09-04-2020, 01:40 PM
পর্ব-১৪
------------------------------------
নিলা ও বাসার ঢুকে যাবে এমন সময় আমি বললাম.....
:-----আজ রাতে আর ঘুম আসবে না।(আমি)
:-----হুমম।বুঝতে পেরেছি।আমি একদম ভুলে গেছি।(নিলা)
:-----কি।(আমি)
টুপ করে একটা ইয়ে দিয়ে দিলো।
:-----আচ্ছা আজ তাহলে আসি।
:-----ভেতরে আসো।
:-----না আজ না অন্য দিন।হয়েছে কি তোমাকে ছাড়তে ইচ্ছা করছে না।কিন্তু কি করবো বলো।
:-----পাগল হয়ে গেছো পুরোপুরি।(আমার মাথায় হালকা একটা ঠুস দিয়ে বললো)
:-----তোমাকে দেখার পরে এই রোগটা ধরা পড়েছে।
:-----তা তো বুঝতেই পারছি।
:-----আচ্ছা আমি গেলাম।
:-----হুমম।
আমি চলে আসলাম। এখন আমি,রাফি আর আল-আমীন রাস্তা দিয়ে হাঁটছি। নিরব রাস্তা। মাঝে মধ্যে দু একটা গাড়ি আসছে। এমন সময়টা আমার খুব পছন্দ। তিনজন হাঁটছি। আমার রাতে হাঁটতে খুব ভালো লাগে। তাই প্রায় সময়ই আমরা তিনজন রাতে বের হলে গাড়ি নিয়ে বের হই না। বাসায় চলে আসলাম। রোমে এসে শুয়ে পড়লাম। সারাদিনের কথাগুলো ভাবছি। আর খুব ক্লান্ত ও লাগছে। এমন সময় ফোনটা কেপে উঠলো। বুঝতে আর বাকি নেই যে নিলা কল করেছে। এসে ফোন দিইনি তাই।
:-----হুমম বলো।(আমি)
:-----ঠিকমতো পৌঁছে গেছো তো।(নিলা)
:-----হুমম।
:-----আজ সারাদিন অনেক চাপ গেছে তোমার উপর দিয়ে।এখন রেস্ট করো।কাল আবার কলেজে যেতে হবে তো।
:-----হুমম।বাই তাহলে আমার সুইট সুইট দুইটা বাবুর আম্মু।
:-----হুমম।বাই আমার সুইট সুইট দুইটা বাবুর পিচ্চু আব্বু।
খুব তাড়াতাড়ি ই চলে গেলাম ঘুমের দেশে। পরের দিন সকালে......
টিং টিং.....
:-----উমম হ্যালো।(আমি)
:-----এখনো ঘুম শেষ হয়নি।(নিলা)
:-----এইতো আরেকটু।
:-----না এখনই ওঠো।আর এদিক দিয়ে আমাকে পিক করে নিয়ে যেও।
:-----যথা আজ্ঞা মহারানি।
:-----হয়েছে ওঠো।
:-----হুমম।
কি আর করার। ঘুমের চোদ্দটা বাজলো। চলে গেলাম ফ্রেশ হতে। ফ্রেশ হয়ে এসে রেডি হয়ে নিচে খেতে গেলাম। এদিকে আম্মু আর আপু আমার দিকে এমনভাবে তাকিয়ে আছে যে আমি কোনো এলিয়েন।
:-----ওভাবে তাকিয়ে আছো কেনো।(আমি)
:-----বাবা তোর শরীর ঠিক আছে তো।(আম্মু)
:-----আজ কি তাহলে সূর্য ওঠেনি।(আপু)
:-----ধ্যাত কি শুরু করলে।খেতে দাও নয়তো আমি গেলাম।(আমি)
:-----না বস দিচ্ছি।(আম্মু)
:-----তা আমরা এতোদিনে যা করতে পারলাম না।তা নিলা এই কদিনেই করে ফেললো।(আপু)
:-----খাওয়ার সময় এতো কথা বলে না।(আমি)
:-----হয়েছে আমাকে আর জ্ঞান দিতে হবে না।(আপু)
:-----হি হি।(আমি)
তারপর ব্রেক-ফার্স্ট করে রওয়ানা দিলাম কলেজের উদ্দেশ্যে।
:-----আজ তুই গাড়ি নিয়ে কলেজে চলে যাস।(আমি)
:-----কেনো।(আপু)
:-----আরে আমি তো চলে যাচ্ছি তাই।(আমি)
:-----ওহ।(আপু)
:-----হুমম।(আমি)
