30-06-2020, 12:05 PM
পর্ব-০৪
-----------------------------------
আংকেল, এই ঘটনা পুলিশকে কোন ভাবেই জানানো যাবে না।এখন আপনি বলেন যে,পুলিশের অনুমতি ছাড়া আপনি কোন চিকিৎসা করতে পারবেন কি না।
আমি একটা শর্তে চিকিৎসা করতে পারবো।
বলেন কি শর্ত আংকেল।
চিকিৎসা করার পর কিন্তু কোন ভাবেই ''.ের ঘটনা পুলিশকে জানানো যাবে না।
আচ্ছা ঠিক আছে আংকেল।পুলিশকে
জানাবো না।এখন তো হলো।
হুম হবে।কিন্তু তুমি বললে হবে না।মেয়েটার কাছে জানতে হবে,সে কি পরে আবার পুলিশের কাছে ডাইরি করে,তখন।
আংকেল,চলেন এই ব্যাপারটা আগে মেয়েটার কাছে জেনে নেই।সে কি,পুলিশের কাছে ডাইরি করবে কি না।
ওকে চল।
তারপর আংকেল মেয়েটার কাছে জানতে চাইলো,
মেয়েটা জানালো,কোন ভাবেই পুলিশকে এই ঘটনা জানানো তো দূরের কথা,আমরা এই তিনজন ছাড়া কেউ জেন জানতে না পারে,এই বলে মেয়েটি হাত জোর করে বলল,দয়া করে আপনারা কাউকে বলবেন না।নয়তো আমার মা খুব কষ্ট পাবে।
আচ্ছা ঠিক আছে।কেউ জানবে না।
তারপর আংকেল মেয়েটাকে দেখে কয়েকটা ঔষধ লিখে দিল,আমি মেয়েটাকে বলে আংকেলের সাথে বাহিরে আসলাম।
ঔষধ নিয়ে বাসায় ফিরে এলাম।মেয়েটাকে বললাম,অনেক রাত হয়েছে,এখন ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে পরতে।
সেই রাতে আর কিছুই জানতে চাইলাম না।পরের দিন সকালে বাহিরে থেকে নাস্তা কিনে নিয়ে মেয়েটাকে সাথে নিয়ে নাস্তা করলাম।
এই ভাবে কেটে গেল ৩ টা দিন।এখন মেয়েটা আগের চাইতে অনেক সুস্থ।
আচ্ছা সান্তা,তুমি এই কাজগুলো কেন কর।
ও আপনাদের তো বলায় হয়নি,এর মাঝে মেয়েটার নামও জেনে নিয়েছি।তার নাম,সান্তা।
কি করবো তুমি বল,মাস্টার্স শেষ করার পর কোন চাকরি পাচ্ছি না।এদিকে বাবা মারা গেছে অনেক আগেই।আর মাও অসুস্থ,তার পিছনে প্রতিদিন ৫০০ টাকার ঔষধ যায়।তখন কোন কিছু চিন্তা না করে,হন্য হয়ে চাকরি খুজে বেড়াচ্ছি,সবাই চাকরির বদলে ঘুষ চাই।আমার কাছে ঔষধের টাকা নেয়,সেখানে ঘুষের টাকা কিভাবে দেব বল।হঠাৎ তার কয়েক দিন পর,একটা অফিসে চাকরির জন্য আমাকে ডাকা হলো,চাকরিটাও হয়ে গেল।ভালই চলছিল দিন।বেতনও মোটামোটি ভালই।
তাহলে,তুমি চাকরিটা ছেরে দিলে কেন।
অবশ্যই চাকরি ছাড়ার কারনও আছে।
কি কারন?
তারপর সান্তার কথা শুনে আমার গায়ের লোম দাড়িয়ে গেল।মানুষ এতটা পশু কি করে হতে পারে।
আপনারা শূনেন সেদিন আসলে কি হয়ছিল...
