05-07-2020, 02:32 AM
এতদিন ধরে আমি আপনাদের নতুন নতুন গল্প উপহার দিয়েছি আর আপনারাও সেই সব কটি গল্পকে ভালোবেসে এসেছেন, সাপোর্ট করে এসেছেন. তাই এবারে ভাবলাম নিজের ঘরানা থেকে বেরিয়ে অন্যরকম গল্প উপহার দি আপনাদেরকে. যে গল্পে আমার আগের গল্পের কোনো ছোঁয়া থাকবেনা. শুধু থাকবে ভালোবাসা.
তোমাতে আমাতে দেখা হয়েছিল... জানিনা কবে কোথায়
মন দেওয়া নেয়ার খেলা হয়েছিল.... জানিনা কবে কোথায়
কানে হেডফোন লাগিয়ে গানটা শুনছিলো অভিষেক আর এদিক ওদিক দেখছিলো. গানটা ওর খুব ভালো লাগে. গানটা শেষ হলে আর থাকতে না পেরে এগিয়ে গেলো ঝিলমিলের দিকে. মেয়েটা তখন থেকে একটার পর একটা ড্রেস দেখেই যাচ্ছে.
অভি :কিরে? কোনটা পছন্দ হলো?
ঝিলমিল :দাঁড়া না দাদা.... ওতো তাড়া কিসের তোর? একটুও পেসেনস নেই তোর. এইজন্যই বাবার কাছে এত বকা খাস.
অভি : ঝিলমিল... মার খাবি কিনতু.... চুপচাপ নিজের কাজ কর. আর বাবা মাকেও বলিহারি...... বাবার প্রিয় বন্ধুর মেয়ের এনগেজমেন্ট...আর আশীর্বাদ . তাতে আমি গিয়ে কি করবো ভাই? বিয়ে তো নয়..... যাওনা.. তিনজনে মিলে ঘুরে এসো. আমিও ফাঁকা বাড়িতে বন্ধুদের নিয়ে একদিন পার্টি করি. তা না..... বাবু তোকেও যেতেই হবে. নইলে রঞ্জিত কাকু খুব মাইন্ড করবে.
ঝিলমিল : বাবার একমাত্র বন্ধু, বেস্ট ফ্রেন্ডের মেয়ের এনগেজমেন্ট বলে কথা. আমরা না গেলে চলে? তুই কিরে দাদা? বাবার নামে নালিশ করছিস? দাঁড়া বাবাকে বলবো তোমার ছেলে যেতে চাইছেনা.
অভি : উমমম....বাবা কে বলে দেবো...... বাবার চামচি একটা. নিজের কাজ কর. আমি দেখি ঐদিকে কিছু ভালো শার্ট পাই কিনা.
অভিষেক এসেছে বোন ঝিলমিলের সাথে একটা খুব নামি শপিং মলে ড্রেস কিনতে. অভিষেক এই তিনমাস হলো ওর বাবার সাথে বিসনেস জয়েন করেছে. ওরা খুবই বড়োলোক. কিন্ত টাকার অহংকার ওদের মধ্যেই একটুও নেই. ছোটবেলা থেকেই বাবা দুজনকেই শিখিয়েছেন ভালো মানুষ হতে. আর ছেলেও বড়োলোক হবার সুবিধা বা ফায়দা নেয়নি কখনো. এমনিতে ও খুবই স্মার্ট কিন্তু শান্ত স্বভাবের ছেলে. যদিও নিজের বন্ধুদের কাছে ওই শান্ত ব্যাপারটা আর থাকে না. তখন সে উদ্দম. তবে জীবনে কোনোদিন কোনো নেশা করেনি. বন্ধুরা চেষ্টা করেও পারেনি ওকে দিয়ে ওসব করাতে.
