05-07-2020, 01:09 PM
পর্ব-০৫
-----------------------------------
তাহলে তোমার এমন মনে হল কেন।
কারন,আপনিতো নিজের জীবনকেই ভালবাসেন না।তাহলে,আমি কি করে বিশ্বাস করবো,আপনি তারে ভালবাসেন।
অনেক বুঝেছো তুমি,আর বুঝতে হবে না।এখন তুমি কি কি চাও বল।
আমি চাই,আপনি নেশা করা ছেড়ে দেন।আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন।এছাড়া আর কিছুই চাইনা।
এই কাজ গুলো করলে তুমি খুশি তো।
হুম,অনেক অনেক খুশি হব,যা আপনাকে আমি বলে বুঝাতে পারবো না।
ওকে,তোমার কথা মেনে নিলাম।এবার হয়েছে।
হুম,
কিন্তু।
কিন্তু কি আবার?
শুধু আজকে রাতে একটু নেশাটা করতে দাও দয়া করে।আমি প্রমিস করছি,আজকের পর আর নেশা করবো না।আর নামাজও আগামিকাল থেকে পড়বো।
আচ্ছা ঠিক আছে।শুধু আজকেই কিন্তু।
হুম,
তারপর, রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।
ঘুমিয়ে আছি,এমন সময় মনে হল,কেউ আমার বুকে হাত রেখে,ডাকতেছে।আমি ভাবলাম,হয়তো আমি ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখতেছি।কিন্তু না,একটু পরে আবারও স্পর্শ পেলাম।তাই বাধ্য হয়ে চৌঁখের পাতাটা একটু মেলে ধরতে দেখতে পেলাম,সান্তা ডাকতেছে।
কি হয়েছে,এত রাতে কেন ডাকতেছো।
রাত মানে,নামাজ পরবেন না।
কয়টা বাজে?
রাত ৩ টা বাজে।
এত রাতে কেউ নামাজ পড়ে নাকি।
যেহেতু,জীরনটা নতুন করে সাজাবেন।তাই আমি চাই,তাহাজ্জুদ নামাজ দিয়েই শুরু করেন।আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান,আর আল্লাহর কাছে সাহায্য চান,যেন নতুন করে জীবনটা সাজাতে পারেন।
এই নামাজটা না পরলে হয় না দয়া করে।
যান,আপনার নামাজ পড়া লাগবো না।(কথাটা একটু রাগ দেখিয়ে বলল)
আচ্ছা,হয়েছে।আর রাগ করতে হবে না।আমি ফ্রেশ হয়ে ওযু করে আসতেছি,এবার খুশি।
হুম,অনেক।
তারপর ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে যেই আবার ঘুমাতে যাব,ঠিক তখনি বলল,আজকে রাতে আর ঘুমাবেন না।ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমাবেন।
(কি আর করার।মেনে নিতেই হবে।এছাড়াতো কোন উপাও নেই।)
তাহলে এত সময় আমি কি করবো।
তার আগে বলেন,বাসায় কি কোরআন শরীফ আছে।
হুম।
তাহলে নিয়ে আসেন।
ওকে।
তারপর সান্তা কোরআন তেলোয়াত করছে আর আমি পাশে বসে শুনতেছি।আমার খুব ভাল লাগছে।কেন যেন আমার মনে হচ্ছে সারা জীবন যদি এই ভাবে তেলোয়াত শুনতে পেতাম তাহলে খুব ভাল হত।
তারপর ফজরের নামাজ শেষ করে ঘুমিয়ে পরলাম।এই ভাবে কেঁটে গেল চারটা দিন।
এই চার দিনই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েছি।
সান্তাও এখন পুরো সুস্থ।তাই আজকে সান্তাকে বাসায় দিয়ে এসেছি।
