14-05-2020, 09:15 PM
।।৪।।
দীপালি রিক্সায় বসে,তার চোখদুটো এদিক-ওদিক কি যেন খোঁজে।ছেলেটা হা-করে চেয়ে থাকে, একেবারে ক্যাবলা কান্ত।কিছু বলার থাকলে বল।রোজ দেখতে দেখতে ঘুরে ফিরে এখন কেবল মুখটা মনে পড়ে।কোথাও সেই মুখটা নজরে পড়ল না। দীপালির রাগ হয়,কেন রোজ পথের ধারে হ্যাংলার মত দাঁড়িয়ে থাকে? ভীরু কাপুরুষ পাড়ার গৌরব ত কি হয়েছে? খুজলে ওরকম ভাল ছেলে ভুরি ভুরি বেরোবে।দীপার চোখে জল চলে আসে। রিক্সা বাড়ির সামনে থামতেই ঘ্যাচ করে একটা বাইক সামনে এসে ব্রেক কষে।
--কি ম্যাডাম,রিক্সাওয়ালা কোন গোলমাল করেনি তো? বাইকের দুদিকে পা রেখে জিজ্ঞেস করে বলু।
--না-না।ধন্যবাদ।কিছুটা থতমত দীপালি আচমকা প্রশ্নে।
--শুধু ধন্যবাদ দিয়ে কাজ সারবেন?
--আর কি দেব?মুচকি হাসে দীপালি।
--সব আমি বলে দেব? আচ্ছা বলব কাল।
-- আমি তো এখন কলেজে যাই না।এখন পরীক্ষা-।মৃদু হাসি ফোটে দীপার ঠোটে।
--ওকে,পরীক্ষার পর দেখা হবে।অল দা বেস্ট।.
হুশ করে চলে যায় বাইক।স্বল্প সময়ের কথাবার্তায় দীপার কপালে ঘাম জমে। কলেজে যায় কি যায়না ওকে বলার কি দরকার ছিল।যাকগে বললে কি হয়েছে? রুমাল বের করে কপালে বুলিয়ে রিক্সাওলাকে জিজ্ঞেস করে, কত দেব?
--আপনের যা ইচ্ছা দেন।রিক্সাওয়ালা বলে।
ব্যাগ হতে তিন টাকা বের করে রিক্সাওয়ালার হাতে দিয়ে বাড়িতে ঢুকে যায়।মনের মধ্যে কিসের এক আলোড়ন অনুভব করে।বলু ছেলেটা বেশ স্মার্ট দুহাতে হ্যাণ্ডেল ধরে যেভাবে অবলীলায় বাইক ছোটালো দেখে মনে হচ্ছিল যেন ফিল্মি হিরো।এতক্ষন নীলের কথা ভাবছিল,মূহুর্তে ভাবনায় স্থান করে নেয় বলু।মনে মনে ভাবে দাঁড়িয়ে থাকুক ক্যাবলাটা রাস্তার ধারে বলুলতলায়।যতদিন ইচ্ছে যতকাল ইচ্ছে কিছু যায় আসেনা দীপার। যদি দেখে বলুর সঙ্গে ঘুরছে ক্যাবলাকান্তর টনক নড়বে,সেই সময় চেহারাটা কেমন হবে দেখতে ইচ্ছে করে।
সিড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে ভুত দেখার মত চমকে ওঠে দীপা।ক্যাবলাটা তাদের বাড়িতে? নীল পাশ কাটিয়ে নীচে নেমে যায়।ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে দীপা,কিন্তু নীলু একবারের জন্য পিছন ফিরে দেখলো না।ভীতুটাকে দেখে মজা পায়।ঘরে ঢুকে মাকে জিজ্ঞেস করে,ঐ ক্যাবলাকান্তটা কেন এসেছিল?
মিসেস বোস বুঝতে পারে্ন না মেয়ের কথা।মিতালির খুব রাগ হয় মাস্টার মশায় সম্পর্কে এরকম কথায়।
--মোটেই ক্যাবলাকান্ত নয়।দিদিকে শুনিয়ে দেয় মিতালি।
--ও তুই নীলের কথা বলছিস?এতক্ষন পরে বুঝতে পারেন মিসেস বোস।
--তুই ওর কি জানিস? মিতুকে বলে দিপু।
--আমার বেশি জানার দরকার নেই।কি সহজ করে নীলদা বোঝায় যেন শেখাচ্ছে না, গল্প করছে।
দীপা অবাক হয়,কি বলছে মিতু?শেখাচ্ছে না গল্প করছে?কি শেখাচ্ছে?
