Thread Rating:
  • 27 Vote(s) - 3.37 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Romance মৌ কথা কও by Raunak_3
#5
তুমি দেখে দাও নাআমি আবার কি করবো গিয়ে
 
শুক্লাদি হেসে ফেলে বললদিয়েছিলামকোনোটাই পছন্দ নয়তুই গিয়ে দেখ।
 
ঠিক আছে চলো।
 
ওর ঘরে গিয়ে দেখা গেল যতজামাকাপড় ছিল সব বিছানায় ছড়ানোএক পাশে মুখ ভার করে বসে আছে। অরিত্র কে দেখতে পেয়েই মুখটা উজ্জ্বল হয়ে উঠলযেন বোঝাতে চাইলোতুমি এসে গেছো? কি পরবো দেখে দাও না
 
সব গুলোই খুব সুন্দরবাছাবাছির তেমন কিছু নেই দেখে দু একটা দেখে নিয়ে একটা জমকালো দেখে কিছু একটা তুলে হাতে দিলে খুব খুশীঅরিত্র নিজেও জানে না ড্রেসটার কি নামসাউথ সিটি মলে গিয়ে ভালো লেগেছিল বলে মৌ আর দু বোনের জন্য একই জিনিষ নিয়েছিলআজকাল মেয়েদের কতরকম নতুন নতুন ডিজাইনের ড্রেসআসছে যে নাম মনে রাখা মুশকিলতার উপরে এতদিন এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকারই পড়েনিমৌ একবারের জন্যও দেখলো না ওকে কেমন লাগবেহাসি মুখে বোঝালোএটাই ঠিক আছে।
 
শুক্লাদি পাশ থেকে হেসে ফেলে বললকি রে মৌএকটু আগেই তো আমিও দিয়েছিলামতখন তো মাথা নেড়ে এমন করে না বললি যেমনে হচ্ছিল ওটার থেকে খারাপ আর কিছু হয় না।
 
লাজুক একটা মিষ্টি হাসিতে বোঝালোতোমার দেওয়া আর ওর দেওয়া কি এক? ও যা দেবে সেটাই সব থেকে ভালো।
 
শুক্লাদি বুঝতে পেরে ওকেজড়িয়ে ধরে বললবুঝেছিযাতাড়াতাড়ি পরে নেআর কখন বেরোবি।
 
নবমী অব্দি কিভাবে কেটে গেল বোঝা গেল নাপূজো আসছে ভাবতে কত ভালো লাগেকিন্তু কি করে যে চারটে দিন কেটে যায় কে জানে।আজ বিজয়া দশমীপাড়ার অনেকেই বাইরে কোথাও বেরোবে বলে বিসর্জন একটু তাড়াতাড়ি সেরে নেওয়া হয়। সন্ধের মুখে দিদানের সাথে মৌ সিন্দুর খেলা দেখতে গেছে, অরিত্র শরীর টাভালো ছিল না বলে বাড়ী থেকে বেরোয় নিড্রয়িং রুমে দাদুর সাথে বসে টিভিতে পুজো পরিক্রমা দেখছিল, আটটা নাগাদ ওরা ফিরলোদিদানের মতো মৌ এর ও সারা মুখে সিন্দুর মাখানো। দাদু দিদান আর শুক্লাদিকে বিজ়য়ার প্রনাম করে শরীর টা ভালো লাগছে নাএকটু শুয়ে নি বলে ও উপরে গিয়ে নিজের ঘরে শুয়ে পড়ল। কিছুক্ষন পর কপালে কারুর হাতের ছোঁয়া পেয়ে তাকিয়ে দেখে মৌ, ওর দিকে তাকিয়ে আছেচোখে মুখে কিছুটা চিন্তার ছাপযেন বলতে চাইছেখুব শরীর খারাপ লাগছে?
 
ওর হাতটা ধরে নিজের গালে আলতো ভাবে চেপে ধরে বুকের ভেতরটা যেন অদ্ভুত এক ভালোলাগায় ভরে উঠলওর টুকটুকে ফর্সা মুখে লাল সিন্দুরের দাগওকে যেন আর মোহময়ী করে তুলেছেখুব ইচ্ছে করছিলবুকে টেনে নিয়ে জ়ড়িয়ে ধরে আদর করে বলতেতোমাকে একান্ত ভাবে নিজের করে নিতে চাইছিকিন্তু পারছিনাতুমি কি বুঝতে পারছো? না বলা কথা গুলো নিজের ভেতরে চেপে রেখে মুখে হাসি এনে বললতেমন কিছু হয় নিরাতে ভালো করে ঘুমোলে ঠিক হয়ে যাবে।
 
মৌ ওর দিকে তাকিয়ে থেকে কি বুঝলো কে জানেইশারা করে বোঝালো ও বিজয়ার প্রনাম করতে চায়।
 
এই দেখোআমাকে আবার কেন?
 
