15-05-2020, 10:41 PM
।।৭।।
বটের ঝুরি বেয়ে সন্ধ্যা নামে বটতলায়। সওয়ারির অপেক্ষায় রিক্সাস্ট্যাণ্ডে রিক্সাওয়ালা সিটে পা তুলে বসে বিড়ি ফুকছে।নীল ইদানীং জোরকদমে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত,বেরোয় কম।শিবেন ব্যাঙ্কে চাকরি পেয়েছে।কোচিং যাবার জন্য বাড়ি হতে বেরিয়ে দীপা কি ভেবে রিক্সাস্ট্যাণ্ডের দিকে এগোতে থাকে। কোথা হতে বাইক নিয়ে বলু এসে হাজির। দীপা মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
--কি হল জানু?
--আমার সঙ্গে তুমি কথা বলবে না।দীপা হাটতে হাটতে বলে।
--যাঃ বাড়া, কসুর কি বলবে তো?
-- খবরদার একদম মুখ খারাপ করবে না।
বলু জিভ কেটে বলল,স্যরি ছিলিপ অফ টাং।নারাজ কেন মেরি জান ওহি ত বাতাও।
--তুমি ওকে মারলে কেন?
ওহ এই ব্যাপার। বলু একমূহুর্ত সময় নেয় ব্যাপারটা বুঝতে,তারপর বুঝে বলে, চুগলিখোরের জন্য তুমার এত দরদ কেন জানু?
--দরদ না,তোমার নামে বদনাম আমার ভাল লাগে না।জানো বাড়ীতে তোমাকে নিয়ে কথা উঠেছিল?আমার খারাপ লাগেনা বুঝি?
--ওকে জানু,মাফি মানছি। এবার ওঠো তো।
দীপা বাইকের পিছনে উঠে পড়ে।সওয়ারি খোয়া যেতে রিক্সাওয়ালারা মনে মনে গাল দেয়। উপরে ব্যালকনি থেকে মিতু ব্যাপারটা লক্ষ্য করে ছুটে বাড়ির ভিতর চলে যায়।মিসেস বোস মেয়েকে উত্তেজিত দেখে কারন জানতে চাইলেন।
--জানো মাম্মি,দিদিভাই সেই গুণ্ডাটার সঙ্গে বাইকে চড়ে গেল।
মিসেস বোস চোখ পাকিয়ে ঠোটে আঙ্গুল রেখে মেয়েকে বিরত করে।তারপর নীচু গলায় বলে,তোমার বাপি যেন জানতে না পারে।
মিসেস বোসকে চিন্তিত মনে হল।কথাটা কানে এসেছে আগেই,কিন্তু বিশ্বাস হয়নি তার মেয়ের রুচি এত হীন হতে পারে? দীপাটা এমন কিভাবে হল,একবার বাবা মায়ের কথা ভাবলো না?পাড়ায় মুখ দেখাবার যো থাকবে না।আজ আসুক বাড়ীতে।
দুরন্ত গতিতে ছুটে চলেছে বাইক। কোচিংযের পথ হতে অন্যদিকে বাঁক নিতে দীপা বলে,কোথায় যাচ্ছো,কোচিং আছে না?
--গোলি মারো কোচিংয়ে।
দীপা হেসে ফেলে,বলুর এই ম্যাচো ভাবটা তার ভাল লাগে।বগলের তলা দিয়ে হাত গলিয়ে ভাল করে চেপে ধরে বলে,না মশাই গুলি মারলে চলবে না।আচ্ছা সোনা তুমি কি করো?
--এত জেরা করছো কেন বলতো?
--বাঃ আমি জানবো না,কি ভাবে আমাদের সংসার চলবে?
--বিজিনেস।
--কি বিজনেস বলবে তো?বিজনেস বললে কি বুঝবো?কেউ জিজ্ঞেস করলে কি বলবো?
--এক্সপোট-ইম্পোট বিজনেস।
--তার মানে এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট? সেটা কি?