মায়ের আদরের ছেলে. যদিও বাবার কাছে বকা খায় মাঝে মাঝে কিন্তু মা বাবাকেই উল্টে বকে চুপ করিয়ে দেয়. ওদিকে বাবার আদুরী হলো ঝিলমিল. বাবা তো প্রায় বলে ছেলেকে : দেখ দেখ... বোনকে দেখে শেখ.... আমার কত খেয়াল রাখে. কত ইন্টেলিজেন্ট. আর তুই গাধা একটা. যদিও স্ত্রীয়ের রাগী মুখ দেখে আর কিছু বলার সাহস থাকেনা. কলেজে লেখাপড়ায় বেশ ভালোই ছিল. যদিও ও ভেবেছিলো ইন্ডেপেন্ডেন্টলি কিছু করবে কিন্তু বাবার কথার ওপর আর কথা বলতে পারেনি. এই কয়েক মাসেই ও সব বুঝে নিয়েছে. বাবাও মনে মনে নিজের ছেলের ওপর গর্বিত, খুবই ভালোবাসে ছেলেকে কিন্তু সেটা বাইরে প্রকাশ করতে দেয়না.
কয়েকদিন পরেই অরিন্দম বাবুর বন্ধু রঞ্জিত বাবুর মেয়ের এনগেজমেন্ট. দুজনেই প্রাণের বন্ধু. ছোটবেলা একসাথেই কেটেছে দুই বন্ধুর. পরে কর্মসূত্রে ওরা দুর্গাপুর চলে যান. তবে ফোনের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতো দুই বন্ধু. আজকের সমাজের স্বার্থপর বন্ধুত্ব নয়, সত্যিকারের বন্ধু ওরা. তাই রঞ্জিত বাবু প্রায় আদেশের মতো করে বলেছেন আসতেই হবে. তাই অভিষেকের মা আগেভাগেই ছেলে মেয়েকে নতুন ড্রেস কিনতে পাঠিয়ে দিয়েছেন.
বোনকে বকা দিয়ে অভিষেক জেন্টস সেকশনের দিকে যাচ্ছে. খুব বেশি ভিড় নেই. তবে মোটামুটি ভালোই. আর সেই ভিড়ের মাঝেই দেখতে পেলো তাকে. হ্যা..... সেই তাকে যাকে এতদিন কল্পনা করে এসেছে অভি. যেন কল্পনা বাস্তব হয়ে ওর সামনে দাঁড়িয়ে. সব পুরুষ একসময় এমনি রূপের অধিকারিনী কে কল্পনা করে থাকে নিজের সারাজীবনের সঙ্গী করার জন্য. কি অসাধারণ রূপ ! সাদা ও সোনালী রঙে মেশানো সালোয়ার কামিজ আর গলায় জড়ানো ওই সাদা ওড়না, ফর্সা হাতে সবুজ চুরি...চোখে কাজল, হালকা লিপস্টিক, উফফফফ অসাধারণ লাগছে.
কে এ? কে এই অপ্সরা? বেশ ভালোই লম্বা মেয়েটা. সচরাচর এমন লম্বা মেয়ে খুব একটা দেখা যায়না. মেয়ে হিসেবে অনেকটাই লম্বা. ওই ভিড়ের মধ্যেই ওর মাথাটাই সবথেকে লম্বা.
হঠাৎ একটা মিষ্টি হাসি দিলো ও. সেই হাসি দেখে তো আমাদের অভি বাবুর বুকের বাঁ দিকে ধুকপুকানি তিনগুন বেড়ে যাবার জোগাড়. কিন্তু একি ! সঙ্গে যে একটা ছেলে ! বেশ ভালোই দেখতে ছেলেটাকে. মেয়েটা একটা পাঞ্জাবী সিলেক্ট করে ছেলেটার গায়ে রেখে দেখতে লাগলো.
নিশ্চই বয়ফ্রেইন্ড..... ধুর ছাই ! এই সুন্দরী মেয়েগুলোর কি বয়ফ্রেইন্ড থাকতেই হবে? মনটা খারাপ হয়ে গেলো অভিষেকের. যাকে এতটা ভালো লাগলো এক পলকে তার কিনা বয়ফ্রেইন্ড আছে অলরেডি. যাইহোক......এগিয়ে গিয়ে নিজের মতো একটা একটা পাঞ্জাবী দেখতে লাগলো ও.
