথিবীতে যাদের ওরা নিজের বলে জানত তাদের প্রায় কারো কাছ থেকেই কোন সহায়তা পায়নি। আর যাদের কে চেনে না বা জানে না তাদের কাছ থেকেই অযাচিত ভাবে সাহায্য পেয়ে যাচ্ছে। ভাস্করের মুখ খুশীতে ভরে ওঠে। মানসী মেয়ে, আর মেয়েদের সুখে কেঁদে ফেলাটাই নিয়ম। তাই ও কেঁদে ফেলে আর মাসীকে জড়িয়ে ধরে।
মাসী – দেখো এই সংসারে সবাই সুখে থাকতে চায়। আমি আর তোমার মেসোমশায় ছেলেকে নিয়ে সুখেই ছিলাম। অনেক স্বপ্নও দেখেছিলাম। কিন্তু ছেলে বড় হয়ে নিজের সুখ বেশী করে দেখল, বাবা মায়ের সুখের কথা একটুও ভাবল না।
মানসী – আমরা থাকলে তোমার সুখ কেন হবে ?
মাসী – একা থাকলে পান্তা ভাতই খাই বা রাজভোগ খাই, সুখ আসে না। তোমরা সাথে থাকলে সেই সুখ পাবো।
মানসী – ঠিক আছে আমরা বিয়ে করে মাসী তোমার কাছেই আসবো।
মাসী – তোমরা কাল থেকে আমার দোকানে দেখা না করে, আমার বাড়িতে বসে গল্প করো।
মানসী – যাঃ তাই হয় নাকি, পাড়ার কে কি বলবে ?
মাসী – পাড়ার লোকে কি বলল তা নিয়ে তোমাদের চিন্তা করতে হবে না। তোমার পেছনে লোকে কি বলে সেটা তোমার সমস্যা হওয়া উচিত নয়। তোমরা ঠিক থাকলে বা পাপ না করলে লোকের কোথায় কি আসে যায় !
মাসী ওদেরকে নিয়ে গিয়ে বাড়ি দেখিয়ে দেয়। বেশ ছোট খাট সুন্দর দুটো ঘর। মাসী একা আর বয়েসের জন্যে ঠিক মত পরিস্কার করতে পারেন না। মাসী ঘরের একটা চাবি ভাস্করকে দিয়ে দেন।
মানসী – আমাকে মেয়ে বললে কিন্তু চাবি দিলে ওকে ?
মাসী – তোমাকে যেমন মেয়ে বলেছি, ভাস্কর কেও ছেলের মত ভাবছি।
ভাস্কর – তোমার ইচ্ছা হলে চাবি তুমি রাখ
মানসী – না রে বাবা, আমি এমনি বলছি। চাবি তুমিই রাখ। পারলে সময় করে এসে সব পরিস্কার করে রেখ।
ভাস্কর – আমি পরিস্কার করবো আর তুমি হাওয়া খাবে ?
মানসী – তুমি পরিস্কার করবে আর আমি সাজাবো। দুজনে মিলে আমাদের সুখ আর মাসীর সুখ বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করবো।
মাসী – আজ থেকেই আমি আর একা নই মা। আমি খুব সুখী।
পরের দিন থেকে ভাস্কর রোজ বিকালের দিকে এসে ঘরের সব কিছু পরিস্কার করে। মানসী সব সময় পার্লার ছেড়ে আসতে পারে না। তাও ওদের আগেকার মত সপ্তাহে তিনদিন আসে। ভাস্করের সাথে প্রেম করে আর সংসারের স্বপ্ন দেখে। ভাস্কর প্রথম দিনই বলে দেয় যে ওরা ওই ঘরে একা থাকলেও, যতদিন না বিয়ে হচ্ছে চুমু খাওয়া ছাড়া কিছু করবে না।
ষষ্ঠ পরিচ্ছদ সমাপ্ত
""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!