আমিও তাকে কিছুই বলতে পারলাম না।
তার কথাগুলো শুনে আমি নিজেই তো কান্না করছি।
তাকে শুধু একটা কথা বললাম,
যে, এখন আমি যদি আপনার পাশে দাঁড়ায়।তাহলে কি আপনি এই রাস্তাটা ছেড়ে দিতে পারবেন।
শুধু শুধু আপনি কেন, আমার জন্য কষ্ট পাবেন।
আপনার জন্য পরে কষ্ট পাব কিনা তা জানি না।কিন্তু আপনার জন্য এখন আমি কষ্ট পাচ্ছি।আর ততদিন কষ্ট পাব,যতদিন আপনি এই রাস্তাটা ছেড়ে না দেন।
আমার জন্য কেন কষ্ট পাচ্ছেন।আর হ্যা আপনার সাথে তো মাত্র কয়েক দিন আগে দেখা হল,এরি মাঝে আমার জন্য কষ্ট পাচ্ছেন।কারনটা কি একটু বলবেন।
কারনটা জানি না আমি,কেন কষ্ট পাচ্ছি।তবে আপনার জন্য কিছু করতে না পারলে,নিজেকে কখনও ক্ষমা করতে পারবো না।আমি আপনার একজন বন্ধু হয়ে আপনার পাশে থাকতে চাই।কি দিবেন বন্ধুত্বের হাতটা বাঁড়িয়ে।
তার আগে আমি কিছু বলতে চাই,
ওকে বলেন।
আমারও ইচ্ছে করে সবার মত করে বাঁচতে,আমারও ইচ্ছে করে নতুন করে জীবন সাঁজাতে।আমরও ইচ্ছে করে,আরও ৪-৫ টা মেয়ের মত করে বাঁচতে।যখন আমি প্রথম এই রাস্তায় পা বাড়ালাম,তখন যদি আমার পাশে কেউ দাঁড়াতো,তাহলে হয়তো আজকে আমাকে রাতের পাখি হতে হত না।
বাদ দিনতো সেই সব কথা।নতুন করে জীবনটা শুরু করেন।
নতুন করে শুরু করতে চাইলেই কি হবে।এই সমাজ আমাকে ভাল ভাবে বাঁচতে দিবে না।এই সমাজের কিছু লোক চাইনা,আমি ভাল ভাবে বেঁচে থাকি।ধরেন সব কিছু নতুন করে শুরু করলাম।কিন্তু আমাকে বিয়ে করে কে একটা সংসার দিবে।ধরেন কেউ একজন আমার দ্বায়িত্বটাও নিল।যখন আমার বাচ্ছা হবে।বাচ্ছার যখন ৬-৭ বছর হবে।তখন যদি সন্তান জানতে পায়,আমি একটা পতিতা ছিলাম।তখন সন্তানের চোঁখে ঘৃনা ছাড়া কিছুই পাব না।
দেখুন,পরের টা পরে দেখা যাবে।এখন আপনি আমাকে কথা দিন,এই রাস্তা ছেড়ে দিবেন।
বললেই তো আর হলো না।এখন এই রাস্তা ছেড়ে দিলে আমার মায়ের ঔষধের টাকা কোথায় পাব।আর সংসারের খরচের টাকা কোথায় পাব আমি।
সেইটা আমি দেখব।আপনি আগে সুস্থ হন।তারপর আপনার চাকরি দেয়ার দ্বায়িত্ব আমার।
তার আগে আমাকে কথা দিতে হবে আপনাকে,আমার দু'টি কথা রাখবেন।
হুম বলেন।চেষ্টা করবো রাখার।
না আগে কথা দিতে হবে।
ওকে কথা দিলাম।
ভেবে চিন্তে কথা দিলেন তো।
এখানে ভাবার কি আছে।আমার বিশ্বাস আছে আপনার উপর,আপনি এমন কিছু বলবেন না,যা আমার দ্বারা সম্ভব না।
১: আমাকে সব-সময় তুমি করে বলতে হবে।
ওকে।তাহলে তুমিও আমাকে তুমি করে বলবেন।
আমি কেন বলবো।
ও তার মানে আমাকে বন্ধু ভাবতে পারছেন না।
ওকে।তুমি করেই বলব। এবার খুসি
হুম।আর দ্বিতীয় কথাটা কি?
