06-07-2020, 01:34 PM
পর্ব-০৬
-----------------------------------
কলিজা দিতে হবে না।শুধু একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দাও।
তুমি চাকরি কেন করবা বাবা।আমিতো তোমাকে অনেক আগেই বলছি, আমার ব্যবসাটা দেখা-শুনা করতে।কয়েক দিন পরতো তোমাকেই অফিসটা সামলাতে হবে।
আগে আমার কথাটা শুনো বাবা।
হুম বল।
চাকরিটা আমার জন্য না।
তাহলে?
তারপর বাবা-মাকে সব কিছু খুলে বললাম সান্তার ব্যপারে।
এবং বাবাকে আরও জানালাম,সে আগে একটা অফিসে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতো,এবং চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছে,আর এখন কি করে,কিছুই লুকালাম না।
সবচেয়ে বড় কথা হল,এই কয়েক দিন সান্তা আমাদের বাসায়ই ছিল,কেন ছিল তাও বললাম।
আর আমার যে পরিবর্তন তোমরা দেখতেছো।এটা কিন্তু সান্তার জন্যই হয়েছে।
সবকিছু শুনার পর বাবা জানতে চাইলো,এখন আমি কি চাই।
বাবা,আমি চাই সান্তার একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দাও।আর তোমার যদি আপত্তি না থাকে,তাহলে আমাদের কোম্পানিতেই চাকরির ব্যবস্থা করে দাও।
(ও আপনাদের তো বলাই হয়নি,আমি মধ্যবিও পরিবারের ছেলে কিন্ত গল্পের ভিতরে আমি কোটিপতির ছেলে।।সেই হিসাবে আমাদের কয়েকটা গার্মেন্স ফ্যাক্টরি আছে।বাবা আমাকে অনেক অনুরোধ করেছে,একটা অফিস এর দ্বায়িত্ব নিতে।কিন্তু আমার প্রতিদিন অফিস করা ভাল লাগেনা।তার কিছু দিন পরে তো,একটা ভুল মানুষকে ভালবেসে নেশা করা শুরু করেছিলাম।তাই বাবা মা কেউ আমার সাথে ভাল -ভাবে কথাও বলতো না।)
যারা গল্প পরতে ভালোবাসেন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিন।।
এখন গল্পে আসি...
আচ্ছা,একটা কাজ করলে কেমন হয়।
বলো কি কাজ বাবা?
সাভারে আমাদের যে ফ্যাক্টরি টা আছে।
হুম তো।
ঐ ফ্যাক্টরি দ্বায়িত্বটা যদি আমি তোদের দু'জনকে দিয়ে দেয়।পারবে না তোমরা দুজন মিলে অফিসটা সামলাতে।
বাবা,এর মাঝে আমাকে কেন টানতেছো।তুমি তো জানো আমার এই অফিস করা ভাল লাগে না।
আমি তোমাকে এজন্যই টানতেছি,ঐ মেয়ের হাতে তো পুরো অফিসটা ছেড়ে দিতে পারি না।পরে যদি মেয়েটা কোন সমস্যা করে।তাই আমি চাই,অফিসের দ্বায়িত্ব তোমাদের দুজনের সমান থাকবে।কোন কিছু করতে গেলে তোমাদের দুজনের স্বাক্ষর থাকতে হবে।
ওকে বাবা।আর তোমাকে অনেক ধন্যবাদ বাবা।
আরে ধন্যবাদ দিতে হবে না।আমার তো আরও ভাল হল,আর আমার টেনশনটাও করতে হবে না,ঐ সাভারের অফিস নিয়ে।তা কবে থেকে জয়েন করতে পারবা তোমরা বাবা।
বাবা,আগে সান্তাকে এই খুশির খবরটাতো দিয়ে নেয়,আর জেনেও আসি কবে থেকে জয়েন করতে পারবে।
তারপর খাবার শেষ করে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম সান্তার বাসার উদ্দেশ্য।
সান্তা তো আমাকে দেখে অবাক।
হঠাৎ আপনি?