--সত্যি তো তুই ক্যাবলাকান্ত বলছিস কেন।তবে কি সহজ-সরল,আজকালকার দিনে সরলদের মানুষ বোকা মনে করে।নীল মিতুকে আজ থেকে অঙ্ক শেখানো শুরু করল। মিসেস বোস মৃদু হেসে বলেন।
দীপুর বিস্ময়ের মাত্রা বাড়ে।এর মধ্যে এত কাণ্ড হয়ে গেছে আর সে কিছুই জানে না।তাকে অন্ধকারে রেখে এরা এতদুর এগিয়ে গেছে অভিমান হয়।অভিমান রাগে রূপ নেয়।
--ওর মা কি করে জানিস?মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল কথাটা।
--ছিঃ মা এভাবে কথা বলেনা।মিসেস বোস বলেন।
দীপা একটু লজ্জিত হয়,কথাটা নিজের কানেই খারাপ লাগছিল।বইয়ের ব্যাগ নামিয়ে নিজের ঘরে চলে যায়।দরজা বন্ধ করে জামা খুলে আয়নার সামনে দাড়ায়।স্তনের উপর হাত বোলায়।মিতুকে পড়াবে যাবার সময় একবার তাকে দেখল না!লেখাপড়ায় ভালো বলে এত অহংকার।মনে পড়ল একটু আগে বলুর বাইক ছুটিয়ে যাওয়া দৃশ্যটা। যখন যাচ্ছিল লম্বা লম্বা চুলের গোছা হাওয়ায় উড়ছিল দৃশ্যটা মনে পড়তে মনের মধ্যে শুরু হল রঙ্গীন আলোর খেলা।
একে একে জামা পায়জামা খুলে ফেলল।আয়নার সামনে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজেকে দেখে।নিপলে মৃদু চিমটি কাটে।কবে যে আরো বড় হবে? মেয়েদের স্তন ছেলেদের খুব খুব প্রিয়।শুধু ধন্যবাদ নয় আরো কিছু চাইছিল বলু।দীপার গালে দেখা যায় লালিমা।মনে মনে ভাবে,কি নেবে,কি পেলে তুমি খুশি হবে বলু?
--দিদিভাই দরজা খোল।মিতুর ডাকে সম্বিত ফেরে।দ্রুত জামা বদলে দরজা খুলে দেয়।
মিতু ঘরে ঢুকে অবাক হয়ে দিদিকে দেখতে থাকে।দীপালি মনে মনে অস্বস্তি বোধ করে।কি দেখছে মিতু?হেসে জিজ্ঞেস করল,এ ঘরে এলি কেন,কি দরকার?
মিতালি খাটে পা ঝুলিয়ে বসে পা দোলাতে দোলাতে বলল,এমনি।
--ক্যাবলাকান্তটা তোকে অঙ্ক শেখাবে?
--দিদিভাই তুমি নীলদাকে ওরকম বলবে না।জানো খুব মজা হয়েছে।
দীপালি সজাগ হয় মজার কথা শোনার জন্য।নিশ্চয়ই বোকার মত কিছু আচরণ করেছে।
--মামণি যখন জিজ্ঞেস করল,তোমাকে কত দিতে হবে?হি-হি-হি--।
--এতে হাসির কি হল?
--তুমি যদি দেখতে যত জিজ্ঞেস করে কতদিতে হবে খালি অন্য কথায় চলে যায়।নীলদা মুখ ফুটে কিছুতেই বলল না কত দিতে হবে।মামণি বলছিল ভীষণ লাজুক নিজের চাওয়াটাও মুখ ফুটে বলতে পারেনা।
না বললে তোমায় সেধে সেধে দিতে যাবার কার দায় পড়েছে।দীপার মনে পড়ল বকুলতলায় দাঁড়িয়ে থাকা নীলের মুখটা।মজা করে বলল,মামণির খুব সুবিধে হয়ে গেল সামান্য কিছু দিয়ে একটা টিচার পেয়ে গেল।
--মোটেই না।নীলদাকে মামণির খুব ভাল লেগেছে।
--টিচার কেমন পড়ায় সেটাই আসল,এতে ভাল লাগালাগির কি হল?