আবার ইশারা করে বোঝালোওকে প্রনাম করতে দিতেই হবে।
 
মৌ ওর পা ছুঁয়ে প্রনাম করে উঠে দাঁড়ালে ওর কাঁধে হাত রেখে ওর দিকে তাকিয়ে থেকে বললপ্রনাম তো করলেকিন্তু কি বলে তোমাকে আশীর্বাদ করি বলতো। মৌ চোখ বুজে থেকে একটা ছোট্ট নিশ্বাস ফেলে যেন বোঝাতে চাইলোআমার যে তোমাকে ছাড়া আর কিছু চাই নাআমি কি চাই তা কি তুমি কোনোদিনও বুঝেও বুঝবে না?
 
পরের দিনটা শুরু হল বাকি আর পাঁচটা বিজয়া দশমীর পরের দিন হিসেবে। ফোন আর এসএমএসে বিজ়য়া দশমীর শুভেচ্ছা আদান প্রদান চলছিল সকাল থেকেই। যারা বাড়ীতে আসার তারা আর একটু পর থেকেই আসতে শুরু করবে। অরিত্রর শরীর মোটামুটি ভালোই। দশটা নাগাদ নারায়নদা নাতনী প্রিয়া কে সাথে নিয়ে প্রতি বছরের মতো একটা মিষ্টির প্যাকেট হাতে নিয়ে হাজির। প্রিয়া ওর দাদুর মুখে মৌ এর ব্যাপারে শুনেছিল কিন্তু এই প্রথম নিজের চোখে দেখলো। মৌ কে দেখার পর থেকেই প্রিয়া চিন্তা করছিলকোথাও যেন ওকে দেখেছে কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারছে না। হঠাত মনে হলকলেজে দেখেনি তো? সপ্তাহে একদিন ও অনেক সকালে টিউশান পড়তে যায় কলেজের এক স্যারের কাছে। কলেজ থেকে খুব বেশী দুরে নয় বলে টিউশান থেকে বেরিয়ে যখন কলেজে আসে তখনও মর্নিং সেকশানের ক্লাস শেষ হতে কিছুটা বাকি থাকে বলে কলেজের সামনে অপেক্ষা করতে হয়। মনে হয় মর্নিং সেকশানের ছুটির পর ওকে দেখেছে কিন্তু ঠিক কিনা বুঝতে পারছে না। হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। বাড়ী ফিরে দাদুকে বলতেই দাদু ওকে একটু বকাবকি করলকেন তুই ওখানেই বলিস নিজানিস অরিত্র দাদাভাইরা কত চেষ্টা করেছে মৌ দিদি কে জানার জন্য। সাথে সাথেই আবার নারায়নদা ফিরে এল প্রিয়া কে সাথে নিয়ে। মৌ নিচে না থাকায় ওদের সুবিধা হল ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করতে, মোটামুটি প্রিয়ার কাছ থেকে যেটুকু জানা গেল তাতে বিশেষ কিছু বোঝা না গেলেও একটা আশার আলো দেখা গেল। হয়তো কলেজে গিয়ে খোঁজ নিলে কিছু জানা যেতে পারে কিন্তু কলেজ খুলতে তো সেই লক্ষী পূজোর পর, এই কটা দিন অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো গতি নেই। দাদু এক ফাঁকে বিশ্বাস কাকুকে ফোন করে মোটামুটিভাবে বুঝিয়ে দিল। যে কেউ গেলে তো আর কলেজ কতৃপক্ষ কোনো কথা বলবে না, পুলিশকে দিয়েই খোঁজ নিতে হবে। আর একটা রাস্তা আছে, কলেজ ইউনিয়ান থেকে খোঁজ পাওয়া যেতে পারে কিন্তু সে ও তো কলেজ খোলার আগে সম্ভব নয়। বিশ্বাস কাকু ছুটি নিয়ে বাড়ী এসেছে দেখে মৌ এর একটা ফোটো নিয়ে অরিত্র এক ফাঁকে দিয়ে এল। মনের ভেতরে ভীষন তোলপাড় হচ্ছিল, এবারে হয়তো কিছু একটা জানা যাবে। রুপসা আর পুবালীকে ফোন করে জানাতে ওরা তো প্রায় লাফিয়েই উঠল, দুজনেই জানে মৌ এর পরিচয় না জানায় অরিত্র চাইলেও এগোতে পারছে না।
 
