11-05-2020, 02:14 AM
কাঁটায় কাঁটায় ঠিক ৯ টা বাজছে যখন প্রফেসার মেহের আলমের বাড়ি পৌঁছল অনিন্দ্য। বাড়িটা দোতলা, কিন্তু অদ্ভুত সুন্দর দেখতে। গেট খুলতে এল বছর ১৪র একটি ছেলে, ড্রাইভার মিশিরলালের ছেলে, নাম সুরজ। ড্রাইভার মিশিরলালের ফ্যামিলি একটা আউট হাউসে থাকে। অন্যটায় থাকে বাড়ির সবসময়ের কাজের কাম রান্নার লোক। এ সবই গাড়ীতে আসতে আসতেই শুনল ড্রাইভার মিশিরলালের কাছে।
গেট পেরিয়ে গাড়িটা ঢুকতেই বাড়ির দরজা খুলে গেল। অনিন্দ্য ধীর পায়ে ঢুকল ঘরের ভিতর। ঢুকতেই অবাক, এ কোথায় এল সে? এটা কোন মানুষের ঘর না স্টুডিয়ো? মন্ত্রমুগ্ধের মত দেখতে লাগলো গোটা ঘর টা।
“ কি হোল ইয়াং ম্যান, কি দেখছ? “
লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করল অনিন্দ্য
“ আপনার ঘর ম্যাডাম, আসলে এত সুন্দর ভাবে সাজান যে তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় ছিল না “
“ তাই নাকি? “
“ হ্যা ম্যডাম। যেমন ঘরের ডিজাইন, তেমন সুন্দর কালার কম্বিনেশন, তার সঙ্গে মানানসই ফার্নিচার আর লাইটিং। দারুন।“
“ যাক তোমার ভাল লেগেছে শুনে ভাল লাগলো। কাম অন উপরে এসো। “
বলেই মেহের আলম সিঁড়ি দিয়ে উঠতে লাগলেন। পরনে একটা হাউস কোট, মিষ্টি গোলাপি রঙের আর তার ওপর রং বেরঙের গোলাপ আঁকা। পিছন পিছন উঠতে শুরু করল অনিন্দ্য।
দোতলায় উঠেই দেখতে পেল একজনের পোট্রেট আঁকা, আর্মির পোষাকে। সম্ভবত মেহের আলমের বাবা। তার ঠিক উল্টো দিকের দেওয়ালে একটা মডার্ন আর্ট, যার মাথা বা মুণ্ডু কিছুই বুঝতে পারল না অনিন্দ্য।
“ এসো ভিতরে এসো “
পরদা সরিয়ে ভিতরে ঢুকল অনিন্দ্য। এই ঘরও যথেষ্ট সুন্দর ভাবে সাজান। একটা বড় বিছানা ঘরের মাঝখানে, গোলাকার। একটা দেওয়ালে এক দেওয়াল জোড়া আয়না, সঙ্গে কস্মেটিক্স এর ক্যাবিনেট। অন্য দেওয়াল জোড়া এক দেওয়াল আলমারি। দরজার পাসের দেওয়ালে সেলার, অর্ধ উন্মোচিত।
“ আর কত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে আমার ঘর দেখবে অনিন্দ্য? পরীক্ষায় একটা প্রশ্নও কিন্তু এর থেকে আসবে না “
“ না মানে ম্যডাম, সরি “
“ বুঝেছি, বস “
সোফায় বসল অনিন্দ্য। ঠিক তখনি এক মহিলা এক প্লেট স্যালাড, এক প্লেট পকোড়া, আর এক প্লেট ভর্তি কাজু আর কিশমিশ এনে রেখে গেল। অনিন্দ্য বুঝল এই সেই দ্বিতীয় আউট হাউসের বাসিন্দা।
“ ড্রিঙ্কস চলে? “
একটা বোতল আর একটা গ্লাস নিয়ে উল্টো দিকের সোফায় বসলেন মেহের আলম।
“ না ম্যাডাম খাই না “
“ গুড, ভেরি গুড। তা চিকেন পকোড়া চলে তো? “
“ হ্যাঁ ম্যাডাম “
“ তো চালাতে শুরু কর” বলে নিজেই একটা মুখে ঢুকিয়ে নিলেন।
দেখাদেখি অনিন্দ্যও নিল। সত্যি দারুন খেতে বানিয়েছে, যেমন সুন্দর উপরের কোটিং, ভিতরে তেমন ই নরম চিকেন। খাবার সাথে সাথে খিদেটাও বেড়ে গেল।
“ কেমন লাগলো?”