এবং সান্তাকে বলে এসেছি।বাবা বাসায় ফিরে এলেই তোমার চাকরির ব্যবস্থা করে দিব।পরের দিন সকালে মা-বাবা বাসায় আসলেন।
দুপুরে মা যখন খাবার খাওয়ার জন্য ডাকলো।তখন আমি মাকে
বললাম আমি নামাজ পড়ে তারপর খেতে আসতেছি।মা তো অবাক।কিন্তু তখন কিছুই বলল না।শুধু বলল,ঠিক আছে।নামাজ শেষ করে যখন খাবার খেতে আসলাম,দেখি বাবা মা খাবার টেবিলে আমার জন্য বসে আছে।তারপর মা বলল,বাবা তোর শরীর ঠিক আছেতো।
হুম,কিন্তু কেন।
এতটা পরিবর্তন হয়েছেতো,তাই জানতে চাইলাম।
তারপর মা বাবাকে জানালাম আজ ৪ দিন ধরেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি।
তখন মা বাবা যে কতটা খুশি হয়েছে,তা আপনাদের বলে বুঝাতে পারবোনা।
তারপর মা বাবাকে উদ্দেশ্য করে বললাম,আরেকটা কাজ করেছি আমি,
কি কাজ বাবা,মা জনতে চাইলো।
আমি এখন আর কোন ধরনের নেশা করি না।
আমার কথাটা শুনে বাবা মা দুজনে কেঁদে দিলেন।
কি হল,কাঁদতেছ কেন তোমরা।
তখন বাবা বলল,খুশিতে কান্না করছিরে বাবা।আমার বুকে আয় বাবা একটু।
তারপর বাবা মা দুজনেই আমাকে জরিয়ে ধরে কান্না করছে।
বাবা আমাকে বলল,তুই আজকে আমার কাছে যা চাইবি,আমি তাই দেয়ার চেষ্টা করবো।
দেবেতো বাবা।
হুম,বল শুধু কি লাগবে,
পরে কিন্তু না করতে পারবা না।
ওকে।
আমি কিন্তু ছোট-খাটো কিছু চাইব না।
তুই যদি এখন আমার কলিজাটাও চাস,তাহলেও দিব।
কলিজা দিতে হবে না।শুধু একটা,,,,,,।
চলবে.........
-----------------------------------
তাহলে তোমার এমন মনে হল কেন।
কারন,আপনিতো নিজের জীবনকেই ভালবাসেন না।তাহলে,আমি কি করে বিশ্বাস করবো,আপনি তারে ভালবাসেন।
অনেক বুঝেছো তুমি,আর বুঝতে হবে না।এখন তুমি কি কি চাও বল।
আমি চাই,আপনি নেশা করা ছেড়ে দেন।আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন।এছাড়া আর কিছুই চাইনা।
এই কাজ গুলো করলে তুমি খুশি তো।
হুম,অনেক অনেক খুশি হব,যা আপনাকে আমি বলে বুঝাতে পারবো না।
ওকে,তোমার কথা মেনে নিলাম।এবার হয়েছে।
হুম,
কিন্তু।
কিন্তু কি আবার?
শুধু আজকে রাতে একটু নেশাটা করতে দাও দয়া করে।আমি প্রমিস করছি,আজকের পর আর নেশা করবো না।আর নামাজও আগামিকাল থেকে পড়বো।
আচ্ছা ঠিক আছে।শুধু আজকেই কিন্তু।
হুম,
তারপর, রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।
ঘুমিয়ে আছি,এমন সময় মনে হল,কেউ আমার বুকে হাত রেখে,ডাকতেছে।আমি ভাবলাম,হয়তো আমি ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখতেছি।কিন্তু না,একটু পরে আবারও স্পর্শ পেলাম।তাই বাধ্য হয়ে চৌঁখের পাতাটা একটু মেলে ধরতে দেখতে পেলাম,সান্তা ডাকতেছে।
কি হয়েছে,এত রাতে কেন ডাকতেছো।
রাত মানে,নামাজ পরবেন না।
কয়টা বাজে?
