26-06-2020, 12:09 AM
কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী (#11)
অনেকক্ষণ পরে পেছনে তাকিয়ে দেবেশ কে দেখে, হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলল মনিদিপা, “আমার সব শেষ হয়ে গেল রে দেবু।”
ওর চোখের জল দেখে বুক ফেটে চৌচির হয়ে গেল। দুহাতে মনিদিপাকে জড়িয়ে ধরল দেবশ। কিন্তু কি সান্ত্বনা দেবে, যে যাবার তিনি ত চলে গেছেন ওদের ছেড়ে, চিরকালের জন্য। তাকে ত আর দেবেশ ফিরিয়ে আনতে পারবে না। মনিদিপাকেই বাবার মুখে আগুন দিতে হয়েছিল, ওর মা ওর দাদাকে আসতে বারন করে দিয়েছিল। যে ছেলে বাবার অসময়ে দেখতে আসতে পারেনি সে ছেলে বাবার মুখে কি আগুন দেবে। বাবার মুখে আগুন দেবার পরে মনিদিপা অজ্ঞান হয়ে গেছিল। দেবেশ ওকে কোলে তুলে মুখে চোখে জল ছিটিয়ে আবার সুস্থ করে তুলেছিল।
তিনদিনের কাজের পরে দেবেশ বাড়ি ফিরে আসে। বাড়ি ফিরে আসার আগে দেবেশ মনিদিপাকে বলেছিল, “আমাকে ডাক দিও মনি, আমি তোমার জন্য পথ চেয়ে দাঁড়িয়ে থাকব।”
তার উত্তরে মনিদিপা মাথা নেড়ে বলল, “না, আমার জীবনে কারুর দরকার নেই। আমি আমার জীবন নিজে থেকে তৈরি করে নিতে পারব। তুই ভাল থাকিস আর ভাল করে পড়াশুনা করে বড় হস। আমার কথা আর চিন্তা করিশ না তুই। তোর সামনে এক বিশাল পৃথিবী পরে আছে, দু হাতে তাকে জড়িয়ে ধরিস আর আমাকে মন থেকে ভুলে যাস।” তারপরে কানে কানে বলেছিল, “আমরা খেলার ছলে অনেক দূর এগিয়ে গেছিলাম, সেগুলো সব একটা ভয়ানক স্বপ্ন ভেবে আমাকে মাফ করে দিস, যদি পারিস।”
হাত ধরে কেঁদে উঠেছিল দেবেশ, “তুমি আমাকে পর করে দিচ্ছ মনি। আমি কি নিয়ে থাকব জীবনে। আমি তোমাকে সত্যি ভালবাসি, যে।”
মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিল, “তুই আমাকে না আমার শরীরকে ভালবেসে ছিলিস। আজ’ত তুই আমাকে দেখবি’ও না আর কেউ দেখবে না। তুই চলে যা রে, বেশিক্ষণ আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে আমি আত্মহত্যা করব।”
চোখের জল ফেলতে ফেলতে ফিরে এল দেবেশ। প্রানের মনিদিপাদি কে ফিরিয়ে আনতে পারল না আর।
নতুন করে জীবন শুরু করার চেষ্টা করল, ভাবল সুকন্যার প্রেমে পরে ও মনিদিপাদি কে ভুলে যাবে। কিন্তু বাধ সাধল সেই পুরনো স্মৃতি। যাই করতে যায় না কেন, সবসময়ে চোখের সামনে ভেসে বেড়ায় মনিদিপাদির কান্না ভেজা দু চোখ। সুকন্যার সাথে আর ওর ভালবাসা হল না, হলনা কিছুই করা। পড়াশুনা এক রকম গতানুগতিক ভাবে এগিয়ে চলছে। রোজ সকালে উঠে কলেজ যাওয়া, বিকেল বেলা কলেজ থেকে বাড়ি ফেরা। রাতের বেলা পাশের বাড়ি দেখা। মানব জেঠু বাড়ি বিক্রি করে দেবার পরে সেইখানে এক প্রমটার এক পাঁচ তলা ফ্লাট বাড়ি বানাচ্ছে। বাড়ির সাথে সাথে মনিদিপাদির স্মৃতি জড়িয়ে ছিল, সেটাও ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশে গেল একদিন।
কিছুদিন পরে বেশ রাত করে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মেরে বাড়ি ফিরে দেখে বসার ঘরে মা জেঠিমা আরও অনেকে বসে, সবার চোখে জল। দুজনে যেন অনেকক্ষণ ধরে হাউ হাউ করে কেঁদেছে। জেঠিমা দেবেশকে ঢুকতে দেখে আরও জোরে কেঁদে উঠল।
কাঁপা গলায় বলল, “বাবারে… আমার মনি আর নেই…”
কথাটা ঠিক কানে যায় নি দেবেশের। মাথা ঘুরে পরে গেল দেবেশ, কি হয়েছে, জেঠিমা কি বলছে, মনিদিপাদি নেই মানে? কি হয়েছে মনিদিপাদির। বাড়ির চাকর ওর চোখে মুখে জলের ছিটে দিয়ে জ্ঞান ফেরাল।
মায়ের পাশে বসে মাকে জিজ্ঞেস করল, “ও মা, কি হয়েছে মনিদিপাদির?”