দ্বিতীয় কথাটা হল,আপনি আমাকে কথা দিন,আজকের পর থেকে আর কোন দিন কোন ধরনের নেশা করবেন না।
কি বলো তুমি এইটা।
হুম,ঠিকি বলছি।
নেশা করা ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না।
আমি এতকিছু শুনতে চাইনা।আর যদি নেশা করা ছাড়তে না পারেন।তাহলে আপনার মত বন্ধু আমার লাগবে না।আর আমি নিজেও জীবন নতুন করে সাঁজাবো না।এখন ভেবে দেখেন কি করবেন আপনি?নেশা করবেন নাকি আমার সাথে বন্ধুত্ব রাখবেন।
এমন কথা বলোনা দয়া করে।তুমি এই কথাটা বাদে যা বলবে,আমি তাই শুনবো।
তারমানে আপনি নেশা ছাড়তে পারবেন না?তাইতো,
হুম।
ওকে,আপনি নেশা নিয়েই পড়ে থাকেন।(কথাটা বলই হাটা শুরু করলো মেয়েটা)
এই কই যাও।
চলে যাচ্ছি।
কই?
বাসায়।
কিন্তু আপনিতো এখনো সুস্থ না।এই অবস্থায় আমি আপনাকে যেতে দিতে পারবো না।আর আপনি যদি বাসায় যেতে চান।তাহলে আমি নিজে গাড়ি করে আপনাকে বাসায় দিয়ে আসবো।
কেন দয়া করছেন আমাকে।আমি কি আপনাকে দয়া করতে বলছিলাম।আর হ্যা,আমার জন্য আপনি অনেক কষ্ট করেছেন।পারলে মাফ করে দিবেন আমাকে।আর আমাকে যে টাকা গুলো দিয়েছেন।সেই টাকা গুলো
কয়েক দিন পর দিতে হবে।এখনতো আমার কাছে টাকা নাই।তবে আজ রাতে বের হলেই আশা করি টাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
কি বলছেন এই গুলো,আপনার মাথা ঠিক আছে তো।
আমার মাথা ঠিকি আছে।
তাহলে এমন কথা কেন বলছেন।
তাতে আপনার কি?আমিতো আপনার কেউ না।
কে বলছে কেউ না?
তাহলে আমার কথা শুনছেন না কেন?
আপনি এমন একটা কথা বলছেন।যেটা রাখা আমার জন্য অনেক কষ্টের।
কষ্ট কেন হবে?একটু শুনি।কেন আপনি নেশা করেন?
ওকে,শুনেন।
তারপর আমার ভালবাসার মানুষটার কথা বললাম।যে আমাকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেছে।
হুম বুঝলাম আপনার নেশার কারনটা।আচ্ছা,ঐ মেয়েটা এখন কোথায়?
বিয়ে হয়ে গেছে।
তারমানে মোটামোটি সুখেই আছে।
হয়তো,কিন্তু আমি এতটা জানিনা।তাছাড়া সুখে থাকার জন্যই তো আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে।
আচ্ছা,মেয়েটা যদি নিজের সুখের জন্য নতুন করে জিবন সাঁজাতে পারে।
তাহলে আপনি কেন নেশা করছেন,তাও আবার এমন একটা মানুষের জন্য,যে কিনা আপনার ভালবাসার মূল্য দিতে পারেনি।
আমি ঠিক জানি না।কিন্তু তারে ছাড়া আমার পুরো জীবনটাই বৃথা মনে হয়।
দেখেন,জানতে হবে,আর নিজের জীবনকে ভালবাসতে হবে।
কোন ভাবেই আমি তাকে ভুলতে পারবো না।একমাত্র মৃত্যই ভুলাতে পারে তার প্রতি আমার ভালবাসা।
আমার মনে হচ্ছে,আপনি মেয়েটাকে সত্যি সত্যিই ভালবাসেন নাই।
কি বাজে বঁকতেছো।ভালবাসিনি মানে।তারে আমি নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালবাসি।
আমি ঠিক কথাই বলছি।
আচ্ছা,কি করলে তোমার বিশ্বাস হবে।আমি তারে ভালবাসি।
কিছুনা।
তাহলে তোমার এমন মনে হল কেন।
কারন,আপনিতো,,,,,,,,,।
চলবে..........