“ দারুন ম্যাডাম “
“ তুমি কি সব কিছুতেই দারুন বলবে ঠিক করে এসেছ “
“ না না তা নয়, সত্যি ভাল লাগলো তাই বললাম “
“ হুম বুঝলাম, রাতে ডিনার কোথায় কর? হস্টেলেই? “
“ হ্যাঁ ম্যাডাম “
“ ফোন করে বলে দাও ডিনার তুমি এখানেই করে যাবে “
“ না না ম্যাডাম আমি ওখানে গিয়েই খেয়ে নেব “
“ মাঝবয়েসী মহিলারা কখন সব থেকে ভয়ঙ্কর হয় জান অনিন্দ্য? “
এ আবার কি রকম প্রশ্ন? এর কি উত্তর দেবে ভেবে না পেয়ে দুবার ঘাড় নাড়াল অনিন্দ্য।
“ রাত্রে বেলায় হাতে মদের গ্লাস থাকলে, বুঝেছ ? “
অনিন্দ্য আবার ও বোকার মত ঘাড় নাড়াল।
“ so call and inform somebody that you won’t have your dinner tonight in the hostel diner “
“ মেসেজ করে দিচ্ছি “
“ হুম “ বলে একটা কাজু কামড়ালেন মেহের আলম তার সুদৃশ্য দাঁত দিয়ে।
“ তুমি দাবা খেলতে জান অনিন্দ্য? “
“ অল্প সল্প ম্যাডাম “
“ জানারই কথা, বাঙ্গালীরা তো intelligent by birth হয় বলেই জানতাম, কিন্তু ……”
পুরো কথা শেষ না করে উঠে দাঁড়ালেন মেহের আলম। সেলারের কাছে গিয়ে গ্লাস টা আবার ভর্তি করলেন, তারপর ওপরের হাউস কোট খুলে সেটাকে বিছানায় ফেলে দিলেন। তারপর আবার অনিন্দ্যর সামনে এসে বসলেন।
মেহের আলম, সম্ভবত ভগবানের তৈরি করা সব থেকে সুন্দর সৃষ্টি। মাথার চুল খোলা, কপালে শুধু ছোট্ট একটা টিপ। গলায় একটা চেন, আর সারা শরীরে কোন গয়না নেই। স্লিভ্লেস নাইটি, হাল্কা সবুজ রঙের, ডিপ কাট গলা। গায়ের চামড়ার ওপর আলো পড়লে যেন ঠিকরে যাবে, এতটাই মসৃণ। অনিন্দ্য আর তাকাতে পারল না, যদিও চোখ সরাতেও ইচ্ছা যাচ্ছে না।
“ কিন্তু মিঃ অনিন্দ্য ব্যানারজি, being a Bengali you have proved yourself a dumb fool today “
মেহের আলামের গলার স্বরের কাঠিন্য ঠিক ধরা পড়ল অনিন্দ্যর কানে।
“ কেন ম্যাডাম ?”
“ কেন সেটা তো তুমি বলবে, আর সেটা জানতে চাই বলেই তো তোমাকে ডেকে এনেছি “
“ কিন্তু আমি কি করেছি সেটা তো বলুন “
“ Anindyo, what do you think of me? “
“ Excuse me, I didn’t get you “
“ বলছি তুমি আমাকে কি ভাবো? Just a lady professor with sexy looks and shapely assets ? “
লজ্জায় অনিন্দ্যর কান লাল হয়ে গেল।
“ Come on, speak up.. কি ভাবো আমাকে তোমরা?”