একটা নীল রঙের পাঞ্জাবী পছন্দও হলো. হাত বাড়িয়ে ওটা হুক থেকে তুলেও নিচ্ছে এমন সময় হঠাৎ একটা নরম ওর হাতের সাথে স্পর্শ করলো. পাশে তাকিয়ে দেখলো সেই মেয়েটি ওই পাঞ্জাবিটা তুলে ওর দিকে তাকিয়ে হাসলো আর বিব্রত মুখে জিজ্ঞেস করলো - ওহ সরি... আপনি কি এটা নিতে যাচ্ছিলেন?
কি মিষ্টি গলা.... জবাব দিতে কয়েক সেকেন্ড লাগলো অভিষেকের.
অভি : না.. না... its ok....আপনি দেখুন.
মেয়েটি থাঙ্কস বলে সেটা ওই ছেলেটাকে দেখালো. অভিষেক আবার মুখ ঘুরিয়ে নিলো. নিজের বয়ফ্রেন্ডের জন্য নিচ্ছে. ধুর..... অমন সুন্দর পাঞ্জাবী ওই বাঁদরটাকে একটুও মানাবেনা. অভিষেক এইসব ভাবছে এমন সময় পেছন থেকে শুনলো সেই মেয়েটি বলছে : ভাই.. এটা দেখ..... দারুন মানাবে তোকে. অভিষেক তৎক্ষণাৎ ঘুরে তাকালো..... ছেলেটি তখন বললো : দিদি......এই রঙটা ঠিক মানাচ্ছেনা. অন্য কিছু দেখ.
মানে !! এই ছেলেটা মেয়েটার ইয়ে নয়... ভাই !!
উড়ি বাবা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে.. মনটা তরাং করে নাচে লাগলো অভি বাবুর.
মেয়েটি বললো : দারুন লাগছে বাবু তোকে. তুই দেখ একবার. আচ্ছা আপনি বলুন ওকে দারুন লাগছে না?
এইরে ! প্রশ্নটা করা হয়েছে অভিষেক কে. কি বলবে ও? একটু আগে এনাকে মনে মনে বাঁদর বলিয়া গাল দিয়েছিলেন এখন এই প্রশ্নের কি জবাব দিবেন অভি বাবু?
তবুও নিজেকে সামলে হেসে স্মার্টলি জবাব দিলো : বাহ্..... দারুন লাগছে আপনাকে. বিলিভ মি... এটা পড়লে আপনাকে দারুন মানাবে. আপনার দিদির চয়েস খুবই ভালো.
মেয়েটি : দেখলি... তোকে বলেছিলাম. থ্যাংক্স.
আবার সেই মিষ্টি হাসি. অভির বুকে গিয়ে ধাক্কা মারলো হাসিটা. তবুও জবাব দিলো u are welc.........
কথাটা পুরো শেষ হলোনা. তার আগেই দাদা..... এই দাদা কোথায় তুই?
ঝিলমিলের ডাক.
উফফফফ..... আর ডাকার সময় পেলোনা মেয়েটা? অভি না চাইতেও এগিয়ে গেলো ওর কাছে.
অভি : কিরে? অমন ভুতের মতো চেঁচাচ্ছিস কেন?
ঝিলমিল : মায়ের ফোন..... ধর... তোরটাতে করেছিল.. কিন্তু বেজে বেজে কেটে গেলো. কোথায় ছিলি? এইজন্যই বাবার কাছে.......
অভি : চুপ কর...... বাবার চামচি....দে.... হ্যা মা বলো. হ্যা? আরে আমারটা সাইলেন্ট ছিল গো. হ্যা...... তোমাদের রাজকুমারী তো সে তখন থেকেই সিলেক্ট করেই চলেছে. মনে হচ্ছে দোকানের সব কিনে তবে থামবেন উনি. ফিরবো একটু পরে. আর রাতে কিছু রান্না কোরোনা...... আমি ফেরার সময় বিরিয়ানি কিনে নেবো. আচ্ছা..... আচ্ছা.... না না একটু পরেই ফিরবো. বোনের হয়ে গেলে আমার একটা পাঞ্জাবী দেখেই ফিরবো. উফফফফফ আচ্ছা নীল রঙেরই কিনবো. আচ্ছা রাখি. এইযে রাজকুমারী.... কিছু সিলেক্ট করেছিস?