কেন আসতে পারি না।
হুম পারেন।
তাহলে?
না,আমাকে জানিয়ে আসবেন না একটু।
তোমার জন্য একটা খুশির খবর আছে।তাই না জানিয়ে চলে এলাম।
তাই নাকি,তা কি খুশির খবর একটু বলবেন?
না।তার আগে আমার একটা শর্ত আছে।
কি শর্ত।
আগে বল,আমার শর্তটা মেনে নিবে।
মানার মত হলে অবশ্যই মেনে নিব।
মানার মত শর্ত দিব তোমাকে।
ওকে মানবো,এখনতো বলেন।
আমি চাই এখন থেকে তুমি আমাকে আপনি করে না বলে,তুমি করে বলবে।
তুমি করে বললে খুশিতো।
হুম অনেক।
ওকে। এখন বলো খুশির খবরটা কি।
বাবাকে তোমার কথা বলেছি,আর একটা চাকরির কথাও বলেছি।
তারপর আংকেল কি বলল?
বাবা বলল,আমাদের সাভারে একটা
ফ্যাক্টরি আছে।আর বাবা চায়,আমরা দুজনে মিলে যেন ঐ অফিসটা সামলায়।
সত্যি বলতেছো?
হুম।
(সান্তা তো খুশিতে কান্না করতে শুরু করে দিল।)
এই তুমি কান্না করতেছো কেন?
আমি ভাবতেও পারিনি,আমি আবার নতুন করে জীবন সাঁজাতে পারবো।আমি না তোমার কাছে সারা জীবন মনে রাখবো।
মনে রাখতে হবে না।এখন বাবা জানতে চাইছে কবে থেকে অফিস জয়েন করতে পারবা।
ও,আচ্ছা শনিবার থেকে জয়েন করলে কেমন হয়।
খুব ভাল হয়।আচ্ছা এখন আমি আসি।
আরে না,একটু বসো কিছু মূখে দিয়ে যাও।
না,আসলে বাবা বাসায় বসে আছে।আর হ্যা বিকেলে তোমাকে নিয়ে একটু ঘরতে বের হব।
ওকে।
তারপর বাবাকে জানিয়ে দিলাম।কিন্তু বাবা,আমি না হয় আমাদের সাভারের বাসায় থাকতে পারবো,কিন্তু সান্তার জন্যতো একটা বাসা ব্যবস্থা করতে হবে।
হুম,তাতো করতেই হবে।
বাবা,তাহলে তুমি একটা বাসা ঠিক করে দেও
আচ্ছা,এক কাজ করলে কেমন হয়।
কি কাজ বাবা?
আমাদের বাসায় তো তোরা মিলে-মিছে থাকতে পারিস।
হুম থাকতে পারি,কিন্তু?
আবার কিন্তু কি?
আশে-পাশের লোক কি বলবে।
কে কি বলল,সেইটা শুনে লাভ নাই।
কিন্তু বাবা।
দেখ,তোর উপর আমার বিশ্বাস আছে।তুই এমন কোন কাজ কখনও করবে না,যেটা আমার সম্মান হানি হয়।
হুম বাবা,তুমি আমার উপর আস্তা রাখতে পার,আমি এমন কোন কাজ কখনও করবো না।
তাহলে তুমি সান্তার সাথে কথা বলে দেখ,তোর সাথে এক বাসায় থাকতে তার কোন আপত্তি আছে কি না।আর নয়তো আমার অন্য বাসার ব্যবস্থা করতে হবে।
আচ্ছা বাবা,আমি সান্তার সাথে কথা বলে তোমাকে রাতে জানায়।
আচ্ছা।
তারপর গাড়ি নিয়ে সান্তার বাসায় চলে এলাম এবং সান্তাকে সব কিছু বললাম।
তোমার যদি কোন আপত্তি না থাকে।তাহলে আমারও আপত্তি নেই।
আচ্ছা তুমি যে আমার কথায়,আমার সাথে এক বাসায় থাকার জন্য রাজি হলে।পরে আমি যদি তোমার কোন ক্ষতি করি।
তুমি করবে আমার ক্ষতি।এই কথাটা আমাকে বিশ্বাস করতে হবে।আর কি এমন আছে আমার, যে তুমি আমার ক্ষতি করবে।
দেখ এতটা বিশ্বাস করো না আমাকে।আমি কিন্তু এতটাও ভাল মানুষ না।
হুম,আমি জানি।
কি জানো।
আপনি কেমন মানুষ।
তা কেমন মানুষ আমি?