-----------------------------------
আংকেল, এই ঘটনা পুলিশকে কোন ভাবেই জানানো যাবে না।এখন আপনি বলেন যে,পুলিশের অনুমতি ছাড়া আপনি কোন চিকিৎসা করতে পারবেন কি না।
আমি একটা শর্তে চিকিৎসা করতে পারবো।
বলেন কি শর্ত আংকেল।
চিকিৎসা করার পর কিন্তু কোন ভাবেই ''.ের ঘটনা পুলিশকে জানানো যাবে না।
আচ্ছা ঠিক আছে আংকেল।পুলিশকে
জানাবো না।এখন তো হলো।
হুম হবে।কিন্তু তুমি বললে হবে না।মেয়েটার কাছে জানতে হবে,সে কি পরে আবার পুলিশের কাছে ডাইরি করে,তখন।
আংকেল,চলেন এই ব্যাপারটা আগে মেয়েটার কাছে জেনে নেই।সে কি,পুলিশের কাছে ডাইরি করবে কি না।
ওকে চল।
তারপর আংকেল মেয়েটার কাছে জানতে চাইলো,
মেয়েটা জানালো,কোন ভাবেই পুলিশকে এই ঘটনা জানানো তো দূরের কথা,আমরা এই তিনজন ছাড়া কেউ জেন জানতে না পারে,এই বলে মেয়েটি হাত জোর করে বলল,দয়া করে আপনারা কাউকে বলবেন না।নয়তো আমার মা খুব কষ্ট পাবে।
আচ্ছা ঠিক আছে।কেউ জানবে না।
তারপর আংকেল মেয়েটাকে দেখে কয়েকটা ঔষধ লিখে দিল,আমি মেয়েটাকে বলে আংকেলের সাথে বাহিরে আসলাম।
ঔষধ নিয়ে বাসায় ফিরে এলাম।মেয়েটাকে বললাম,অনেক রাত হয়েছে,এখন ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে পরতে।
সেই রাতে আর কিছুই জানতে চাইলাম না।পরের দিন সকালে বাহিরে থেকে নাস্তা কিনে নিয়ে মেয়েটাকে সাথে নিয়ে নাস্তা করলাম।
এই ভাবে কেটে গেল ৩ টা দিন।এখন মেয়েটা আগের চাইতে অনেক সুস্থ।
আচ্ছা সান্তা,তুমি এই কাজগুলো কেন কর।
ও আপনাদের তো বলায় হয়নি,এর মাঝে মেয়েটার নামও জেনে নিয়েছি।তার নাম,সান্তা।
কি করবো তুমি বল,মাস্টার্স শেষ করার পর কোন চাকরি পাচ্ছি না।এদিকে বাবা মারা গেছে অনেক আগেই।আর মাও অসুস্থ,তার পিছনে প্রতিদিন ৫০০ টাকার ঔষধ যায়।তখন কোন কিছু চিন্তা না করে,হন্য হয়ে চাকরি খুজে বেড়াচ্ছি,সবাই চাকরির বদলে ঘুষ চাই।আমার কাছে ঔষধের টাকা নেয়,সেখানে ঘুষের টাকা কিভাবে দেব বল।হঠাৎ তার কয়েক দিন পর,একটা অফিসে চাকরির জন্য আমাকে ডাকা হলো,চাকরিটাও হয়ে গেল।ভালই চলছিল দিন।বেতনও মোটামোটি ভালই।
তাহলে,তুমি চাকরিটা ছেরে দিলে কেন।
অবশ্যই চাকরি ছাড়ার কারনও আছে।
কি কারন?
তারপর সান্তার কথা শুনে আমার গায়ের লোম দাড়িয়ে গেল।মানুষ এতটা পশু কি করে হতে পারে।
আপনারা শূনেন সেদিন আসলে কি হয়ছিল...
