Thread Rating:
  • 12 Vote(s) - 3.08 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Romance নতুন জীবন
#2
এটি একটি কাল্পনিক ঘটনা। কারো সাথে যদি কাকতালীয় ভাবে মিলে যায় তাহলে এতে আমার কোন দায়দায়িত্ব নাই। আমি আমার কল্পনা থেকে এটি লিখলাম। তাহলে শুরু করা যাক।


আমার নাম সায়ান(২৫)। বাবা মার ছোট সন্তান, আমার বড় এক ভাই আছে।সে বিবাহিত ও তার ২ টি সন্তান। একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। মেয়ের নাম সায়মা(৭) আর ছেলের নাম মাহিন(৩)। ভাইয়া আর আমি ২ জনই প্রাইভেট কোম্পানি তে জব করি। আমি জব করতেসি ২ বছর এর মতো হবে। আমার বাবা মা ও এখনো কর্মজীবী। আম্মু একটি সরকারী কলেজ এর লেকচারার। আর আব্বু ঔষধ এর দোকান চালায়। আমাদের ভালোই দিন যাচ্ছিলো। আম্মু আমার জন্য মেয়ে খুজতেছিল বিয়ে করাবে।

কয়েক বছর আগে, আমার এক খালাতো বোন আমাদের বাসায় থেকে পড়াশুনা করতো। তানিয়া আপু আমার থেকে ৩ বছর এর বড় ছিল। আমি যখন SSC পাস করে ইন্টার এ ভর্তি হলাম তখন তানিয়া আপু আমাদের বাসায় আসলো পড়াশুনা করতে। আপু তখন অনার্স এ ভর্তি হয়েছে তিতুমির কলেজ এ। আপু দেখতে যথেষ্ট সুন্দর এবং ফিগার ও ভালো। আপুর সাথে আমার খুব ভালোই সম্পর্ক ছিল। এবং ভাবীর সাথে ও খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। আমাদের সাথে অনেক কিছু শেয়ার করতো আপু। এবং আমরা ও শেয়ার করতাম। আপু সুন্দর ঠিকই ছিল কিন্তু কারো সাথে প্রেম করতনা। বা বলা যায় কাউকে পাত্তাই দিতো না। আপু পড়াশুনা নিয়েই বেশি ব্যাস্ত থাকতো। তো এই ভাবেই যাচ্ছিলো, আপু অনার্স কমপ্লিট করে আবার তাদের বাড়ি চলে গেলো। আমি তখন একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বর্ষে পড়ি। আপুর প্রতি কখনই আমার শারীরিক আকর্ষণ ছিল না। সব সময় আপুর নজরই দেখতাম। কারণ আমার আপন কোন বড় বোন ছিল না। আর আমার বড় ভাতিজি সায়মা তানিয়া আপুকে খুব পছন্দ করতো। আপুর সাথে কয়েকদিন এর জন্য ঘুরতে আপুদের বাসায় ও চলে যেত ওর আম্মুকে ছারা।

সবার দিন কাল ভালোই যাচ্ছিল, আমরা ঢাকায় ভালো ভাবেই ছিলাম। আপু এখন অনার্স শেষ করে তার গ্রামের একটি হাই কলেজে শিক্ষকতা করছে।

