09-05-2020, 03:32 AM
এপার্টমেন্টের নাম তিলোত্তমা, তিন তলার প্রথম ফ্ল্যাট, সীন অফ ক্রাইম। সব্যসাচী ফ্লাটে এ ঢুকে দেখল দু জন সাব ইনস্পেক্টর বসে আছে। সমরেশ বাবু কে দেখে দুজনেই উঠে দাঁড়াল। সমরেশ বাবু পরিচয় করিয়ে দিলেন
- গোপাল দত্ত আর রাজু জানা, আমাদের থানার দুজন সাব ইনস্পেক্টর, আর ইনি সব্যসাচী সান্যাল। তোমরা দুজনেই এনাকে এই তদন্তে সাহায্য করবে।
দুজনেই ঘাড় নাড়িয়ে সমর্থন জানালো। সব্যসাচী গোটা ফ্ল্যাট ঘুরে দেখতে লাগলো। তারপর বলল
- প্রথম কে এই ক্রাইম সীনে এসেছিলেন?
- আমি স্যার
- আপনি, রাজু জানা… তাই তো?
- হ্যাঁ স্যার।
- ঘরের অবস্থা কি তখন এরকম ই ছিল?
- হ্যাঁ স্যার, ডেড বডি ছাড়া আর কিছুতে হাত দেওয়া হয়নি।
- বেশ
সব্যসাচী সামনের সোফাতে বসে বলল
- বডির পজিশন টা মনে আছে?
- হ্যাঁ স্যার , এই দিকে দরজার পিছন করে উলটে ছিল বডি।
- হুম, পোশাক কি ছিল?
- স্যার মানে শুধুই অন্তর্বাস।
- কি?
- মানে শুধু ব্রা আর একটা হাফ প্যান্টের মত প্যান্ট কিন্তু ছোট।
- প্যান্টি?
- না স্যার প্যান্টি না।
- এরকম বইগুলো মাটিতে পড়ে ছিল ?
- হ্যাঁ স্যার, বই তারপর এই চেয়ার টা উল্টান ছিল। ফ্রিজ টা খোলা ছিল।
- আপনারা দেখেছেন তখন ঘরের মধ্যে কেউ ছিল না?
- না স্যার কেউ ছিল না।
- বেশ, রাজু বাবু আপনি ভিতর ঘরে দেখুন দুটো আলমারী আছে, লাল আলমারিটার পাশে দেখুন বোধহয় একটা ফুলদানি আছে। ওটা একটু আনুন তো।
- ওকে স্যার।
রাজু ভিতর ঘরে চলে যায়। সমরেশ বাবু বলেন
- কি বুঝছেন?
- আপনার অফিসার রা ভালো করে চেক করেনি।
- কেন?
এই সময় রাজু ভিতর ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে বলল
- স্যার লাল আলমারি তো নেই।
- জানি, বডি দেখার পর পুরো ফ্ল্যাট তো সার্চ করার কথা ছিল।করেন নি কেন?
- দেখেছি তো স্যার।
- না দেখেন নি। দেখলে বডির বর্ণনা হুবহু দিলেও আমি লাল আলমারি বললাম, ফুলদানি বললাম আপনি একটাতেও আপত্তি জানালেন না। কারণ আপনি জানতেন না যে ভিতর ঘরে কি আছে আর কি নেই।
- সরি স্যার।
- শাট আপ রাজু, এই তুমি ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট বানিয়েছ। খুনি হয়ত ঘরেই ছিল, সেই রাতেই কেস সল্ভড হয়ে যেত। জাস্ট তোমার বোকামির জন্য …… আমি তোমার নামে রিপোর্ট করব। ……… সমরেশ বাবু রেগে চেঁচাতে লাগলেন।
- শান্ত হন সমরেশ বাবু …… সব্যাসাচী বলল
- আপনি শান্ত হতে বলছেন, একে তো ইমিডিয়েট সাস্পেন্ড করা উচিত।
- যা হয়ে গেছে সেটা ফিরবে না। সাসপেন্ড করলেও না। তাই রিপোর্ট না করাই ভালো।
- না সব্যসাচী বাবু, আমি রিপোর্ট করবই।
- তাহলে আপনার ই চাপ বাড়বে সমরেশ বাবু।
- কেন?