তুমি খুবই খারাপ একটা মানুষ,যে নিজের বাসায় পেয়েও কিছু করনি।
তুমি এতটাই খারাপ যে,আমাকে রাস্তায় পরে থাকতে দেখে নিজের বাসায় নিয়ে গিয়েছিলে,আবার নিজের টাকা দিয়ে আমাকে চিকিৎসা করিয়েছো।
তুমি এতটায় খারাপ যে,সারা রাত জেগে থেকে আমার সেবা-জত্ন করেছ।
তুমি এতটায় খারাপ যে,আমার এক কথায় নেশা করা ছেড়ে দিয়ে নামাজ পড়তেছো।
তুমি এতটায় খারাপ যে,আমাকে পাপের রাস্তা থেকে ভাল রাস্তায় নিয়ে এসেছো।
তুমি এতটায় খারাপ যে,আমাকে নতুন জীবন সাঁজাতে আমার পাশে থেকে আমাকে সাহায্য করছো।
তুমি এতটায়,,,,,,
থাক,অনেক বলেছো,আর বলতে হবে না।এখন আমি বলি তুমি শুনো।
হুম বলো।
আমি যদি এখন বলি,আমি এত কিছু করছি,শুধু তোমাকে ভোগ করার জন্য।তাহলে,,,,,?
তুমি আমার সাথে এমন কিছুই করবা না।আমি তা জানি,
আমাকে এতটা বিশ্বাস করা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না তোমার।
ঠিক হচ্ছে কি হচ্ছে না,সেইটা সময়ই বলে দিবে।
আচ্ছা ধরো,আমি যদি তোমার সেই বিশ্বাসের অমর্যাদা করে তোমাকে ভুল করে নিজের চাহিদা মিটায়,তখন কি হবে।
কিছুই হবে না।
কেন?
দেখো,তুমি যদি আমাকে ভোগ করে খুশি হও।তাহলে পৃথিবীতে আমার চাইতে বেশি খুশি মনে হয় কেউ হবে না।
তুমি কেন এত খুশি হবে,আমি তো তোমার ক্ষতি করবো।
একটা কথা বলি তোমাকে,কখনও যদি তোমার জীবন বাঁচাতে আমার জীবনটাও দিতে হয়,তাও আমি দিতে এতটুকু পিছু হাটবো না।আর সেখানে,আমার শরীর তো কিছুই না।
হয়েছে-হয়েছে,বুঝতে পারছি,এই কথাটা বলায়,আমার বড় ভুল হয়েছে।এখন বাদ দাওতো,এখন কাজের কথায় আসি,আমাদের শুক্রবারে বেড়িয়ে যেতে হবে,বুঝোয়তো,বাসাটা একটু গুছাতে হবে।
হুম,আমিও সেটা ভাবছিলাম।
এখন কি কোথাও যাবে নাকি ঘুরতে।
হুম,চলো সিনেমা দেখে আসি।
ওকে চলো।
তুমি একটু দাঁড়াও,আমি রেডি হয়ে আসি।
তারপর সান্তাকে নিয়ে সুজা সিনেমা হলে,এমন সময় হটাৎ......
