03-06-2020, 08:29 PM
দেখতে দেখতে কতগুলো বছর কেটে গেল।কত ঘটনাই না ঘটলো ।
বাবার অফিসের লোনে আস্তে আস্তে আমাদের বাড়ি পাকা হোলো ।দুটো ঘর।ডাইনিং,কমোড বসানো টয়লেট।
তার আগেই পাড়ায় ইলেকট্রিকের খুঁটি বসেছিল।আমাদেরও আলো এলো,দুই ঘরে ফ্যান এলো।ফোন এলো।টিভি কিছুদিন আগে বাজারে এসেছে।তবে আমার পড়াশোনার কথা ভেবেই বাবা টিভি কিনতে রাজী হয়নি।
এর মধ্যে আমাদের রেশন কার্ড,আর ভোটার কার্ড হয়ে গেছে।।মানে আমরা ইন্ডিয়ার সিটিজেন হয়ে গেছি।বাবা পাসপোর্ট করে একবার দেশেও ঘুরে এসেছে।পরে আমদেরও পাসপোর্ট হযেছে।
দিদি স্কলারশিপ নিয়ে জার্মানিতে মাস্টারস করতে গিয়ে ঐ দেশের কার্ল স্টেইনবার্গ বলে একটা ছেলেকে বিয়ে করে ওই দেশের সিটিজেনশিপ পেয়ে গেছে।খ্রিস্টান বিয়ে করায় মামারা খুব অসন্তুষ্ট ।মা ফোন করলেই মামারা দিদিকে নিয়ে মাকে কথা শোনায়।
দিদির বিয়েটা অবশ্য পাঁচ বছরের বেশি টেঁকেনি।আবু বক্কর নামে জর্ডনের এক ডাক্তারকে পরে বিয়ে করে দিদি।তার আবার একটা 7 বছরের ছেলে ছিলো ।
আমাদের রাম দা সরস্বতী পুজোর দিন ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে।মাথা ফেটে দু ভাগ হয়ে গিয়েছিল।খুব মর্মান্তিক।
বোর্ডের ফাইনাল পরীক্ষা হয়ে গেলো ।ভালই হলো ।স্যারেরা বাবাকে বলেছিলেন আমার স্ট্যান্ড করার সম্ভাবনার কথা।আমিও আশা করেছিলাম।ইঞ্জিনিয়ারিং আর মেডিকেলের জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিলাম।রেজাল্ট বেরোতে আরো এক মাস।
আমরা দেশের বাড়ি যাবো ঠিক হলো ।
শিয়ালদায় ট্রেনে উঠেই কেমন যে অনুভূতি হচ্ছিল,বোঝানো শক্ত।
বনগাঁয় ট্রেন থেকে নেমে ভ্যান রিকসায় পেট্রাপোল।প্রায় দেড় ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে,সব ফর্মালিটি শেষ করে বেনাপোল গেট পর হয়ে যখন লাক্সারি বসে উঠে বসলাম বুকটা কেমন ভারী লাগছিলো ।
একটা অনির্বচনীয় আনন্দ।নিজের বাড়ি ফিরছি।নিজের দেশে ফিরছি।
পালিয়ে চলে আসার সময় অন্ধকারে ইছামতী পেরিয়ে বসিরহাট দিয়ে আমাদের এনেছিল দালাল।এখান থেকে ঢাকা অনেকখানি পথ।রাস্তার দুপাশে শিশু,জরুল,শাল গাছের সারি ।কোথাও রাস্তার দুপাশে রাধাচূড়া কৃষ্ণচূড়া গলাগলি করে দাড়িয়ে।ধানকাটা মাঠের উপর দিয়ে ল্যংটো ছেলে ভেজা গায়ে দৌড়চ্ছে ।সাইকেলে খড়ের বস্তা চাপিয়ে চলেছে কেউ।
রাত হয়ে গেছে বাস থেকে নেমে। মিরপুরে নেমে রিক্সা ধরতে এগোচ্ছি।তখন cng চালু হয়নি।দেখি পিসেমশাই দাঁড়িয়ে ।
আমাকে জড়িয়ে ধরলো,
"পোলায় দেখি কত্ত বড় হইয়া গেছে।আমারে চিনতে পারছস মনা ।"
আমি ঘাড় নোয়ালাম।
"বৌদী,আমি ভুলারে আমার বাসায় নিয়া গেলাম।কাইল তোমার ননদেরে আর বাচ্চাগো লইয়া তোমগো বাসায় যামু।তোমরা মায়ে পোয়ে আসো গিয়া। চেনতে পারবা তো বাড়ি?"