- কারণ আপনিও স্পটে না এসে রিপোর্টে সই করেছেন যে।
কথাটা শুনে সমরেশ বাবু মিইয়ে গেলেন। সব্যসাচী আবার বলতে শুরু করল
- তাই বলছি যা হয়ে গেছে সেটা নিয়ে ঘেঁটে লাভ নেই। রাজুর থেকে বেশী আপনার ওপর কোপ পড়বে, তার ওপর মন্ত্রীর মেয়ে।
- ওকে স্যার।
- হুম, সে রাতে ডিউটি অফিসার কে ছিল?
- আমি স্যার, গোপাল দত্ত।
- থানায় যে ফোন করেছিলেন তার সাথে কথা বলেছিলেন?
- রাজু বলেছিল স্যার।
- আমার সাথে একটু কথা বলাতে পারবেন?
- হ্যাঁ স্যার, আমি বলেই রেখেছি। আসুন আমার সাথে।
- না, ওনাকেই এখানে একটু ডাকুন।
- ওকে স্যার।
সব্যসাচী সোফাতে বসে জিজ্ঞেস করল সমরেশ বাবু কে
- সমরেশ বাবু ফিঙ্গার প্রিন্ট কালেকশন কখন হয়েছে?
- আজকে সকালেই
- হম তার মানে পোস্ট মরটেম আর ফিঙ্গার প্রিন্ট এর জন্য কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবেই।
- হ্যাঁ স্যার
- আরে আমাকে স্যার বলেন না, আমি আপনার অনেক জুনিয়ার। …… সব্যসাচী হেসে বলল।
সব্যসাচী বইয়ের তাকের কাছে গিয়ে আবার জিজ্ঞেস করল
- সমরেশ বাবু, আপনি তো অনেক এরকম কেস দেখেছেন। কি মনে হয় আপনার এই কেসের ব্যাপারে?
- সত্যি কথা বলতে যত দিন যাচ্ছে তত জটিল হচ্ছে। আগে অনেক সাদা মাটা হত ব্যাপারগুলো, এখন অনেক গোলমেলে। আগে লোকজন মাথা গরম করে খুন করত। এখন ঠান্ডা মাথায় করে।
- এটা তাহলে ঠান্ডা মাথার খুন বলছেন ?
- সেটা তো তুমি স্পটে না এসেই বলে দিয়েছ। লোকে কি বলে জানিনা, বাট তোমার এনালিসিস আমার ভালো লেগেছে।
- ধন্যবাদ সমরেশ বাবু, আসলে ……
সব্যসাচীর কথা শেষ হবার আগেই গোপাল দত্ত এসে ঢুকল, সঙ্গে একজন পাজামা আর পাঞ্জাবি পরিহিত ভদ্রলোক। উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুটের মত। মাথায় চকচকে টাক আর পেটে লদলদে ভুঁড়ি।
- স্যার অবিনাশ বাবু এসেছেন
- ও, নমস্কার
- নমস্কার স্যার।
- আপনি অবিনাশ বাবু? আপনি ফোন করেছিলেন যাদবপুর থানায়।
- হ্যাঁ
- আপনি কি করেন?
- আমি চাকরি করি, সেচ দপ্তরে। এখানেই হেড অফিসে পোস্টিং।
- আপনি কখন জানলেন যে খুন হয়েছে?
- আমি তো খুন হয়েছে বুঝিনি। ঠিক দুটোর দিকে আমার ফোনে একটা কল আসে, আমি সাধারনত ভাইব্রেট মোডে রেখে ঘুমাই। তাই প্রথম কলে ঠিক বুঝিনি। আমার গিন্নির আবার খুব পাতলা ঘুম, দ্বিতীয় বার ফোন এলে সেই আমাকে ডেকে তুলে দেয়। উঠে দেখি ইলোরার ফোন, ভাবলাম হয়ত বাইরে থেকে এসেছে, সিকিউরিটি ঘুমিয়ে গেছে, গেট বন্ধ, তাই আমাকে কল করল। আমি ফোনটা রিসিভ করতেই শুনলাম মেয়েলি গলায় কেউ হেল্প বলল।
- তারপর ?