বেরিয়ে পড়লাম। এখন গন্তব্য নিলাদের বাসা। অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই পৌছে গেলাম। গিয়ে দেখি নিলা পরীটা দাঁড়িয়ে আছে।
:-----এই তোমার এতক্ষণ লাগে আসতে।(নিলা)
:-----ওই আর কি।(আমি)
:-----একদম বোকার মতো হাসবে না।
:-----ওকে।এখন যাওয়া যাক।
:-----হুমম চলো।
নিলাকে খুব মায়াবি লাগছে। নিলার শরীরের ঘ্রান আমাকে পাগল করে ফেলছে। এই মাত্র শাওয়ার নিয়েছে মনে হচ্ছে। আপন মনে বাইক চালাচ্ছি। মাঝে মধ্যে দু একটা কথা বলছি। আর নিলাকে রাগাচ্ছি। এমন করতে করতে কলেজে পৌঁছে গেলাম। ধ্যাত এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে এসে পড়লাম। রাস্তায় কেনো যে জ্যাম ছিলো না। নিলাকে নিয়ে কলেজে ঢুকতেই কলেজের সবাই আমাদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। যেনো তারা এলিয়েন দেখছে। কি আর করার। কেউ আমাকে আর নিলাকে একসাথে কল্পনাও করেনি মনে হয়। এমন সময় কোত্থেকে এক বড় ভাই সামনে চলে আসলো।(অনার্স থার্ড ইয়ার হবে)
:-----হাই আমি রনি।তুমি নিলা।(রনি)
:-----হুমম।আপনাকে কি আমি চিনি।(নিলা)
:-----না।(রনি)
:-----তাহলে এভাবে পথ আটকাচ্ছেন কেনো বলুন তো।(নিলা)
:-----আসলে তুমি যেদিন প্রথম এই কলেজে আসো ওইদিনই তোমাকে প্রথম দেখি.....(কথা থামিয়ে)
:-----আমরা কি এখন যেতে পারি।(আমি)
:-----এটা কি তোমার ছোটো ভাই।তুমি যাও তোমার আপুর সাথে আমার কিছু কথা আছে।(রনি)
:-----তা কি কথা একটু আমি ও শুনি।(আমি)
:-----সেদিন তোমাকে প্রথম দেখেই খুব ভালোবেসে ফেলেছি।আই লাভ ইউ।(একগাদা গোলাপ সামনে দিয়ে)
এবার আমার রাগ চরম মাত্রায় পৌঁছে গেলো।এতক্ষণ ধরে কিছু বলিনি। বড়দের সম্মান করি তাই। কিন্তু এখন আর থাকতে পারলাম না। শুরু হয়ে গেলাম।
:-----কি বললি তুই।(ঠুসসসস করে একটা ঘুষি মেরে)
:-----আরে ছোটো ভাই তুমি আমাকে তুই করে কথা বলছো কেনো।বড়দের সম্মান দিতে হয় জানো না।(রনি)
:-----তোকে সম্মান তা ও আমি।এটা কে জানিস।(আমি)
:-----তোমার আপু।(রনি)
:-----এটা আমার আপু না।(আমি)
:-----তাহলে।(রনি)
:-----এটা আমার জি এফ।(আমি)
:-----তুমি এখনো অনেক ছোটো।(রনি)
:-----তবে রে।আমি ছোটো তাই না।(এবার ঝাঁপিয়ে পড়লাম রনি নামের ছেলেটার উপরে)
একের পর এক ঘুষি আর লাথি মারছি।
:-----আমাকে নিলার ভাই বলা।তার উপরে আমার সামনে নিলাকে প্রপোজ করা।আজ তোর এমন হাল করবো জীবনে কোনো মেয়েকে প্রপোজ করার সাহস পাবি না।(কথাগুলো বলতে বলতে একের পর এক মেরেই চলেছি।পাল্টা আমাকে মারার সুযোগ নেই।এবার তো মাটিতে ফেলে লাথি মারছি।আমার আবার এসব বিষয়ে খুব রাগ)
এমন সময় রাফি আর আল-আমীন এসে আমাকে টেনে দূরে নিয়ে আসতে লাগলো।
:-----আমাকে ছাড়।আমার নিলাকে প্রপোজ করে।ওর সাহস আজ ছুটাবো।(আমি)
:-----অনেক হয়েছে এখন শান্ত হ্।(রাফি)
তখনই কিছু ছাত্রলীগের ছেলে আর ছাত্রলীগের সভাপতি উপস্থিত হলো। কি হচ্ছে এসব।
