07-05-2020, 05:26 PM
কনস্টেবল বেড়িয়ে যেতেই ঘরের ভিতর ঢুকল বছর ২৫-২৬ এর এক যুবক, ইউনিফর্ম ছাড়া।
- মর্নিং স্যার
- মর্নিং, সব্যসাচী সান্যাল তুমি? তুমি বললাম বয়েসে অনেক ছোট আমার থেকে…… আপত্তি ঙেই তো?
- না স্যার
- বস
সব্যসাচী চেয়ার টেনে বসল।
- কি জন্য ডাকা হয়েছে জানো ?
- আন্দাজ করতে পারি।
- তাই? বেশ শুনি কি আন্দাজ করেছো।
- যাদবপুর মার্ডার কেস।
- আন্দাজ সঠিক, কিভাবে করলে জানতে পারি?
- যাদবপুর থানার ইনচার্জ কে নিয়ে মার্ডার কেসের পরের দিন সকালেই মিটিং, তাই বললাম।
- তুমি যাদবপুর থানার ইনচার্জ কে চেন?
- না স্যার,
- তাহলে কিকরে বললে ?
- সঞ্জীব বাবুর কাছে জানলাম কাদের নিয়ে মিটিং, সেখান থেকেই জানলাম।
- আর তোমাকে ডাকলাম কেন?
- আপনি স্পেশাল টিম তৈরি করছেন, তাই আমাকে হয়ত ইনক্লুড করবেন। সুভাষ বাবু আছেন, উনি হয়ত রেকমেন্ড করেছেন।
- সুভাষ বাবু রেকমেন্ড কেন করবেন?
- উনি আমাকে খুব স্নেহ করেন, ওনার কাছে অনেক কিছু শিখেছি। আর তাছাড়া আমার নাম বাকিরা তো কেউ জানেনা।
- তোমার অনুমান ক্ষমতার প্রশংসা করি। কিন্তু স্পেশাল টিমের অনুমান কিভাবে করলে?
- মন্ত্রী একটু আগেই ঘোষণা করেছেন যে তিনি একটি স্পেশাল টিমকে দিয়ে এই ইনভেস্টিগেশন করাতে চান।
- সুভাষ বাবু, এই ছেলেকে ছাড়লেন কেন?
- কর্তার ইচ্ছায় তো কর্ম আমাদের, আপনি তো সবই জানেন। … সুভাষ বাবু বললেন।
- হুম, তাহলে সব্যসাচী তুমি ডিপার্টমেন্টে যাও, চার্জ হ্যান্ডওভার করে এসো। আমি অফিস অর্ডার পাঠাতে বলছি। আর আজকেই তুমি অরুপ বাবুর কাছে সাউথ সাবারবানে রিপোর্ট করবে। উনি এই স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের লীড। আর তোমাকে ফিল্ড ইনচার্জ করছি, তোমাকে সাপোর্ট দেবেন সমরেশ বাবু। ওকে?
- স্যার একটা ছোট মুখে বড় কথা বলব?
- সাজেশন দিতে চাও? ও সুভাষ বাবু এটাও কি আপনার থেকেই শিখেছে নাকি?
সুভাষ বাবু মৃদু হাসলেন, কিছু বললেন না। পীযূষ বাবুই বললেন
- বল কি বলতে চাও।
- স্যার অফিসিয়ালি আপনি টিম লীড করুন।
- কেন? তাতে কি লাভ?
- স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে যদি বলেন যে আপনি নিজে এটাকে দেখছেন, তাহলে তাদের ওপর থেকে কিছুটা চাপ সরবে। আর তারজন্য আমাদেরকেও বেশি ঘাটাবেনা।
- শুধু এর জন্য?
- না স্যার, দ্বিতীয় কারণ – আপনি লীড করলে প্রেস কনফারেন্সে শুধু আপনাকে পেলেই মিডিয়া শান্ত হয়ে যাবে। আমাদেরকে সামনে আসতে হবে না, আড়ালে থেকে তদন্ত করে যেতে পারব।
- তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে তুমি বলতে চাইছ এই তদন্তে সময় লাগবে।
- হ্যাঁ স্যার।
- কেন? তুমি তো এখনো স্পটে যাও নি, রিপোর্ট দেখনি, কি করে বলছ দেরি লাগবে?