বাবাকে কিছু বলতেই দিলো না পিসেমশাই।একরকম ছিনতাই করে নিয়ে গেল।
বাসায় যখন পৌছলাম,প্রায় নটা বাজে।রাস্তার উপর প্রায় বিশ পঁচিশ জন দাঁড়িয়ে। রমজান মাস চলছে।ভোর রাতে .দের উঠতে হয় তাই এ সময় তাড়াতাড়ী শুয়ে পরে সবাই।দেখি যতীন,রাজু,জবার সাথে পাচু মিয়া, খালেক,মজম্মেল,নিলুফারও দাঁড়িয়ে।সবাই জড়িয়ে ধরলো আমায়।
ঠাকুমা আর কাকীতো মাকে আর আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউ হাউ করে কান্না।
বন্ধুরাও আমায় ছাড়তে চায় না।
"আরে ওরা অনেক পরিশ্রম কইরা আইসে।আগে ঘরে আইতে দাও।পোলাপান গুলানরে এইবার যাইতে কও"
বাড়ির ভিতর থেকে গম্ভীর গলায় বললেন ঠাকুরদা।
আমার বন্ধুরা সকলে আমার কাছ থেকে তাদের বাড়ি যাবার প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিলো ।
ঘরে ঢুকতেই আমার গাযের উপর প্রায় লাফিয়ে পড়ল বাঘা।
আশ্চর্য কুকুরের ঘ্রাণশক্তি।ঠিক চিনতে পেরেছে।তিনমাস বয়েসের বাঘাকে নিয়ে আমি মাঠে ঘাটে ঘুরে বেরাতাম ।ওকে পিঠে নিয়ে সাঁতরে পুকুরে পনিফল তুলতাম।দুপুরে খাবার সময় আমার পাতের পাশে চুপটি করে বসে থাকত।আমি ওকে ভুলে গেছি।ও আমায় ভোলেনি ।এখন সত্যিই ঘাড়ে গর্দানে বাঘের মতই চেহারা হযেছে।
বন্ধুদের বাড়িতে রোজ মা আর আমার নেমন্তন্ন ।জাহানারা আর ফারীনের বাড়িতে গিয়ে শুনি ওদের বিয়ে হয়ে গেছে।জাহানারাদের বাড়ি পাকা হচ্ছে ওর দাদা লিটন সৌদিতে কাজ করে।টাকা পাঠায়।
ঈদের সকালে অতিকুল চাচার বাড়ি থেকে কলাপাতায় মুড়ে কচি পাঁঠার মাংস এলো। মেহেদি চাচা এলো একদিন পরিবার নিয়ে।চা খেতে খেতে বাবাকে বল্ল,
"কাজটা ভালাই করসো ভুলা,পোলায় মানুষ হইবো।এই খানে উচ্চশিক্ষার এখনো তেমন সুজুগ নাই ।কইলকাতা বড় শহর ।বদসঙ্গে না পরলে পোলার ভালাই হইবো ,চোখ ফুটব।"
ঠাকুরদা রাতে তারা চেনাতে চেনাতে (এটা আমার ছোটবেলার অভ্যাস।ঠাকুরদার সাথে মাঠে শুয়ে শুয়ে তারা চেনা) একদিন বললেন,
"ভাই,তুমি তো পড়াশোনায় ভালাই করতাসো।আমার বড় ইচ্ছা তুমি ডাক্তার হও।হাওড়া ব্রিজ নির্মাণের ইঞ্জিনিয়ার অন্য কেউ হইবো।
আমার একটা বড় আফসোস আছে গো ভাই।