--দিদিভাই নীলদার উপর তোমার এত রাগ কেন?
দীপালি ধরা পড়ে যাওয়ায় বোনকে ধমক দেয়,এখন যাতো।আমি পড়তে বসবো। খালি পাকা-পাকা কথা?একদিন পড়েই নীলদার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, রেজাল্ট বেরোলেই বুঝতে পারবো কেমন তোর নীলদা?
রাতে শুয়ে এপাশ ওপাশ করে ঘুম আসতেই চায় না।নীলের থেকে বলু অনেক স্মার্ট যেন মনে হয় সবকিছু উড়িয়ে নিয়ে চলেছে।মানুষ ওর সামনে কিছু বলতে সাহস পায় না আড়ালে বানিয়ে বানিয়ে অনেক খারাপ কথা বলে।দীপাকে খুব সমীহ করে।এখন এসব চিন্তা করতে চায়না পরীক্ষাটা ভালোয় ভালোয় মিটুক তারপর ভাবা যাবে।কোচিং যাবার পথে বলু এলে পরিষ্কার বলে দেবে পরীক্ষার আগে কোনো কথা নয়।
নীলু আরেক বাড়ীর দিকে দ্রুত হাটতে থাকে।একটু দেরী হয়ে গেল।এখন মনে হচ্ছে বলতে পারতো অমুক বাড়িতে এত টাকা দেয়।আসলে একটা মেয়েকে একটু দেখিয়ে দেবে তার জন্য টাকা চাইতে লজ্জা করে।মিসেস বোস বিদুষী এবং বুদ্ধিমতী উনি যা ভালো বুঝবেন দেবেন।প্রাচীন কালে গুরু গৃহে ছাত্ররা শ্রম দান করত,গুরুমশায় শিক্ষা ভরন পোষণের দায়িত্ব নিতেন।এখন শিক্ষাদান কার্যও অন্যান্য শ্রমের মত মজুরী দিয়ে মূল্যায়ন হয়।
দীপালি রিক্সায় বসে,তার চোখদুটো এদিক-ওদিক কি যেন খোঁজে।ছেলেটা হা-করে চেয়ে থাকে, একেবারে ক্যাবলা কান্ত।কিছু বলার থাকলে বল।রোজ দেখতে দেখতে ঘুরে ফিরে এখন কেবল মুখটা মনে পড়ে।কোথাও সেই মুখটা নজরে পড়ল না। দীপালির রাগ হয়,কেন রোজ পথের ধারে হ্যাংলার মত দাঁড়িয়ে থাকে? ভীরু কাপুরুষ পাড়ার গৌরব ত কি হয়েছে? খুজলে ওরকম ভাল ছেলে ভুরি ভুরি বেরোবে।দীপার চোখে জল চলে আসে। রিক্সা বাড়ির সামনে থামতেই ঘ্যাচ করে একটা বাইক সামনে এসে ব্রেক কষে।
--কি ম্যাডাম,রিক্সাওয়ালা কোন গোলমাল করেনি তো? বাইকের দুদিকে পা রেখে জিজ্ঞেস করে বলু।
--না-না।ধন্যবাদ।কিছুটা থতমত দীপালি আচমকা প্রশ্নে।
--শুধু ধন্যবাদ দিয়ে কাজ সারবেন?
--আর কি দেব?মুচকি হাসে দীপালি।
--সব আমি বলে দেব? আচ্ছা বলব কাল।
-- আমি তো এখন কলেজে যাই না।এখন পরীক্ষা-।মৃদু হাসি ফোটে দীপার ঠোটে।
--ওকে,পরীক্ষার পর দেখা হবে।অল দা বেস্ট।.
হুশ করে চলে যায় বাইক।স্বল্প সময়ের কথাবার্তায় দীপার কপালে ঘাম জমে। কলেজে যায় কি যায়না ওকে বলার কি দরকার ছিল।যাকগে বললে কি হয়েছে? রুমাল বের করে কপালে বুলিয়ে রিক্সাওলাকে জিজ্ঞেস করে, কত দেব?