- আমি সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলে বেরতেই দেখি ফ্ল্যাটের দরজা খোলা, ঢুকে দেখি ইলোরা এরকম ভাবে পড়ে আছে।
- আপনি তাই দেখেই থানায় ফোন করলেন।
- হ্যাঁ স্যার। তারপর সিকিউরিটি কে ডাকলাম, বাকি ফ্ল্যাটের লোকেদের কেও ডাকলাম।
- আপনি কি সেক্রেটারি?
- হ্যাঁ স্যার।
- আপনার ছেলে মেয়ে কয়টি?
- দুটি মেয়ে, দুজনেই কলেজে পড়ে।
- অনেক ধন্যবাদ অবিনাশ বাবু,
- বলছিলাম কি আমি কি কাল অফিস যেতে পাবো।
- আরে অবশ্যই পারবেন, দেখুন আমি বড়জোর কিছু প্রশ্ন করতে পারি। দেখুন যতই হোক যে খুন হয়েছে সে তো কারো মেয়ে। তার অপরাধী কে ধরা আমাদের কর্তব্য।
- অবশ্যই, আমি আপনাকে তাহলে একটা লিস্ট দিয়ে দেব যাতে কোন ফ্ল্যাটে কে থাকেন এটা আপনি জেনে যাবেন।
- তা হলে খুব ভালো হয়, অশেষ ধন্যবাদ।
- আমি তাহলে আসি।
- আসুন, আর হ্যাঁ একটু সিকিউরিটি কে যদি ডেকে দেন।
- আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি।
সব্যসাচী বইয়ের তাকের কাছে গিয়ে বইগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে দেখতে লাগলো। সমরেশ বাবু বললেন
- ইলোরা মিত্রের মোবাইল আমরা পেয়েছি, কল লিস্ট ও পেয়ে যাব।
- মোবাইল টা যে ইলোরার সেটা নিশ্চিত হলেন কি করে? …… বইয়ের তাকের দিকে তাকিয়েই বলল সব্যসাচী।
- তাহলে কার হবে?
- যে কারোর হতে পারে।
- গোপাল দত্ত আর রাজু জানা, আমাদের থানার দুজন সাব ইনস্পেক্টর, আর ইনি সব্যসাচী সান্যাল। তোমরা দুজনেই এনাকে এই তদন্তে সাহায্য করবে।
দুজনেই ঘাড় নাড়িয়ে সমর্থন জানালো। সব্যসাচী গোটা ফ্ল্যাট ঘুরে দেখতে লাগলো। তারপর বলল
- প্রথম কে এই ক্রাইম সীনে এসেছিলেন?
- আমি স্যার
- আপনি, রাজু জানা… তাই তো?
- হ্যাঁ স্যার।
- ঘরের অবস্থা কি তখন এরকম ই ছিল?
- হ্যাঁ স্যার, ডেড বডি ছাড়া আর কিছুতে হাত দেওয়া হয়নি।
- বেশ
সব্যসাচী সামনের সোফাতে বসে বলল
- বডির পজিশন টা মনে আছে?
- হ্যাঁ স্যার , এই দিকে দরজার পিছন করে উলটে ছিল বডি।
- হুম, পোশাক কি ছিল?
- স্যার মানে শুধুই অন্তর্বাস।
- কি?
- মানে শুধু ব্রা আর একটা হাফ প্যান্টের মত প্যান্ট কিন্তু ছোট।
- প্যান্টি?
- না স্যার প্যান্টি না।
- এরকম বইগুলো মাটিতে পড়ে ছিল ?
- হ্যাঁ স্যার, বই তারপর এই চেয়ার টা উল্টান ছিল। ফ্রিজ টা খোলা ছিল।
- আপনারা দেখেছেন তখন ঘরের মধ্যে কেউ ছিল না?