প্রতি বছরই বেশ কয়েকদিনের জন্য কোথাও বেড়াতে যাওয়া ওদের অনেক বছর ধরে চলছে, চাকরী পাবার আগে দাদুই নিয়ে যেত আর এখন যেহেতু ও নিজে খরচ করতে পারে তাই দাদুকে খরচ করতে দেয় না।এবারেও যাবার সব কিছু ঠিক করা আছে। লক্ষী পুজোর পরদিন বেরিয়ে দার্জিলিং আর গ্যাংটক হয়ে ফিরবে, আগেও দুবার গেছে কিন্তু সব জায়গা গুলো এখোনো দেখা হয়ে ওঠেনি। দিদানের প্লেন চড়তে খুব ভয় থাকায় ট্রেনেই যাওয়া আসা করতে হবে না হলে বাগডোগরা পর্যন্ত প্লেনে যাওয়া আসা করা যেত। মৌ এর ব্যাপারে খোঁজ নেবার জন্য নিজ়ে কোলকাতায় থাকলে ভালো হত কিন্তু এখন আর কিছু করার নেই, বিশ্বাস কাকুর সাথে ফোনে যোগাযোগ রাখতে হবে। বেড়াতে যাবার আগে কয়েকটা দিন অফিস করতে একেবারেই ভালো লাগছিল না, আশা নিরাশার দোটানায় মনের ভেতরে ভীষন একটা অস্থিরতাকি হবেযদি কিছু না জানা যায়। বাড়ীতে ফিরে নিজের মনের অবস্থাও চেপে রাখতে হচ্ছেমৌ কে কোনোভাবেই বুঝতে দেওয়া যাবে না। ডাক্তার বার বার সাবধান করে দিয়েছিলকোনোভাবেই ও যেন কোনো মানসিক চাপের মধ্যে না থাকেতাতে আরো খারাপ হলেও হতে পারে। এই রকম একটা অবস্থার মধ্যে বেরোনোর জন্য গোছগাছ চলছিল, বাইরে যাওয়া তো নয় যেন দক্ষযজ্ঞ, শুধু তো আর জামাকাপড়নিয়ে বেরিয়ে পড়লে হবে না, দাদুদের প্রেসক্রিপশান, ওষুধ, হটব্যাগ, তার সাথে একটা জিনিষতো চাই ই চাই দাদুর, টি পট নিতেই হবে, দাদুর আবার দার্জিলিং ফ্লেভার ছাড়া চলে না। যদিও দিদান আর শুক্লাদি এসব ব্যাপারে ভুল করেনা তবুও অরিত্র নিজে একবার দেখে নেয়। মৌ বেড়াতে যাওয়া হবে বলে ভীষন খুশী, দিদান আর শুক্লাদির সাথে সব সময় থেকে অনেকটাই সাহায্য করছে গোছগাছ করতে।
 
মোটামুটি ভালো ভাবেই ওরা দার্জিলিং পৌঁছে গেছে।রাতের ট্রেন জার্নি আর পরের দিন পাহাড়ী রাস্তায় গাড়ী করে এসে সবাই বেশ ক্লান্ত বলে প্রথম দিন আর কোথাও না বেরিয়ে বিশ্রাম নিয়ে পরের দিন থেকে শুরু করা হবে ঠিক হল। এমনিতেও তাড়াহুড়োর কিছু নেই, ধীরে সুস্থে যাতে ঘোরা যায় তার জন্য হাতে এক দিন বেশি রেখেই হোটেল বুক করা আছে। সন্ধের দিকে ঝির ঝির করে বৃষ্টি পড়ছিল, সবাই ঘুমোচ্ছে দেখে অরিত্র একটা ছাতা নিয়ে বেরিয়ে পড়ল। পাহাড়ী রাস্তায় বৃষ্টির মধ্যে কিছুক্ষন এদিক ওদিক ঘুরে ফিরে এসে দেখল তখোনো কেউ ওঠেনি। ঠান্ডাও বেশ জমিয়ে পড়েছে দেখে হোটেলের বারে গিয়ে এক পেগ হুইস্কি নিয়ে বসার পরই বিশ্বাস কাকুর ফোন এল। বিস্বাস কাকু নিজেই গিয়েছিলেন কলেজে,পুলিশ বলে পরিচয় দেওয়াতে কাজও হয়েছে। প্রিন্সিপাল ছবি দেখে চিনতে না পারলেও দুজন অফিস স্টাফ মোটামুটি একটা আভাস দিয়েছেন যে মেয়েটি ওই কলেজেরই ছাত্রী ছিল, খুব সম্ভবত গত বছরই বিএ অনার্সের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছে কিন্তু কাগজপত্র না দেখে বলা সঠিক করে বলা সম্ভব নয়। অফিসের কাগজপত্র খুঁজে নাম ঠিকানা বের করে দেখার জন্য আগামীকাল আবার যেতে অনুরোধ করেছেন উনারা। বুকের ভেতরে একটা আশার আলো নিয়ে ওদের দু বোনকে কন কলে নিয়ে জানালো কতটা কি হয়েছে। ওদের সাথে কিছুক্ষন কথা বলে পেগটা শেষ করে উঠবে ভাবছিল এমন সময় রিশেপশানের দিকে চোখ পড়ল, মৌ এদিক ওদিক তাকিয়ে কাউকে যেন খুঁজছে, ওকেই খুঁজছে বুঝতে পেরে তাড়াতাড়ি উঠে যেতেই ওকে দেখতে পেয়ে সারা মুখে যেন খুশী উছলে উঠল আর তার সাথে দু চোখে বকুনি দেবার ইচ্ছেকোথায় ছিলে তুমিকখন থেকে খুঁজছি তোমাকে। ওর হাত ধরে ফিরে এসে বসতে বললেএদিক ওদিক তাকিয়ে দু চোখে অবাক জিজ্ঞাসা নিয়ে তাকালোতুমি এখানে কি করছোতুমি আবার এই সব খাও নাকি?
 