--আপনের যা ইচ্ছা দেন।রিক্সাওয়ালা বলে।
ব্যাগ হতে তিন টাকা বের করে রিক্সাওয়ালার হাতে দিয়ে বাড়িতে ঢুকে যায়।মনের মধ্যে কিসের এক আলোড়ন অনুভব করে।বলু ছেলেটা বেশ স্মার্ট দুহাতে হ্যাণ্ডেল ধরে যেভাবে অবলীলায় বাইক ছোটালো দেখে মনে হচ্ছিল যেন ফিল্মি হিরো।এতক্ষন নীলের কথা ভাবছিল,মূহুর্তে ভাবনায় স্থান করে নেয় বলু।মনে মনে ভাবে দাঁড়িয়ে থাকুক ক্যাবলাটা রাস্তার ধারে বলুলতলায়।যতদিন ইচ্ছে যতকাল ইচ্ছে কিছু যায় আসেনা দীপার। যদি দেখে বলুর সঙ্গে ঘুরছে ক্যাবলাকান্তর টনক নড়বে,সেই সময় চেহারাটা কেমন হবে দেখতে ইচ্ছে করে।
সিড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে ভুত দেখার মত চমকে ওঠে দীপা।ক্যাবলাটা তাদের বাড়িতে? নীল পাশ কাটিয়ে নীচে নেমে যায়।ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে দীপা,কিন্তু নীলু একবারের জন্য পিছন ফিরে দেখলো না।ভীতুটাকে দেখে মজা পায়।ঘরে ঢুকে মাকে জিজ্ঞেস করে,ঐ ক্যাবলাকান্তটা কেন এসেছিল?
মিসেস বোস বুঝতে পারে্ন না মেয়ের কথা।মিতালির খুব রাগ হয় মাস্টার মশায় সম্পর্কে এরকম কথায়।
--মোটেই ক্যাবলাকান্ত নয়।দিদিকে শুনিয়ে দেয় মিতালি।
--ও তুই নীলের কথা বলছিস?এতক্ষন পরে বুঝতে পারেন মিসেস বোস।
--তুই ওর কি জানিস? মিতুকে বলে দিপু।
--আমার বেশি জানার দরকার নেই।কি সহজ করে নীলদা বোঝায় যেন শেখাচ্ছে না, গল্প করছে।
দীপা অবাক হয়,কি বলছে মিতু?শেখাচ্ছে না গল্প করছে?কি শেখাচ্ছে?
--সত্যি তো তুই ক্যাবলাকান্ত বলছিস কেন।তবে কি সহজ-সরল,আজকালকার দিনে সরলদের মানুষ বোকা মনে করে।নীল মিতুকে আজ থেকে অঙ্ক শেখানো শুরু করল। মিসেস বোস মৃদু হেসে বলেন।
দীপুর বিস্ময়ের মাত্রা বাড়ে।এর মধ্যে এত কাণ্ড হয়ে গেছে আর সে কিছুই জানে না।তাকে অন্ধকারে রেখে এরা এতদুর এগিয়ে গেছে অভিমান হয়।অভিমান রাগে রূপ নেয়।
--ওর মা কি করে জানিস?মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল কথাটা।
--ছিঃ মা এভাবে কথা বলেনা।মিসেস বোস বলেন।
দীপা একটু লজ্জিত হয়,কথাটা নিজের কানেই খারাপ লাগছিল।বইয়ের ব্যাগ নামিয়ে নিজের ঘরে চলে যায়।দরজা বন্ধ করে জামা খুলে আয়নার সামনে দাড়ায়।স্তনের উপর হাত বোলায়।মিতুকে পড়াবে যাবার সময় একবার তাকে দেখল না!লেখাপড়ায় ভালো বলে এত অহংকার।মনে পড়ল একটু আগে বলুর বাইক ছুটিয়ে যাওয়া দৃশ্যটা। যখন যাচ্ছিল লম্বা লম্বা চুলের গোছা হাওয়ায় উড়ছিল দৃশ্যটা মনে পড়তে মনের মধ্যে শুরু হল রঙ্গীন আলোর খেলা।
একে একে জামা পায়জামা খুলে ফেলল।আয়নার সামনে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজেকে দেখে।নিপলে মৃদু চিমটি কাটে।কবে যে আরো বড় হবে? মেয়েদের স্তন ছেলেদের খুব খুব প্রিয়।শুধু ধন্যবাদ নয় আরো কিছু চাইছিল বলু।দীপার গালে দেখা যায় লালিমা।মনে মনে ভাবে,কি নেবে,কি পেলে তুমি খুশি হবে বলু?
