Thread Rating:
  • 25 Vote(s) - 3.4 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Romance অবাধ্য আকর্ষণ
#85
দুম দুম করে খানিক গুলো লাথি পড়লো অনিন্দ্যর হোস্টেলের রুমের দরজায়
আবার ঠিক লাথি টা মারতে যাবে গুঞ্জন, এমন সময় দরজা টা খুলে গেল অনিন্দ্য খুলল
আয়সংক্ষিপ্ত আহ্বান অনিন্দ্যর
যাব না, এখানে দাঁড়িয়েই চেঁচাবো কি ভাবিস কি তুই নিজেকে? খুব বড় বস হয়ে গেছিস যশ কে ঘুষি মেরে? “
ভিতরে আয়
বললাম তো যাব না, কি করে নিবি? আমাকেও মারবি? মার
অনিন্দ্য কোন কথা না বলে ঘরের ভিতরে ঢুকে এল, পিছন পিছন এল গুঞ্জন
সারা সন্ধে ফোন করছি ফোন তুলিস না কেন? তোর যদি কিছু হয়ে যেত? কোথায় যাচ্ছিস সেটা বল্লেও কি তোর মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়
অনিন্দ্য নির্বাক পলকহীন চোখে তাকিয়ে আছে মাথার ওপরের ঘূর্ণায়মান পাখার দিকে
কোথায় যাচ্ছিস বলবিনা, কেন যাচ্ছিস বলবিনা, বললে কি আমি কিছু করে দেব? তোর কি মনে হয় আমাকে? “
অনিন্দ্য তবু নিরুত্তর
ভালই করেছিস বলিসনি, আর কেনই বা বলবি আমি কে যাকে বলতে হবে? আমি তো কেউ না আমি তো একটা বোকাচোদা, বোকার মত তোর প্রেমে পড়েছি I am nothing but a slut, hopelessly in love with you. “
চোখ দিয়ে দু ফোঁটা জল বেড়িয়ে এল গুঞ্জনের, কাঁদ কাঁদ স্বরে বলতে লাগলো
আমি খুব খারাপ মেয়ে, বাজারের বেশ্যার চেয়েও খারাপ কিন্তু আমার ফোনটা একবার তো তুলতে পারতিস ফোন টা রিসিভ করে আমায় গালি দিতিস, আমি কিচ্ছু মনে করতাম না শুধু এটুকু জেনে যেতাম যে তুই ঠিক আছিস ভয়টা কেটে যেত বাজারের বেশ্যা হলেও তো মন আছে রে, যাকে ভালবাসি তার জন্য চিন্তাও হয় রে পারিনা নিজেকে ঠিক রাখতে রে
আর নিজেকে সামলে রাখতে পারল না গুঞ্জন, কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো গুঞ্জনের মত দাপুটে আর জেদি মেয়ে যে এরকম কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে পারে, এটা বোধহয় না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন ভালবাসা কি এতই দুর্বল করে দেয়? কে জানে
তবু চুপ অনিন্দ্য, যেন বোবা মেরে গেছে
চোখের জল মুছে উঠে দাঁড়াল গুঞ্জন, অভিমান ভরা সুরে বলল
আমি আর কোনদিন তোকে বিরক্ত………
গুঞ্জন থমকে গেল, অনিন্দ্য কাঁদছে চেয়ারে বসে, চোখ সিলিং , আর দু চোখে নিঃশব্দে বয়ে চলা জলের ধারা 
কি হয়েছে তোর, কাঁদছিস কেন তুই কি হয়েছে বল ? “
অনিন্দ্যর যেন ঘোর কাটল, হাত দিয়ে দু চোখের জল মুছে বলল
না কিছু না
অনিন্দ্যর বাঁ হাত টা নিজের দুহাতে নিয়ে গুঞ্জন বলল
যেটা হয়েছে সেটা কি আমাকেও বলা যাবে না? “
বোস
অনিন্দ্যর চৌকি তে বসতে গেল গুঞ্জন, চোখ পড়লো একটা ছবির ওপর চৌকির ওপর রাখা ছবি অনেক দিনের পুরনো মনে হচ্ছে কোন কলেজের স্টুডেন্ট দের ছবি 
এটা কিসের ছবিজিজ্ঞেস করল গুঞ্জন
আমার মায়ের, বলতে পারিস আমার মায়ের এই একটাই স্মৃতি চিহ্ন থেকে গেছে আমার কাছে
খুব মন দিয়ে ছবিটার দিকে তাকাল গুঞ্জন
চিনতে পারবি না, আমি বাবার মত দেখতে
কোনটা তোর মা? “
নং লাইনের একদম মাঝখানে, লম্বা বিনুনি আছে যার
মন দিয়ে দেখল গুঞ্জন ছবিটাকে অনেক পুরনো ছবি যদিও, কিন্তু অনিন্দ্যর মা যে বেশ সুন্দরী ছিল বোঝা যায়
কিন্তু আজ হটাত এই ছবিটা দেখে তুই কাঁদছিস কেন? “