--মাল চালান দেওয়া। চুপচাপ বোসো তো,ভ্যাজভ্যাজ কোর না।দেখা হলে কোথায় দুটা মিঠা বাত বলবে তা না খালি সওয়াল। বিরক্ত হয়ে জবাব দেয় বলু।
গাল বলুর পিঠে রেখে স্তন চেপে ধরে পিঠের সঙ্গে দীপা।কাল রাতে ভাল ঘুম হয় নি।কামদেবের বইটা পড়ছিল,চৌষট্টী কামকলা বিষয়ে আলোচনা।সবটা বোঝা যায় নি।কেউ একজন ভাল করে বুঝিয়ে নাদিলে কেবল বর্ননায় বোঝা যায় না। ছেলেরা নাকি মেয়েদের সোনা চুষে রস খায়।কে জানে সত্যি না মিথ্যে।বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যে লিখবেই বা কেন?তলপেটের নীচে দুই পায়ের মাঝে মুখ ডুবিয়ে বলু চুষে চলেছে ভাবতে চেরার মুখে জল এসে যায়।আবেশে বলদেবের পিঠে গাল রাখে।
সরমা রান্না করতে করতে ভাবে ছেলের কথা।কি আবার পরীক্ষা দেবে,বই নিয়ে বসে সারাক্ষন।অত রাত অবধি কি এমন পড়া? জিজ্ঞেস করলে হাসে,কিছু বলেনা। কড়া নাড়ার শব্দ শুনে দরজা খুলে দেখেন শিবেন এসেছে।
--এসো বাবা।
--কেমন আছেন মাসীমা? নীল কোথায়?
--পড়ছে।আচ্ছা বাবা ও কি পড়ছে?
--আই.পি.এস. পরীক্ষায় বসবে।আপনাকে বলেনি?
--সেটা আবার কি?
--পুলিশের চাকরি।
কথা বলতে বলতে দুজনে নীলের ঘরে আসে।শিবেনকে দেখে খুশি হয় নীল। অনুযোগ করে ,কিরে ব্যাটা ডুমুরের ফুল হয়ে গেছিস?
--তুই মন দিয়ে পড়াশুনা কর।এখন আড্ডা বন্ধ।শিবেন বলল।
--তোমরা বোসো,আমি চা নিয়ে আসছি।সরমা চলে যান।
--তারপর বল,কি খবর?নীলের চোখে কৌতুহল।
শিবেন বুঝতে পারে কি খবর চায় নীল।একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।একসময় বলে,যে গোল্লায় যাবার তাকে তুই কি ভাবে আটকাবি?
--ওভাবে বলিস না।আমার খুব খারাপ লাগে।কি আর বয়স,সংসারের ভাল-মন্দ বোঝার মত বয়স হলে একদিন আপনি ভুল বুঝতে পারবে।এই পরিবারের কালচারের সঙ্গে মেলে না।যথেষ্ট বুদ্ধিমতী তবে এমন কেন করছে।
সরমাকে চিন্তিত মনে হল।শিবেনের মুখে পুলিশের চাকরি শুনে অস্থির বোধ করেন।গুণ্ডা বদমাইশের সঙ্গে ওঠা বসা,ভাল লাগেনা।নীলুর বাপ তখন বেঁচে পাশের বাড়ীতে একজন পুলিশে কাজ করত।রাতে বাড়ী ফিরতো নেশা করে, তারপর শুরু হত লড়াই।কি বিচ্ছিরি ভাষা,ঘরে বসে শুনতে পেত।বুক কাপতো পাছে নীলুর ঘুম ভেঙ্গে যায়।নীলুর বাবাকে বলতেন,তুমি দেখো অন্য কোথাও ঘর পাওয়া যায় কিনা? টানাটানির সংসার হেসে বলতো,ঘর পাওয়া যাবেনা কেন? যে টাকা ভাড়া দিই এই টাকায় আজকাল ঘর পাওয়া মুস্কিল।পুলিশের চাকরি নীলুর মাথায় কে ঢোকালো?
চা নিয়ে ঘরে ঢুকে সরমা বললেন,আচ্ছা বাবা শিবু,পুলিশের চাকরি কি ভাল?
--মাসীমা আপনি যে পুলিশের কথা ভাবছেন সে পুলিশ নয়।
সরমা বুঝতে পারেন না,এ আবার কেমন পুলিশ?শিবেন বলল,অনেক বড় অফিসার। পাস করতে পারলেই চাকরি।তারপর বাংলো পাবে গাড়ি পাবে--এলাহি ব্যাপার।হা-হা-হা।
--ব্যাঙ্কের চাকরিই বা খারাপ কি?সরমা বললেন।
মাসীমা কেন ব্যাঙ্কের কথা বললেন শিবেন বুঝতে পারে।
নীলু বলল,পরীক্ষা দিলেই হল পাস করতে হবে না।পাস না করলে ব্যাঙ্কে চেষ্টা করব।
একটার পর একটা অঞ্চল পার হয়ে ছুটে চলেছে বাইক।কোথায় যাচ্ছে বলু, বুঝতে পারে না দীপা।কিন্তু এই অনির্দেশ যাত্রার মধ্যে একটা রোমান্স আছে। মিতুর কথা মনে পড়ল।বলুকে ওর পছন্দ নয়। কে জানে কেন পছন্দ নয়।নীল কি ওকে কিছু বলেছে? নীলের প্রতি ওর অগাধ আস্থা,ওর কাছে ভগবান।
বটের ঝুরি বেয়ে সন্ধ্যা নামে বটতলায়। সওয়ারির অপেক্ষায় রিক্সাস্ট্যাণ্ডে রিক্সাওয়ালা সিটে পা তুলে বসে বিড়ি ফুকছে।নীল ইদানীং জোরকদমে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত,বেরোয় কম।শিবেন ব্যাঙ্কে চাকরি পেয়েছে।কোচিং যাবার জন্য বাড়ি হতে বেরিয়ে দীপা কি ভেবে রিক্সাস্ট্যাণ্ডের দিকে এগোতে থাকে। কোথা হতে বাইক নিয়ে বলু এসে হাজির। দীপা মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
--কি হল জানু?