--দিদিভাই দরজা খোল।মিতুর ডাকে সম্বিত ফেরে।দ্রুত জামা বদলে দরজা খুলে দেয়।
মিতু ঘরে ঢুকে অবাক হয়ে দিদিকে দেখতে থাকে।দীপালি মনে মনে অস্বস্তি বোধ করে।কি দেখছে মিতু?হেসে জিজ্ঞেস করল,এ ঘরে এলি কেন,কি দরকার?
মিতালি খাটে পা ঝুলিয়ে বসে পা দোলাতে দোলাতে বলল,এমনি।
--ক্যাবলাকান্তটা তোকে অঙ্ক শেখাবে?
--দিদিভাই তুমি নীলদাকে ওরকম বলবে না।জানো খুব মজা হয়েছে।
দীপালি সজাগ হয় মজার কথা শোনার জন্য।নিশ্চয়ই বোকার মত কিছু আচরণ করেছে।
--মামণি যখন জিজ্ঞেস করল,তোমাকে কত দিতে হবে?হি-হি-হি--।
--এতে হাসির কি হল?
--তুমি যদি দেখতে যত জিজ্ঞেস করে কতদিতে হবে খালি অন্য কথায় চলে যায়।নীলদা মুখ ফুটে কিছুতেই বলল না কত দিতে হবে।মামণি বলছিল ভীষণ লাজুক নিজের চাওয়াটাও মুখ ফুটে বলতে পারেনা।
না বললে তোমায় সেধে সেধে দিতে যাবার কার দায় পড়েছে।দীপার মনে পড়ল বকুলতলায় দাঁড়িয়ে থাকা নীলের মুখটা।মজা করে বলল,মামণির খুব সুবিধে হয়ে গেল সামান্য কিছু দিয়ে একটা টিচার পেয়ে গেল।
--মোটেই না।নীলদাকে মামণির খুব ভাল লেগেছে।
--টিচার কেমন পড়ায় সেটাই আসল,এতে ভাল লাগালাগির কি হল?
--দিদিভাই নীলদার উপর তোমার এত রাগ কেন?
দীপালি ধরা পড়ে যাওয়ায় বোনকে ধমক দেয়,এখন যাতো।আমি পড়তে বসবো। খালি পাকা-পাকা কথা?একদিন পড়েই নীলদার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, রেজাল্ট বেরোলেই বুঝতে পারবো কেমন তোর নীলদা?
রাতে শুয়ে এপাশ ওপাশ করে ঘুম আসতেই চায় না।নীলের থেকে বলু অনেক স্মার্ট যেন মনে হয় সবকিছু উড়িয়ে নিয়ে চলেছে।মানুষ ওর সামনে কিছু বলতে সাহস পায় না আড়ালে বানিয়ে বানিয়ে অনেক খারাপ কথা বলে।দীপাকে খুব সমীহ করে।এখন এসব চিন্তা করতে চায়না পরীক্ষাটা ভালোয় ভালোয় মিটুক তারপর ভাবা যাবে।কোচিং যাবার পথে বলু এলে পরিষ্কার বলে দেবে পরীক্ষার আগে কোনো কথা নয়।
নীলু আরেক বাড়ীর দিকে দ্রুত হাটতে থাকে।একটু দেরী হয়ে গেল।এখন মনে হচ্ছে বলতে পারতো অমুক বাড়িতে এত টাকা দেয়।আসলে একটা মেয়েকে একটু দেখিয়ে দেবে তার জন্য টাকা চাইতে লজ্জা করে।মিসেস বোস বিদুষী এবং বুদ্ধিমতী উনি যা ভালো বুঝবেন দেবেন।প্রাচীন কালে গুরু গৃহে ছাত্ররা শ্রম দান করত,গুরুমশায় শিক্ষা ভরন পোষণের দায়িত্ব নিতেন।এখন শিক্ষাদান কার্যও অন্যান্য শ্রমের মত মজুরী দিয়ে মূল্যায়ন হয়।