“ না ম্যাডাম “
“ Listen to me very carefully. কলেজ ক্যাম্পাস এ না থাকলেও ক্যাম্পাসের সব খবরই আমি রাখি অনিন্দ্য। নিখিলের এর সাথে যশের মারামারি হয়েছে আর তাই তুমি পৌঁছে গেলে প্রিসিপাল শালিনী ডি সুজার বাড়ি? What did you want to prove? “
অনিন্দ্য চুপ.
গেট পেরিয়ে গাড়িটা ঢুকতেই বাড়ির দরজা খুলে গেল। অনিন্দ্য ধীর পায়ে ঢুকল ঘরের ভিতর। ঢুকতেই অবাক, এ কোথায় এল সে? এটা কোন মানুষের ঘর না স্টুডিয়ো? মন্ত্রমুগ্ধের মত দেখতে লাগলো গোটা ঘর টা।
“ কি হোল ইয়াং ম্যান, কি দেখছ? “
লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করল অনিন্দ্য
“ আপনার ঘর ম্যাডাম, আসলে এত সুন্দর ভাবে সাজান যে তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় ছিল না “
“ তাই নাকি? “
“ হ্যা ম্যডাম। যেমন ঘরের ডিজাইন, তেমন সুন্দর কালার কম্বিনেশন, তার সঙ্গে মানানসই ফার্নিচার আর লাইটিং। দারুন।“
“ যাক তোমার ভাল লেগেছে শুনে ভাল লাগলো। কাম অন উপরে এসো। “
বলেই মেহের আলম সিঁড়ি দিয়ে উঠতে লাগলেন। পরনে একটা হাউস কোট, মিষ্টি গোলাপি রঙের আর তার ওপর রং বেরঙের গোলাপ আঁকা। পিছন পিছন উঠতে শুরু করল অনিন্দ্য।
দোতলায় উঠেই দেখতে পেল একজনের পোট্রেট আঁকা, আর্মির পোষাকে। সম্ভবত মেহের আলমের বাবা। তার ঠিক উল্টো দিকের দেওয়ালে একটা মডার্ন আর্ট, যার মাথা বা মুণ্ডু কিছুই বুঝতে পারল না অনিন্দ্য।
“ এসো ভিতরে এসো “
পরদা সরিয়ে ভিতরে ঢুকল অনিন্দ্য। এই ঘরও যথেষ্ট সুন্দর ভাবে সাজান। একটা বড় বিছানা ঘরের মাঝখানে, গোলাকার। একটা দেওয়ালে এক দেওয়াল জোড়া আয়না, সঙ্গে কস্মেটিক্স এর ক্যাবিনেট। অন্য দেওয়াল জোড়া এক দেওয়াল আলমারি। দরজার পাসের দেওয়ালে সেলার, অর্ধ উন্মোচিত।
“ আর কত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে আমার ঘর দেখবে অনিন্দ্য? পরীক্ষায় একটা প্রশ্নও কিন্তু এর থেকে আসবে না “
“ না মানে ম্যডাম, সরি “
“ বুঝেছি, বস “
সোফায় বসল অনিন্দ্য। ঠিক তখনি এক মহিলা এক প্লেট স্যালাড, এক প্লেট পকোড়া, আর এক প্লেট ভর্তি কাজু আর কিশমিশ এনে রেখে গেল। অনিন্দ্য বুঝল এই সেই দ্বিতীয় আউট হাউসের বাসিন্দা।
“ ড্রিঙ্কস চলে? “
একটা বোতল আর একটা গ্লাস নিয়ে উল্টো দিকের সোফায় বসলেন মেহের আলম।
“ না ম্যাডাম খাই না “
“ গুড, ভেরি গুড। তা চিকেন পকোড়া চলে তো? “
“ হ্যাঁ ম্যাডাম “
“ তো চালাতে শুরু কর” বলে নিজেই একটা মুখে ঢুকিয়ে নিলেন।
দেখাদেখি অনিন্দ্যও নিল। সত্যি দারুন খেতে বানিয়েছে, যেমন সুন্দর উপরের কোটিং, ভিতরে তেমন ই নরম চিকেন। খাবার সাথে সাথে খিদেটাও বেড়ে গেল।
“ কেমন লাগলো?”
