10-05-2020, 02:16 AM
- মোবাইলটা ইলোরা মিত্রের না ?
- সেটার সম্ভাবনাই বেশি সমরেশ বাবু।
সব্যসাচী এসে একটা চেয়ার টেনে বসল। বসে বলল
- রাজু বাবু আর গৌতম বাবু, আসুন বসুন।
- বলুন স্যার।
- অবিনাশ বাবুর কাছে যে নাম্বার টা থেকে ফোন এসেছিল সেটার কল লিস্ট বের করতে দিয়েছেন?
- হ্যাঁ স্যার। ।
- আর ইলোরা মিত্রের মোবাইলে যে সিম কার্ড টা আছে সেটার ব্যাপারেও একটু খোঁজ নিন।
- ঠিক আছে স্যার।
- গোটা ঘর কি একবার ও পুরো সার্চ করে দেখা হয়েছে?
- না স্যার, আসলে তাড়াহুড়োয় ……
- ঠিক আছে, তাতে অসুবিধা নেই।
সব্যসাচীর কথা শেষ না হতেই দরজায় এক ব্যাক্তিকে দেখা গেল। উচ্চতায় ৬ ফুটের কাছাকাছি, রোগা, গায়ের রং তামাটে। সব্যসাচী তাকে দেখে জিজ্ঞেস করল
- কিছু বলবেন?
- আমাকে ডেকেছিলেন।
- কে ডেকেছিল আপনাকে?
- অবিনাশ বাবু বলল আপনারা আমায় ডাকছেন।
- আপনি কি সিকিউরিটি গার্ড?
- হ্যাঁ স্যার।
- আচ্ছা, বসুন
- স্যার ঠিক আছে
- বসুন বসুন, ঘাবড়াবার কিছু নেই।
- আচ্ছা স্যার।
- আপানার নাম কি?
- আজ্ঞে শিবচরন, শিবচরন পাল।
- তা শিবচরন বাবু আপনার বাড়ি কোথায়?
- কাটোয়ায়।
- বাড়ী কি মাসে একবার যান না দুবার?
- একবার ই যাওয়া হয়।
- কালকে রাত্রে আপনি ছিলেন গেটে?
- হ্যাঁ স্যার।
- তাহলে এখনো ডিউটি করছেন যে?
- স্যার আমাদের তো ১২ ঘন্টা করে ডিউটি।
- তাহলে তো রাত ১০ থেকে সকাল ১০ পর্যন্ত ডিউটি।
- না স্যার আমাদের ১১ টা থেকে ডিউটি।
- তাহলেও তো আপনার ডিউটি শেষ, এখন তো প্রায় ১ টা বাজতে চলল।
- আসলে স্যার পিন্টূ না এলে তো যেতে পারব না।
- আচ্ছা, তো শিবচরন বাবু কাল রাতে ইলোরা মিত্র কখন ফিরলেন?
- স্যার আমি যখন থেকে ছিলাম ততক্ষণ তো কাউকে ঢুকতে দেখিনি।
- তার মানে ১১ টার আগে এসেছিল বলছেন?
- হতে পারে স্যার।
- আচ্ছা যখন ঝড় হল তখন কি করছিলেন আপনি?
- যখন ঝড় এল?
- হ্যাঁ।
- আমি তো ওই সামনের শেডের নিচেই ছিলাম।
- ওই শেডের নিচে তো ধুলো ওড়ার কথা।
- স্যার গরিবের কি কি ধুলো কি মাটি।
- তাও ঠিক, ঝড়ের সময় কি কেউ এসেছিল বা বেড়িয়েছিল?
- না স্যার।
- আপনি সিকিউরিটি গার্ডের চাকরির আগে কি করতেন?
- আজ্ঞে হকারি করতাম।
- তখন থেকেই মিথ্যে কথা বলতেন?
- না মানে কেন স্যার?
- কারণ কাল রাতে যে কোন ঝড় হয়নি শিবচরন বাবু।
শিবচরন বাবু নিরুত্তর, সমরেশ বাবু রেগে গিয়ে বলে উঠলেন
- এই হারামজাদা, পুলিশের সামনে বসে মিথ্যে বলছিস। দেবো খুনের কেসে ভিতরে ঢুকিয়ে?
- না স্যার না , আমি কিছু করিনি বিশ্বাস করুন স্যার। শিবচরন বাবু সব্যসাচীর পায়ে পড়ে গেল, সব্যসাচী অপ্রস্তুত হয়ে বলে উঠল
- আরে আরে করেন কি, উঠুন বলছি
শিবচরন বাবু উঠে দাঁড়ালেন
- এবার বসে বলুন তো আপনি রাতে কোথায় ছিলেন।
- স্যার আমি ডিউটিতেই ছিলাম, তবে রাত ২ টোর পর থেকে। ততক্ষণ পর্যন্ত পিন্টু থাকবে বলেছিল আর আজ দেরিতে আসবে বলেছিল।
- আর ২ টো পর্যন্ত কোথায় ছিলেন?
