09-04-2020, 04:23 AM
- সামনে থেকে সরে যা বলছি, ভালো হবে না কিন্ত |
- সে ভালো খারাপ আমরা বুঝব মামনি | তুমি এখন........
কথাটা শেষ করার আগেই কোথা থেকে আধলা ইঁট এসে কপালে লাগায় ছেলেটা কঁকিয়ে উঠলো | অন্যজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারও একই অবস্থা হল | এই পরিস্থিতিতে কি করব বুঝে ওঠার আগেই হাতে টান পড়তে তাকিয়ে দেখি অনিরুদ্ধ স্যার |
- এখানে বেশিক্ষণ দাঁড়ানো ঠিক না, ওরা উঠে পড়ার আগেই পালাতে হবে | চলো |
বলেই আমার হাত ধরে টানলেন | আমিও কেমন মন্ত্র মুগ্ধের মত ওনার সাথে চলতে লাগলাম | এই মূহুর্তে ঠিক কি বলা উচিত বুঝতে না পেরে জিজ্ঞাসা করলাম........
- আপনি এখন এখানে?
- (গাড়িতে বসতে বসতে বললেন) এত রাত হয়ে গিয়েছে বলে তোমাকে দাঁড়াতে বললাম, তুমি তো শোনার আগেই.... তারপর আবার বাহাদুরি করে সর্টকাট রাস্তা দিয়ে যাচ্ছো |
- না মানে, আপনার তো আজ শরীরটা তেমন ভালো ছিলো না | আর তাছাড়া এটা ভালোও দেখায় না, তাই আর কি......
- খুব বড় হয়ে গিয়েছ যে ভালো মন্দ বিচার করতে বসেছো? তা আজ কিছু হয়ে গেলে কি করতে ভেবেছো?
আমাকে চুপ থাকতে দেখে বলতে লাগলেন......
- আমি যখনই তোমাকে বড় রাস্তায় দেখতে পেলাম না তখনই বুঝেছি তুমি এই রাস্তায় | ভাবো কি নিজেকে, হুমমম?
গাড়িটা হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ায় খেয়াল হল, কথায় কথায় কখন যে পৌঁছে গিয়েছি বুঝতে পারিনি | গাড়ি থেকে নামতে গিয়েই দেখি দরজায় কাকীমা | কিছু হয়ত বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু কিন্তু স্যারকে দেখে শুধু বললেন.......
- ভিতরে এসো |
আজ যে কপালে কি অপেক্ষা করে আছে ভালোই বুঝতে পারছি | স্যারকে আসছি বলে তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নেমে ভিতরে পা বাড়ালাম |
ভয়ে ভয়ে ভিতরে ঢুকে দেখি ড্রয়িং রুমে কাকা, কাকীমা আর রুপসা দি | সকলের গম্ভীর থমথমে মুখ গুলো দেখেই বুঝতে পারছি আজকে দেরি হওয়ার জন্য কপালে বিশেষ কিছু নাচছে | আমি ব্যাপারটা আন্দাজ করেই চুপচাপ মাথা নিচু করে নিজের ঘরে যেতে যাব, কাকীমা বলে উঠলো.........
- কতদিন ধরে চলছে এসব???
আমি ঘুরে দাঁড়াতেই দেখি মোটামুটি সবার চোখে একই প্রশ্ন তবে রুপসা দি কেমন যেনো মুচকি হাসছে |
- কেন? আমি কি করলাম?
- আহা কচি খুকি, কিছু জানো না |
- কি বলতে চাইছো কি তোমরা !!! কি জানি না আমি?
- কলেজের পর এতক্ষন কোথায় থাকিস, কি করিস এত রাত অবধি, কি ভেবেছিলি কেউ জানতে পারবে না, না?
- কেন আমি তো বলেছি, কলেজের কাজের পর আমি স্যারের বাড়িতে রান্নার কাজ নিয়েছি | তাই একটু..........
- রাত ৮টা একটু হল বুঝি? আর রান্নার কাজ, সে কি কাজ হয় ভালো করেই বুঝি | বয়সটা তো আর কম হল না |
- কি বলছো কাকীমা? আজ একটু দেরি হয়েছে, অন্যদিন তো ৭টার ভিতরই চলে আসি | আর রান্নার কাজ না তো কি করি? কি বলতে চাইছো?
-দেখো মা, এমন ভান করছে যেনো ভাজা মাছটা উল্টে খেতে পারে না | তুই কি ভাবলি, অনিরুদ্ধ স্যার আর তোর মাঝে কি চলছে কেউ জানতে পারবে না?