- না স্যার কেউ ছিল না।
- বেশ, রাজু বাবু আপনি ভিতর ঘরে দেখুন দুটো আলমারী আছে, লাল আলমারিটার পাশে দেখুন বোধহয় একটা ফুলদানি আছে। ওটা একটু আনুন তো।
- ওকে স্যার।
রাজু ভিতর ঘরে চলে যায়। সমরেশ বাবু বলেন
- কি বুঝছেন?
- আপনার অফিসার রা ভালো করে চেক করেনি।
- কেন?
এই সময় রাজু ভিতর ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে বলল
- স্যার লাল আলমারি তো নেই।
- জানি, বডি দেখার পর পুরো ফ্ল্যাট তো সার্চ করার কথা ছিল।করেন নি কেন?
- দেখেছি তো স্যার।
- না দেখেন নি। দেখলে বডির বর্ণনা হুবহু দিলেও আমি লাল আলমারি বললাম, ফুলদানি বললাম আপনি একটাতেও আপত্তি জানালেন না। কারণ আপনি জানতেন না যে ভিতর ঘরে কি আছে আর কি নেই।
- সরি স্যার।
- শাট আপ রাজু, এই তুমি ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট বানিয়েছ। খুনি হয়ত ঘরেই ছিল, সেই রাতেই কেস সল্ভড হয়ে যেত। জাস্ট তোমার বোকামির জন্য …… আমি তোমার নামে রিপোর্ট করব। ……… সমরেশ বাবু রেগে চেঁচাতে লাগলেন।
- শান্ত হন সমরেশ বাবু …… সব্যাসাচী বলল
- আপনি শান্ত হতে বলছেন, একে তো ইমিডিয়েট সাস্পেন্ড করা উচিত।
- যা হয়ে গেছে সেটা ফিরবে না। সাসপেন্ড করলেও না। তাই রিপোর্ট না করাই ভালো।
- না সব্যসাচী বাবু, আমি রিপোর্ট করবই।
- তাহলে আপনার ই চাপ বাড়বে সমরেশ বাবু।
- কেন?
- কারণ আপনিও স্পটে না এসে রিপোর্টে সই করেছেন যে।
কথাটা শুনে সমরেশ বাবু মিইয়ে গেলেন। সব্যসাচী আবার বলতে শুরু করল
- তাই বলছি যা হয়ে গেছে সেটা নিয়ে ঘেঁটে লাভ নেই। রাজুর থেকে বেশী আপনার ওপর কোপ পড়বে, তার ওপর মন্ত্রীর মেয়ে।
- ওকে স্যার।
- হুম, সে রাতে ডিউটি অফিসার কে ছিল?
- আমি স্যার, গোপাল দত্ত।
- থানায় যে ফোন করেছিলেন তার সাথে কথা বলেছিলেন?
- রাজু বলেছিল স্যার।
- আমার সাথে একটু কথা বলাতে পারবেন?
- হ্যাঁ স্যার, আমি বলেই রেখেছি। আসুন আমার সাথে।
- না, ওনাকেই এখানে একটু ডাকুন।
- ওকে স্যার।
সব্যসাচী সোফাতে বসে জিজ্ঞেস করল সমরেশ বাবু কে
- সমরেশ বাবু ফিঙ্গার প্রিন্ট কালেকশন কখন হয়েছে?
- আজকে সকালেই
- হম তার মানে পোস্ট মরটেম আর ফিঙ্গার প্রিন্ট এর জন্য কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবেই।
- হ্যাঁ স্যার
- আরে আমাকে স্যার বলেন না, আমি আপনার অনেক জুনিয়ার। …… সব্যসাচী হেসে বলল।
সব্যসাচী বইয়ের তাকের কাছে গিয়ে আবার জিজ্ঞেস করল
- সমরেশ বাবু, আপনি তো অনেক এরকম কেস দেখেছেন। কি মনে হয় আপনার এই কেসের ব্যাপারে?
- সত্যি কথা বলতে যত দিন যাচ্ছে তত জটিল হচ্ছে। আগে অনেক সাদা মাটা হত ব্যাপারগুলো, এখন অনেক গোলমেলে। আগে লোকজন মাথা গরম করে খুন করত। এখন ঠান্ডা মাথায় করে।
- এটা তাহলে ঠান্ডা মাথার খুন বলছেন ?