“ দারুন ম্যাডাম “
“ তুমি কি সব কিছুতেই দারুন বলবে ঠিক করে এসেছ “
“ না না তা নয়, সত্যি ভাল লাগলো তাই বললাম “
“ হুম বুঝলাম, রাতে ডিনার কোথায় কর? হস্টেলেই? “
“ হ্যাঁ ম্যাডাম “
“ ফোন করে বলে দাও ডিনার তুমি এখানেই করে যাবে “
“ না না ম্যাডাম আমি ওখানে গিয়েই খেয়ে নেব “
“ মাঝবয়েসী মহিলারা কখন সব থেকে ভয়ঙ্কর হয় জান অনিন্দ্য? “
এ আবার কি রকম প্রশ্ন? এর কি উত্তর দেবে ভেবে না পেয়ে দুবার ঘাড় নাড়াল অনিন্দ্য।
“ রাত্রে বেলায় হাতে মদের গ্লাস থাকলে, বুঝেছ ? “
অনিন্দ্য আবার ও বোকার মত ঘাড় নাড়াল।
“ so call and inform somebody that you won’t have your dinner tonight in the hostel diner “
“ মেসেজ করে দিচ্ছি “
“ হুম “ বলে একটা কাজু কামড়ালেন মেহের আলম তার সুদৃশ্য দাঁত দিয়ে।
“ তুমি দাবা খেলতে জান অনিন্দ্য? “
“ অল্প সল্প ম্যাডাম “
“ জানারই কথা, বাঙ্গালীরা তো intelligent by birth হয় বলেই জানতাম, কিন্তু ……”
পুরো কথা শেষ না করে উঠে দাঁড়ালেন মেহের আলম। সেলারের কাছে গিয়ে গ্লাস টা আবার ভর্তি করলেন, তারপর ওপরের হাউস কোট খুলে সেটাকে বিছানায় ফেলে দিলেন। তারপর আবার অনিন্দ্যর সামনে এসে বসলেন।
মেহের আলম, সম্ভবত ভগবানের তৈরি করা সব থেকে সুন্দর সৃষ্টি। মাথার চুল খোলা, কপালে শুধু ছোট্ট একটা টিপ। গলায় একটা চেন, আর সারা শরীরে কোন গয়না নেই। স্লিভ্লেস নাইটি, হাল্কা সবুজ রঙের, ডিপ কাট গলা। গায়ের চামড়ার ওপর আলো পড়লে যেন ঠিকরে যাবে, এতটাই মসৃণ। অনিন্দ্য আর তাকাতে পারল না, যদিও চোখ সরাতেও ইচ্ছা যাচ্ছে না।
“ কিন্তু মিঃ অনিন্দ্য ব্যানারজি, being a Bengali you have proved yourself a dumb fool today “
মেহের আলামের গলার স্বরের কাঠিন্য ঠিক ধরা পড়ল অনিন্দ্যর কানে।
“ কেন ম্যাডাম ?”
“ কেন সেটা তো তুমি বলবে, আর সেটা জানতে চাই বলেই তো তোমাকে ডেকে এনেছি “
“ কিন্তু আমি কি করেছি সেটা তো বলুন “
“ Anindyo, what do you think of me? “
“ Excuse me, I didn’t get you “
“ বলছি তুমি আমাকে কি ভাবো? Just a lady professor with sexy looks and shapely assets ? “
লজ্জায় অনিন্দ্যর কান লাল হয়ে গেল।
“ Come on, speak up.. কি ভাবো আমাকে তোমরা?”
“ না ম্যাডাম “
“ Listen to me very carefully. কলেজ ক্যাম্পাস এ না থাকলেও ক্যাম্পাসের সব খবরই আমি রাখি অনিন্দ্য। নিখিলের এর সাথে যশের মারামারি হয়েছে আর তাই তুমি পৌঁছে গেলে প্রিসিপাল শালিনী ডি সুজার বাড়ি? What did you want to prove? “
অনিন্দ্য চুপ.