মায়ের দুটি লাল চোখে জল, টলমল করছে, “হ্যাঁ রে বাবা, আমার সাধের মনিদিপা আর এই পৃথিবীতে নেই। আমাদের ছেড়ে চলে গেছে মেয়েটা। আমার মেয়েটা কত ভাল ছিল রে……”
বাবার দিকে তাকাল দেবেশ, “কি হয়েছে মনিদিপাদির?”
ওর বাবা উত্তর দিল, “মনিদিপা আত্মহত্যা করেছে।”
দেবেশের মনে হল যেন ওর কানের ওপরে কেউ সজোরে এক থাপ্পড় মেরেছে। মাথা ভোঁভোঁ করে উঠল, “কেন কি হয়েছে? কে করল আত্মহত্যা, তোমরা কি করে জানলে?”
ওর বাবা উত্তর দিল, “মনিদিপা অনেক ভাল মেয়েরে। ওর মতন ত মেয়েই হয় না মনে হয়। মানবদার শরীর খারাপের জন্য ওর অনেক টাকার দরকার ছিল, আমাকে একবারের জন্যও বলল না ও। এই একটা চিঠি পাওয়া গেছে ওর ব্যাগ থেকে।”
“মানে?” জিজ্ঞেস করল দেবেশ।
উত্তরে ওর বাবা ওকে জানাল, “আজ খুব সকালে মনিদিপা বলে বেড়িয়ে ছিল যে অফিসের কাজে বম্বে যাচ্ছে। তারপরে ন’টা নাগাদ কেউ গঙ্গার ঘাটে একটা ব্যাগ কেউ কুড়িয়ে পায়, আর তার সাথে মনিদিপার পরনের জামাকাপড়ের কিছু অংশ। লাশ পাওয়া যায়নি, হয়ত গঙ্গার জলে ভেসে গিয়েছে কোথাও। ওর ব্যাগ আর জামা কাপড় দেখে পুলিস ওর অফিসে খবর দেয়। তারপরে অফিসের লোকেরা তোর জেঠিমাকে খবর দেয়। ব্যাগের ভেতরে একটা সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে।”
দেবেশ জিজ্ঞেস করল বাবাকে, “কি লেখা ছিল তাতে।”
ও মা, মা গো,
বাবার শরীর খারাপের সময়ে অনেক টাকার দরকার হয়েছিল, তার জন্য আমি অনেকের কাছে হাত পেতে টাকা ধার করেছি। সেই টাকা শোধ করার মতন আমার আর শক্তি নেই। বাবাই যখন রইলেন না ত সেই টাকা শোধ করে কি করব। এদিকে পাওনাদারদের তাগাদা, আর আমি একা একটা মেয়ে। এই বিশাল পৃথিবীতে কাউকে ভরসা করে কিছু বলতে পারলাম না, কাউকে ঠিক ভাবে ভালবাসতে পারলাম না। ও মা, তুমি কেঁদো না যেন, মা গো। তোমার পাগলি মেয়ে তোমাকে আর মুখ দেখাতে পারবে না বলে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছে, মা। মা গো তুমি কেঁদো না, নরেশ কাকুর কাছে চলে যেও মা, নরেশ কাকু তোমাকে ফেলবে না।
আর আমার বিয়ের জন্য যে হার টা বানিয়ে ছিলে সেটা দেবেশ কে দিও, বোলো ও যখন বিয়ে করবে তখন যেন ওর বউকে দেয়। আর ওকে বোলো যে ও যেন পড়া শুনা করে, আই আই টি যেন পায়। আমার ভালবাসা ওর সাথে সবসময়ে থাকবে।
কাকিমা কে বোলো, পরের জন্মে আমি ঠিক কাকিমার বাড়ির বউ হয়ে আসব। মা গো, আমাকে ক্ষমা করে দিও, আমি বড় পাপী অভাগী মেয়ে, মা। পরের বারে ভাল মেয়ে হয়ে তোমার কোলে ঠিক ফিরে আসব। মা গঙ্গা যেন আমাকে নিজের করে নেয়, মা।
ইতি তোমার অভাগী কলঙ্কিনী মেয়ে, মনিদিপা।
অনেকক্ষণ পরে পেছনে তাকিয়ে দেবেশ কে দেখে, হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলল মনিদিপা, “আমার সব শেষ হয়ে গেল রে দেবু।”