- স্যার আমি কিন্তু খুন করিনি স্যার, সত্যি বলছি …… কাঁদ কাঁদ মুখ করে বলল শিবচরন।
- ২ টো পর্যন্ত কোথায় ছিলেন?
- আমার ঘরেই ছিলাম স্যার।
- একা ছিলেন না সঙ্গে কেউ ছিল?
- ছিল স্যার।
- কে?
- স্যার আমি কিন্তু কিছু করিনি স্যার।
- সঙ্গে কে ছিল?
- মালতি
- মালতি কে?
- আয়ার কাজ করে।
- তার সাথে আপনি কি করছিলেন।
- স্যার আমরা মাঝে মাঝেই করি।
- আপনি একেবারে উত্তর দিতে পারেন না ?
- স্যার ওর স্বামী ওকে সুখ দিতে পারেনা, আর আমিও বউ ছাড়া তাই আমরা মাঝে মাঝে একটু সেস্ক করি। …… প্রায় এক নিঃশ্বাসে কথা গুল বলল শিবচরন।
- আপনার ছেলে মেয়ে কয়টি ?
- ৩ টি ,
- তো আপনি যখন সেস্ক মানে সেক্স করে ফিরলেন তখন পিন্টু কিছু বলেছিল যে ইলোরা ম্যাডাম এসেছে?
- স্যার পিন্টু তখন ছিল না।
- মানে?
- স্যার আমি যখন এলাম তখন পিন্টু ছিল না। আমি ভাবলাম হয়ত আমার দেরি দেখে চলে গেছে।
- পিন্টু কে একটু ফোন করে ডাকুন ।
- স্যার আমি সকাল থেকেই ওকে কল করছি, ওর ফোন বন্ধ।
- রাজু বাবু আপনি পিন্টু আর মালতির নাম্বার টা নিয়ে নিন আর এনার ঘরের ঠিকানাটাও নিয়ে নিন।
- স্যার মালতির নাম্বার……
- হ্যাঁ লাগবে, আর পিন্টুর কোন ছবি আছে?
- স্যার সেকেটারি বাবুর কাছে আছে।
- আচ্ছা ঠিক আছে। আপনি যেতে পারেন।
- সেটার সম্ভাবনাই বেশি সমরেশ বাবু।
সব্যসাচী এসে একটা চেয়ার টেনে বসল। বসে বলল
- রাজু বাবু আর গৌতম বাবু, আসুন বসুন।
- বলুন স্যার।
- অবিনাশ বাবুর কাছে যে নাম্বার টা থেকে ফোন এসেছিল সেটার কল লিস্ট বের করতে দিয়েছেন?
- হ্যাঁ স্যার। ।
- আর ইলোরা মিত্রের মোবাইলে যে সিম কার্ড টা আছে সেটার ব্যাপারেও একটু খোঁজ নিন।
- ঠিক আছে স্যার।
- গোটা ঘর কি একবার ও পুরো সার্চ করে দেখা হয়েছে?
- না স্যার, আসলে তাড়াহুড়োয় ……
- ঠিক আছে, তাতে অসুবিধা নেই।
সব্যসাচীর কথা শেষ না হতেই দরজায় এক ব্যাক্তিকে দেখা গেল। উচ্চতায় ৬ ফুটের কাছাকাছি, রোগা, গায়ের রং তামাটে। সব্যসাচী তাকে দেখে জিজ্ঞেস করল
- কিছু বলবেন?
- আমাকে ডেকেছিলেন।
- কে ডেকেছিল আপনাকে?
- অবিনাশ বাবু বলল আপনারা আমায় ডাকছেন।
- আপনি কি সিকিউরিটি গার্ড?
- হ্যাঁ স্যার।
- আচ্ছা, বসুন
- স্যার ঠিক আছে
- বসুন বসুন, ঘাবড়াবার কিছু নেই।
- আচ্ছা স্যার।
- আপানার নাম কি?
- আজ্ঞে শিবচরন, শিবচরন পাল।
- তা শিবচরন বাবু আপনার বাড়ি কোথায়?
- কাটোয়ায়।
- বাড়ী কি মাসে একবার যান না দুবার?
- একবার ই যাওয়া হয়।
- কালকে রাত্রে আপনি ছিলেন গেটে?
- হ্যাঁ স্যার।
- তাহলে এখনো ডিউটি করছেন যে?