চলবে.......…
-----------------------------------
কলিজা দিতে হবে না।শুধু একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দাও।
তুমি চাকরি কেন করবা বাবা।আমিতো তোমাকে অনেক আগেই বলছি, আমার ব্যবসাটা দেখা-শুনা করতে।কয়েক দিন পরতো তোমাকেই অফিসটা সামলাতে হবে।
আগে আমার কথাটা শুনো বাবা।
হুম বল।
চাকরিটা আমার জন্য না।
তাহলে?
তারপর বাবা-মাকে সব কিছু খুলে বললাম সান্তার ব্যপারে।
এবং বাবাকে আরও জানালাম,সে আগে একটা অফিসে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতো,এবং চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছে,আর এখন কি করে,কিছুই লুকালাম না।
সবচেয়ে বড় কথা হল,এই কয়েক দিন সান্তা আমাদের বাসায়ই ছিল,কেন ছিল তাও বললাম।
আর আমার যে পরিবর্তন তোমরা দেখতেছো।এটা কিন্তু সান্তার জন্যই হয়েছে।
সবকিছু শুনার পর বাবা জানতে চাইলো,এখন আমি কি চাই।
বাবা,আমি চাই সান্তার একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দাও।আর তোমার যদি আপত্তি না থাকে,তাহলে আমাদের কোম্পানিতেই চাকরির ব্যবস্থা করে দাও।
(ও আপনাদের তো বলাই হয়নি,আমি মধ্যবিও পরিবারের ছেলে কিন্ত গল্পের ভিতরে আমি কোটিপতির ছেলে।।সেই হিসাবে আমাদের কয়েকটা গার্মেন্স ফ্যাক্টরি আছে।বাবা আমাকে অনেক অনুরোধ করেছে,একটা অফিস এর দ্বায়িত্ব নিতে।কিন্তু আমার প্রতিদিন অফিস করা ভাল লাগেনা।তার কিছু দিন পরে তো,একটা ভুল মানুষকে ভালবেসে নেশা করা শুরু করেছিলাম।তাই বাবা মা কেউ আমার সাথে ভাল -ভাবে কথাও বলতো না।)
যারা গল্প পরতে ভালোবাসেন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিন।।
এখন গল্পে আসি...
আচ্ছা,একটা কাজ করলে কেমন হয়।
বলো কি কাজ বাবা?
সাভারে আমাদের যে ফ্যাক্টরি টা আছে।
হুম তো।
ঐ ফ্যাক্টরি দ্বায়িত্বটা যদি আমি তোদের দু'জনকে দিয়ে দেয়।পারবে না তোমরা দুজন মিলে অফিসটা সামলাতে।
বাবা,এর মাঝে আমাকে কেন টানতেছো।তুমি তো জানো আমার এই অফিস করা ভাল লাগে না।
আমি তোমাকে এজন্যই টানতেছি,ঐ মেয়ের হাতে তো পুরো অফিসটা ছেড়ে দিতে পারি না।পরে যদি মেয়েটা কোন সমস্যা করে।তাই আমি চাই,অফিসের দ্বায়িত্ব তোমাদের দুজনের সমান থাকবে।কোন কিছু করতে গেলে তোমাদের দুজনের স্বাক্ষর থাকতে হবে।
ওকে বাবা।আর তোমাকে অনেক ধন্যবাদ বাবা।
আরে ধন্যবাদ দিতে হবে না।আমার তো আরও ভাল হল,আর আমার টেনশনটাও করতে হবে না,ঐ সাভারের অফিস নিয়ে।তা কবে থেকে জয়েন করতে পারবা তোমরা বাবা।
বাবা,আগে সান্তাকে এই খুশির খবরটাতো দিয়ে নেয়,আর জেনেও আসি কবে থেকে জয়েন করতে পারবে।
তারপর খাবার শেষ করে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম সান্তার বাসার উদ্দেশ্য।
সান্তা তো আমাকে দেখে অবাক।
হঠাৎ আপনি?