এইবার ঠিক হলও আমরা ঈদ এ গ্রামের বাড়ি যাবো ঈদ করতে। সবাই রাজি, ঈদের ৩ দিন আগে আমরা একটি গাড়ি ভাড়া করলাম গ্রামে জাওয়ার জন্য। যাতে সবাই একসাথে আরামে বাড়ি যাইতে পারি। কোন ভিড় বাট্টা জেনো সহ্য করতে না হয়। কারণ ঈদ এর সময় সব সময় রাস্তা ঘাটে প্রচুর ভিড় হয়। তো যেদিন রওনা দিবো সেদিন হটাত করে আমার অফিস থেকে খবর এলো আমার একটু অফিসে যেতে হবে হিসাব এ একটা ভুল হইছে, ওইটা ঠিক করে দিতে হবে না হয় অনেকের ঈদ বোনাস আটকা পরে যাবে। তখন কি আর করার সবাই কে গাড়ি তে চলে যেতে বললাম আর আমি অফিস করে একা পরে চলে যাবো। আমি একা ছেলে মানুষ আমার যেতে খুব একটা প্রবলেম হবে না। বাসার সবাই বলল আচ্ছা ঠিক আছে আমরা চলে যাই তুই পরে অফিস শেষ করে আয়। আমাদের গ্রামের বাড়ি ঢাকা থেকে কাছেই ছিল। আমি তাদের বিদায় দিয়ে অফিস এ চলে গেলাম। অফিস এর কাজ প্রায় শেষের দিকে এমন সময় আমার মোবাইল এ হটাত একটি অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসলো। সচারচর আমি অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসলে আমি খুব কম ধরি। তো সেদিন কি মনে করে যেন ধরলাম। তো ধরার পর আমি হ্যালো বলেই জিজ্ঞাস করলাম "কে বলতেছেন?” ওপাশ থেকে বলল " আমাকে আপনি চিনবেন না। আমি তানভীর। আপনি কি সায়ান?” আমি বললাম "হ্যাঁ আমি সায়ান বলতেছি।" তখন ওপাশ থেকে বলল " আপনার নাম্বার টা একটা মোবাইল থেকে পাইছি, মোবাইল টা যে গাড়ি তে ছিল ওই গাড়ি টা এক্সিডেন্ট করেছে। সবার অবস্থাই আশংকা জনক, সবাইকে ঢাকা মেডিকেল এ নেওয়া হয়েছে। আপনি দ্রুত ঢাকা মেডিকেল আসুন।" এই কথা শুনে তো আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। কারণ সকালেই আমি আমার পরিবারের সবাইকে গাড়ি করে দিয়ে এসে অফিস এ আসলাম আর এখন এই খবর। আমি আবার জিজ্ঞাস করলাম গাড়ি কথায় এক্সিডেন্ট করছে আর গাড়িতে কয়জন ছিল? তানভীর সাহেব বলল গাড়ি দোহার রোড এ এক্সিডেন্ট করছে আর গাড়িতে সর্বমোট ৭জন ছিল। তার মধ্যে ২ টা বাচ্চা ছিল একটি মেয়ে ও একটি ছেলে। আমি এটা শুনেই বুঝে গেলাম এ আমার পরিবার। তখন আমি বললাম আমি এখনই ঢাকা মেডিকেল আসতেছি। আমি তখন আমার অফিসের বস কে ঘটনা বললাম। বস বলল তাড়াতাড়ি চলো, আমিও যাবো তোমার সাথে আমার গাড়ি নিয়েই চলো। বস তখন অফিস এর বাকি দের হাল্কা করে ঘটনা বলে আমাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল এর দিকে রওনা দিলাম। যেতে যেতে আমার মামাকে আর ফুফুর বাড়িতে ফোন করে এক্সিডেন্ট এর কথা যানায় দিলাম। তারা ঢাকায়ই থাকে। তারা খবর শোনার সাথে সাথে আমার ২ ফুফাতো ভাই আর মামা ঢাকা মেডিকেল এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিছে। ৩০ মিনিট এর মদ্ধে আমি বস এর গাড়িতে করে ঢাকা মেডিকেল পৌছায় গেলাম। গিয়ে দেখি আমার পরিবারের সবার অবস্থাই খারাপ সুধু আমার ভাতিজি সায়মার