--আমার সঙ্গে তুমি কথা বলবে না।দীপা হাটতে হাটতে বলে।
--যাঃ বাড়া, কসুর কি বলবে তো?
-- খবরদার একদম মুখ খারাপ করবে না।
বলু জিভ কেটে বলল,স্যরি ছিলিপ অফ টাং।নারাজ কেন মেরি জান ওহি ত বাতাও।
--তুমি ওকে মারলে কেন?
ওহ এই ব্যাপার। বলু একমূহুর্ত সময় নেয় ব্যাপারটা বুঝতে,তারপর বুঝে বলে, চুগলিখোরের জন্য তুমার এত দরদ কেন জানু?
--দরদ না,তোমার নামে বদনাম আমার ভাল লাগে না।জানো বাড়ীতে তোমাকে নিয়ে কথা উঠেছিল?আমার খারাপ লাগেনা বুঝি?
--ওকে জানু,মাফি মানছি। এবার ওঠো তো।
দীপা বাইকের পিছনে উঠে পড়ে।সওয়ারি খোয়া যেতে রিক্সাওয়ালারা মনে মনে গাল দেয়। উপরে ব্যালকনি থেকে মিতু ব্যাপারটা লক্ষ্য করে ছুটে বাড়ির ভিতর চলে যায়।মিসেস বোস মেয়েকে উত্তেজিত দেখে কারন জানতে চাইলেন।
--জানো মাম্মি,দিদিভাই সেই গুণ্ডাটার সঙ্গে বাইকে চড়ে গেল।
মিসেস বোস চোখ পাকিয়ে ঠোটে আঙ্গুল রেখে মেয়েকে বিরত করে।তারপর নীচু গলায় বলে,তোমার বাপি যেন জানতে না পারে।
মিসেস বোসকে চিন্তিত মনে হল।কথাটা কানে এসেছে আগেই,কিন্তু বিশ্বাস হয়নি তার মেয়ের রুচি এত হীন হতে পারে? দীপাটা এমন কিভাবে হল,একবার বাবা মায়ের কথা ভাবলো না?পাড়ায় মুখ দেখাবার যো থাকবে না।আজ আসুক বাড়ীতে।
দুরন্ত গতিতে ছুটে চলেছে বাইক। কোচিংযের পথ হতে অন্যদিকে বাঁক নিতে দীপা বলে,কোথায় যাচ্ছো,কোচিং আছে না?
--গোলি মারো কোচিংয়ে।
দীপা হেসে ফেলে,বলুর এই ম্যাচো ভাবটা তার ভাল লাগে।বগলের তলা দিয়ে হাত গলিয়ে ভাল করে চেপে ধরে বলে,না মশাই গুলি মারলে চলবে না।আচ্ছা সোনা তুমি কি করো?
--এত জেরা করছো কেন বলতো?
--বাঃ আমি জানবো না,কি ভাবে আমাদের সংসার চলবে?
--বিজিনেস।
--কি বিজনেস বলবে তো?বিজনেস বললে কি বুঝবো?কেউ জিজ্ঞেস করলে কি বলবো?
--এক্সপোট-ইম্পোট বিজনেস।
--তার মানে এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট? সেটা কি?
