21-06-2020, 06:10 PM
# ১
ট্রেনে বসে বার বার ঝিমুনি ধরে যাচ্ছে। মানুষ বিশেষ করে মহিলা ও বাচ্চা কাচ্চার ভিড়ে ঘুমানো বড় দায়, তার চেয়ে বড় কথা আমার সাথের ব্যাগটি যদি চুরি হয়ে যায় সেটা অবশ্যই ভালো হবেনা আমার জন্যে। যদিও এর ভিতোর তেমন বিশেষ কিছু নেই। আমার এ যাবতকালের জমানো সব জামাকাপড়, আর একটা তোশক। ব্যগটি নাহয় ধরেই ঘুমালাম, তোশক ধরে ঘুমানো যাবেনা। তোশক বিছিয়ে ঘুমালে আরো ভালো হত। জায়গার সল্পতায় তা পারা যাচ্ছেনা। মানুষজন আমার তোশকের উপর দিয়ে হাটা চলা করছে বলে খারাপ ও লাগছে। কিছু বলতে গেলে বলে এই লেপ তোশক মাথায় রাখেন আর না হইলে ছাদে যাইয়া উঠেন। গৌড়িপুরের সব মানুষ মনে হয় আজকে এই ট্রেনে উঠেছে। তাছাড়া ট্রেনে এত আদিবাসি কেন ঊঠেছে আজকে বুঝতেছিনা।এরা তো জঙ্গলের খোপ থেকে বের হয়না। ঢাকায় কি এদের কোন মহা সমাবেশ হবে নাকি? ট্রেনের সল্পতা ও অসময়ের উপস্থিতি, এরকম উপচেপড়া ভিড় এর কারন। ভিড়ের মধ্যে মানুষ যদি একটু শান্ত হয়ে থাকে তাহলে অন্তত একটু শান্তি পাওয়া যায়। বিশেষ করে মহিলাদের কথা শুনলে ঘুম তো দুরের কথা বসে থাকাই বড় দায়। দুজনের সীটে একজন বসে পা চেগিয়ে আছে। চেকিং মাষ্টারকে বললেও কাজ হবেনা। এক মহিলা পা চেগিয়ে জানালার সাথে হেলান দিয়ে বসে সামনের সীটের মহিলার সাথে খাজুরা আলাপ করছে । তিনি এমনভাবে চেগিয়ে বসে আছে যেন আরেকটু হলে তার যোনি দেখা যাবে। আমার নজর ফাক হয়ে থাকা শাড়ির মাঝখানটায় গেলো কয়েকবার। কিন্তু শাড়ির ভিতরটায় অতিরিক্ত অন্ধকারের কারনে তেমন সুবিধা করতে পারলাম না। মাঝে মধ্যে তার পায়ের রান দেখা যাচ্ছে। হাতঘড়িটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম বাজে বিকেল ৫টা। তারিখটা মনে করার চেষ্টা করতে গিয়ে পারলামনা। সালটা মনে আছে, ১৯৮৭ সাল। আমি কখোনই দিন তারিখ ঠিকমতো মনে করতে পারিনা। ভুলে যাই। এর জন্যে আমার বাবা আমাকে অনেক বকাঝকাও করতেন। ছোটবেলায় বহু কষ্টে তিনি আমাকে ১০০ টাকা দিয়ে ঘড়ি কিনে দিয়েছেন। যাতে সময় বুঝা আমার জন্যে অন্তত সহজ হয়। সেটি আজো পড়ে আছি। মাঝে মধ্যে নষ্ট হলে সাড়িয়ে নিই । কেলেন্ডার সবসময় সাথে নিয়ে ঘুড়তে পারলে ভালো হত, দিন তারিখ যখন মন চাবে খুজে নিব।
ট্রেনে বসে বার বার ঝিমুনি ধরে যাচ্ছে। মানুষ বিশেষ করে মহিলা ও বাচ্চা কাচ্চার ভিড়ে ঘুমানো বড় দায়, তার চেয়ে বড় কথা আমার সাথের ব্যাগটি যদি চুরি হয়ে যায় সেটা অবশ্যই ভালো হবেনা আমার জন্যে। যদিও এর ভিতোর তেমন বিশেষ কিছু নেই। আমার এ যাবতকালের জমানো সব জামাকাপড়, আর একটা তোশক। ব্যগটি নাহয় ধরেই ঘুমালাম, তোশক ধরে ঘুমানো যাবেনা। তোশক বিছিয়ে ঘুমালে আরো ভালো হত। জায়গার সল্পতায় তা পারা যাচ্ছেনা। মানুষজন আমার তোশকের উপর দিয়ে হাটা চলা করছে বলে খারাপ ও লাগছে। কিছু বলতে গেলে বলে এই লেপ তোশক মাথায় রাখেন আর না হইলে ছাদে যাইয়া উঠেন। গৌড়িপুরের সব মানুষ মনে হয় আজকে এই ট্রেনে উঠেছে। তাছাড়া ট্রেনে এত আদিবাসি কেন ঊঠেছে আজকে বুঝতেছিনা।এরা তো জঙ্গলের খোপ থেকে বের হয়না। ঢাকায় কি এদের কোন মহা সমাবেশ হবে নাকি? ট্রেনের সল্পতা ও অসময়ের উপস্থিতি, এরকম উপচেপড়া ভিড় এর কারন। ভিড়ের মধ্যে মানুষ যদি একটু শান্ত হয়ে থাকে তাহলে অন্তত একটু শান্তি পাওয়া যায়। বিশেষ করে মহিলাদের কথা শুনলে ঘুম তো দুরের কথা বসে থাকাই বড় দায়। দুজনের সীটে একজন বসে পা চেগিয়ে আছে। চেকিং মাষ্টারকে বললেও কাজ হবেনা। এক মহিলা পা চেগিয়ে জানালার সাথে হেলান দিয়ে বসে সামনের সীটের মহিলার সাথে খাজুরা আলাপ করছে । তিনি এমনভাবে চেগিয়ে বসে আছে যেন আরেকটু হলে তার যোনি দেখা যাবে। আমার নজর ফাক হয়ে থাকা শাড়ির মাঝখানটায় গেলো কয়েকবার। কিন্তু শাড়ির ভিতরটায় অতিরিক্ত অন্ধকারের কারনে তেমন সুবিধা করতে পারলাম না। মাঝে মধ্যে তার পায়ের রান দেখা যাচ্ছে। হাতঘড়িটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম বাজে বিকেল ৫টা। তারিখটা মনে করার চেষ্টা করতে গিয়ে পারলামনা। সালটা মনে আছে, ১৯৮৭ সাল। আমি কখোনই দিন তারিখ ঠিকমতো মনে করতে পারিনা। ভুলে যাই। এর জন্যে আমার বাবা আমাকে অনেক বকাঝকাও করতেন। ছোটবেলায় বহু কষ্টে তিনি আমাকে ১০০ টাকা দিয়ে ঘড়ি কিনে দিয়েছেন। যাতে সময় বুঝা আমার জন্যে অন্তত সহজ হয়। সেটি আজো পড়ে আছি। মাঝে মধ্যে নষ্ট হলে সাড়িয়ে নিই । কেলেন্ডার সবসময় সাথে নিয়ে ঘুড়তে পারলে ভালো হত, দিন তারিখ যখন মন চাবে খুজে নিব।
""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!