অরিত্র ওর চোখে চোখ রেখে আস্তে আস্তে বললআগে বোসোবলছি।
 
মৌ অনিচ্ছা সত্বেও বসার পর গায়ের শালটা একটু ঠিক করে নিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকলোদু চোখে সেই একই জিজ্ঞাসা নিয়ে।
 
অরিত্র ওর দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বললআমি সব সময় খাই নাঅফিসের পার্টি থাকলে একটু আধটু খেতেই হয়না হলে খারাপ দেখায়আরএমনিতে আমার প্রেসার কম বলে হয়তোএকটা কি বড় জোর দুটো পেগ খেলেইবেশ ঘুম ঘুম ভাব এসে যায় তার বেশী খেলে কষ্ট হয় বলে আর খাই নাদাদুরা জানে
 
আস্তে আস্তে ওর মুখ থেকে অবাক জিজ্ঞাসা কেটে গিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়ার ভাব ফিরে এলেগ্লাসটা দেখিয়ে ইশারা করে বোঝালোএটাই শেষ?
 
অরিত্র হাসি মুখে জবাব দিলহুমএটাই প্রথমআর এটাই শেষবুকের ভেতরে আরো একটা না বলা কথা ঝঙ্কার দিয়ে যেন বেরিয়ে আসতে চাইলোঠিক তোমারই মতোতুমিই প্রথমতুমিই শেষআমার জীবনে। ইচ্ছে তো হয় বলতে কিন্তু এখনই পারবোনাভাবতে ভাবতে বললতুমি একটা জুস নাওআমি ততক্ষনে আমারটা শেষ করে ফেলি।
 
মাথা নাড়িয়ে জানালোআচ্ছা।
 
ওয়েটারকে ডেকে জুস দিতে বলে ওর গায়ের শালটার দিকে তাকিয়ে খুব চেনা চেনা লাগলো, মায়ের বিয়ের আগের খুব প্রিয় একটা দামী কাশ্মীরী হাতের কাজ করা টকটকে লাল শাল, দিদান খুব যত্ন করে এত বছর রেখেছে। নিজের একমাত্র মেয়ের প্রিয় শালটা এতদিন স্মৃতি হিসেবে রাখার পরেও আজ দিদান কি ভেবে ওকে দিয়েছে বুঝতে একটুও অসুবিধা হল না কিন্তু বুকের ভেতরে সেই কষ্টটা ফিরে আসতে চাইলে জোর করে আটকে রেখে বললতোমাকে খুব সুন্দর লাগছে। মৌ ওর মুগ্ধ চোখের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে একটু যেন লজ্জা পেয়ে মুখ নামিয়ে নিলওরও বুকের ভেতরে একটা ব্যাথা মুচড়ে উঠে বলতে চাইলোদিদান আমাকে সব বলেছেএটা তোমার মায়ের খুব প্রিয় ছিলতুমি নাকি মাঝে মাঝে তোমার বুকে জড়িয়ে নিয়ে ঘুমোতেবিস্বাস করআমি প্রথমে নিতে চাইনিবুঝতে পারি দিদান আমাকে কি চোখে দেখতে চায়না বলতে পারিনিতাই নিয়েছিজানি নানিজের কাছে রাখতে পারবো কিনাতুমি যদি সেই অধিকার আমায় না দাওকি করে রাখবো আমার কাছে? কেন জানিনাতোমাকে ঠিক বুঝতে পারিনাতুমি কি সত্যিই আমাকে চাও না? বলতে চাইলেও তো সব সময় সব কিছু বলা যায় নাআরো অনেক না বলা কথার মতো এটাকেও বুকে আটকে রেখে লাজুক হাসি মুখে নিয়ে ওর দিকে মুখ তুলে তাকালোঠিক যেন বলতে চাইছেতাই? আমাকে খুব সুন্দর লাগছে?
 