আমার মায় মারা গেসিল ডীপথেরিয়ায় । তিরিশ মাইলের মইদ্ধে তখন কুন ডাক্তার ছিল না।কবিরাজিতে যখন ধরলো না,ঢাকার হাসপাতালে নিয়া যাইতে যাইতে মা মারা গেল।তখন আমার দশ বছর বয়স।
গ্রামে ডাক্তারের বড়ই অভাব ভাই।যদি কুনদিন দ্যাশে ফিরা আসো,গ্রামের মানুষের সেবায় লাগবা ।আমি তোমারে নিয়ে সেই স্বপ্নই দেখি।"
এর মধ্যেই একদিন দুপুরে টেলিগ্রাম এলো।টেলিগ্রাম এলে সবাই ভয় পেত।কারন ওতে বেশিরভাগ দুসংবাদ আসতো ।কেউ খুলতে চাইছে না টেলিগ্রাম।ঠাকুমা অজানা ভয়ে মুখে শাড়ির আঁচল চেপে ফোপাচ্ছে।কাকাই শেষে সাহস করে টেলিগ্রাম খুলেই এক চক্কর ঘুরে চিৎকার করে উঠলো,"আমাগো বাবু ফাইনাল পরীক্ষায় থার্ড হইসে রে,থার্ড হইসে।" পরদিন হৈ হৈ করে আমার গ্রাম্য সম্বর্ধনা। মেহেদি চাচা ডেকে ডেকে সবাইকে বলতে লাগল,"আমি সেদিন ভোলারে দ্যাশ ছাড়তে না কইলে আইজ গ্রামের মুখ উজ্জল হইত না,বুঝলা ।"
বাবার অফিসের লোনে আস্তে আস্তে আমাদের বাড়ি পাকা হোলো ।দুটো ঘর।ডাইনিং,কমোড বসানো টয়লেট।
তার আগেই পাড়ায় ইলেকট্রিকের খুঁটি বসেছিল।আমাদেরও আলো এলো,দুই ঘরে ফ্যান এলো।ফোন এলো।টিভি কিছুদিন আগে বাজারে এসেছে।তবে আমার পড়াশোনার কথা ভেবেই বাবা টিভি কিনতে রাজী হয়নি।
এর মধ্যে আমাদের রেশন কার্ড,আর ভোটার কার্ড হয়ে গেছে।।মানে আমরা ইন্ডিয়ার সিটিজেন হয়ে গেছি।বাবা পাসপোর্ট করে একবার দেশেও ঘুরে এসেছে।পরে আমদেরও পাসপোর্ট হযেছে।
দিদি স্কলারশিপ নিয়ে জার্মানিতে মাস্টারস করতে গিয়ে ঐ দেশের কার্ল স্টেইনবার্গ বলে একটা ছেলেকে বিয়ে করে ওই দেশের সিটিজেনশিপ পেয়ে গেছে।খ্রিস্টান বিয়ে করায় মামারা খুব অসন্তুষ্ট ।মা ফোন করলেই মামারা দিদিকে নিয়ে মাকে কথা শোনায়।
দিদির বিয়েটা অবশ্য পাঁচ বছরের বেশি টেঁকেনি।আবু বক্কর নামে জর্ডনের এক ডাক্তারকে পরে বিয়ে করে দিদি।তার আবার একটা 7 বছরের ছেলে ছিলো ।
আমাদের রাম দা সরস্বতী পুজোর দিন ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে।মাথা ফেটে দু ভাগ হয়ে গিয়েছিল।খুব মর্মান্তিক।
বোর্ডের ফাইনাল পরীক্ষা হয়ে গেলো ।ভালই হলো ।স্যারেরা বাবাকে বলেছিলেন আমার স্ট্যান্ড করার সম্ভাবনার কথা।আমিও আশা করেছিলাম।ইঞ্জিনিয়ারিং আর মেডিকেলের জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিলাম।রেজাল্ট বেরোতে আরো এক মাস।