ওর চোখের জল দেখে বুক ফেটে চৌচির হয়ে গেল। দুহাতে মনিদিপাকে জড়িয়ে ধরল দেবশ। কিন্তু কি সান্ত্বনা দেবে, যে যাবার তিনি ত চলে গেছেন ওদের ছেড়ে, চিরকালের জন্য। তাকে ত আর দেবেশ ফিরিয়ে আনতে পারবে না। মনিদিপাকেই বাবার মুখে আগুন দিতে হয়েছিল, ওর মা ওর দাদাকে আসতে বারন করে দিয়েছিল। যে ছেলে বাবার অসময়ে দেখতে আসতে পারেনি সে ছেলে বাবার মুখে কি আগুন দেবে। বাবার মুখে আগুন দেবার পরে মনিদিপা অজ্ঞান হয়ে গেছিল। দেবেশ ওকে কোলে তুলে মুখে চোখে জল ছিটিয়ে আবার সুস্থ করে তুলেছিল।
তিনদিনের কাজের পরে দেবেশ বাড়ি ফিরে আসে। বাড়ি ফিরে আসার আগে দেবেশ মনিদিপাকে বলেছিল, “আমাকে ডাক দিও মনি, আমি তোমার জন্য পথ চেয়ে দাঁড়িয়ে থাকব।”
তার উত্তরে মনিদিপা মাথা নেড়ে বলল, “না, আমার জীবনে কারুর দরকার নেই। আমি আমার জীবন নিজে থেকে তৈরি করে নিতে পারব। তুই ভাল থাকিস আর ভাল করে পড়াশুনা করে বড় হস। আমার কথা আর চিন্তা করিশ না তুই। তোর সামনে এক বিশাল পৃথিবী পরে আছে, দু হাতে তাকে জড়িয়ে ধরিস আর আমাকে মন থেকে ভুলে যাস।” তারপরে কানে কানে বলেছিল, “আমরা খেলার ছলে অনেক দূর এগিয়ে গেছিলাম, সেগুলো সব একটা ভয়ানক স্বপ্ন ভেবে আমাকে মাফ করে দিস, যদি পারিস।”
হাত ধরে কেঁদে উঠেছিল দেবেশ, “তুমি আমাকে পর করে দিচ্ছ মনি। আমি কি নিয়ে থাকব জীবনে। আমি তোমাকে সত্যি ভালবাসি, যে।”
মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিল, “তুই আমাকে না আমার শরীরকে ভালবেসে ছিলিস। আজ’ত তুই আমাকে দেখবি’ও না আর কেউ দেখবে না। তুই চলে যা রে, বেশিক্ষণ আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে আমি আত্মহত্যা করব।”
চোখের জল ফেলতে ফেলতে ফিরে এল দেবেশ। প্রানের মনিদিপাদি কে ফিরিয়ে আনতে পারল না আর।
নতুন করে জীবন শুরু করার চেষ্টা করল, ভাবল সুকন্যার প্রেমে পরে ও মনিদিপাদি কে ভুলে যাবে। কিন্তু বাধ সাধল সেই পুরনো স্মৃতি। যাই করতে যায় না কেন, সবসময়ে চোখের সামনে ভেসে বেড়ায় মনিদিপাদির কান্না ভেজা দু চোখ। সুকন্যার সাথে আর ওর ভালবাসা হল না, হলনা কিছুই করা। পড়াশুনা এক রকম গতানুগতিক ভাবে এগিয়ে চলছে। রোজ সকালে উঠে কলেজ যাওয়া, বিকেল বেলা কলেজ থেকে বাড়ি ফেরা। রাতের বেলা পাশের বাড়ি দেখা। মানব জেঠু বাড়ি বিক্রি করে দেবার পরে সেইখানে এক প্রমটার এক পাঁচ তলা ফ্লাট বাড়ি বানাচ্ছে। বাড়ির সাথে সাথে মনিদিপাদির স্মৃতি জড়িয়ে ছিল, সেটাও ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশে গেল একদিন।
কিছুদিন পরে বেশ রাত করে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মেরে বাড়ি ফিরে দেখে বসার ঘরে মা জেঠিমা আরও অনেকে বসে, সবার চোখে জল। দুজনে যেন অনেকক্ষণ ধরে হাউ হাউ করে কেঁদেছে। জেঠিমা দেবেশকে ঢুকতে দেখে আরও জোরে কেঁদে উঠল।
কাঁপা গলায় বলল, “বাবারে… আমার মনি আর নেই…”
কথাটা ঠিক কানে যায় নি দেবেশের। মাথা ঘুরে পরে গেল দেবেশ, কি হয়েছে, জেঠিমা কি বলছে, মনিদিপাদি নেই মানে? কি হয়েছে মনিদিপাদির। বাড়ির চাকর ওর চোখে মুখে জলের ছিটে দিয়ে জ্ঞান ফেরাল।
মায়ের পাশে বসে মাকে জিজ্ঞেস করল, “ও মা, কি হয়েছে মনিদিপাদির?”