কেন আসতে পারি না।
হুম পারেন।
তাহলে?
না,আমাকে জানিয়ে আসবেন না একটু।
তোমার জন্য একটা খুশির খবর আছে।তাই না জানিয়ে চলে এলাম।
তাই নাকি,তা কি খুশির খবর একটু বলবেন?
না।তার আগে আমার একটা শর্ত আছে।
কি শর্ত।
আগে বল,আমার শর্তটা মেনে নিবে।
মানার মত হলে অবশ্যই মেনে নিব।
মানার মত শর্ত দিব তোমাকে।
ওকে মানবো,এখনতো বলেন।
আমি চাই এখন থেকে তুমি আমাকে আপনি করে না বলে,তুমি করে বলবে।
তুমি করে বললে খুশিতো।
হুম অনেক।
ওকে। এখন বলো খুশির খবরটা কি।
বাবাকে তোমার কথা বলেছি,আর একটা চাকরির কথাও বলেছি।
তারপর আংকেল কি বলল?
বাবা বলল,আমাদের সাভারে একটা
ফ্যাক্টরি আছে।আর বাবা চায়,আমরা দুজনে মিলে যেন ঐ অফিসটা সামলায়।
সত্যি বলতেছো?
হুম।
(সান্তা তো খুশিতে কান্না করতে শুরু করে দিল।)
এই তুমি কান্না করতেছো কেন?
আমি ভাবতেও পারিনি,আমি আবার নতুন করে জীবন সাঁজাতে পারবো।আমি না তোমার কাছে সারা জীবন মনে রাখবো।
মনে রাখতে হবে না।এখন বাবা জানতে চাইছে কবে থেকে অফিস জয়েন করতে পারবা।
ও,আচ্ছা শনিবার থেকে জয়েন করলে কেমন হয়।
খুব ভাল হয়।আচ্ছা এখন আমি আসি।
আরে না,একটু বসো কিছু মূখে দিয়ে যাও।
না,আসলে বাবা বাসায় বসে আছে।আর হ্যা বিকেলে তোমাকে নিয়ে একটু ঘরতে বের হব।
ওকে।
তারপর বাবাকে জানিয়ে দিলাম।কিন্তু বাবা,আমি না হয় আমাদের সাভারের বাসায় থাকতে পারবো,কিন্তু সান্তার জন্যতো একটা বাসা ব্যবস্থা করতে হবে।
হুম,তাতো করতেই হবে।
বাবা,তাহলে তুমি একটা বাসা ঠিক করে দেও
আচ্ছা,এক কাজ করলে কেমন হয়।
কি কাজ বাবা?
আমাদের বাসায় তো তোরা মিলে-মিছে থাকতে পারিস।
হুম থাকতে পারি,কিন্তু?
আবার কিন্তু কি?
আশে-পাশের লোক কি বলবে।
কে কি বলল,সেইটা শুনে লাভ নাই।
কিন্তু বাবা।
দেখ,তোর উপর আমার বিশ্বাস আছে।তুই এমন কোন কাজ কখনও করবে না,যেটা আমার সম্মান হানি হয়।
হুম বাবা,তুমি আমার উপর আস্তা রাখতে পার,আমি এমন কোন কাজ কখনও করবো না।
তাহলে তুমি সান্তার সাথে কথা বলে দেখ,তোর সাথে এক বাসায় থাকতে তার কোন আপত্তি আছে কি না।আর নয়তো আমার অন্য বাসার ব্যবস্থা করতে হবে।
আচ্ছা বাবা,আমি সান্তার সাথে কথা বলে তোমাকে রাতে জানায়।
আচ্ছা।
তারপর গাড়ি নিয়ে সান্তার বাসায় চলে এলাম এবং সান্তাকে সব কিছু বললাম।
তোমার যদি কোন আপত্তি না থাকে।তাহলে আমারও আপত্তি নেই।
আচ্ছা তুমি যে আমার কথায়,আমার সাথে এক বাসায় থাকার জন্য রাজি হলে।পরে আমি যদি তোমার কোন ক্ষতি করি।
তুমি করবে আমার ক্ষতি।এই কথাটা আমাকে বিশ্বাস করতে হবে।আর কি এমন আছে আমার, যে তুমি আমার ক্ষতি করবে।
দেখ এতটা বিশ্বাস করো না আমাকে।আমি কিন্তু এতটাও ভাল মানুষ না।
হুম,আমি জানি।
কি জানো।
আপনি কেমন মানুষ।
তা কেমন মানুষ আমি?
