11-05-2020, 02:08 AM
সব্যসাচী চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ বসে থাকল, তারপর চোখ খুলে সমরেশ বাবু কে বলল
- সমরেশ বাবু, কেসটার কিনারা কি করতে পারব?
- অবশ্যই পারবেন।
- পারব বলছেন? …… অল্প হেসে জিজ্ঞেস করল সব্যসাচী।
- আলবাত পারব, যাবে কোথায় শালা পিন্টূ ।
- আপনি কি পিন্টুকেই খুনি ভাবছেন?
- না ভাবার তো কিছু নেই। সুযোগ ছিল, করেছে আর ভেগেছে।
- তার মানে বলছেন পিন্টু জানত কবে কখন ইলোরা মিত্র আসবে?
- নিশ্চয়ই জানত।
- আর খুনের মোটিভ?
- মোটিভ নিশ্চয়ই আছে, একবার ধরতে পাই, রুলের গুঁতোয় সব বের করে দেবে হারামজাদা।
- আর প্রমাণ যে পিন্টুই খুনি?
- কেন কনফেশন, কম ক্রিমিনাল তো দেখলাম না।
সমরেশ বাবুর কথার শেষে রাজু জানা ঢুকল ঘরে। ঢুকে বলল
- স্যার পিন্টুর ছবি আর ঠিকানা নিয়ে নিয়েছি। বাড়ির ঠিকানাও নিয়েছি।
- ভালো করেছেন, আপনি এখনই বেড়িয়ে পিন্টুর আস্তানা আর শিবচরনের আস্তানা দুটো ঘুরে আসুন। আর পিন্টুর ছবিটার একটা কপি আমাকে পাঠিয়ে দিন স্ক্যান করে।
- ঠিক আছে স্যার।
- সমরেশ বাবু আমাকে রিপোর্টের কপি টা একটু দিন তো দেখি।
- এই নিন সব্যসাচী বাবু।
- আর গোপাল বাবু, আমাকে একটু ঠান্ডা জল খাওয়াতে পারেন।
- অবশ্যই স্যার, আনছি।
সব্যসাচী মন দিয়ে রিপোর্ট টা পড়তে লাগলো, গোপাল দত্ত জলের বোতল নিয়ে ঢুকল।
- স্যার জল।
- দিন।
ঢকঢক করে প্রায় বোতল ফাঁকা করে সব্যসাচী গোপাল দত্তের হাতে বোতল ফেরত দিল। তারপর বলল
- গোপাল বাবু এই রিপোর্ট কে লিখেছে?
- স্যার আমি লিখেছি, রাজু যেমন যেমন বলেছে।
- অনেক ভাইটাল পয়েন্টস মিস করে গেছেন গোপাল বাবু। ভাগ্যিস ছবি গুলো ছিল। চলুন ভিতর ঘরে যাওয়া যাক।
- এই সব্যসাচী বাবু, বলছিলাম কি আমাকে কি এখানে থাকতে হবে?
- না সমরেশ বাবু, আপনি এখানে থেকে কি করবেন। আপনি চলে যান, আমি দরকার পড়লে ফোন করে নেব।
- সেই ভালো।
সমরেশ বাবু চলে গেলেন, সব্যসাচী আর গোপাল দত্ত ভিতর ঘরে গেল।
- গোপাল বাবু, আপনার কি মনে হয়।
- কি ব্যাপারে স্যার?
- এই কেসের ব্যাপারে।
- এটা তো মার্ডার স্যার।
- হ্যাঁ, আর কিছু ?
- বাকি তো সব পোস্ট মরটেমের পরেই বোঝা যাবে।
- কে খুন করতে পারে বলে মনে হয়।
- স্যার সিকিউরিটি গার্ড করলেও করতে পারে।
- বলছেন?
- হ্যাঁ স্যার, এরকম মেয়েরা সিকিউরিটি গার্ড দের খুব একটা পাত্তা দেয়না। সেই জন্য করলেও করতে পারে।
- বুঝলাম।
সব্যসাচী খুব মন দিয়ে আলমারি টা দেখতে থাকল। দুটো পাল্লাই খোলা, দুটো ম্যাক্সি বাইরে পড়ে আছে, একটা জিন্স, ৪ টে টপ, আর একটা ওড়না। ভিতরের বাকি জামাকাপড় খুব গুছিয়ে রাখা। লকার বন্ধ। আলমারির চাবি ঝুলছে। ঘরের এক কোণে একটা ফুলদানি, কিন্তু ফুল নেই। এক দেওয়ালে টিভি, তার পাশে লম্বা আয়না। আর এক দেওয়ালে জানালা, সেটা দিয়ে তাকালে একটা মাঠ দেখা যাচ্ছে। একটা ডবল বেড বিছানা, দুটো বালিশ, দুটো কোল বালিশ। পাশে একটা ড্রয়ার, লক করা। ফুলদানির পাশে একটা চেয়ার রাখা, রিভলভিং। সব্যসাচী গিয়ে চেয়ারে বসল। বসে আলমারির দিকে এক মনে তাকিয়ে থাকল। এসব দেখে গোপাল দত্ত জিজ্ঞেস করল
- স্যার কি ভাবছেন ?