মায়ের দুটি লাল চোখে জল, টলমল করছে, “হ্যাঁ রে বাবা, আমার সাধের মনিদিপা আর এই পৃথিবীতে নেই। আমাদের ছেড়ে চলে গেছে মেয়েটা। আমার মেয়েটা কত ভাল ছিল রে……”
বাবার দিকে তাকাল দেবেশ, “কি হয়েছে মনিদিপাদির?”
ওর বাবা উত্তর দিল, “মনিদিপা আত্মহত্যা করেছে।”
দেবেশের মনে হল যেন ওর কানের ওপরে কেউ সজোরে এক থাপ্পড় মেরেছে। মাথা ভোঁভোঁ করে উঠল, “কেন কি হয়েছে? কে করল আত্মহত্যা, তোমরা কি করে জানলে?”
ওর বাবা উত্তর দিল, “মনিদিপা অনেক ভাল মেয়েরে। ওর মতন ত মেয়েই হয় না মনে হয়। মানবদার শরীর খারাপের জন্য ওর অনেক টাকার দরকার ছিল, আমাকে একবারের জন্যও বলল না ও। এই একটা চিঠি পাওয়া গেছে ওর ব্যাগ থেকে।”
“মানে?” জিজ্ঞেস করল দেবেশ।
উত্তরে ওর বাবা ওকে জানাল, “আজ খুব সকালে মনিদিপা বলে বেড়িয়ে ছিল যে অফিসের কাজে বম্বে যাচ্ছে। তারপরে ন’টা নাগাদ কেউ গঙ্গার ঘাটে একটা ব্যাগ কেউ কুড়িয়ে পায়, আর তার সাথে মনিদিপার পরনের জামাকাপড়ের কিছু অংশ। লাশ পাওয়া যায়নি, হয়ত গঙ্গার জলে ভেসে গিয়েছে কোথাও। ওর ব্যাগ আর জামা কাপড় দেখে পুলিস ওর অফিসে খবর দেয়। তারপরে অফিসের লোকেরা তোর জেঠিমাকে খবর দেয়। ব্যাগের ভেতরে একটা সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে।”
দেবেশ জিজ্ঞেস করল বাবাকে, “কি লেখা ছিল তাতে।”
ও মা, মা গো,
বাবার শরীর খারাপের সময়ে অনেক টাকার দরকার হয়েছিল, তার জন্য আমি অনেকের কাছে হাত পেতে টাকা ধার করেছি। সেই টাকা শোধ করার মতন আমার আর শক্তি নেই। বাবাই যখন রইলেন না ত সেই টাকা শোধ করে কি করব। এদিকে পাওনাদারদের তাগাদা, আর আমি একা একটা মেয়ে। এই বিশাল পৃথিবীতে কাউকে ভরসা করে কিছু বলতে পারলাম না, কাউকে ঠিক ভাবে ভালবাসতে পারলাম না। ও মা, তুমি কেঁদো না যেন, মা গো। তোমার পাগলি মেয়ে তোমাকে আর মুখ দেখাতে পারবে না বলে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছে, মা। মা গো তুমি কেঁদো না, নরেশ কাকুর কাছে চলে যেও মা, নরেশ কাকু তোমাকে ফেলবে না।
আর আমার বিয়ের জন্য যে হার টা বানিয়ে ছিলে সেটা দেবেশ কে দিও, বোলো ও যখন বিয়ে করবে তখন যেন ওর বউকে দেয়। আর ওকে বোলো যে ও যেন পড়া শুনা করে, আই আই টি যেন পায়। আমার ভালবাসা ওর সাথে সবসময়ে থাকবে।
কাকিমা কে বোলো, পরের জন্মে আমি ঠিক কাকিমার বাড়ির বউ হয়ে আসব। মা গো, আমাকে ক্ষমা করে দিও, আমি বড় পাপী অভাগী মেয়ে, মা। পরের বারে ভাল মেয়ে হয়ে তোমার কোলে ঠিক ফিরে আসব। মা গঙ্গা যেন আমাকে নিজের করে নেয়, মা।
ইতি তোমার অভাগী কলঙ্কিনী মেয়ে, মনিদিপা।
""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