ঝিলমিল : হ্যা... এটা. কেমন মানাবে বলতো?
অভি : খুব সুন্দর.
ঝিলমিল : থ্যাংক উ দাদা...
অভি : তোকে না... তোকে বাদ দিয়ে যেই পড়ুক তাকে.
ঝিলমিল : দাদা... মারবো কিন্তু.
অভি : নে চল চল.... এটা নিয়ে... মা আবার নীল রঙের পাঞ্জাবী নিতে বললো. কি ঝামেলা. চল ওদিকে. একটা সিলেক্ট করেও ছিলাম কিন্তু......
ঝিলমিল : কিন্তু কি দাদা?
অভি : হুমম.... না কিছুনা চল.
পাঞ্জাবী সেকশানে পৌঁছে দেখলো ভিড় আগের মতোই আছে কিন্তু ভিড়ের মাঝে সেই মুখটা আর নেই. কোথায় গেলো? চলে গেলো?
এদিক ওদিক ঘুরে দেখলো অভি. না....... সে কোথাও নেই. তারমানে মায়ের যখন ফোন এলো তখনি....... ধুর ছাই... লাকটাই খারাপ. এমন একজনকে পেয়েও হারালাম?
কিরে দাদা? কি খুজছিস তখন থেকে? কিছু ফেলে দিলি নাকি? এইজন্যই বাবা তোকে... .
অভি : মার খেতে না চাইলে চুপচাপ থাক. ধুর কোথায় গেলো?
ঝিলমিল : আরে কে কোথায় গেলো?
অভি : তোর বৌদি
ঝিলমিল : আমার কে? !
অভি : কেউনা... চুপ....চল.... পাঞ্জাবী দেখি.
অভিষেক নিজেকে সামলে পাঞ্জাবী খুঁজতে লাগলো. শেষমেশ নীল রঙের একটা পাঞ্জামী সিলেক্ট করে নিলো. ট্রাই করে চেক করে নিলো. বেশ মানিয়েছে ওর সাথে. সব কাজ সেরে ওরা দোকান থেকে বেরিয়ে এলো. গাড়ির কাছে যাচ্ছিলো অভিষেক. ঝিলমিল ওকে থামিয়ে দিলো.
ঝিলমিল : এই দাদা দাঁড়া..... আগে কিনবি তো?
অভি : আবার কি কিনবো?
ঝিলমিল : ভুলে গেলি?
অভি : কি?
ঝিলমিল : ওই যেটা কিনে নিয়ে যাবি বললি
অভি : আরে ঘোড়ারডিম বলনা কি কিনব?
ঝিলমিল : আরে বিরিয়ানী কিনবি বলেছিলি তো. নিজে বলে নিজেই ভুলে গেলি? এই জন্যই বাবা তোকে... আহহহহহ্হঃ
কান মুলে দিলো অভিষেক ঝিলমিলের.
অভি : বেশি জ্ঞান দিওনা.... বাবার চামচি. চল
খাবার কিনে ফিরে এলো ওরা. রাতে খেতে খেতে অভির সামনে বার বার ওই অপরূপ মুখটা ভেসে উঠছিলো. বার বার খেতে ওই মেয়েটার হাসি মুখ ভেসে উঠছে ওর সামনে.
কিরে? অমন দাঁত বার করে হাসছিস কেন? পাগল হলি নাকি?
বাবার কড়া গলার আওয়াজে সম্বিৎ ফিরে পেলো অভি.
অভি : হ্যা? না না কিছুনা .
ঝিলমিল : বাবা......দাদা ওই মলেও কিসব আজব বিহেভ করছিলো... ডাক্তার দেখাও তোমার ছেলেকে.
অভি ক্ষেপে গিয়ে : তবেরে..... দাদাকে পাগল বলা ! দেবো কামড়ে? পাগল কামড়ালে কটা ইনজেকশন নিতে হয় বলতো?