:-----দেখুন না রাকিব ভাই এই ছেলেটা আমাকে শুধু শুধু মারলো।তা ও আমার জুনিয়র।(রনি)
:-----কোন ছেলেটা।(রাকিব ভাই)
:-----ওই যে ওই টা।যেটাকে ওরা দুজন ধরে দাঁড়িয়ে আছে।(রনি)
:-----আকাশ এটা কি শুনছি।(রাকিব ভাই)
:-----ভাইয়া আজকে রাফি আর আল-আমীন চলে আসায় বেঁচে গেলো।নয়তো কি যে করতাম।(আমি)
:-----দেখলেন আপনার সামনে ও আমাকে কিভাবে ভয় দেখাচ্ছে।(রনি)
:-----ওর সাহস টা কিভাবে হয় আমার সামনে নিলাকে প্রপোজ করার।(আমি)
:-----এটা কি তোমার জি এফ নাকি আকাশ ।(রাকিব ভাইয়া)
:-----হুমম।(আমি)
:-----রনি তোর ভাগ্যটা খুব ভালো রে।আজ যদি আমার ভাই আর তার বন্ধু ঠিক সময়ে না আসতো।তাহলে তোর অবস্থা আসলেই খুব খারাপ হয়ে যেতো।(রাকিব ভাইয়া)
:-----কি বলছেন এগুলো ভাই।(রনি)
:-----যা বলছি তোর ভালোর জন্য।এক্ষুনি এই স্থান ত্যাগ কর।নাহলে আমি ই না তোকে মার শুরু করি।(রাকিব ভাইয়া)
:-----ভাই কিছুই বুঝতে পারছি না।(রনি)
:-----মানুষ না চিনেই প্রপোজ।যা এখান থেকে বলছি।(রাকিব ভাইয়া)
অতঃপর রনি চলে গেলো। আর হ্যাঁ এতক্ষণে তো বুঝেই গেছেন যে রাকিব ভাইয়া রাফির আপন বড় ভাই।(মাস্টার্স এখনো শেষ হয়নি) আর রাকিব ভাইয়া কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি। আমাকে নিজের আপন ভাইয়ের থেকেও বেশি ভালোবাসে।
:-----আকাশ তুমি শুধু শুধু মাথা গরম করতে কেনো গেলে।(রাকিব ভাইয়া)
:-----কি বলো ভাইয়া।আমি কি চুপ থাকবো নাকি।(আমি)
:-----আরে না।আমাকে বললেই তো ওর খবর নিয়ে নিতাম।(রাকিব ভাইয়া)
:-----না এই ছোটো ব্যাপারে আবার কি বলবো।(আমি)
:-----এখন তবে আসি।আর হ্যাঁ ছোটো ভাইয়ের।তোমার কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলো।আকাশ আমার আপন ভাই থেকে কোন অংশে কম নয়।তুমিও আমার বোনের মতো।(নিলাকে উদ্দেশ্যে করে বললো রাকিব ভাইয়া)
:-----জ্বি ভাইয়া।(নিলা)
:-----ওকে ভাই বাই।(আমি)
:-----ওই তুমি কি পাগল।(নিলা)
:-----হুমম।আজ রাতে আজ জানলে।(আমি)
:-----তোমাকে কে বলেছে ঝগড়া করতে।
:-----তোমাকে আমার সামনে প্রপোজ করবে।আর আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবো।
:-----পাগল একটা।চলো এখন।
:-----হুমম।
একটু পরে আপু ও চলে আসলো। নিলা আপুর সাথে চলে গেলো। আমি,রাফি আর আল-আমীন ক্লাসে চলে গেলাম। কয়েকটা ক্লাস করে বাইরে আসলাম। নিলাকে কল করলাম।
:-----কোথায় তুমি।(আমি)
:-----এইতো ক্লাসে।(নিলা)
:-----আপু সাথে।(আমি)
:-----রুহি।রুহি তো একটু কাজে গেছে।
:-----তাহলে তুমি ক্লাসে কি করো।
:-----আচ্ছা আমি পুকুর পাড়ে আসছি।
:-----হুমম তাড়াতাড়ি।
:-----হুমম।
ধ্যাত নিলাকে তাড়াতাড়ি আসতে বলে আমারই দেরি হয়ে গেলো। তাই তাড়াতাড়ি করে পুকুর পাড়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখি......