- কি ভাববো সেটাই যে মাথায় ঢুকছে না গোপাল বাবু ।
- ঠিক বুঝলাম না স্যার।
- একটা ঘর, অথচ ঘরে ঢোকার কোন রাস্তা নেই। বাড়ির চারপাশে ঘুরেই যাচ্ছি, ভিতরে ঢোকার রাস্তা পাচ্ছি না। আমার এখন সেরকমই অবস্থা গোপাল বাবু।
- কালকের মধ্যেই তো পোস্ট মরটেম আর ফিঙ্গার প্রিন্ট রিপোর্ট চলে আসবে, এতো চাপ নিচ্ছেন কেন ?
- কিন্তু সেগুলো আসার পরেও যদি ঢোকার রাস্তা না পাই?
- না স্যার ঠিক কিছু না কিছু পাওয়া যাবে। আপনি চিন্তা করেন না।
- আচ্ছা আপনার কি মনে হয়, ঠিক কিভাবে হয়েছে ঘটনাটা?
- আমার মানে ইয়ে …… মানে , ধরুন মেয়েটা এল, পিন্টু দেখল। তারপর ও জানত যে শিবচরন দেরিতে আসবে, তাই ও কিছুক্ষণ পর গিয়ে দরজায় নক করল। মেয়েটি এল, আসতেই মাথায় মারল এক ঘা, মেয়েটা পরে গেল। আর পিন্টুও ভাগলবা।
- তাহলে বইগুলো পড়ল কিকরে, চেয়ার উল্টালো কি করে?
- একা মেয়ে, এরা অগোছালো হয় স্যার।
- গোপাল বাবু আপনার বয়স কত?
- ২৭ স্যার, কেন?
- না এম নি।
- স্যার আমি একটা সিগারেট কিনে আনব, শেষ হয়ে গেছে।
- হ্যাঁ যান।
সব্যসাচী চেয়ারে বসে নিজের মনেই বলতে লাগল
ইলোরা এল, মারা গেল / খাপ্পা মন্ত্রী বাবা / পিন্টু ছিল সিকিউরিটি / হল ভাগলবা
- সমরেশ বাবু, কেসটার কিনারা কি করতে পারব?
- অবশ্যই পারবেন।
- পারব বলছেন? …… অল্প হেসে জিজ্ঞেস করল সব্যসাচী।
- আলবাত পারব, যাবে কোথায় শালা পিন্টূ ।
- আপনি কি পিন্টুকেই খুনি ভাবছেন?
- না ভাবার তো কিছু নেই। সুযোগ ছিল, করেছে আর ভেগেছে।
- তার মানে বলছেন পিন্টু জানত কবে কখন ইলোরা মিত্র আসবে?
- নিশ্চয়ই জানত।
- আর খুনের মোটিভ?
- মোটিভ নিশ্চয়ই আছে, একবার ধরতে পাই, রুলের গুঁতোয় সব বের করে দেবে হারামজাদা।
- আর প্রমাণ যে পিন্টুই খুনি?
- কেন কনফেশন, কম ক্রিমিনাল তো দেখলাম না।
সমরেশ বাবুর কথার শেষে রাজু জানা ঢুকল ঘরে। ঢুকে বলল
- স্যার পিন্টুর ছবি আর ঠিকানা নিয়ে নিয়েছি। বাড়ির ঠিকানাও নিয়েছি।
- ভালো করেছেন, আপনি এখনই বেড়িয়ে পিন্টুর আস্তানা আর শিবচরনের আস্তানা দুটো ঘুরে আসুন। আর পিন্টুর ছবিটার একটা কপি আমাকে পাঠিয়ে দিন স্ক্যান করে।
- ঠিক আছে স্যার।
- সমরেশ বাবু আমাকে রিপোর্টের কপি টা একটু দিন তো দেখি।
- এই নিন সব্যসাচী বাবু।
- আর গোপাল বাবু, আমাকে একটু ঠান্ডা জল খাওয়াতে পারেন।
- অবশ্যই স্যার, আনছি।
সব্যসাচী মন দিয়ে রিপোর্ট টা পড়তে লাগলো, গোপাল দত্ত জলের বোতল নিয়ে ঢুকল।
- স্যার জল।
- দিন।
ঢকঢক করে প্রায় বোতল ফাঁকা করে সব্যসাচী গোপাল দত্তের হাতে বোতল ফেরত দিল। তারপর বলল
- গোপাল বাবু এই রিপোর্ট কে লিখেছে?