আমরা দেশের বাড়ি যাবো ঠিক হলো ।
শিয়ালদায় ট্রেনে উঠেই কেমন যে অনুভূতি হচ্ছিল,বোঝানো শক্ত।
বনগাঁয় ট্রেন থেকে নেমে ভ্যান রিকসায় পেট্রাপোল।প্রায় দেড় ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে,সব ফর্মালিটি শেষ করে বেনাপোল গেট পর হয়ে যখন লাক্সারি বসে উঠে বসলাম বুকটা কেমন ভারী লাগছিলো ।
একটা অনির্বচনীয় আনন্দ।নিজের বাড়ি ফিরছি।নিজের দেশে ফিরছি।
পালিয়ে চলে আসার সময় অন্ধকারে ইছামতী পেরিয়ে বসিরহাট দিয়ে আমাদের এনেছিল দালাল।এখান থেকে ঢাকা অনেকখানি পথ।রাস্তার দুপাশে শিশু,জরুল,শাল গাছের সারি ।কোথাও রাস্তার দুপাশে রাধাচূড়া কৃষ্ণচূড়া গলাগলি করে দাড়িয়ে।ধানকাটা মাঠের উপর দিয়ে ল্যংটো ছেলে ভেজা গায়ে দৌড়চ্ছে ।সাইকেলে খড়ের বস্তা চাপিয়ে চলেছে কেউ।
রাত হয়ে গেছে বাস থেকে নেমে। মিরপুরে নেমে রিক্সা ধরতে এগোচ্ছি।তখন cng চালু হয়নি।দেখি পিসেমশাই দাঁড়িয়ে ।
আমাকে জড়িয়ে ধরলো,
"পোলায় দেখি কত্ত বড় হইয়া গেছে।আমারে চিনতে পারছস মনা ।"
আমি ঘাড় নোয়ালাম।
"বৌদী,আমি ভুলারে আমার বাসায় নিয়া গেলাম।কাইল তোমার ননদেরে আর বাচ্চাগো লইয়া তোমগো বাসায় যামু।তোমরা মায়ে পোয়ে আসো গিয়া। চেনতে পারবা তো বাড়ি?"
বাবাকে কিছু বলতেই দিলো না পিসেমশাই।একরকম ছিনতাই করে নিয়ে গেল।
বাসায় যখন পৌছলাম,প্রায় নটা বাজে।রাস্তার উপর প্রায় বিশ পঁচিশ জন দাঁড়িয়ে। রমজান মাস চলছে।ভোর রাতে .দের উঠতে হয় তাই এ সময় তাড়াতাড়ী শুয়ে পরে সবাই।দেখি যতীন,রাজু,জবার সাথে পাচু মিয়া, খালেক,মজম্মেল,নিলুফারও দাঁড়িয়ে।সবাই জড়িয়ে ধরলো আমায়।
ঠাকুমা আর কাকীতো মাকে আর আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউ হাউ করে কান্না।
বন্ধুরাও আমায় ছাড়তে চায় না।
"আরে ওরা অনেক পরিশ্রম কইরা আইসে।আগে ঘরে আইতে দাও।পোলাপান গুলানরে এইবার যাইতে কও"
বাড়ির ভিতর থেকে গম্ভীর গলায় বললেন ঠাকুরদা।
আমার বন্ধুরা সকলে আমার কাছ থেকে তাদের বাড়ি যাবার প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিলো ।
