17-06-2020, 03:04 PM
কাগজটা অনুর তোশকের তলায় রেখে দিলাম। সকালে রোদে দেবার সময় ঠিকই চোখে পরবে। ট্যাক্সি নিয়ে বেরিয়ে মাঝপথে রজত উঠল, হোটেলে গিয়ে রজত আর আমার সব ব্যাগ তুলে সোজা এয়ারপোর্ট।হোটেল ছাড়ার আগে একটা বাবাকে চিঠি লিখে হোটেলের বেয়ারা কে ১০০ টাকা বকসিস দিয়ে বলেদিলাম পরের দিন সকালে পৌছে দিতে। দমদম থেকে বম্বে,লন্ডন, নিউইয়র্ক,তারপর দক্ষিণের একটা ছোট শহর। সেই শহরে ২ বছর ছিলাম। সম হবার পর একটা বড় শহরে, আর তার ৬ বছর পর এই শহরে। এইটি ইউনিভারসিটির শহর। খুব নামকরা সব ইউনিভারসিটি। সমস্ত ষাত্রা পথ সুধু কেঁদেছি,৩ মাস ভালভাবে খেতে ঘুমাতে পারিনি।ভয়ে কুঁকড়ে থেকেছি সব সময়,এই বুঝি পুলিস এলো। ২ মাস পর রজত অফিস এর কাজে বোম্বে ষায়,সেখান থেকে কলকাতায় গিয়ে আশা কে ফোন করে এয়ারপোর্ট এ ডেকে আনে। এক গাড়ির ভিতর বসে দুজনে কথা বলে ভয়ে ভয়ে। রজত জানতে পারে অনির কথামতো কেউ এই ঘটনা নিয়ে কিছু করেনি। সুধু শেখর সেন কোর্ট এ গিয়ে রজতকে ত্যাজ্য বলে ঘোষণা করেছেন আর কাগজে ছাপিয়ে দিয়েছেন। সেই পেপার কাটিং আশা রজত কে দেয়। রজত খুব আঘাত পেয়েছিল এই ঘটনায়। আশা কথা দিয়েছিল ও এই কথা কাউকে জানাবে না। সে কথা আশা রেখেছিল কিন্তু তার প্রতিদান আমাদের দিতে হয়েছে।