- টিভিতে দেখে যা বুঝলাম তার থেকেই বলছি স্যার। ফ্ল্যাটের মধ্যে লাশ। মেয়েটি দুদিন ধরে ছিলোনা। যে রাতে মেয়েটি এল, সেই রাতেই তাঁর লাশ পাওয়া গেল। অবাক ব্যাপার মেয়েটি কখন এল কেউ জানেনা। ওয়াচম্যান ও জানেনা। তার মানে ভিক্টিমের ঘরে কেউ লুকিয়ে ছিল বা তক্কে তক্কে ছিল কখন ভিক্টিম আসবে তার জন্য। পুলিশ স্পটে পৌঁছাবার সাথে সাথেই মিডিয়াও পৌঁছে গেল, তাও অত রাতে। তাদের কে খবর দিল সেটাও অজানা। যেখানে এতো প্ল্যানিং হয়েছে, সেটার জট ছাড়াতে সময় তো লাগবেই স্যার।
- অরুপ বাবু কি বলেন?
- স্পটে না গিয়ে তো কিছু বলা উচিত হবে না স্যার। ওরকম টিভিতে দেখে তো তদন্ত হয়না স্যার। আমি বলছি না সব্যসাচী ভুল বলছে বা ঠিক, কিন্তু আমি তো আগে স্পটে গিয়ে দেখে তবে কিছু কমেন্ট করতে চাই।
- হুম, বুঝলাম। ঠিক আছে, মিটিং এখানেই শেষ করা যাক। সব্যাসাচী তুমি ডিপার্টমেন্টে গিয়ে ততক্ষণ চার্জ হ্যান্ডওভার কর, তারপর আমার অফিসে এসে দেখা করো। অরুপ বাবু, আপনি সঞ্জীব বাবু কে প্রেস কনফারেন্স এরেঞ্জ করতে বলুন। সমরেশ বাবু, আপনি স্পটে পৌঁছে যান, সব্যসাচী আপনাকে ওখানে মীট করবে। সুভাষ বাবু, আপনি আমার অফিসে একটু আসুন।
এই বলে পীযূষ বাবু কনফারেন্স রুম থেকে বেড়িয়ে গেলেন। তারপর বাকিরাও বেড়িয়ে নিচে গেলেন। সুভাষ বাবু গেলেন কমিশনারের রুমের দিকে। তারপর রুমের দরজায় টোকা মেরে বললেন
- আস্তে পারি স্যার?
- কে? সুভাষ বাবু, আসুন আসুন। বসুন।
সুভাষ বাবু ভিতরে ঢুকে চেয়ারে বসলেন। পীযূষ বাবু বলতে শুরু করলেন
- সুভাষ বাবু, আপনার ওপর আমার ভরসা বেড়ে গেল।
- কেন স্যার, আগে কম ছিল?
- হা হা হা হা আরে না না , তা নয়। আসলে আমি আপনাকে একটা অন্য কাজের দায়িত্ব দিতে চাই। অবশ্যই আপনি যদি রাজী থাকেন তবেই।
- বলুন স্যার কি দায়িত্ব?
- বলব, তার আগে বলি কেন দিতে চাই। আমি এই প্রথম কোন অফিসার কে দেখলাম যে নিজের জুনিয়ার কে এগিয়ে যেতে দিতে চাইল। আমি সত্যি এরকম প্রথম দেখলাম।
- সে যে যোগ্য তাই তাকে রেকমেন্ড করলাম স্যার।
- অবশ্যই, তার যোগ্যতার আমি যা পরিচয় পেলাম, তাতে আমার মনে আর কোন সন্দেহ নেই। আর তাই তো আমি আপনাকেই এই দায়িত্ব দিতে চাই। আমি আপনাকে স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে সরিয়ে ট্রেনিং কলেজের হেড বানাতে চাই। আপনি ঝাড়াই বাছাই করে পাথরের মধ্যে থেকে হিরে খুঁজে দিন আমাকে।
- কিন্তু তা করতে হলে আমাকে যে কিছু রদ বদল করতে হবে স্যার।
- আপনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হবে। আপনি যদি আমাকে বছরে ৫ টা করেও সব্যসাচী দিতে পারেন তাহলে অন্তত এই পোশাকটার মর্যাদা রক্ষা করতে পারব। এই ক্রীড়নক থাকতে আর যে মন সায় দেয় না।
- কিন্তু উপায় কি বলুন।
- উপায় আছে সুভাষ বাবু, উপায় আছে। যাক আপনি রাজী তো দায়িত্ব নিতে?
- রাজী।
- বেশ, বেশ ……
এরকম সময় দরজা ঠেলে সব্যসাচী মুখ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করল
- মে আই কাম ইন স্যার?
