27-04-2020, 08:18 PM
(This post was last modified: 27-04-2020, 08:19 PM by Henry. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
সকালে রঞ্জন আর অর্ক সামনের দুটো শাল গাছে জাল টাঙিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলল।খেলা শেষে অর্ক বলল----বাপি, ওই পাহাড়ে নিয়ে যাবে যে?
---যাবি? চল তাহলে বিকেলে।
খাওয়া দাওয়া সেরেই অর্ক আর রঞ্জন বেরিয়ে পড়ল।পাহাড়ের চড়াই উতরাই ঢাল বেয়ে অনেকটা হাঁটতে হয়।
এই পাহাড়টা যাবার পথ আবিষ্কার করেছিল কানু দা।কানু দা ছিল বটু কাকার ছেলে।খুব সাহসী ছিল কানু দা।তখন রঞ্জন দশ বারো বছর।কানু দা রঞ্জনের থেকে বছর ছয়েক বড়।সতেরো-আঠারো হবে তখন।কানু দা'র যেমন দুস্টুমি ছিল তেমন ছিল বুদ্ধি।রঞ্জনের মনে আছে একবার হাতির পালের মুখে পড়েছিল তারা।কানু দা' তখন বটুকাকার বিড়ি চুরি করত।পকেটে দেশলাই রাখত।শুকনো পাতায় আগুন ধরিয়ে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল হাতির পালকে।কানু দা দুষ্টমি করলেও পড়াশোনায় ভালো ছিল।তাই রঞ্জনের বাবা তাকে ভালোবাসতেন এবং সব পড়ার খরচ বহন করবেন বলেছিলেন।
হঠাৎ অনেক দিন পর কানু দা'র কথা মনে এলো রঞ্জনের।রঞ্জন তখন সবে ফাইভে পড়ে।কানু দা'র টেন হবে।হঠাৎ হই হই করে উঠল সকালবেলা বাড়ীর পরিবেশ।রঞ্জনের মনে আছে সেদিনটা।সকলে বলছিল রেঞ্জার অফিস থেকে নাকি চুরি গেছে টাকা।কানু দা চুরি করেছে।সেদিন রঞ্জনের বাবাও কানু দা'কে খুব মেরেছিলেন।রঞ্জন পরে জেনেছিল কানু দা'কে হোস্টেলে রেখে দিয়ে আসা হয়েছে।
অর্ক বলল---বাপি ওই দেখো?
রঞ্জনের হুশ ফিরল।দেখল একটা শেয়াল পাথরের আড়াল থেকে উঁকি দিচ্ছে।তারপর পালালো।
বাড়ী ফিরল সন্ধ্যের মুখে।অর্ক এসে---মা মা হাঁক ডাক করল।সুছন্দাকে দেখতে পাওয়া গেল না।
বটু কাকা বললেন---বৌমনি তার দাদুর বাড়ীর দিকে গেছে।
রঞ্জন বলল--এখন?
রঞ্জন দেখল সুছন্দা আসছে।হাতে রোল করা কাগজ!
রঞ্জন বলল---এখন তুমি গেছিলে কেন?
সুছন্দা বলল---ছবিটা আনতে।
রঞ্জন বলল---সন্ধ্যের দিকে ওদিকে কেউ যায়? বলতেই পারতে আমরা না হয় ওদিক দিয়েই ঘুরে আসতাম।
সুছন্দা বলল---কি করব, তোমরা আমাকে না বলে চলে গেলে, একা একা কি করব...ভাবলাম একটু ঘুরে আসি।
সুছন্দার পেটে মাথা রেখে শুয়ে ছিল রঞ্জন।সুছন্দা বলল---আমরা যদি সব কিছু ছেড়ে পাকাপাকি থেকে যাই?
----বা রে! তারপর তোমার চাকরী, আমার চাকরী, অর্কের কলেজ?