আমিও তাকে কিছুই বলতে পারলাম না।
তার কথাগুলো শুনে আমি নিজেই তো কান্না করছি।
তাকে শুধু একটা কথা বললাম,
যে, এখন আমি যদি আপনার পাশে দাঁড়ায়।তাহলে কি আপনি এই রাস্তাটা ছেড়ে দিতে পারবেন।
শুধু শুধু আপনি কেন, আমার জন্য কষ্ট পাবেন।
আপনার জন্য পরে কষ্ট পাব কিনা তা জানি না।কিন্তু আপনার জন্য এখন আমি কষ্ট পাচ্ছি।আর ততদিন কষ্ট পাব,যতদিন আপনি এই রাস্তাটা ছেড়ে না দেন।
আমার জন্য কেন কষ্ট পাচ্ছেন।আর হ্যা আপনার সাথে তো মাত্র কয়েক দিন আগে দেখা হল,এরি মাঝে আমার জন্য কষ্ট পাচ্ছেন।কারনটা কি একটু বলবেন।
কারনটা জানি না আমি,কেন কষ্ট পাচ্ছি।তবে আপনার জন্য কিছু করতে না পারলে,নিজেকে কখনও ক্ষমা করতে পারবো না।আমি আপনার একজন বন্ধু হয়ে আপনার পাশে থাকতে চাই।কি দিবেন বন্ধুত্বের হাতটা বাঁড়িয়ে।
তার আগে আমি কিছু বলতে চাই,
ওকে বলেন।
আমারও ইচ্ছে করে সবার মত করে বাঁচতে,আমারও ইচ্ছে করে নতুন করে জীবন সাঁজাতে।আমরও ইচ্ছে করে,আরও ৪-৫ টা মেয়ের মত করে বাঁচতে।যখন আমি প্রথম এই রাস্তায় পা বাড়ালাম,তখন যদি আমার পাশে কেউ দাঁড়াতো,তাহলে হয়তো আজকে আমাকে রাতের পাখি হতে হত না।
বাদ দিনতো সেই সব কথা।নতুন করে জীবনটা শুরু করেন।
নতুন করে শুরু করতে চাইলেই কি হবে।এই সমাজ আমাকে ভাল ভাবে বাঁচতে দিবে না।এই সমাজের কিছু লোক চাইনা,আমি ভাল ভাবে বেঁচে থাকি।ধরেন সব কিছু নতুন করে শুরু করলাম।কিন্তু আমাকে বিয়ে করে কে একটা সংসার দিবে।ধরেন কেউ একজন আমার দ্বায়িত্বটাও নিল।যখন আমার বাচ্ছা হবে।বাচ্ছার যখন ৬-৭ বছর হবে।তখন যদি সন্তান জানতে পায়,আমি একটা পতিতা ছিলাম।তখন সন্তানের চোঁখে ঘৃনা ছাড়া কিছুই পাব না।
দেখুন,পরের টা পরে দেখা যাবে।এখন আপনি আমাকে কথা দিন,এই রাস্তা ছেড়ে দিবেন।
বললেই তো আর হলো না।এখন এই রাস্তা ছেড়ে দিলে আমার মায়ের ঔষধের টাকা কোথায় পাব।আর সংসারের খরচের টাকা কোথায় পাব আমি।
সেইটা আমি দেখব।আপনি আগে সুস্থ হন।তারপর আপনার চাকরি দেয়ার দ্বায়িত্ব আমার।
তার আগে আমাকে কথা দিতে হবে আপনাকে,আমার দু'টি কথা রাখবেন।
হুম বলেন।চেষ্টা করবো রাখার।
না আগে কথা দিতে হবে।
ওকে কথা দিলাম।
ভেবে চিন্তে কথা দিলেন তো।
এখানে ভাবার কি আছে।আমার বিশ্বাস আছে আপনার উপর,আপনি এমন কিছু বলবেন না,যা আমার দ্বারা সম্ভব না।
১: আমাকে সব-সময় তুমি করে বলতে হবে।
ওকে।তাহলে তুমিও আমাকে তুমি করে বলবেন।
আমি কেন বলবো।
ও তার মানে আমাকে বন্ধু ভাবতে পারছেন না।
ওকে।তুমি করেই বলব। এবার খুসি
হুম।আর দ্বিতীয় কথাটা কি?