অরিত্র দু চোখের মুগ্ধতা দিয়ে ওকে স্পর্শ করতে করতে বললসত্যিইতোমাকে খুব সুন্দর লাগছে। মৌ ওর হাতটা ধরে আলতোভাবে চাপ দিয়ে যেন বোঝাতে চাইলোতোমার চোখ দিয়েই আমি নিজেকে দেখতে চাই সারা জীবন
 
পরের দিন সকালে আকাশে আর মেঘ নেই, ভোর রাতে উঠে টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখে দিন শুরু হয়েছে। সত্যিই আজ ওদের কপাল ভালো ছিলএর আগের বার আকাশে এত মেঘ ছিল যে সূর্যোদয় দেখার সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনি। ঝকঝকে পরিস্কার আকাশ, পাহাড়ী নরম রোদ মাতাল হাওয়ার সাথে লুকোচুরি খেলতে খেলতে গা ছুঁয়ে যেন আদর করে যেতে চাইছে। বাতাসিয়া লুপ থেকে চারদিকটা ভীষন ভালো লাগে দেখতেএমনিতে তাড়াহুড়ো নেই তার উপর দিদান আর শুক্লাদি সেই কখন থেকে সোয়েটার দেখে যাচ্ছে দেখে অরিত্র এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছিলদাদুর সাথে মৌ গেছে গাড়ীর দিকেদাদু সকালের ওষুধটা খেতে ভুলে গিয়েছিল আজ। এগারোটা বেজে গেছে দেখে অরিত্র বিস্বাস কাকুকে ফোন করল কিছু খবর আছে কিনা জানার জন্য। বিশ্বাস কাকু ফোনটা ধরে বললঅনেক দিন বাঁচবি রেতোকেই ফোন করতে যাচ্ছিলামবলতোরা কেমন ঘুরছিস? বিশ্বাস কাকুর গলা শুনে মনে হল আজ কিছু ভালো খবর আছে। নিজেই একটা প্রশ্ন করলেও উত্তরের অপেক্ষা না করে কাকু বললশোনঅপারেশন মৌ সাকসেসফুলআজ যাতে আর ঘোরাতে না পারে ভেবে সকাল বেলাতেই চলে গিয়েছিলাম। নাম ঠিকানা সব পাওয়া গেছে। তারপর জোড়াবাগান থানার মেজোবাবুকে পাকড়াও করে ঠিকানা খুঁজে চলে গিয়েছিলাম। ঠিকানাও পাওয়া গেছে কিন্তু বাড়ীতে কাউকে পাওয়া যায়নি।আশেপাশে জিজ্ঞেস করে জানলামকোথাও বেড়াতে গেছেদিন দশেক পরে ফিরবে।
 
বুকের ভেতরে যতটা আশা জেগেছিল ততটাই নিরাশা ফিরে এল। একই রকম বা অনেকটা মিল আছে চেহারাও মুখের এমন কেউ তো হতে পারে ভেবে বললঠিক জায়গাতে পৌছনো গেছে কিনা তো বোঝা গেল না।
 
কাকু হয়তো জানতো ও কি বলতে পারেতাইআস্বস্ত করে বললশোনএত বছর পুলিশে চাকরী করে কি কিছুই শিখিনি রেবাজিয়ে দেখে নিয়েছিপাশের বেশ কয়েকটা বাড়ীর লোকজনের সাথে কথা বলেছি। নর্থ কোলকাতা তো জানিস কি রকমসবাই সবাই কে চেনে। অনেক বছর ধরে পাশাপাশি থাকলে যা হয়।
 
কিছু ডিটেলস পেলে?
 
হ্যাঁ রে পেয়েছিকিছু নয়অনেকটাইভালো নামমৌমিতা গাঙ্গুলীডাক নামমৌআমি তো ডাক নামটা শুনে প্রথমে অবাক হয়ে গিয়েছিলামতোর দেওয়া নামের সাথে কি করে যে মিলে গেলযাক গেগত বছর বি এ অনার্স পাশ করেছেরেজাল্ট ভালোস্বভাব চরিত্রও ভালোকোনো খারাপ কিছু কেউ দেখেনিতবে বেশ কিছুদিন ধরে দেখতে না পেয়ে কেউ কেউ জিজ্ঞেস করলে ওর মা নাকি বলেছে বিদ্যাসাগর ইউনিভার্সিটিতে এম এ পড়ছেহোস্টেলে থাকেবাবা মারা গেছে বছর দুয়েক আগে একটা দুর্ঘটনায়নিজের মা অনেক আগেই ছোটো বেলায় মারা গেছেসাডেন হার্ট ফেলিওরবাবার সেকেন্ড ম্যারেজ এর দিক থেকে এক ছেলে আর এক মেয়েছেলেটা বড়ভালো নাম আকাশ, ডাক নাম বিল্টুক্লাস টেনে পড়ছেমেয়ের ভালো নাম সম্পূর্না, ডাক নাম মিষ্টিএখন এইটে পড়ছেবাবার ট্রান্সপোর্টের ব্যাবসা এখন মা দেখেটাকা পয়সা মোটামুটি ভালোই আছেঅন্ততআশে পাশের লোকজনের তাই ধারনা।
 