---ট্রান্সফার নিয়ে নেব।
রঞ্জন হেসে সুছন্দার দিকে ঘুরল।একটু আগেই তারা মিলিত হয়েছে।সুছন্দার ব্লাউজের একটা হুক তখনও খোলা।রঞ্জন আঁচল সরিয়ে স্তনের দিকে হাত বাড়াতেই সুছন্দা হাতটা সরিয়ে হুকটা লাগিয়ে নিল।
রঞ্জন বলল---এখানে একটা পোস্ট অফিস আছে।তোমার বদলি হয়ে যাবে, কিন্তু আমার? এখন তো ট্রান্সফারটি স্টেটের বাইরে নিতেই হচ্ছে।একবছর পরে ভাবা যেতে পারে।তবে মাদারিহাটেও কোনো শাখা আমার ব্যাঙ্কের নেই।আছে সেই জলপাইগুড়িতে...সেখান থেকে এখানে যাতায়াত করার চেয়ে কলকাতা টু অলিপুরদুুয়ার একই ব্যাপার।
সুছন্দার বুকের গভীরে মাথা গুঁজে শুয়ে পড়ল রঞ্জন।
(চলবে)
---যাবি? চল তাহলে বিকেলে।
খাওয়া দাওয়া সেরেই অর্ক আর রঞ্জন বেরিয়ে পড়ল।পাহাড়ের চড়াই উতরাই ঢাল বেয়ে অনেকটা হাঁটতে হয়।
এই পাহাড়টা যাবার পথ আবিষ্কার করেছিল কানু দা।কানু দা ছিল বটু কাকার ছেলে।খুব সাহসী ছিল কানু দা।তখন রঞ্জন দশ বারো বছর।কানু দা রঞ্জনের থেকে বছর ছয়েক বড়।সতেরো-আঠারো হবে তখন।কানু দা'র যেমন দুস্টুমি ছিল তেমন ছিল বুদ্ধি।রঞ্জনের মনে আছে একবার হাতির পালের মুখে পড়েছিল তারা।কানু দা' তখন বটুকাকার বিড়ি চুরি করত।পকেটে দেশলাই রাখত।শুকনো পাতায় আগুন ধরিয়ে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল হাতির পালকে।কানু দা দুষ্টমি করলেও পড়াশোনায় ভালো ছিল।তাই রঞ্জনের বাবা তাকে ভালোবাসতেন এবং সব পড়ার খরচ বহন করবেন বলেছিলেন।
হঠাৎ অনেক দিন পর কানু দা'র কথা মনে এলো রঞ্জনের।রঞ্জন তখন সবে ফাইভে পড়ে।কানু দা'র টেন হবে।হঠাৎ হই হই করে উঠল সকালবেলা বাড়ীর পরিবেশ।রঞ্জনের মনে আছে সেদিনটা।সকলে বলছিল রেঞ্জার অফিস থেকে নাকি চুরি গেছে টাকা।কানু দা চুরি করেছে।সেদিন রঞ্জনের বাবাও কানু দা'কে খুব মেরেছিলেন।রঞ্জন পরে জেনেছিল কানু দা'কে হোস্টেলে রেখে দিয়ে আসা হয়েছে।
অর্ক বলল---বাপি ওই দেখো?
রঞ্জনের হুশ ফিরল।দেখল একটা শেয়াল পাথরের আড়াল থেকে উঁকি দিচ্ছে।তারপর পালালো।
বাড়ী ফিরল সন্ধ্যের মুখে।অর্ক এসে---মা মা হাঁক ডাক করল।সুছন্দাকে দেখতে পাওয়া গেল না।
বটু কাকা বললেন---বৌমনি তার দাদুর বাড়ীর দিকে গেছে।
রঞ্জন বলল--এখন?
রঞ্জন দেখল সুছন্দা আসছে।হাতে রোল করা কাগজ!
রঞ্জন বলল---এখন তুমি গেছিলে কেন?
সুছন্দা বলল---ছবিটা আনতে।
রঞ্জন বলল---সন্ধ্যের দিকে ওদিকে কেউ যায়? বলতেই পারতে আমরা না হয় ওদিক দিয়েই ঘুরে আসতাম।
সুছন্দা বলল---কি করব, তোমরা আমাকে না বলে চলে গেলে, একা একা কি করব...ভাবলাম একটু ঘুরে আসি।
সুছন্দার পেটে মাথা রেখে শুয়ে ছিল রঞ্জন।সুছন্দা বলল---আমরা যদি সব কিছু ছেড়ে পাকাপাকি থেকে যাই?
----বা রে! তারপর তোমার চাকরী, আমার চাকরী, অর্কের কলেজ?
---ট্রান্সফার নিয়ে নেব।
রঞ্জন হেসে সুছন্দার দিকে ঘুরল।একটু আগেই তারা মিলিত হয়েছে।সুছন্দার ব্লাউজের একটা হুক তখনও খোলা।রঞ্জন আঁচল সরিয়ে স্তনের দিকে হাত বাড়াতেই সুছন্দা হাতটা সরিয়ে হুকটা লাগিয়ে নিল।
রঞ্জন বলল---এখানে একটা পোস্ট অফিস আছে।তোমার বদলি হয়ে যাবে, কিন্তু আমার? এখন তো ট্রান্সফারটি স্টেটের বাইরে নিতেই হচ্ছে।একবছর পরে ভাবা যেতে পারে।তবে মাদারিহাটেও কোনো শাখা আমার ব্যাঙ্কের নেই।আছে সেই জলপাইগুড়িতে...সেখান থেকে এখানে যাতায়াত করার চেয়ে কলকাতা টু অলিপুরদুুয়ার একই ব্যাপার।
সুছন্দার বুকের গভীরে মাথা গুঁজে শুয়ে পড়ল রঞ্জন।
(চলবে)