অবস্থা বাকিদের থেকে ভালো। সায়মা আশংকা মুক্ত আর গাড়ির ড্রাইভার স্পটই মারা গেছে। ওইখানে তানভীর সাহেব এর সাথে দেখা হলও, উনি বলল যখন এক্সিডেন্ট হয় তখন উনি স্পটই ছিল। একটি বাস এর সাথে মুখোমুখি ধাক্কা লেগে এক্সিডেন্ট হয়। বাস এর কেউ মারা যায় নাই। কম বেশি আহত হয়েছে। আর বাস এর ড্রাইভার ও হ্যাল্পার ২ জনই এক্সিডেন্ট হইয়ার সাথে সাথেই পালাইছে। তানভীর ভাই এর সাথে যখন এক্সিডেন্ট এর ডিটেইলস শুনতে ছিলাম তখনই খবর আসলো বাবা মারা গেছে। বাবার ওইখানে যাচ্ছি তখনই আমার মামা এসে হসপিটাল এ উপস্থিত। মামা কে নিয়ে বাবার ওইখানে গেলাম দেখি খুব বাঝে ভাবেই এক্সিডেন্ট হইছে বাবার হাত ও মুখে অনেক কাটার চিহ্ন। তার ইক্টু পরে খবর আসলো ভাবী আর ভাতিজা মাহিন ও মারা গেছে। এই খবর গুলা আসে আর আমার দুনিয়া যেন অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। এক সময় আমি ওইখানেই অজ্ঞান হয়ে গেলাম। যখন আমার সেন্স ফিরল তখন দেখি আমার পাসে আমার ফুফাতো ভাই রাফি দারিয়ে আছে। তখন রাফি ভাই বলল ভাইয়া ও আর নাই। সুধু আম্মা আছে কিন্তু অবস্থা খুবি আশংকা জনক। রাফি ভাই কথা শেষ করতে না করতে খবর আসলো আম্মু ও আমাকে ছেরে চলে গেছে। আমার দুনিয়া তখন অন্ধকার হয়ে গেলো। আমি তখন উঠে কোনও মতে সায়মার কাছে গেলাম আর সায়মা কে ধরে কান্না করতে লাগলাম। কারণ তখন সায়মাই ছিল একমাত্র। আমার ভয় ঢুকে গেছিলো ওকে যেন না হারাই। সায়মার অবস্থা ভালো থাকায় ওকে নিয়েই আমি বাকি সময় ছিলাম। মামা আর রাফি ভাই আমার পরিবারের সবার লাশ গ্রহণ করে। এবং আমাকে ও সায়মা কে সামলায়। তারপর ঢাকা মেডিকেল এর সকল ফর্মালিটি শেষ করে আমরা সবার লাশ নিয়ে আমাদের গ্রামের বাড়িরই দিকে রওনা দিলাম। আমদের পারিবারিক কবরস্থানই সবাই কে দাফন করা হবে। বাড়িতে পৌছাতে পৌছাতে আমাদের বিকেল হয়ে গেলো। গিয়ে দেখি আমাদের সকল আত্মীয় সজন আমাদের বাড়িতে এসে পরেছে। তানিয়া আপুর পরবার কে দেখলাম। ৫ টা এম্বুলেন্স থেকে ৫ টা লাশ বের করে আমাদের উঠান এর উপর রাখা হলও। সবার কাফন এর কাপর ও গোসল এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এইসব ব্যবস্থা করেছে আমার ফুফাতো আর চাচাতো ভাইরা মিলা। আমার তখন এই সব দিকে নজর দেওয়ার হুস ছিল না। আমি সুধু সায়মাকে ধরেই বসেছিলাম। আর সায়মা তখন আমার কাছ ছারা কারো কাছে যাচ্ছিলো না। ও প্রচুর ভয়ে ছিল। তখন সায়মার দুনিয়ায় সুধু আমি আর আমার দুনিয়ায় আমার ভাতিজি সায়মাই ছিল। বিপত্তি তখন হলো যখন সবার গোছল ও কাফন এর কাপর