- সেটা তো তুমি স্পটে না এসেই বলে দিয়েছ। লোকে কি বলে জানিনা, বাট তোমার এনালিসিস আমার ভালো লেগেছে।
- ধন্যবাদ সমরেশ বাবু, আসলে ……
সব্যসাচীর কথা শেষ হবার আগেই গোপাল দত্ত এসে ঢুকল, সঙ্গে একজন পাজামা আর পাঞ্জাবি পরিহিত ভদ্রলোক। উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুটের মত। মাথায় চকচকে টাক আর পেটে লদলদে ভুঁড়ি।
- স্যার অবিনাশ বাবু এসেছেন
- ও, নমস্কার
- নমস্কার স্যার।
- আপনি অবিনাশ বাবু? আপনি ফোন করেছিলেন যাদবপুর থানায়।
- হ্যাঁ
- আপনি কি করেন?
- আমি চাকরি করি, সেচ দপ্তরে। এখানেই হেড অফিসে পোস্টিং।
- আপনি কখন জানলেন যে খুন হয়েছে?
- আমি তো খুন হয়েছে বুঝিনি। ঠিক দুটোর দিকে আমার ফোনে একটা কল আসে, আমি সাধারনত ভাইব্রেট মোডে রেখে ঘুমাই। তাই প্রথম কলে ঠিক বুঝিনি। আমার গিন্নির আবার খুব পাতলা ঘুম, দ্বিতীয় বার ফোন এলে সেই আমাকে ডেকে তুলে দেয়। উঠে দেখি ইলোরার ফোন, ভাবলাম হয়ত বাইরে থেকে এসেছে, সিকিউরিটি ঘুমিয়ে গেছে, গেট বন্ধ, তাই আমাকে কল করল। আমি ফোনটা রিসিভ করতেই শুনলাম মেয়েলি গলায় কেউ হেল্প বলল।
- তারপর ?
- আমি সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলে বেরতেই দেখি ফ্ল্যাটের দরজা খোলা, ঢুকে দেখি ইলোরা এরকম ভাবে পড়ে আছে।
- আপনি তাই দেখেই থানায় ফোন করলেন।
- হ্যাঁ স্যার। তারপর সিকিউরিটি কে ডাকলাম, বাকি ফ্ল্যাটের লোকেদের কেও ডাকলাম।
- আপনি কি সেক্রেটারি?
- হ্যাঁ স্যার।
- আপনার ছেলে মেয়ে কয়টি?
- দুটি মেয়ে, দুজনেই কলেজে পড়ে।
- অনেক ধন্যবাদ অবিনাশ বাবু,
- বলছিলাম কি আমি কি কাল অফিস যেতে পাবো।
- আরে অবশ্যই পারবেন, দেখুন আমি বড়জোর কিছু প্রশ্ন করতে পারি। দেখুন যতই হোক যে খুন হয়েছে সে তো কারো মেয়ে। তার অপরাধী কে ধরা আমাদের কর্তব্য।
- অবশ্যই, আমি আপনাকে তাহলে একটা লিস্ট দিয়ে দেব যাতে কোন ফ্ল্যাটে কে থাকেন এটা আপনি জেনে যাবেন।
- তা হলে খুব ভালো হয়, অশেষ ধন্যবাদ।
- আমি তাহলে আসি।
- আসুন, আর হ্যাঁ একটু সিকিউরিটি কে যদি ডেকে দেন।
- আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি।
সব্যসাচী বইয়ের তাকের কাছে গিয়ে বইগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে দেখতে লাগলো। সমরেশ বাবু বললেন
- ইলোরা মিত্রের মোবাইল আমরা পেয়েছি, কল লিস্ট ও পেয়ে যাব।
- মোবাইল টা যে ইলোরার সেটা নিশ্চিত হলেন কি করে? …… বইয়ের তাকের দিকে তাকিয়েই বলল সব্যসাচী।
- তাহলে কার হবে?
- যে কারোর হতে পারে।