রাত ৩ টা বাজে।
এত রাতে কেউ নামাজ পড়ে নাকি।
যেহেতু,জীরনটা নতুন করে সাজাবেন।তাই আমি চাই,তাহাজ্জুদ নামাজ দিয়েই শুরু করেন।আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান,আর আল্লাহর কাছে সাহায্য চান,যেন নতুন করে জীবনটা সাজাতে পারেন।
এই নামাজটা না পরলে হয় না দয়া করে।
যান,আপনার নামাজ পড়া লাগবো না।(কথাটা একটু রাগ দেখিয়ে বলল)
আচ্ছা,হয়েছে।আর রাগ করতে হবে না।আমি ফ্রেশ হয়ে ওযু করে আসতেছি,এবার খুশি।
হুম,অনেক।
তারপর ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে যেই আবার ঘুমাতে যাব,ঠিক তখনি বলল,আজকে রাতে আর ঘুমাবেন না।ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমাবেন।
(কি আর করার।মেনে নিতেই হবে।এছাড়াতো কোন উপাও নেই।)
তাহলে এত সময় আমি কি করবো।
তার আগে বলেন,বাসায় কি কোরআন শরীফ আছে।
হুম।
তাহলে নিয়ে আসেন।
ওকে।
তারপর সান্তা কোরআন তেলোয়াত করছে আর আমি পাশে বসে শুনতেছি।আমার খুব ভাল লাগছে।কেন যেন আমার মনে হচ্ছে সারা জীবন যদি এই ভাবে তেলোয়াত শুনতে পেতাম তাহলে খুব ভাল হত।
তারপর ফজরের নামাজ শেষ করে ঘুমিয়ে পরলাম।এই ভাবে কেঁটে গেল চারটা দিন।
এই চার দিনই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েছি।
সান্তাও এখন পুরো সুস্থ।তাই আজকে সান্তাকে বাসায় দিয়ে এসেছি।
এবং সান্তাকে বলে এসেছি।বাবা বাসায় ফিরে এলেই তোমার চাকরির ব্যবস্থা করে দিব।পরের দিন সকালে মা-বাবা বাসায় আসলেন।
দুপুরে মা যখন খাবার খাওয়ার জন্য ডাকলো।তখন আমি মাকে
বললাম আমি নামাজ পড়ে তারপর খেতে আসতেছি।মা তো অবাক।কিন্তু তখন কিছুই বলল না।শুধু বলল,ঠিক আছে।নামাজ শেষ করে যখন খাবার খেতে আসলাম,দেখি বাবা মা খাবার টেবিলে আমার জন্য বসে আছে।তারপর মা বলল,বাবা তোর শরীর ঠিক আছেতো।
হুম,কিন্তু কেন।
এতটা পরিবর্তন হয়েছেতো,তাই জানতে চাইলাম।
তারপর মা বাবাকে জানালাম আজ ৪ দিন ধরেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি।
তখন মা বাবা যে কতটা খুশি হয়েছে,তা আপনাদের বলে বুঝাতে পারবোনা।
তারপর মা বাবাকে উদ্দেশ্য করে বললাম,আরেকটা কাজ করেছি আমি,
কি কাজ বাবা,মা জনতে চাইলো।
আমি এখন আর কোন ধরনের নেশা করি না।
আমার কথাটা শুনে বাবা মা দুজনে কেঁদে দিলেন।
কি হল,কাঁদতেছ কেন তোমরা।
তখন বাবা বলল,খুশিতে কান্না করছিরে বাবা।আমার বুকে আয় বাবা একটু।
তারপর বাবা মা দুজনেই আমাকে জরিয়ে ধরে কান্না করছে।
বাবা আমাকে বলল,তুই আজকে আমার কাছে যা চাইবি,আমি তাই দেয়ার চেষ্টা করবো।
দেবেতো বাবা।
হুম,বল শুধু কি লাগবে,
পরে কিন্তু না করতে পারবা না।
ওকে।
আমি কিন্তু ছোট-খাটো কিছু চাইব না।
তুই যদি এখন আমার কলিজাটাও চাস,তাহলেও দিব।
কলিজা দিতে হবে না।শুধু একটা,,,,,,।
চলবে.........