ঘরে ঢুকতেই আমার গাযের উপর প্রায় লাফিয়ে পড়ল বাঘা।
আশ্চর্য কুকুরের ঘ্রাণশক্তি।ঠিক চিনতে পেরেছে।তিনমাস বয়েসের বাঘাকে নিয়ে আমি মাঠে ঘাটে ঘুরে বেরাতাম ।ওকে পিঠে নিয়ে সাঁতরে পুকুরে পনিফল তুলতাম।দুপুরে খাবার সময় আমার পাতের পাশে চুপটি করে বসে থাকত।আমি ওকে ভুলে গেছি।ও আমায় ভোলেনি ।এখন সত্যিই ঘাড়ে গর্দানে বাঘের মতই চেহারা হযেছে।
বন্ধুদের বাড়িতে রোজ মা আর আমার নেমন্তন্ন ।জাহানারা আর ফারীনের বাড়িতে গিয়ে শুনি ওদের বিয়ে হয়ে গেছে।জাহানারাদের বাড়ি পাকা হচ্ছে ওর দাদা লিটন সৌদিতে কাজ করে।টাকা পাঠায়।
ঈদের সকালে অতিকুল চাচার বাড়ি থেকে কলাপাতায় মুড়ে কচি পাঁঠার মাংস এলো। মেহেদি চাচা এলো একদিন পরিবার নিয়ে।চা খেতে খেতে বাবাকে বল্ল,
"কাজটা ভালাই করসো ভুলা,পোলায় মানুষ হইবো।এই খানে উচ্চশিক্ষার এখনো তেমন সুজুগ নাই ।কইলকাতা বড় শহর ।বদসঙ্গে না পরলে পোলার ভালাই হইবো ,চোখ ফুটব।"
ঠাকুরদা রাতে তারা চেনাতে চেনাতে (এটা আমার ছোটবেলার অভ্যাস।ঠাকুরদার সাথে মাঠে শুয়ে শুয়ে তারা চেনা) একদিন বললেন,
"ভাই,তুমি তো পড়াশোনায় ভালাই করতাসো।আমার বড় ইচ্ছা তুমি ডাক্তার হও।হাওড়া ব্রিজ নির্মাণের ইঞ্জিনিয়ার অন্য কেউ হইবো।
আমার একটা বড় আফসোস আছে গো ভাই।
আমার মায় মারা গেসিল ডীপথেরিয়ায় । তিরিশ মাইলের মইদ্ধে তখন কুন ডাক্তার ছিল না।কবিরাজিতে যখন ধরলো না,ঢাকার হাসপাতালে নিয়া যাইতে যাইতে মা মারা গেল।তখন আমার দশ বছর বয়স।
গ্রামে ডাক্তারের বড়ই অভাব ভাই।যদি কুনদিন দ্যাশে ফিরা আসো,গ্রামের মানুষের সেবায় লাগবা ।আমি তোমারে নিয়ে সেই স্বপ্নই দেখি।"
এর মধ্যেই একদিন দুপুরে টেলিগ্রাম এলো।টেলিগ্রাম এলে সবাই ভয় পেত।কারন ওতে বেশিরভাগ দুসংবাদ আসতো ।কেউ খুলতে চাইছে না টেলিগ্রাম।ঠাকুমা অজানা ভয়ে মুখে শাড়ির আঁচল চেপে ফোপাচ্ছে।কাকাই শেষে সাহস করে টেলিগ্রাম খুলেই এক চক্কর ঘুরে চিৎকার করে উঠলো,"আমাগো বাবু ফাইনাল পরীক্ষায় থার্ড হইসে রে,থার্ড হইসে।" পরদিন হৈ হৈ করে আমার গ্রাম্য সম্বর্ধনা। মেহেদি চাচা ডেকে ডেকে সবাইকে বলতে লাগল,"আমি সেদিন ভোলারে দ্যাশ ছাড়তে না কইলে আইজ গ্রামের মুখ উজ্জল হইত না,বুঝলা ।"