06-07-2020, 07:01 PM
ষষ্ঠ পরিচ্ছদ – সবাইতো সুখী হতে চায়
(#০৪)
নিহারিকা আর মানসী একসাথে ফিরে আসে।
দীপ্তি – এবার আমি যাই
নিহারিকা – আমার বরের সাথে প্রেম করা হয়ে গেল ?
দীপ্তি – তোমার বরের সাথে দিনের বেলা বেশী মজা আসে না
নিহারিকা – আরেক দিন করবে নাকি ?
দীপ্তি – যাঃ তোমরা দুজনেই বহুত বাজে
দীপ্তি পালিয়ে যায়। মানসী স্বপনকে ভাস্করের সাথে যা যা হয়েছে সব জানায়।
স্বপন – অনেক কাকতালীয় ভাবে সব হয়ে গেল
মানসী – তা ঠিক
নিহারিকা – এগুলো সে হিসাবে কাকতালীয়ও নয়
মানসী – কেন ?
নিহারিকা – এগুলো ভগবানের নিজের প্ল্যান, আমাদের দিয়ে করিয়ে নেয়। রামপ্রসাদের গান আছে না ‘তোমার কর্ম তুমি কর মা, লোকে ভাবে করি আমি’। সব ওই ওপরওয়ালার ইচ্ছা।
মানসী – তুইও অনেক কিছু শিখে গেছিস !
নিহারিকা – তোর বন্ধুর সাথে এতদিন আছি আর কিছুই শিখবো না !
মানসী – আমি সত্যি খুব ভাগ্যবান যে তোর মত বোন পেয়েছি
নিহারিকা – আর তোর বন্ধু ?
মানসী – তোর কাছ থেকেই তো আমি আমার সব থেকে ভাল বন্ধুকে পেয়েছি।
নিহারিকা – এবার ভাস্করের দিকে বেশী মন দে
মানসী – আমার মন ওর দিকেও আছে। কিন্তু আমি জানি ভাস্করও আমাকে স্বপনের থেকে বেশী ভালবাসতে পারবে না।
স্বপন – কিন্তু তুমি ওকেই বেশী ভালবাসবে
নিহারিকা – স্বপন যতই তোর বন্ধু হোক না কেন, এখন থেকে তোর প্রতিমুহূর্তে ভাস্কর তোর সাথে থাকবে। তাই অকেই বেশী ভালবাসবি। ভাস্করের আর কেউ নেই। ও তোকে ছাড়া কিছু জানে না।
মানসী – তোকে বলেছে ?
নিহারিকা – যেদিন ভাস্কর স্বপনকে সব বলতে গিয়েছিল সেদিন আমার সাথেও অনেক কথা হয়েছিল।
মানসী – আমিও ভাস্করকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি। ওকে ছাড়া আর কিছু ভাবতেই পারি না।
এরপর স্বপন আর নিহারিকা সবার সাথে ব্রেকফাস্ট করে। মানসীদের বাড়িতে রবিবারের ব্রেকফাস্ট বেশ অন্যরকমের। গোটা গোটা সবজি দিয়ে বানানো খিচুড়ি। স্বপনের রবিবার সকালে ওদের বাড়ি যাবার আরেকটা কারন হল ওই খিচুড়ি খাওয়া।
পরদিন সোমবার মানসী বেরনোর পরেই দীপ্তি ওর পেছন পেছন যায়। ভাস্করকে দেখে কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই চিনতে পারে না। দীপ্তি আড়াল থেকে খেয়াল করে যে ওরা কি কি করে। ওর খুব ইচ্ছা করছিল ওরা কি বলছে সেটা শোনে কিন্তু কাছে যেতে পারে না ধরা পড়ে যাবার ভয়ে। একটু পড়ে দীপ্তি ওখান থেকে চুপ চাপ চলে আসে। কাউকে কিচ্ছু বলে না। বুধবার সৃজা আসে ওদের বাড়ি। দীপ্তি সৃজাকে সব বলে। ও আর কাউকে বলতে সাহস পাচ্ছিল না। সৃজা বলে যে শুক্রবারে ও দীপ্তির সাথে রাঙ্গাপির পেছন পেছন যাবে।
পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে দীপ্তি আর সৃজা ওই মাসীর দোকানে যায়। ওরা নিজেদের পরিচয় দেয়। কিন্তু মাসী কিছুতেই কিছু বলে না। দীপ্তি অনেক ভরসা দেবার পরে মাসী কিছু বলে।
মাসী – আমি বুঝিনা বাপু তোমাদের ব্যাপার স্যাপার। এতো বড় মেয়ে এখনও বাড়ি থেকে বিয়ে দেয়নি।
সৃজা – দিদা আমি বুঝি কিন্তু তোমাকে বলতে পারবো না
মাসী – তবে আমিও কিছু বলবো না
দীপ্তি – মাসী তুমি চাও কিনা রাঙ্গাদির বিয়ে হয়ে যাক
মাসী – রাঙ্গাদি আবার কে ?