- এসো এসো সব্যসাচী, এসো বস।
- থ্যাঙ্ক ইয়ু স্যার।
- কংগ্রাচুলেশনস সব্যসাচী,
- কেন স্যার আমি কি করলাম?
- তুমি কিছু করনি, কিন্তু তোমার ডিটেকশন আমাকে মুগ্ধ করেছে। তোমার ওপর তদন্তের ভার দেওয়া হয়নি, অথচ তুমি ভেবেছ সেটা নিয়ে। স্পটে যাও নি অথচ তোমার কাছে এখনই বুলেট পয়েন্টস রেডি আছে। অসাধারন। সুভাষ বাবু আমাকে বলেছিলেন যে তোমাকে দায়িত্ব দিলে সঙ্গে অন্য কোন সিনিয়ার অফিসার না দিলেও হবে। সঠিক বলেছেন উনি।
- স্যার আর একটা ছোট মুখে বড় কথা বলব ?
- বল বল……
- আপনি প্লিজ অরুপ বাবু কে দায়িত্ব থেকে সরাবেন না, হিতে বিপরীত হতে পারে।
সব্যসাচীর কথা শুনে পীযূষ বাবু হতভম্বের মত তাকিয়ে থাকলেন কয়েক সেকেন্ড, তারপর বললেন
- কেন?
- স্যার উনি অলরেডি আমাকে থ্রেট ভাবছেন।
- সুভাষ বাবু, ছেলেটা কে সামলে রাখবেন। ও ভয়ঙ্কর। আমি সত্যি ভাবছিলাম যে অরুপ বাবুকে দায়িত্ব না দিয়ে ডিরেক্ট সব্যসাচীকে বলব আমায় রিপোর্ট করতে। ও তো থট রীড করে ফেলল মশাই। শাবাশ।
- স্যার তাছাড়াও সমরেশ বাবু আর অরুপ বাবু বন্ধু, তাই ওদের দুজনকে আলাদা না রাখাই ভালো। … সুভাষ বাবু বল্লেন।
- ওকে, তাহলে যেমন আছে থাক। সব্যসাচী তুমি কি আর কিছু বলবে?
- না স্যার।
- ওকে তুমি তাহলে বেড়িয়ে পড়। বেস্ট অফ লাক।
- থ্যাংক ইয়ু স্যার, সুভাষ বাবু এলাম
- মর্নিং স্যার
- মর্নিং, সব্যসাচী সান্যাল তুমি? তুমি বললাম বয়েসে অনেক ছোট আমার থেকে…… আপত্তি ঙেই তো?
- না স্যার
- বস
সব্যসাচী চেয়ার টেনে বসল।
- কি জন্য ডাকা হয়েছে জানো ?
- আন্দাজ করতে পারি।
- তাই? বেশ শুনি কি আন্দাজ করেছো।
- যাদবপুর মার্ডার কেস।
- আন্দাজ সঠিক, কিভাবে করলে জানতে পারি?
- যাদবপুর থানার ইনচার্জ কে নিয়ে মার্ডার কেসের পরের দিন সকালেই মিটিং, তাই বললাম।
- তুমি যাদবপুর থানার ইনচার্জ কে চেন?
- না স্যার,
- তাহলে কিকরে বললে ?
- সঞ্জীব বাবুর কাছে জানলাম কাদের নিয়ে মিটিং, সেখান থেকেই জানলাম।
- আর তোমাকে ডাকলাম কেন?
- আপনি স্পেশাল টিম তৈরি করছেন, তাই আমাকে হয়ত ইনক্লুড করবেন। সুভাষ বাবু আছেন, উনি হয়ত রেকমেন্ড করেছেন।
- সুভাষ বাবু রেকমেন্ড কেন করবেন?
- উনি আমাকে খুব স্নেহ করেন, ওনার কাছে অনেক কিছু শিখেছি। আর তাছাড়া আমার নাম বাকিরা তো কেউ জানেনা।
- তোমার অনুমান ক্ষমতার প্রশংসা করি। কিন্তু স্পেশাল টিমের অনুমান কিভাবে করলে?
- মন্ত্রী একটু আগেই ঘোষণা করেছেন যে তিনি একটি স্পেশাল টিমকে দিয়ে এই ইনভেস্টিগেশন করাতে চান।
- সুভাষ বাবু, এই ছেলেকে ছাড়লেন কেন?