- স্যার আমি লিখেছি, রাজু যেমন যেমন বলেছে।
- অনেক ভাইটাল পয়েন্টস মিস করে গেছেন গোপাল বাবু। ভাগ্যিস ছবি গুলো ছিল। চলুন ভিতর ঘরে যাওয়া যাক।
- এই সব্যসাচী বাবু, বলছিলাম কি আমাকে কি এখানে থাকতে হবে?
- না সমরেশ বাবু, আপনি এখানে থেকে কি করবেন। আপনি চলে যান, আমি দরকার পড়লে ফোন করে নেব।
- সেই ভালো।
সমরেশ বাবু চলে গেলেন, সব্যসাচী আর গোপাল দত্ত ভিতর ঘরে গেল।
- গোপাল বাবু, আপনার কি মনে হয়।
- কি ব্যাপারে স্যার?
- এই কেসের ব্যাপারে।
- এটা তো মার্ডার স্যার।
- হ্যাঁ, আর কিছু ?
- বাকি তো সব পোস্ট মরটেমের পরেই বোঝা যাবে।
- কে খুন করতে পারে বলে মনে হয়।
- স্যার সিকিউরিটি গার্ড করলেও করতে পারে।
- বলছেন?
- হ্যাঁ স্যার, এরকম মেয়েরা সিকিউরিটি গার্ড দের খুব একটা পাত্তা দেয়না। সেই জন্য করলেও করতে পারে।
- বুঝলাম।
সব্যসাচী খুব মন দিয়ে আলমারি টা দেখতে থাকল। দুটো পাল্লাই খোলা, দুটো ম্যাক্সি বাইরে পড়ে আছে, একটা জিন্স, ৪ টে টপ, আর একটা ওড়না। ভিতরের বাকি জামাকাপড় খুব গুছিয়ে রাখা। লকার বন্ধ। আলমারির চাবি ঝুলছে। ঘরের এক কোণে একটা ফুলদানি, কিন্তু ফুল নেই। এক দেওয়ালে টিভি, তার পাশে লম্বা আয়না। আর এক দেওয়ালে জানালা, সেটা দিয়ে তাকালে একটা মাঠ দেখা যাচ্ছে। একটা ডবল বেড বিছানা, দুটো বালিশ, দুটো কোল বালিশ। পাশে একটা ড্রয়ার, লক করা। ফুলদানির পাশে একটা চেয়ার রাখা, রিভলভিং। সব্যসাচী গিয়ে চেয়ারে বসল। বসে আলমারির দিকে এক মনে তাকিয়ে থাকল। এসব দেখে গোপাল দত্ত জিজ্ঞেস করল
- স্যার কি ভাবছেন ?
- কি ভাববো সেটাই যে মাথায় ঢুকছে না গোপাল বাবু ।
- ঠিক বুঝলাম না স্যার।
- একটা ঘর, অথচ ঘরে ঢোকার কোন রাস্তা নেই। বাড়ির চারপাশে ঘুরেই যাচ্ছি, ভিতরে ঢোকার রাস্তা পাচ্ছি না। আমার এখন সেরকমই অবস্থা গোপাল বাবু।
- কালকের মধ্যেই তো পোস্ট মরটেম আর ফিঙ্গার প্রিন্ট রিপোর্ট চলে আসবে, এতো চাপ নিচ্ছেন কেন ?
- কিন্তু সেগুলো আসার পরেও যদি ঢোকার রাস্তা না পাই?
- না স্যার ঠিক কিছু না কিছু পাওয়া যাবে। আপনি চিন্তা করেন না।
- আচ্ছা আপনার কি মনে হয়, ঠিক কিভাবে হয়েছে ঘটনাটা?
- আমার মানে ইয়ে …… মানে , ধরুন মেয়েটা এল, পিন্টু দেখল। তারপর ও জানত যে শিবচরন দেরিতে আসবে, তাই ও কিছুক্ষণ পর গিয়ে দরজায় নক করল। মেয়েটি এল, আসতেই মাথায় মারল এক ঘা, মেয়েটা পরে গেল। আর পিন্টুও ভাগলবা।
- তাহলে বইগুলো পড়ল কিকরে, চেয়ার উল্টালো কি করে?
- একা মেয়ে, এরা অগোছালো হয় স্যার।
- গোপাল বাবু আপনার বয়স কত?
- ২৭ স্যার, কেন?
- না এম নি।
- স্যার আমি একটা সিগারেট কিনে আনব, শেষ হয়ে গেছে।
- হ্যাঁ যান।
সব্যসাচী চেয়ারে বসে নিজের মনেই বলতে লাগল
ইলোরা এল, মারা গেল / খাপ্পা মন্ত্রী বাবা / পিন্টু ছিল সিকিউরিটি / হল ভাগলবা