তুমি খুবই খারাপ একটা মানুষ,যে নিজের বাসায় পেয়েও কিছু করনি।
তুমি এতটাই খারাপ যে,আমাকে রাস্তায় পরে থাকতে দেখে নিজের বাসায় নিয়ে গিয়েছিলে,আবার নিজের টাকা দিয়ে আমাকে চিকিৎসা করিয়েছো।
তুমি এতটায় খারাপ যে,সারা রাত জেগে থেকে আমার সেবা-জত্ন করেছ।
তুমি এতটায় খারাপ যে,আমার এক কথায় নেশা করা ছেড়ে দিয়ে নামাজ পড়তেছো।
তুমি এতটায় খারাপ যে,আমাকে পাপের রাস্তা থেকে ভাল রাস্তায় নিয়ে এসেছো।
তুমি এতটায় খারাপ যে,আমাকে নতুন জীবন সাঁজাতে আমার পাশে থেকে আমাকে সাহায্য করছো।
তুমি এতটায়,,,,,,
থাক,অনেক বলেছো,আর বলতে হবে না।এখন আমি বলি তুমি শুনো।
হুম বলো।
আমি যদি এখন বলি,আমি এত কিছু করছি,শুধু তোমাকে ভোগ করার জন্য।তাহলে,,,,,?
তুমি আমার সাথে এমন কিছুই করবা না।আমি তা জানি,
আমাকে এতটা বিশ্বাস করা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না তোমার।
ঠিক হচ্ছে কি হচ্ছে না,সেইটা সময়ই বলে দিবে।
আচ্ছা ধরো,আমি যদি তোমার সেই বিশ্বাসের অমর্যাদা করে তোমাকে ভুল করে নিজের চাহিদা মিটায়,তখন কি হবে।
কিছুই হবে না।
কেন?
দেখো,তুমি যদি আমাকে ভোগ করে খুশি হও।তাহলে পৃথিবীতে আমার চাইতে বেশি খুশি মনে হয় কেউ হবে না।
তুমি কেন এত খুশি হবে,আমি তো তোমার ক্ষতি করবো।
একটা কথা বলি তোমাকে,কখনও যদি তোমার জীবন বাঁচাতে আমার জীবনটাও দিতে হয়,তাও আমি দিতে এতটুকু পিছু হাটবো না।আর সেখানে,আমার শরীর তো কিছুই না।
হয়েছে-হয়েছে,বুঝতে পারছি,এই কথাটা বলায়,আমার বড় ভুল হয়েছে।এখন বাদ দাওতো,এখন কাজের কথায় আসি,আমাদের শুক্রবারে বেড়িয়ে যেতে হবে,বুঝোয়তো,বাসাটা একটু গুছাতে হবে।
হুম,আমিও সেটা ভাবছিলাম।
এখন কি কোথাও যাবে নাকি ঘুরতে।
হুম,চলো সিনেমা দেখে আসি।
ওকে চলো।
তুমি একটু দাঁড়াও,আমি রেডি হয়ে আসি।
তারপর সান্তাকে নিয়ে সুজা সিনেমা হলে,এমন সময় হটাৎ......
চলবে.......…