দীপ্তি – মানসী দিদি কে আমরা সবাই রাঙ্গাদি বলি। আমি আর এই স্রিজাও চাই রাঙ্গাদির বিয়ে হয়ে যাক। কিন্তু আমাদের বাড়িতে একজন আছে সে চায় না।
মাসী – একজনের জন্যে আটকে আছে !
সৃজা – তিনিই সবার গার্জেন
মাসী – এ আবার কিরকম গার্জেন !
দীপ্তি – অনেক সমস্যা আছে মাসী।
তারপর মাসী যা যা দেখেছে ওদের বলে।
দীপ্তি – অনেক ধন্যবাদ মাসী। আমরা এবার ঠিক রাঙ্গাদির বিয়ে দিয়ে দেব।
মাসী – দেখো বাপু অইসব ধন্যবাদ তোমাদের মত বড় মানুসের ভাষা। আমরা গরিব লোক, আমরা কথা বুঝি না, আমরা শুধু মন বুঝি। মেয়েটাকে দেখে ভাল লাগে, তাই ওকে ভালবাসি। আর চাই ওর একটা হিল্লে হয়ে যাক।
সৃজা – আর ছেলেটা ?
মাসী – ছেলেটাও খুব ভাল। তোমাদের রাঙ্গাদিকে খুব খুব ভালবাসে।
সৃজা – ছোট কাকি এবার দেখো কেউ আটকাতে পারবে না আমাকে। রাঙ্গাপির বিয়ে দিয়েই ছাড়বো।
দীপ্তি – মাসী রাঙ্গাদিকে কিছু বলবেন না যে আমরা এসেছিলাম।
পরদিন শুক্রবার মানসী ভাস্করের সাথে দেখা করে, চা খেয়ে, চুমু খেয়ে উঠতে যাবে, দেখে সামনে সৃজা আর দীপ্তি দাঁড়িয়ে।
(#০৪)
নিহারিকা আর মানসী একসাথে ফিরে আসে।
দীপ্তি – এবার আমি যাই
নিহারিকা – আমার বরের সাথে প্রেম করা হয়ে গেল ?
দীপ্তি – তোমার বরের সাথে দিনের বেলা বেশী মজা আসে না
নিহারিকা – আরেক দিন করবে নাকি ?
দীপ্তি – যাঃ তোমরা দুজনেই বহুত বাজে
দীপ্তি পালিয়ে যায়। মানসী স্বপনকে ভাস্করের সাথে যা যা হয়েছে সব জানায়।
স্বপন – অনেক কাকতালীয় ভাবে সব হয়ে গেল
মানসী – তা ঠিক
নিহারিকা – এগুলো সে হিসাবে কাকতালীয়ও নয়
মানসী – কেন ?
নিহারিকা – এগুলো ভগবানের নিজের প্ল্যান, আমাদের দিয়ে করিয়ে নেয়। রামপ্রসাদের গান আছে না ‘তোমার কর্ম তুমি কর মা, লোকে ভাবে করি আমি’। সব ওই ওপরওয়ালার ইচ্ছা।
মানসী – তুইও অনেক কিছু শিখে গেছিস !
নিহারিকা – তোর বন্ধুর সাথে এতদিন আছি আর কিছুই শিখবো না !
মানসী – আমি সত্যি খুব ভাগ্যবান যে তোর মত বোন পেয়েছি
নিহারিকা – আর তোর বন্ধু ?
মানসী – তোর কাছ থেকেই তো আমি আমার সব থেকে ভাল বন্ধুকে পেয়েছি।
নিহারিকা – এবার ভাস্করের দিকে বেশী মন দে
মানসী – আমার মন ওর দিকেও আছে। কিন্তু আমি জানি ভাস্করও আমাকে স্বপনের থেকে বেশী ভালবাসতে পারবে না।
স্বপন – কিন্তু তুমি ওকেই বেশী ভালবাসবে
নিহারিকা – স্বপন যতই তোর বন্ধু হোক না কেন, এখন থেকে তোর প্রতিমুহূর্তে ভাস্কর তোর সাথে থাকবে। তাই অকেই বেশী ভালবাসবি। ভাস্করের আর কেউ নেই। ও তোকে ছাড়া কিছু জানে না।
মানসী – তোকে বলেছে ?