- কর্তার ইচ্ছায় তো কর্ম আমাদের, আপনি তো সবই জানেন। … সুভাষ বাবু বললেন।
- হুম, তাহলে সব্যসাচী তুমি ডিপার্টমেন্টে যাও, চার্জ হ্যান্ডওভার করে এসো। আমি অফিস অর্ডার পাঠাতে বলছি। আর আজকেই তুমি অরুপ বাবুর কাছে সাউথ সাবারবানে রিপোর্ট করবে। উনি এই স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের লীড। আর তোমাকে ফিল্ড ইনচার্জ করছি, তোমাকে সাপোর্ট দেবেন সমরেশ বাবু। ওকে?
- স্যার একটা ছোট মুখে বড় কথা বলব?
- সাজেশন দিতে চাও? ও সুভাষ বাবু এটাও কি আপনার থেকেই শিখেছে নাকি?
সুভাষ বাবু মৃদু হাসলেন, কিছু বললেন না। পীযূষ বাবুই বললেন
- বল কি বলতে চাও।
- স্যার অফিসিয়ালি আপনি টিম লীড করুন।
- কেন? তাতে কি লাভ?
- স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে যদি বলেন যে আপনি নিজে এটাকে দেখছেন, তাহলে তাদের ওপর থেকে কিছুটা চাপ সরবে। আর তারজন্য আমাদেরকেও বেশি ঘাটাবেনা।
- শুধু এর জন্য?
- না স্যার, দ্বিতীয় কারণ – আপনি লীড করলে প্রেস কনফারেন্সে শুধু আপনাকে পেলেই মিডিয়া শান্ত হয়ে যাবে। আমাদেরকে সামনে আসতে হবে না, আড়ালে থেকে তদন্ত করে যেতে পারব।
- তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে তুমি বলতে চাইছ এই তদন্তে সময় লাগবে।
- হ্যাঁ স্যার।
- কেন? তুমি তো এখনো স্পটে যাও নি, রিপোর্ট দেখনি, কি করে বলছ দেরি লাগবে?
- টিভিতে দেখে যা বুঝলাম তার থেকেই বলছি স্যার। ফ্ল্যাটের মধ্যে লাশ। মেয়েটি দুদিন ধরে ছিলোনা। যে রাতে মেয়েটি এল, সেই রাতেই তাঁর লাশ পাওয়া গেল। অবাক ব্যাপার মেয়েটি কখন এল কেউ জানেনা। ওয়াচম্যান ও জানেনা। তার মানে ভিক্টিমের ঘরে কেউ লুকিয়ে ছিল বা তক্কে তক্কে ছিল কখন ভিক্টিম আসবে তার জন্য। পুলিশ স্পটে পৌঁছাবার সাথে সাথেই মিডিয়াও পৌঁছে গেল, তাও অত রাতে। তাদের কে খবর দিল সেটাও অজানা। যেখানে এতো প্ল্যানিং হয়েছে, সেটার জট ছাড়াতে সময় তো লাগবেই স্যার।
- অরুপ বাবু কি বলেন?
- স্পটে না গিয়ে তো কিছু বলা উচিত হবে না স্যার। ওরকম টিভিতে দেখে তো তদন্ত হয়না স্যার। আমি বলছি না সব্যসাচী ভুল বলছে বা ঠিক, কিন্তু আমি তো আগে স্পটে গিয়ে দেখে তবে কিছু কমেন্ট করতে চাই।
- হুম, বুঝলাম। ঠিক আছে, মিটিং এখানেই শেষ করা যাক। সব্যাসাচী তুমি ডিপার্টমেন্টে গিয়ে ততক্ষণ চার্জ হ্যান্ডওভার কর, তারপর আমার অফিসে এসে দেখা করো। অরুপ বাবু, আপনি সঞ্জীব বাবু কে প্রেস কনফারেন্স এরেঞ্জ করতে বলুন। সমরেশ বাবু, আপনি স্পটে পৌঁছে যান, সব্যসাচী আপনাকে ওখানে মীট করবে। সুভাষ বাবু, আপনি আমার অফিসে একটু আসুন।
এই বলে পীযূষ বাবু কনফারেন্স রুম থেকে বেড়িয়ে গেলেন। তারপর বাকিরাও বেড়িয়ে নিচে গেলেন। সুভাষ বাবু গেলেন কমিশনারের রুমের দিকে। তারপর রুমের দরজায় টোকা মেরে বললেন
- আস্তে পারি স্যার?