তাহলেকি এমন হতে পারেযার জন্য হয়তো বাড়ী থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছিলবুঝতে পারছি না।
 
হুমঠিকই ধরেছিসনিশ্চয় এমন কিছু আছে যা আশে পাশের লোকজন জানে নাসেটাই আমাকে খুঁজে বের করতে হবেকিন্তু এখন আরঅপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেইবাড়ীর লোকজন ফিরুকতারপর দেখছি কি করা যায়ভেতরের খবর বের করতে হলে একটু বেগ পেতে হবে মনে হচ্ছে। মা আছে কিন্তু নিজের নয়, দু দুটো ভাই বোনবাবা নেইসম্পত্তির অধিকার থেকে হটানোর একটা গন্ধ পাচ্ছি বলে মনে হচ্ছে। যাক গেতোরা ভালোভাবে ঘুরে আয়দাদুদের কে জানাসআমি আর আলাদা করে ফোন করছি নাবুঝলি?
 
হ্যাঁ ঠিক আছেকাকু তোমাকে কি বলে যে thanx জানাবো
 
ওকে কথা শেষ করতে না দিয়ে কাকু বললশোনআমাকে তোর আর ওইসব জানিয়ে নিজেকে ছোটো করিস নাতোর দাদু দিদান আমাদের জন্য যা করেছে তা আমরা কোনোদিন ভুলতে পারবো না। এতদিন পর তোদের জন্য কিছু একটা করতে পেরে মনে হচ্ছে কিছুটা হলেও ঋন মুক্ত হতে পারবো। আর শোনভালো কথামেয়েটাকে একা একা একদম ছাড়বি নাবলা যায় নানিশ্চয় খারাপ কিছু উদ্দেশ্য আছেগুন্ডা লাগিয়ে কিছু একটা করতে পিছপা হবে নানা হলে মেয়েটা নিরুদ্দেশ হয়ে যাবার পর পুলিশের কাছে কেন যায়নিটাকাপয়সা খুব খারাপ জিনিসবুঝলিনিজের বাপ ছেলেকেও খুন করতে পিছপা হয় নাআর এ তোনিজের মা নয়। পুলিশের চাকরী করতে গিয়ে যে কত কিছুর সামনা করতে হয় সে আমি হাড়ে হাড়ে জানি।
 
বুকের ভেতরে একটা ঠান্ডাস্রোত বয়ে গেলতবুও নিজেকে ঠিক রাখার কিছুটা চেষ্টা করে বললঠিক আছে কাকুএমনিতে ও বাইরে একা কোথাও যায় নাগেলেও আমরা কেউ না কেউ সাথে থাকি।
 
ঠিক আছেএখন রাখবেশি চিন্তা করিস নাআমি বরং দার্জিলিং থানায় একবার ফোন করে দিচ্ছিতোদের উপর যেন একটু নজর রাখে।ওখান থেকে গ্যাংটক যাবার আগে একবার জানিয়ে দিসওখানেও বলে রাখবো। আর শোনএত কিছু দাদুদেরকে বলিস নাবুড়ো বয়সে চিন্তা করতে গিয়ে আবার কিছু না হয়ে যায়।
 
এতদিন বুকের ভেতরে যে চিন্তাটা ছিল সেটা কাকুর কাছ থেকে খবর পাবার পর অনেকটাই ঠিক হয়ে গেলেওনতুন এক চিন্তা বুকের ভেতরটা তোলপাড় করতে শুরু করে দিয়েছে। হঠাত মনে পড়লও দাদুর সাথে গাড়ীর দিকে গেছেএখোনো ফেরেনিতাড়াতাড়ি দিদানরা কোথায় আছে দেখে নিয়ে সিঁড়ির দিকে এগোতে গিয়ে বুকে প্রান ফিরে এলমৌ*দাদুর হাত ধরে উপরের দিকে আসছেদাদু কিছু একটা বললে সারা মুখে লাজুক হাসি ছড়িয়ে দাদুর হাত ছেড়ে দিয়ে যেন বলতে চাইছেযাওতোমার সাথে আড়ি
 
দাদু দাঁড়িয়ে পড়ে আবার কিছু একটা বললেঠোঁট চেপে হাসতে হাসতে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে ঘাড় নেড়ে যেন বলতে চাইছেহ্যাঁ
 