পরানো শেষে জানাজার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে তখন। আমার তো যেতে হবে কিন্তু সায়মা তো আমাকে কিছুতেই ছাড়বে না। তখন তানিয়া আপু আসে সায়মাকে আমার কাছ থেকে নেওয়ার চেষ্টা করলো। তখন সায়মা তানিয়া আপুর কাছে গেলো। কারণ সায়মা তানিয়া আপুরে খুব পছন্দ করতো আর তানিয়া আপু ও সায়মাকে খুব আদর করতো। সায়মাকে তানিয়া আপুর কাছে রেখে আমরা জানাজার জন্য বের হয়ে গেলাম। সকলের জানাজার নামাজ শেষ করে আমরা আমাদের পারিবারিক কবরস্থানের দিকে রওনা দিলাম। ওখানে এক সাথে ৫ টা কবর খোরা হয়েছে। সবার প্রথমে আমার বাবাকে তারপর মাকে, ভাইয়া, ভাবী কে এবং সবার শেষে আমার প্রিয় ভাতিজা মাহিন কে রাখা হয়। সবার দাফন শেষ করে ও মোনাজাত করে আমরা কবরস্থান থেকে বের হলাম রাত ৯ টার দিকে। বাড়িতে এসে দেখি সায়মা তখন তানিয়া আপুর কুলে। আমাকে দেখেই আমার কাছে এসে পড়লো। ওকে জরিয়ে ধরেই আমি আবার কান্নায় ভেঙ্গে পরলাম। ওরে ধরে রেখে কতক্ষণ বসে ছিলাম জানই না। এক সময় অনেকে এসে আমাকে খাওয়ার জন্য বলতে লাগলো কিন্তু আমার তখন আর খাওয়া গলা দিয়ে নামবে না এমন অবস্থা। তখন তানিয়া আপু এসে হাজির আমাকে আর সায়মাকে খাওয়াবে। কিন্তু আমার খাওয়ারতো ইচ্ছা নেই বললাম সায়মাকে নিয়া খাওয়ায় দেও। কিন্তু সায়মা তখন আবার আমাকে ছেরে যাবে না। পরে বললাম যাও তুমি খাবার নিয়া আসো সায়মাকে আমার কুলে রেখেই খাওয়ায় দাও। আপু বলল আচ্ছা ঠিক আছে আমি আনতেছি কিন্তু তোকে ও সাথে খেতে হবে পরে বললাম আচ্ছা যাও নিয়া আসো। আপু খাবার আনার পর আমাকে আর সায়মেকে নিজ হাতে খাওয়ায় দিলো। খাওদায়ার পর সায়মা এক সময় আমার কুলেই ঘুমায় গেলো। পরে তানিয়া আপু এসে ওকে নিয়ে গেলো। রাত টা তার কাছেই রইলো। পরের দিন অনেক আত্মীয় যার যার বাড়ি চলে গেলো কারণ ২দিন পরেই ঈদ। তানিয়া আপুর পরিবার ওইদিন থেকে গেলো। এই ২ দিন আমি অল্প কাটায় উটসি সায়মা তখনো ভীতও। এই ২ দিন এ সায়মা আমাকে আর তানিয়া আপুকে ছারা কারকাছেই যায় না। পরের দিন তানিয়া আপুর পরিবার চলে যাবে। তানিয়া আপুরে চলে যেতে দেখে সায়মা প্রচুর কান্না শুরু করলো। এখন ওরে থামান কষ্টকর হয়ে গেছে। পরে আমি উপায় না দেখে খালা খালুকে অনুরুধ করে তানিয়া আপু কে রেখে যেতে বললাম ঈদের পর আপু কে আমি দিয়ে আসবো নে। ও হ্যাঁ আপুর একবার বিয়ে হয়েছিল যখন আপুর বয়স ২৫ তার জামাই বিদেশে থাকতো। ফোনের মাধ্যমে বিয়ে হয়। তাদের বাসর রাত ও হয় নাই। তার বিয়ের এক মাস পর তার জামাই বিদেশেই গাড়ি