চলবে.......
------------------------------------
নিলা ও বাসার ঢুকে যাবে এমন সময় আমি বললাম.....
:-----আজ রাতে আর ঘুম আসবে না।(আমি)
:-----হুমম।বুঝতে পেরেছি।আমি একদম ভুলে গেছি।(নিলা)
:-----কি।(আমি)
টুপ করে একটা ইয়ে দিয়ে দিলো।
:-----আচ্ছা আজ তাহলে আসি।
:-----ভেতরে আসো।
:-----না আজ না অন্য দিন।হয়েছে কি তোমাকে ছাড়তে ইচ্ছা করছে না।কিন্তু কি করবো বলো।
:-----পাগল হয়ে গেছো পুরোপুরি।(আমার মাথায় হালকা একটা ঠুস দিয়ে বললো)
:-----তোমাকে দেখার পরে এই রোগটা ধরা পড়েছে।
:-----তা তো বুঝতেই পারছি।
:-----আচ্ছা আমি গেলাম।
:-----হুমম।
আমি চলে আসলাম। এখন আমি,রাফি আর আল-আমীন রাস্তা দিয়ে হাঁটছি। নিরব রাস্তা। মাঝে মধ্যে দু একটা গাড়ি আসছে। এমন সময়টা আমার খুব পছন্দ। তিনজন হাঁটছি। আমার রাতে হাঁটতে খুব ভালো লাগে। তাই প্রায় সময়ই আমরা তিনজন রাতে বের হলে গাড়ি নিয়ে বের হই না। বাসায় চলে আসলাম। রোমে এসে শুয়ে পড়লাম। সারাদিনের কথাগুলো ভাবছি। আর খুব ক্লান্ত ও লাগছে। এমন সময় ফোনটা কেপে উঠলো। বুঝতে আর বাকি নেই যে নিলা কল করেছে। এসে ফোন দিইনি তাই।
:-----হুমম বলো।(আমি)
:-----ঠিকমতো পৌঁছে গেছো তো।(নিলা)
:-----হুমম।
:-----আজ সারাদিন অনেক চাপ গেছে তোমার উপর দিয়ে।এখন রেস্ট করো।কাল আবার কলেজে যেতে হবে তো।
:-----হুমম।বাই তাহলে আমার সুইট সুইট দুইটা বাবুর আম্মু।
:-----হুমম।বাই আমার সুইট সুইট দুইটা বাবুর পিচ্চু আব্বু।
খুব তাড়াতাড়ি ই চলে গেলাম ঘুমের দেশে। পরের দিন সকালে......
টিং টিং.....
:-----উমম হ্যালো।(আমি)
:-----এখনো ঘুম শেষ হয়নি।(নিলা)
:-----এইতো আরেকটু।
:-----না এখনই ওঠো।আর এদিক দিয়ে আমাকে পিক করে নিয়ে যেও।
:-----যথা আজ্ঞা মহারানি।
:-----হয়েছে ওঠো।
:-----হুমম।
কি আর করার। ঘুমের চোদ্দটা বাজলো। চলে গেলাম ফ্রেশ হতে। ফ্রেশ হয়ে এসে রেডি হয়ে নিচে খেতে গেলাম। এদিকে আম্মু আর আপু আমার দিকে এমনভাবে তাকিয়ে আছে যে আমি কোনো এলিয়েন।
:-----ওভাবে তাকিয়ে আছো কেনো।(আমি)
:-----বাবা তোর শরীর ঠিক আছে তো।(আম্মু)
:-----আজ কি তাহলে সূর্য ওঠেনি।(আপু)
:-----ধ্যাত কি শুরু করলে।খেতে দাও নয়তো আমি গেলাম।(আমি)
:-----না বস দিচ্ছি।(আম্মু)
:-----তা আমরা এতোদিনে যা করতে পারলাম না।তা নিলা এই কদিনেই করে ফেললো।(আপু)
:-----খাওয়ার সময় এতো কথা বলে না।(আমি)
:-----হয়েছে আমাকে আর জ্ঞান দিতে হবে না।(আপু)
:-----হি হি।(আমি)
তারপর ব্রেক-ফার্স্ট করে রওয়ানা দিলাম কলেজের উদ্দেশ্যে।
:-----আজ তুই গাড়ি নিয়ে কলেজে চলে যাস।(আমি)
:-----কেনো।(আপু)
:-----আরে আমি তো চলে যাচ্ছি তাই।(আমি)
:-----ওহ।(আপু)
:-----হুমম।(আমি)
বেরিয়ে পড়লাম। এখন গন্তব্য নিলাদের বাসা। অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই পৌছে গেলাম। গিয়ে দেখি নিলা পরীটা দাঁড়িয়ে আছে।