এত সুন্দর একটা নিস্পাপ মেয়ের কেউ ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে বিশ্বাস করা খুব কঠিন ভাবতে ভাবতে আশে পাশে ভালো করে দেখার চেষ্টা করলকেউ সেভাবে ওর দিকে নজর রাখছে কিনা। নাঃকিছু বিভিন্ন বয়সের মানুষ যারা সুন্দরী মেয়ে দেখলে দু চোখ দিয়ে গিলতে চায়সেই রকম কয়েক জন ছাড়া সে রকম কিছু চোখে পড়ল না। বাকিরা নিজেদের নিয়ে ব্যাস্ত। এত বড় একটা খবর দাদুদের কে না দেওয়া পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছিল না কিন্তু ওর সামনে তো বলা যাবে না দেখে ইচ্ছে করেই মৌকে দিদানদের কাছে দিয়ে এসে দাদুকে মোটামুটি যতটা বলা যায় বলে ওদের দু বোন কে ফোন করল
 
রুপসা চুপচাপ শোনার পর জিজ্ঞেস করলতোদাদাভাইএবারে কি?
 
এবারে কি মানে?
 
ধুসতুই নাএকটা যাচ্ছেতাইতোর একটা প্রশ্নের তো উত্তর পেয়ে গেছিস
 
ওর সাথে এখন কথা বাড়িয়ে লাভ নেই দেখে বললআমি এখন ওসব নিয়ে কিছু ভাবছি নাকাকু আগে বাকি খবর গুলো নিক
 
হুমতবে তাই হোকআমি কিন্তু বলে দিচ্ছি দাদাভাইতুই যদি আর কাউকে বিয়ে করিসদেখে নিস কি করিতোর সাথে আর কোনোদিন কথাই বলবো না।
 
বোনটা সত্যিই পাগলকিছু বুঝতে চায়না ভেবে বললআচ্ছা ঠিক আছেচলবিয়ে যদি করতেই হয় ওকেই করবোআর না হলে কাউকেই নয়তাহলে হবে তো?
 
কি আর করবো বলতুই তো আর আমি নইএই ছোড়দিতুই আছিস লাইনে? কিছু বল না
 
পুবালী কিছু না বলে চুপচাপ ওদের কথা শুনছিলরুপসার কথা শুনে বললভাই ঠিকই বলেছেএখনই সব কিছু ভেবে নেওয়াটা ঠিক হবে না
 
ওর কথা শেষ হতে না হতেই রুপসা বলে উঠলঠিক আছেঠিক আছেচলতোরা সব গোমড়ামুখো হুতুম প্যাঁচার দলসব সময় এটা কি হবেওটা কি হবেএই নিয়েই আছিসআমি আর কিছু বলবো না যাআমার বয়ে গেছেযেন ওর সাথে বিয়ে হলে আমার কিছু লাভ আছেএকটা মাত্র দাদাভাইভালোবাসিতাই বলিনা হলে আমার কি আসে যায়। এইছোড়দিরাখছি এখনপরে ফোন করিস।
 
রুপসা অভিমান করে ফোনটা কেটে দিলে পুবালী বললভাইমন খারাপ করিস নামাথা গরম হয়ে গেছেতোকে ফোন করতে হবে নাওই দেখবি নিজেই ফোন করবেআমি তো চিনি ওকেদাদাভাই বলতে পাগলনিজেকেও বোধহয় এত ভালোবাসে না।
 
জানিআচ্ছারাখি রে এখনরাতে ফোন করবো।
 
পুবালির লাইনটা কাটতেই সাথে সাথে একটা অচেনা নাম্বার থেকে ফোন এলে ধরবে কি ধরবে না ঠিক করতে পারছিল নাকিছুক্ষন রিং হওয়ার পর কি মনে করে ধরলে ওদিক থেকে জিজ্ঞেস করলআমি কি অরিত্র সেন এর সাথে কথা বলতে পারি?
 
আমিই অরিত্রবলুন।
 
আমি রঞ্জন দাশগুপ্তদার্জিলিং থানা থেকে বলছিমিঃ বিশ্বাস আপনার ব্যাপারে এখুনি ফোন করেছিলেন।
 
ও আচ্ছাহ্যাঁবলুনআমার সাথে একটু আগেই ওনার কথা হয়েছে।
 
মিঃ বিশ্বাসসব কিছু বলেছেনআমরা আছিচিন্তা করবেন নাআপনাদের হোটেলের নাম, রুম নাম্বার আর গাড়ীর নাম্বারটা দিনআমি প্লেন ড্রেসে একজন কে আর্মস দিয়ে পোস্টিং করে দিচ্ছিখুব কাজের ছেলেকিছু মনে হলেই সাথে সাথে আমার এই নাম্বারে ফোন করবেন
 
গাড়ীর নাম্বারটা শুনেই বললেন দুধ সাদা টয়োটা তো? ড্রাইভার কে আছে? পবন বাহাদুর? বেঁটে গোলগাল চেহারাডান গালে একটা ছোটো কাটা দাগ আছে?
 