দ্বিতীয় কথাটা হল,আপনি আমাকে কথা দিন,আজকের পর থেকে আর কোন দিন কোন ধরনের নেশা করবেন না।
কি বলো তুমি এইটা।
হুম,ঠিকি বলছি।
নেশা করা ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না।
আমি এতকিছু শুনতে চাইনা।আর যদি নেশা করা ছাড়তে না পারেন।তাহলে আপনার মত বন্ধু আমার লাগবে না।আর আমি নিজেও জীবন নতুন করে সাঁজাবো না।এখন ভেবে দেখেন কি করবেন আপনি?নেশা করবেন নাকি আমার সাথে বন্ধুত্ব রাখবেন।
এমন কথা বলোনা দয়া করে।তুমি এই কথাটা বাদে যা বলবে,আমি তাই শুনবো।
তারমানে আপনি নেশা ছাড়তে পারবেন না?তাইতো,
হুম।
ওকে,আপনি নেশা নিয়েই পড়ে থাকেন।(কথাটা বলই হাটা শুরু করলো মেয়েটা)
এই কই যাও।
চলে যাচ্ছি।
কই?
বাসায়।
কিন্তু আপনিতো এখনো সুস্থ না।এই অবস্থায় আমি আপনাকে যেতে দিতে পারবো না।আর আপনি যদি বাসায় যেতে চান।তাহলে আমি নিজে গাড়ি করে আপনাকে বাসায় দিয়ে আসবো।
কেন দয়া করছেন আমাকে।আমি কি আপনাকে দয়া করতে বলছিলাম।আর হ্যা,আমার জন্য আপনি অনেক কষ্ট করেছেন।পারলে মাফ করে দিবেন আমাকে।আর আমাকে যে টাকা গুলো দিয়েছেন।সেই টাকা গুলো
কয়েক দিন পর দিতে হবে।এখনতো আমার কাছে টাকা নাই।তবে আজ রাতে বের হলেই আশা করি টাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
কি বলছেন এই গুলো,আপনার মাথা ঠিক আছে তো।
আমার মাথা ঠিকি আছে।
তাহলে এমন কথা কেন বলছেন।
তাতে আপনার কি?আমিতো আপনার কেউ না।
কে বলছে কেউ না?
তাহলে আমার কথা শুনছেন না কেন?
আপনি এমন একটা কথা বলছেন।যেটা রাখা আমার জন্য অনেক কষ্টের।
কষ্ট কেন হবে?একটু শুনি।কেন আপনি নেশা করেন?
ওকে,শুনেন।
তারপর আমার ভালবাসার মানুষটার কথা বললাম।যে আমাকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেছে।
হুম বুঝলাম আপনার নেশার কারনটা।আচ্ছা,ঐ মেয়েটা এখন কোথায়?
বিয়ে হয়ে গেছে।
তারমানে মোটামোটি সুখেই আছে।
হয়তো,কিন্তু আমি এতটা জানিনা।তাছাড়া সুখে থাকার জন্যই তো আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে।
আচ্ছা,মেয়েটা যদি নিজের সুখের জন্য নতুন করে জিবন সাঁজাতে পারে।
তাহলে আপনি কেন নেশা করছেন,তাও আবার এমন একটা মানুষের জন্য,যে কিনা আপনার ভালবাসার মূল্য দিতে পারেনি।
আমি ঠিক জানি না।কিন্তু তারে ছাড়া আমার পুরো জীবনটাই বৃথা মনে হয়।
দেখেন,জানতে হবে,আর নিজের জীবনকে ভালবাসতে হবে।
কোন ভাবেই আমি তাকে ভুলতে পারবো না।একমাত্র মৃত্যই ভুলাতে পারে তার প্রতি আমার ভালবাসা।
আমার মনে হচ্ছে,আপনি মেয়েটাকে সত্যি সত্যিই ভালবাসেন নাই।
কি বাজে বঁকতেছো।ভালবাসিনি মানে।তারে আমি নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালবাসি।
আমি ঠিক কথাই বলছি।
আচ্ছা,কি করলে তোমার বিশ্বাস হবে।আমি তারে ভালবাসি।
কিছুনা।
তাহলে তোমার এমন মনে হল কেন।
কারন,আপনিতো,,,,,,,,,।
চলবে..........