মা : আহহহহহ্হঃ !! হচ্ছে কি ! চুপচাপ খাও সবাই. কাল বাদ পরশু আমাদের বেরোতে হবে. সে খেয়াল আছে? ওখানে গিয়েও কি তোরা এমন পাগলামি করবি?
বাবা : যা বলেছো... বোঝাও ছেলেকে বোঝাও.
মা : দুটোকেই বলছি..... তোমাদের বাবার বন্ধুর মেয়ের এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠান. ওখানে গিয়ে যেন কোনো গন্ডগোল কোরোনা. তোমরা দুজন যা জিনিস......শুধু শরীরেই বড়ো হয়েছো.... আসলে এখনও ছোট.
অভিষেক : মা তোমার মেয়েকে বোঝাও. খালি.......
মা : দুজনকেই বলছি.
অভিষেক : মা..... আমার না গেলে হয়না. মানে.......
বাবা : আজ্ঞে না সোনা...... আমার একমাত্র বন্ধুর বাড়িতে অনুষ্ঠান, ওর জন্য কত বড়ো দিন. তাছাড়া ওর পরিবারের কেই সেইভাবে আসবেনা. ওদের নিজেদের কিছু প্রবলেম আছে. আমাকে ওর পাশে থাকতে বলেছে. সবাইকে নিয়ে যেতে বলেছে... আর আমরা সবাই যাবোনা? ও কি মনে করবে বল তো? তাছাড়া.......
বাবার কোথা শেষ হবার আগেই বাবার ফোন বেজে উঠলো. বাবা স্ক্রিনে নাম দেখেই হেসে উঠলো.
বাবা : আরে ! What a surprise !!
মা : কি হলো?
বাবা : আরে রঞ্জিতের নাম নিলাম আর ওরই ফোন. হ্যালো? আরে এইমাত্র তোরই কোথা হচ্ছিলো. অনেকদিন জ্বালাবি আরও.. হা.. হা... হা ...... আরে তুই এইজন্য ফোন করলি? তুই আমায় চিনিসনা? আমি একবার বলেছি যখন আসবো তখন পরিবার সহ এসে হাজির হবো. হ্যা... হ্যা.... একদিন আগেই চলে আসবো. আমার বেস্টফ্রেন্ডের মেয়ের এনগেজমেন্ট বলে কথা. সেওতো আমার মেয়ের মতোই. কিন্তু তাকে তো দেখলামই না সামনাসামনি. সেইবার তুই আমাদের বাড়িতে নিয়ে এসেছিলি তাও একা..... তারপরে আর আসার সময় পেলিনা গাধা? হা... হ্যা .......আর বলিসনা... আমারো কাজের চাপ... ছেলেও এবারে জয়েন করলো আমায়.
তোর তো তাও একটা চাপ কমলো. আমার তো আবার দু দুটো. এবারে আমাকেও তো এই ব্যাপারে ভাবতে হবে. তোদের কাজ মিটলে এবারে কিছুদিন পর তোদের আমরা ডেকে পাঠাবো. পরশু আমরা যাচ্ছি তোর ওখানে কিছুদিন পর হয়তো তোরা আসবি আমার এখানে হা হা হা
এই সেরেছে ! বাবা এবারে আমাকে নিয়ে পড়লো রে ! অভিষেক মাকে ইশারায় বললো বাবাকে এসব নিয়ে কোথা না বলতে কিন্তু মা মুচকি হেসে দিলো. তারমানে মাও বাবার দলে. আরে ভাই এই কচি বয়সে বিয়ে দিয়ে দেবে ছেলেটার? একদিকে বাবার চোখে রাঙানি, আরেকদিকে বোনের শয়তানি মাঝে খালি মায়ের আদর ছিল এবারে সেটাও বন্ধ হয়ে যাবে আরেকজন আসলে.
কিন্তু বাবাকে কে বোঝাবে? মাও তো এখন বাবার দলে. অভিষেক মনে মনে ভাবলো গেলাম তাহলে. স্বাধীনতার জীবন এবারে শেষ হবে
চলবে.....