নিহারিকা – যেদিন ভাস্কর স্বপনকে সব বলতে গিয়েছিল সেদিন আমার সাথেও অনেক কথা হয়েছিল।
মানসী – আমিও ভাস্করকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি। ওকে ছাড়া আর কিছু ভাবতেই পারি না।
এরপর স্বপন আর নিহারিকা সবার সাথে ব্রেকফাস্ট করে। মানসীদের বাড়িতে রবিবারের ব্রেকফাস্ট বেশ অন্যরকমের। গোটা গোটা সবজি দিয়ে বানানো খিচুড়ি। স্বপনের রবিবার সকালে ওদের বাড়ি যাবার আরেকটা কারন হল ওই খিচুড়ি খাওয়া।
পরদিন সোমবার মানসী বেরনোর পরেই দীপ্তি ওর পেছন পেছন যায়। ভাস্করকে দেখে কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই চিনতে পারে না। দীপ্তি আড়াল থেকে খেয়াল করে যে ওরা কি কি করে। ওর খুব ইচ্ছা করছিল ওরা কি বলছে সেটা শোনে কিন্তু কাছে যেতে পারে না ধরা পড়ে যাবার ভয়ে। একটু পড়ে দীপ্তি ওখান থেকে চুপ চাপ চলে আসে। কাউকে কিচ্ছু বলে না। বুধবার সৃজা আসে ওদের বাড়ি। দীপ্তি সৃজাকে সব বলে। ও আর কাউকে বলতে সাহস পাচ্ছিল না। সৃজা বলে যে শুক্রবারে ও দীপ্তির সাথে রাঙ্গাপির পেছন পেছন যাবে।
পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে দীপ্তি আর সৃজা ওই মাসীর দোকানে যায়। ওরা নিজেদের পরিচয় দেয়। কিন্তু মাসী কিছুতেই কিছু বলে না। দীপ্তি অনেক ভরসা দেবার পরে মাসী কিছু বলে।
মাসী – আমি বুঝিনা বাপু তোমাদের ব্যাপার স্যাপার। এতো বড় মেয়ে এখনও বাড়ি থেকে বিয়ে দেয়নি।
সৃজা – দিদা আমি বুঝি কিন্তু তোমাকে বলতে পারবো না
মাসী – তবে আমিও কিছু বলবো না
দীপ্তি – মাসী তুমি চাও কিনা রাঙ্গাদির বিয়ে হয়ে যাক
মাসী – রাঙ্গাদি আবার কে ?
দীপ্তি – মানসী দিদি কে আমরা সবাই রাঙ্গাদি বলি। আমি আর এই স্রিজাও চাই রাঙ্গাদির বিয়ে হয়ে যাক। কিন্তু আমাদের বাড়িতে একজন আছে সে চায় না।
মাসী – একজনের জন্যে আটকে আছে !
সৃজা – তিনিই সবার গার্জেন
মাসী – এ আবার কিরকম গার্জেন !
দীপ্তি – অনেক সমস্যা আছে মাসী।
তারপর মাসী যা যা দেখেছে ওদের বলে।
দীপ্তি – অনেক ধন্যবাদ মাসী। আমরা এবার ঠিক রাঙ্গাদির বিয়ে দিয়ে দেব।
মাসী – দেখো বাপু অইসব ধন্যবাদ তোমাদের মত বড় মানুসের ভাষা। আমরা গরিব লোক, আমরা কথা বুঝি না, আমরা শুধু মন বুঝি। মেয়েটাকে দেখে ভাল লাগে, তাই ওকে ভালবাসি। আর চাই ওর একটা হিল্লে হয়ে যাক।
সৃজা – আর ছেলেটা ?
মাসী – ছেলেটাও খুব ভাল। তোমাদের রাঙ্গাদিকে খুব খুব ভালবাসে।
সৃজা – ছোট কাকি এবার দেখো কেউ আটকাতে পারবে না আমাকে। রাঙ্গাপির বিয়ে দিয়েই ছাড়বো।
দীপ্তি – মাসী রাঙ্গাদিকে কিছু বলবেন না যে আমরা এসেছিলাম।
পরদিন শুক্রবার মানসী ভাস্করের সাথে দেখা করে, চা খেয়ে, চুমু খেয়ে উঠতে যাবে, দেখে সামনে সৃজা আর দীপ্তি দাঁড়িয়ে।
""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!