:-----এই তোমার এতক্ষণ লাগে আসতে।(নিলা)
:-----ওই আর কি।(আমি)
:-----একদম বোকার মতো হাসবে না।
:-----ওকে।এখন যাওয়া যাক।
:-----হুমম চলো।
নিলাকে খুব মায়াবি লাগছে। নিলার শরীরের ঘ্রান আমাকে পাগল করে ফেলছে। এই মাত্র শাওয়ার নিয়েছে মনে হচ্ছে। আপন মনে বাইক চালাচ্ছি। মাঝে মধ্যে দু একটা কথা বলছি। আর নিলাকে রাগাচ্ছি। এমন করতে করতে কলেজে পৌঁছে গেলাম। ধ্যাত এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে এসে পড়লাম। রাস্তায় কেনো যে জ্যাম ছিলো না। নিলাকে নিয়ে কলেজে ঢুকতেই কলেজের সবাই আমাদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। যেনো তারা এলিয়েন দেখছে। কি আর করার। কেউ আমাকে আর নিলাকে একসাথে কল্পনাও করেনি মনে হয়। এমন সময় কোত্থেকে এক বড় ভাই সামনে চলে আসলো।(অনার্স থার্ড ইয়ার হবে)
:-----হাই আমি রনি।তুমি নিলা।(রনি)
:-----হুমম।আপনাকে কি আমি চিনি।(নিলা)
:-----না।(রনি)
:-----তাহলে এভাবে পথ আটকাচ্ছেন কেনো বলুন তো।(নিলা)
:-----আসলে তুমি যেদিন প্রথম এই কলেজে আসো ওইদিনই তোমাকে প্রথম দেখি.....(কথা থামিয়ে)
:-----আমরা কি এখন যেতে পারি।(আমি)
:-----এটা কি তোমার ছোটো ভাই।তুমি যাও তোমার আপুর সাথে আমার কিছু কথা আছে।(রনি)
:-----তা কি কথা একটু আমি ও শুনি।(আমি)
:-----সেদিন তোমাকে প্রথম দেখেই খুব ভালোবেসে ফেলেছি।আই লাভ ইউ।(একগাদা গোলাপ সামনে দিয়ে)
এবার আমার রাগ চরম মাত্রায় পৌঁছে গেলো।এতক্ষণ ধরে কিছু বলিনি। বড়দের সম্মান করি তাই। কিন্তু এখন আর থাকতে পারলাম না। শুরু হয়ে গেলাম।
:-----কি বললি তুই।(ঠুসসসস করে একটা ঘুষি মেরে)
:-----আরে ছোটো ভাই তুমি আমাকে তুই করে কথা বলছো কেনো।বড়দের সম্মান দিতে হয় জানো না।(রনি)
:-----তোকে সম্মান তা ও আমি।এটা কে জানিস।(আমি)
:-----তোমার আপু।(রনি)
:-----এটা আমার আপু না।(আমি)
:-----তাহলে।(রনি)
:-----এটা আমার জি এফ।(আমি)
:-----তুমি এখনো অনেক ছোটো।(রনি)
:-----তবে রে।আমি ছোটো তাই না।(এবার ঝাঁপিয়ে পড়লাম রনি নামের ছেলেটার উপরে)
একের পর এক ঘুষি আর লাথি মারছি।
:-----আমাকে নিলার ভাই বলা।তার উপরে আমার সামনে নিলাকে প্রপোজ করা।আজ তোর এমন হাল করবো জীবনে কোনো মেয়েকে প্রপোজ করার সাহস পাবি না।(কথাগুলো বলতে বলতে একের পর এক মেরেই চলেছি।পাল্টা আমাকে মারার সুযোগ নেই।এবার তো মাটিতে ফেলে লাথি মারছি।আমার আবার এসব বিষয়ে খুব রাগ)
এমন সময় রাফি আর আল-আমীন এসে আমাকে টেনে দূরে নিয়ে আসতে লাগলো।
:-----আমাকে ছাড়।আমার নিলাকে প্রপোজ করে।ওর সাহস আজ ছুটাবো।(আমি)
:-----অনেক হয়েছে এখন শান্ত হ্।(রাফি)
তখনই কিছু ছাত্রলীগের ছেলে আর ছাত্রলীগের সভাপতি উপস্থিত হলো। কি হচ্ছে এসব।