- কে? সুভাষ বাবু, আসুন আসুন। বসুন।
সুভাষ বাবু ভিতরে ঢুকে চেয়ারে বসলেন। পীযূষ বাবু বলতে শুরু করলেন
- সুভাষ বাবু, আপনার ওপর আমার ভরসা বেড়ে গেল।
- কেন স্যার, আগে কম ছিল?
- হা হা হা হা আরে না না , তা নয়। আসলে আমি আপনাকে একটা অন্য কাজের দায়িত্ব দিতে চাই। অবশ্যই আপনি যদি রাজী থাকেন তবেই।
- বলুন স্যার কি দায়িত্ব?
- বলব, তার আগে বলি কেন দিতে চাই। আমি এই প্রথম কোন অফিসার কে দেখলাম যে নিজের জুনিয়ার কে এগিয়ে যেতে দিতে চাইল। আমি সত্যি এরকম প্রথম দেখলাম।
- সে যে যোগ্য তাই তাকে রেকমেন্ড করলাম স্যার।
- অবশ্যই, তার যোগ্যতার আমি যা পরিচয় পেলাম, তাতে আমার মনে আর কোন সন্দেহ নেই। আর তাই তো আমি আপনাকেই এই দায়িত্ব দিতে চাই। আমি আপনাকে স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে সরিয়ে ট্রেনিং কলেজের হেড বানাতে চাই। আপনি ঝাড়াই বাছাই করে পাথরের মধ্যে থেকে হিরে খুঁজে দিন আমাকে।
- কিন্তু তা করতে হলে আমাকে যে কিছু রদ বদল করতে হবে স্যার।
- আপনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হবে। আপনি যদি আমাকে বছরে ৫ টা করেও সব্যসাচী দিতে পারেন তাহলে অন্তত এই পোশাকটার মর্যাদা রক্ষা করতে পারব। এই ক্রীড়নক থাকতে আর যে মন সায় দেয় না।
- কিন্তু উপায় কি বলুন।
- উপায় আছে সুভাষ বাবু, উপায় আছে। যাক আপনি রাজী তো দায়িত্ব নিতে?
- রাজী।
- বেশ, বেশ ……
এরকম সময় দরজা ঠেলে সব্যসাচী মুখ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করল
- মে আই কাম ইন স্যার?
- এসো এসো সব্যসাচী, এসো বস।
- থ্যাঙ্ক ইয়ু স্যার।
- কংগ্রাচুলেশনস সব্যসাচী,
- কেন স্যার আমি কি করলাম?
- তুমি কিছু করনি, কিন্তু তোমার ডিটেকশন আমাকে মুগ্ধ করেছে। তোমার ওপর তদন্তের ভার দেওয়া হয়নি, অথচ তুমি ভেবেছ সেটা নিয়ে। স্পটে যাও নি অথচ তোমার কাছে এখনই বুলেট পয়েন্টস রেডি আছে। অসাধারন। সুভাষ বাবু আমাকে বলেছিলেন যে তোমাকে দায়িত্ব দিলে সঙ্গে অন্য কোন সিনিয়ার অফিসার না দিলেও হবে। সঠিক বলেছেন উনি।
- স্যার আর একটা ছোট মুখে বড় কথা বলব ?
- বল বল……
- আপনি প্লিজ অরুপ বাবু কে দায়িত্ব থেকে সরাবেন না, হিতে বিপরীত হতে পারে।
সব্যসাচীর কথা শুনে পীযূষ বাবু হতভম্বের মত তাকিয়ে থাকলেন কয়েক সেকেন্ড, তারপর বললেন
- কেন?
- স্যার উনি অলরেডি আমাকে থ্রেট ভাবছেন।
- সুভাষ বাবু, ছেলেটা কে সামলে রাখবেন। ও ভয়ঙ্কর। আমি সত্যি ভাবছিলাম যে অরুপ বাবুকে দায়িত্ব না দিয়ে ডিরেক্ট সব্যসাচীকে বলব আমায় রিপোর্ট করতে। ও তো থট রীড করে ফেলল মশাই। শাবাশ।
- স্যার তাছাড়াও সমরেশ বাবু আর অরুপ বাবু বন্ধু, তাই ওদের দুজনকে আলাদা না রাখাই ভালো। … সুভাষ বাবু বল্লেন।
- ওকে, তাহলে যেমন আছে থাক। সব্যসাচী তুমি কি আর কিছু বলবে?
- না স্যার।
- ওকে তুমি তাহলে বেড়িয়ে পড়। বেস্ট অফ লাক।
- থ্যাংক ইয়ু স্যার, সুভাষ বাবু এলাম