--মাল চালান দেওয়া। চুপচাপ বোসো তো,ভ্যাজভ্যাজ কোর না।দেখা হলে কোথায় দুটা মিঠা বাত বলবে তা না খালি সওয়াল। বিরক্ত হয়ে জবাব দেয় বলু।
গাল বলুর পিঠে রেখে স্তন চেপে ধরে পিঠের সঙ্গে দীপা।কাল রাতে ভাল ঘুম হয় নি।কামদেবের বইটা পড়ছিল,চৌষট্টী কামকলা বিষয়ে আলোচনা।সবটা বোঝা যায় নি।কেউ একজন ভাল করে বুঝিয়ে নাদিলে কেবল বর্ননায় বোঝা যায় না। ছেলেরা নাকি মেয়েদের সোনা চুষে রস খায়।কে জানে সত্যি না মিথ্যে।বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যে লিখবেই বা কেন?তলপেটের নীচে দুই পায়ের মাঝে মুখ ডুবিয়ে বলু চুষে চলেছে ভাবতে চেরার মুখে জল এসে যায়।আবেশে বলদেবের পিঠে গাল রাখে।
সরমা রান্না করতে করতে ভাবে ছেলের কথা।কি আবার পরীক্ষা দেবে,বই নিয়ে বসে সারাক্ষন।অত রাত অবধি কি এমন পড়া? জিজ্ঞেস করলে হাসে,কিছু বলেনা। কড়া নাড়ার শব্দ শুনে দরজা খুলে দেখেন শিবেন এসেছে।
--এসো বাবা।
--কেমন আছেন মাসীমা? নীল কোথায়?
--পড়ছে।আচ্ছা বাবা ও কি পড়ছে?
--আই.পি.এস. পরীক্ষায় বসবে।আপনাকে বলেনি?
--সেটা আবার কি?
--পুলিশের চাকরি।
কথা বলতে বলতে দুজনে নীলের ঘরে আসে।শিবেনকে দেখে খুশি হয় নীল। অনুযোগ করে ,কিরে ব্যাটা ডুমুরের ফুল হয়ে গেছিস?
--তুই মন দিয়ে পড়াশুনা কর।এখন আড্ডা বন্ধ।শিবেন বলল।
--তোমরা বোসো,আমি চা নিয়ে আসছি।সরমা চলে যান।
--তারপর বল,কি খবর?নীলের চোখে কৌতুহল।
শিবেন বুঝতে পারে কি খবর চায় নীল।একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।একসময় বলে,যে গোল্লায় যাবার তাকে তুই কি ভাবে আটকাবি?
--ওভাবে বলিস না।আমার খুব খারাপ লাগে।কি আর বয়স,সংসারের ভাল-মন্দ বোঝার মত বয়স হলে একদিন আপনি ভুল বুঝতে পারবে।এই পরিবারের কালচারের সঙ্গে মেলে না।যথেষ্ট বুদ্ধিমতী তবে এমন কেন করছে।
সরমাকে চিন্তিত মনে হল।শিবেনের মুখে পুলিশের চাকরি শুনে অস্থির বোধ করেন।গুণ্ডা বদমাইশের সঙ্গে ওঠা বসা,ভাল লাগেনা।নীলুর বাপ তখন বেঁচে পাশের বাড়ীতে একজন পুলিশে কাজ করত।রাতে বাড়ী ফিরতো নেশা করে, তারপর শুরু হত লড়াই।কি বিচ্ছিরি ভাষা,ঘরে বসে শুনতে পেত।বুক কাপতো পাছে নীলুর ঘুম ভেঙ্গে যায়।নীলুর বাবাকে বলতেন,তুমি দেখো অন্য কোথাও ঘর পাওয়া যায় কিনা? টানাটানির সংসার হেসে বলতো,ঘর পাওয়া যাবেনা কেন? যে টাকা ভাড়া দিই এই টাকায় আজকাল ঘর পাওয়া মুস্কিল।পুলিশের চাকরি নীলুর মাথায় কে ঢোকালো?
চা নিয়ে ঘরে ঢুকে সরমা বললেন,আচ্ছা বাবা শিবু,পুলিশের চাকরি কি ভাল?
--মাসীমা আপনি যে পুলিশের কথা ভাবছেন সে পুলিশ নয়।
সরমা বুঝতে পারেন না,এ আবার কেমন পুলিশ?শিবেন বলল,অনেক বড় অফিসার। পাস করতে পারলেই চাকরি।তারপর বাংলো পাবে গাড়ি পাবে--এলাহি ব্যাপার।হা-হা-হা।
--ব্যাঙ্কের চাকরিই বা খারাপ কি?সরমা বললেন।
মাসীমা কেন ব্যাঙ্কের কথা বললেন শিবেন বুঝতে পারে।
নীলু বলল,পরীক্ষা দিলেই হল পাস করতে হবে না।পাস না করলে ব্যাঙ্কে চেষ্টা করব।
একটার পর একটা অঞ্চল পার হয়ে ছুটে চলেছে বাইক।কোথায় যাচ্ছে বলু, বুঝতে পারে না দীপা।কিন্তু এই অনির্দেশ যাত্রার মধ্যে একটা রোমান্স আছে। মিতুর কথা মনে পড়ল।বলুকে ওর পছন্দ নয়। কে জানে কেন পছন্দ নয়।নীল কি ওকে কিছু বলেছে? নীলের প্রতি ওর অগাধ আস্থা,ওর কাছে ভগবান।