হ্যাঁবলাতে বললেনআরো ভালো হলছেলেটার সাথে আমাদের ভালো যোগাযোগ আছেওকেও একবার ফোন করে নিচ্ছিআমার অর্ধেক কাজ ওকে দিয়েই হয়ে যাবেএকাই পাঁচটা লোকের মহড়া নেবার ক্ষমতা আছে ওর।
 
এত কিছু জানলেন কি করে জিজ্ঞেস করাতে বললেনআরে মশাইআমরা পুলিশের লোকসবাই কে জানতে হয়কখন কাকে কি কাজে লাগে কে জানেহো হো করে হেসে উঠে বললেনআপনারা তো ভাবেন পুলিশ মানেই কিছু করে নাঅপদার্থঘুষ খায়
 
তা অবশ্য ঠিকখবরের কাগজ আর টিভিতে যা দেখিঅবশ্য মাঝে মাঝে পুলিশের মানবিক দিকটাও খবরে আসে
 
যাক গেআপনি নিশ্চিন্ত থাকুনআমার আবার একটু বেরোতে হবেচা বাগানে একটা হাফ মার্ডার কেস হয়েছেদারু গিলে মেয়ে নিয়ে মারামারিআর ভাল্লাগে নাসারাদিন এইসব কেস ঘেঁটে ঘেঁটেনিজে যে ভদ্রলোকের ছেলে ভুলেই গেছি
 
ভদ্রলোকের সাথে কথা বলে বেশ নিশ্চিন্ত হয়ে দিদানদের ডাকতে গিয়ে খেয়াল হলএই যাঃওনার পরিচয়টা তো জানা হল নাকি ভাবলো কে জানেঠিক আছে পরে একবার ফোন করে কথা বলে নেওয়া যাবে ভেবে এগিয়ে যেতে গিয়ে দেখলোদাদু ওদের কে নিয়ে আসছে।সবার হাতেই একটা করে বড় প্যাকেটআবার এক গাদা সোয়েটার কিনেছে নিশ্চয়কি করবে কে জানেবললেও শোনে না। নিচে নেমে গাড়ীর কাছে গিয়ে পৌঁছোলে পবন তাড়াতাড়ি এসে গাড়ীর দরজা খুলে দিলে এক এক করে সবাই উঠে পড়লে জিজ্ঞেস করল
 
সাবআভি কাঁহা যানা হ্যায়
 
দাদু হোটেলের দিকে ফিরতে বললবেলা হয়ে গেছেস্নান খাওয়া সেরে একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার বেরোনো যাবে। হোটেলের সামনে পৌঁছোনোর পর পবন কিছুতেই সোয়েটারের প্যাকেট গুলো কাউকে নিতে দিল নাও পৌঁছে দেবে। ছেলেটা সত্যিই খুব ভালোপ্রথম থেকেই খুব খাতির যত্ন করছে। অরিত্র সবাই চলে যাবার পর কি কি নিতে হবে দেখে নিয়ে এগোতে গেলে পবন বলল
 
সাবথোড়া রুকিয়েআপকে সাথ বাত হ্যায়
 
অরিত্র দাঁড়িয়ে গিয়ে ওর দিকে তাকালেপবন প্যাকেট গুলো আবার গাড়ীতে রেখে বললসাবথানা সে বড়া সাবজী কা ফোন আয়া থাআপলোগ উনকা মেহমান হ্যায়হামকো পাতা নেহি থাবড়া সাবজী ভাবীজী কা বারে মে মেরেকো বাতায়াআপ চিন্তা মত কিজিয়েম্যায় যব তক জিন্দা হুঁকিসিকা দম নেহি হ্যায় ভাবীজী কো ছুঁনে কাআপলোগ ইতনা আচ্ছা আদমী হ্যায়আপলোগোকে লিয়ে কুছ করনে কা মওকা মিলনা ভি বড়ী বাত হ্যায়কিতনা আদমী আতা হ্যায়সব হাম জ্যায়সা ছোটা আদমী কো কিতনা বুরা নজরসে দেখতে হ্যায় লেকিন আপলোগ কিতনা পেয়ার হামকো দে রহে হ্যায়আপনা ঘরকা আদমী য্যায়সাহাম কভিআপ লোগোকো নেহি ভুলেঙ্গে
Like Reply


Messages In This Thread
মৌ কথা কও by Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:20 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:20 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:21 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:22 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:23 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:24 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:25 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:26 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:26 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:27 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:29 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:30 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:31 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:32 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:40 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:42 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:43 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:44 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:46 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:50 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:50 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:56 PM
RE: মৌ কথা কও Raunak_3 - by pcirma - 25-02-2019, 12:56 PM



Users browsing this thread: 3 Guest(s)