কলকাতায় আমার মায়ের বেশ সুনাম ছিল সেতার শিল্পি হিসেবে
“ she was a musician? “
হ্যা, মায়ের সঙ্গে অনেক জায়গায় গেছিও মা যখন স্টেজে বসে বাজাত, দেবী মনে হত রে
আবার চোখে জল অনিন্দ্যর
এই তোর কি হয়েছে রে? তুই এত ভেঙ্গে পড়েছিস কেন? “
চোখের জল মুছে, গলা টা ঝাড়ল অনিন্দ্য
আমার মায়ের বাঁ পাশে যে দাঁড়িয়ে আছে তাকে চিনতে পারছিস? “
অনেকক্ষণ মন দিয়ে দেখল গুঞ্জন, কোথায় যেন দেখা দেখা মনে হচ্ছে কিন্তু……
চেনা চেনা টাইপের লাগছে, কিন্তু বুঝতে পারছি না
“ Her name is Shalini Di Souza “
ঘরের মধ্যে যেন একটা ছুঁচ পড়লেও শোনা যাবে 

তার মানে তোর মা আর প্রিন্সিপাল ডি সুজা ক্লাসমেট ছিল? “
ঘরের নিস্তব্ধতা কে ভেঙ্গে প্রশ্ন করল গুঞ্জন 
আমি নিজেই এখন নিজেকে এই প্রশ্ন করছি, আমি পুরো ঘেঁটে গেছি এতদিন জানতাম যে আমার মা সেতার শিল্পী আর আজ জানতে পারছি মা মেডিক্যাল স্টুডেন্ট ছিল I am really confused. “
এমন হতে পারে যে তোর কোথাও ভুল হচ্ছে
তাহলে এই একি ছবি প্রিন্সিপালের ঘরেও কেন থাকবে? “
গাঁড় মেরেছে, ইম্পসিবল
আর আমি ১০০% সিওর যে আমি এই ছবিটাই দেখেছি, আর তাতে কোন ভুল নেই
তুই কি করে এতটা সিওর হচ্ছিস? “
মা বাবা মারা যাবার পর যখন রাত্রে বেলায় শুয়ে শুয়ে কাঁদতাম, তখন এই ছবিটাই আমার কাছে থাকত এই ছবিটায় মাকে নালিশ জানাতাম যখন কাকিমা মারত বা খেতে দিত না পরীক্ষা দিতে যাবার আগে এই ছবিটাকেই প্রনাম করে যেতাম সুতরাং এই ছবি চিনতে আমার ভুল হবে না, হতে পারে না
গুঞ্জন উঠে অনিন্দ্যর কাছে এল, ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল
শোন, তুই এটা নিয়ে আর ভাবিস না যাই হোক কাকিমা তো আর আমাদের মধ্যে নেই, তাই উনি কি ছিলেন তা নিয়ে ভেবে কি হবে বল “ 
হটাত কি ভেবে গুঞ্জন বলে উঠল
এই, তোর মামার বাড়ির কাউকে জিজ্ঞেস করে দেখলে হয় না? “
মা যতদিন ছিল ততদিন আমি মামারবাড়ির ব্যাপারে কথা বলতে শুনিনি এমনকি কখন মামার বাড়িও যাইনি কোনদিন কোন মামাকেও দেখিনি
তোর কাকা বা কাকিমা তো জানতে পারে
তারাও জানেনা
সেটা তুই কিকরে বলছিস? “
জানলে সেখানেই ফেলে আসত রে, বাড়িতে রাখত না
বেশ, তাহলে এখন কি করতে চাস তুই ? “
অনিন্দ্য কিছু বলতে যাবে, এমন সময় দরজায় একজন ভদ্রলোক এসে দাঁড়াল
ইয়ে বাঙালি বাবু কা রুম হ্যায়? “
আপসে মতলব? “ উত্তর টা দিল গুঞ্জন
ওই ভদ্রলোক পকেট থেকে ফোন বের করল আর কাউকে ফোন করল, আর তারপর গুঞ্জনের দিকে ফোন টা এগিয়ে দিয়ে বলল
বাত কিজিয়ে
গুঞ্জন অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফোন টা ধরল
কহিয়ে
“ Is it Gunjan? “
প্রান্ত থেকে আওয়াজ এল
জী, পর আপ ? “
আমি ম্যাডাম মেহের আলম, অনিন্দ্য আছে? “
গুঞ্জন অনিন্দ্য কে ফোন টা দিল
হ্যালো
অনিন্দ্য, আমি মেহের আলম বলছি
বলুন ম্যাডাম
একটু আমার বাড়ি আসতে পারবে? Its urgent “
এত রাত্রে, আর আমি তো আপনার বাড়ি চিনিওনা
তুমি যার ফোনে কথা বলছ সে আমার ড্রাইভার, তোমাকে ওই নিয়ে আসবে
ওকে ম্যাডাম
[+] 10 users Like sexdisciple's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: অবাধ্য আকর্ষণ - by sexdisciple - 09-05-2020, 03:39 AM



Users browsing this thread: 12 Guest(s)