:-----দেখুন না রাকিব ভাই এই ছেলেটা আমাকে শুধু শুধু মারলো।তা ও আমার জুনিয়র।(রনি)
:-----কোন ছেলেটা।(রাকিব ভাই)
:-----ওই যে ওই টা।যেটাকে ওরা দুজন ধরে দাঁড়িয়ে আছে।(রনি)
:-----আকাশ এটা কি শুনছি।(রাকিব ভাই)
:-----ভাইয়া আজকে রাফি আর আল-আমীন চলে আসায় বেঁচে গেলো।নয়তো কি যে করতাম।(আমি)
:-----দেখলেন আপনার সামনে ও আমাকে কিভাবে ভয় দেখাচ্ছে।(রনি)
:-----ওর সাহস টা কিভাবে হয় আমার সামনে নিলাকে প্রপোজ করার।(আমি)
:-----এটা কি তোমার জি এফ নাকি আকাশ ।(রাকিব ভাইয়া)
:-----হুমম।(আমি)
:-----রনি তোর ভাগ্যটা খুব ভালো রে।আজ যদি আমার ভাই আর তার বন্ধু ঠিক সময়ে না আসতো।তাহলে তোর অবস্থা আসলেই খুব খারাপ হয়ে যেতো।(রাকিব ভাইয়া)
:-----কি বলছেন এগুলো ভাই।(রনি)
:-----যা বলছি তোর ভালোর জন্য।এক্ষুনি এই স্থান ত্যাগ কর।নাহলে আমি ই না তোকে মার শুরু করি।(রাকিব ভাইয়া)
:-----ভাই কিছুই বুঝতে পারছি না।(রনি)
:-----মানুষ না চিনেই প্রপোজ।যা এখান থেকে বলছি।(রাকিব ভাইয়া)
অতঃপর রনি চলে গেলো। আর হ্যাঁ এতক্ষণে তো বুঝেই গেছেন যে রাকিব ভাইয়া রাফির আপন বড় ভাই।(মাস্টার্স এখনো শেষ হয়নি) আর রাকিব ভাইয়া কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি। আমাকে নিজের আপন ভাইয়ের থেকেও বেশি ভালোবাসে।
:-----আকাশ তুমি শুধু শুধু মাথা গরম করতে কেনো গেলে।(রাকিব ভাইয়া)
:-----কি বলো ভাইয়া।আমি কি চুপ থাকবো নাকি।(আমি)
:-----আরে না।আমাকে বললেই তো ওর খবর নিয়ে নিতাম।(রাকিব ভাইয়া)
:-----না এই ছোটো ব্যাপারে আবার কি বলবো।(আমি)
:-----এখন তবে আসি।আর হ্যাঁ ছোটো ভাইয়ের।তোমার কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলো।আকাশ আমার আপন ভাই থেকে কোন অংশে কম নয়।তুমিও আমার বোনের মতো।(নিলাকে উদ্দেশ্যে করে বললো রাকিব ভাইয়া)
:-----জ্বি ভাইয়া।(নিলা)
:-----ওকে ভাই বাই।(আমি)
:-----ওই তুমি কি পাগল।(নিলা)
:-----হুমম।আজ রাতে আজ জানলে।(আমি)
:-----তোমাকে কে বলেছে ঝগড়া করতে।
:-----তোমাকে আমার সামনে প্রপোজ করবে।আর আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবো।
:-----পাগল একটা।চলো এখন।
:-----হুমম।
একটু পরে আপু ও চলে আসলো। নিলা আপুর সাথে চলে গেলো। আমি,রাফি আর আল-আমীন ক্লাসে চলে গেলাম। কয়েকটা ক্লাস করে বাইরে আসলাম। নিলাকে কল করলাম।
:-----কোথায় তুমি।(আমি)
:-----এইতো ক্লাসে।(নিলা)
:-----আপু সাথে।(আমি)
:-----রুহি।রুহি তো একটু কাজে গেছে।
:-----তাহলে তুমি ক্লাসে কি করো।
:-----আচ্ছা আমি পুকুর পাড়ে আসছি।
:-----হুমম তাড়াতাড়ি।
:-----হুমম।
ধ্যাত নিলাকে তাড়াতাড়ি আসতে বলে আমারই দেরি হয়ে গেলো। তাই তাড়াতাড়ি করে পুকুর পাড়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখি......
চলবে.......