এক্সিডেন্ট করে মারা যায়। আপুকে উঠায় দেওয়া হয় নাই। পরে তার জামাই মারা জাওয়ার পর আপু তাদের গ্রামের একটা হাই কলেজে টিচার হিসাবে জয়েন করে এখনো সেখানেই আছে। বর্তমানে আপুর বয়স ২৮। তো যেখানে ছিলাম, খালা খালু আপু রাজি হল থেকে জাওয়ার জন্য। আপুকে রেখে দিলাম আমি আর সায়মা মিলে। এতে আমদের উপকার এই হলো, আপু আমাদের চাচা ভাতিজে দের আপন করে গুছায় রাখলো। ঈদ এর পুর ছুটি আপু আমাদের সাথেই ছিল। আপু সায়মাকে এমন ভাবে আগলায় রাখতো যেন সায়মা তানিয়া আপুরই মেয়ে। আর আপু আমাকে এমন ভাবে যত্ন করতো তাতে মনে হতো আমি তার স্বামী। অবশ্য আপু কে দেখে মনে হতো না যে আপুর বয়স ২৮। বরং মনে হতো ২৩/২৪ বছর এর মেয়ে। আপুকে নিয়ে এইভাবেই আমাদের চাচা ভাতিজির ঈদ গেলো।

[+] 3 users Like ariadk26's post
Like Reply


Messages In This Thread
নতুন জীবন - by ariadk26 - 05-07-2020, 12:28 AM
RE: নতুন জীবন - by ariadk26 - 05-07-2020, 12:34 AM
RE: নতুন জীবন - by ariadk26 - 05-07-2020, 12:40 AM
RE: নতুন জীবন - by ariadk26 - 05-07-2020, 12:44 AM
RE: নতুন জীবন - by ariadk26 - 05-07-2020, 12:48 AM
RE: নতুন জীবন - by ariadk26 - 05-07-2020, 12:54 AM
RE: নতুন জীবন - by ariadk26 - 05-07-2020, 01:02 AM
RE: নতুন জীবন - by zaq000 - 05-07-2020, 03:19 AM
RE: নতুন জীবন - by Mr Fantastic - 05-07-2020, 09:42 AM
RE: নতুন জীবন - by ariadk26 - 05-07-2020, 10:01 PM
RE: নতুন জীবন - by ariadk26 - 15-07-2020, 11:20 PM
RE: নতুন জীবন - by ariadk26 - 15-07-2020, 11:26 PM
RE: নতুন জীবন - by ariadk26 - 15-07-2020, 11:31 PM
RE: নতুন জীবন - by ariadk26 - 15-07-2020, 11:33 PM
RE: নতুন জীবন - by ariadk26 - 15-07-2020, 11:53 PM
RE: নতুন জীবন - by ariadk26 - 16-07-2020, 12:02 AM
RE: নতুন জীবন - by ariadk26 - 16-07-2020, 12:05 AM
RE: নতুন জীবন - by ariadk26 - 16-07-2020, 12:11 AM
RE: নতুন জীবন - by Toss420 - 31-01-2021, 05:26 PM
RE: নতুন জীবন - by Tomkat - 17-07-2020, 09:02 PM
RE: নতুন জীবন - by raja05 - 22-01-2021, 12:42 PM
RE: নতুন জীবন - by nil akash - 29-01-2021, 10:36 PM
RE: নতুন জীবন - by chndnds - 02-02-2021, 08:04 PM
RE: নতুন জীবন - by bosir amin - 27-04-2023, 11:24 AM
RE: নতুন জীবন - by skln123 - 08-05-2023, 04:38 PM
RE: নতুন জীবন - by Tomkat125 - 29-12-2023, 10:52 AM



Users browsing this thread: 2 Guest(s)