- স্যার আমাদের তো ১২ ঘন্টা করে ডিউটি।
- তাহলে তো রাত ১০ থেকে সকাল ১০ পর্যন্ত ডিউটি।
- না স্যার আমাদের ১১ টা থেকে ডিউটি।
- তাহলেও তো আপনার ডিউটি শেষ, এখন তো প্রায় ১ টা বাজতে চলল।
- আসলে স্যার পিন্টূ না এলে তো যেতে পারব না।
- আচ্ছা, তো শিবচরন বাবু কাল রাতে ইলোরা মিত্র কখন ফিরলেন?
- স্যার আমি যখন থেকে ছিলাম ততক্ষণ তো কাউকে ঢুকতে দেখিনি।
- তার মানে ১১ টার আগে এসেছিল বলছেন?
- হতে পারে স্যার।
- আচ্ছা যখন ঝড় হল তখন কি করছিলেন আপনি?
- যখন ঝড় এল?
- হ্যাঁ।
- আমি তো ওই সামনের শেডের নিচেই ছিলাম।
- ওই শেডের নিচে তো ধুলো ওড়ার কথা।
- স্যার গরিবের কি কি ধুলো কি মাটি।
- তাও ঠিক, ঝড়ের সময় কি কেউ এসেছিল বা বেড়িয়েছিল?
- না স্যার।
- আপনি সিকিউরিটি গার্ডের চাকরির আগে কি করতেন?
- আজ্ঞে হকারি করতাম।
- তখন থেকেই মিথ্যে কথা বলতেন?
- না মানে কেন স্যার?
- কারণ কাল রাতে যে কোন ঝড় হয়নি শিবচরন বাবু।
শিবচরন বাবু নিরুত্তর, সমরেশ বাবু রেগে গিয়ে বলে উঠলেন
- এই হারামজাদা, পুলিশের সামনে বসে মিথ্যে বলছিস। দেবো খুনের কেসে ভিতরে ঢুকিয়ে?
- না স্যার না , আমি কিছু করিনি বিশ্বাস করুন স্যার। শিবচরন বাবু সব্যসাচীর পায়ে পড়ে গেল, সব্যসাচী অপ্রস্তুত হয়ে বলে উঠল
- আরে আরে করেন কি, উঠুন বলছি
শিবচরন বাবু উঠে দাঁড়ালেন
- এবার বসে বলুন তো আপনি রাতে কোথায় ছিলেন।
- স্যার আমি ডিউটিতেই ছিলাম, তবে রাত ২ টোর পর থেকে। ততক্ষণ পর্যন্ত পিন্টু থাকবে বলেছিল আর আজ দেরিতে আসবে বলেছিল।
- আর ২ টো পর্যন্ত কোথায় ছিলেন?
- স্যার আমি কিন্তু খুন করিনি স্যার, সত্যি বলছি …… কাঁদ কাঁদ মুখ করে বলল শিবচরন।
- ২ টো পর্যন্ত কোথায় ছিলেন?
- আমার ঘরেই ছিলাম স্যার।
- একা ছিলেন না সঙ্গে কেউ ছিল?
- ছিল স্যার।
- কে?
- স্যার আমি কিন্তু কিছু করিনি স্যার।
- সঙ্গে কে ছিল?
- মালতি
- মালতি কে?
- আয়ার কাজ করে।
- তার সাথে আপনি কি করছিলেন।
- স্যার আমরা মাঝে মাঝেই করি।
- আপনি একেবারে উত্তর দিতে পারেন না ?
- স্যার ওর স্বামী ওকে সুখ দিতে পারেনা, আর আমিও বউ ছাড়া তাই আমরা মাঝে মাঝে একটু সেস্ক করি। …… প্রায় এক নিঃশ্বাসে কথা গুল বলল শিবচরন।
- আপনার ছেলে মেয়ে কয়টি ?
- ৩ টি ,
- তো আপনি যখন সেস্ক মানে সেক্স করে ফিরলেন তখন পিন্টু কিছু বলেছিল যে ইলোরা ম্যাডাম এসেছে?
- স্যার পিন্টু তখন ছিল না।
- মানে?
- স্যার আমি যখন এলাম তখন পিন্টু ছিল না। আমি ভাবলাম হয়ত আমার দেরি দেখে চলে গেছে।
- পিন্টু কে একটু ফোন করে ডাকুন ।
- স্যার আমি সকাল থেকেই ওকে কল করছি, ওর ফোন বন্ধ।
- রাজু বাবু আপনি পিন্টু আর মালতির নাম্বার টা নিয়ে নিন আর এনার ঘরের ঠিকানাটাও নিয়ে নিন।
- স্যার মালতির নাম্বার……
- হ্যাঁ লাগবে, আর পিন্টুর কোন ছবি আছে?
- স্যার সেকেটারি বাবুর কাছে আছে।
- আচ্ছা ঠিক আছে। আপনি যেতে পারেন।