- রুপসা দি !!!!
- জানো বাবা ও কলেজের পর ওই অনিরুদ্ধ স্যারের বাড়িই যায় | আর স্যার ও বলিহারি যাই, এমনি তো মেয়েদের সাথে বিশেষ কথা বলে না, গম্ভীর হয়ে থাকে, আর শেষমেষ পছন্দ হল কিনা এই আঁখি কে? হা:
- রুপসা দি এসব তুমি কি বলছো !!!! উনি তোমার গুরুজন, একজন শিক্ষক, ওনার সম্বন্ধে এমন কথা বল না |
- ও ব্বাবা, এর মধ্যেই এত !!!! তা কি এমন রুপ দেখালি যে উনি তোকে........
- আ: রুপসা, তুমি চুপ করো | এসব ব্যাপার নিয়ে আলোচনা একদম শুনতে ভালো লাগছে না |
- তাই বলে বাপি..... ও এমন......
- আ: !!! আমাকে কথা বলতে দাও |
দ্যাখ আঁখি, দাদা বৌদির পর তোর সব দায়িত্ব যখন আমাদেরই দেখতে হয়, আর এখনও যখন আমাদের বাড়িতেই থাকিস, তখন এ বাড়ির নিয়ম মেনেই চলতে হবে | ওসব ফস্টিনস্টি এখানে চলবে না |
- কিন্তু কাকা আমি তো.........
- আমার কথা এখনও শেষ হয়নি | আমি রুপসার থেকে সব শুনেছি, আজ দেখলাম ও | সুতরাং এখানে যদি থাকতে হয় তাহলে ঐ স্যারের সাথে কোনো রকম যোগাযোগ রাখা চলবে না | কলেজে যাবি, কাজ করবি আর বাড়ি চলে আসবি | কোথাও রান্নার কাজ করতে হবে না | আর কাকীমা সারাদিন খাটে, তার হাতে হাতেও তো কিছু করবি | শুধু শুধু তো আর তোকে বসিয়ে......
যাক গে যা হওয়ার হয়েছে, যা বললাম যেন মাথায় থাকে, এবার যে যার মত ঘরে যাও |
- সে ভালো খারাপ আমরা বুঝব মামনি | তুমি এখন........
কথাটা শেষ করার আগেই কোথা থেকে আধলা ইঁট এসে কপালে লাগায় ছেলেটা কঁকিয়ে উঠলো | অন্যজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারও একই অবস্থা হল | এই পরিস্থিতিতে কি করব বুঝে ওঠার আগেই হাতে টান পড়তে তাকিয়ে দেখি অনিরুদ্ধ স্যার |
- এখানে বেশিক্ষণ দাঁড়ানো ঠিক না, ওরা উঠে পড়ার আগেই পালাতে হবে | চলো |
বলেই আমার হাত ধরে টানলেন | আমিও কেমন মন্ত্র মুগ্ধের মত ওনার সাথে চলতে লাগলাম | এই মূহুর্তে ঠিক কি বলা উচিত বুঝতে না পেরে জিজ্ঞাসা করলাম........
- আপনি এখন এখানে?
- (গাড়িতে বসতে বসতে বললেন) এত রাত হয়ে গিয়েছে বলে তোমাকে দাঁড়াতে বললাম, তুমি তো শোনার আগেই.... তারপর আবার বাহাদুরি করে সর্টকাট রাস্তা দিয়ে যাচ্ছো |
- না মানে, আপনার তো আজ শরীরটা তেমন ভালো ছিলো না | আর তাছাড়া এটা ভালোও দেখায় না, তাই আর কি......
- খুব বড় হয়ে গিয়েছ যে ভালো মন্দ বিচার করতে বসেছো? তা আজ কিছু হয়ে গেলে কি করতে ভেবেছো?
আমাকে চুপ থাকতে দেখে বলতে লাগলেন......
- আমি যখনই তোমাকে বড় রাস্তায় দেখতে পেলাম না তখনই বুঝেছি তুমি এই রাস্তায় | ভাবো কি নিজেকে, হুমমম?
গাড়িটা হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ায় খেয়াল হল, কথায় কথায় কখন যে পৌঁছে গিয়েছি বুঝতে পারিনি | গাড়ি থেকে নামতে গিয়েই দেখি দরজায় কাকীমা | কিছু হয়ত বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু কিন্তু স্যারকে দেখে শুধু বললেন.......
- ভিতরে এসো |
আজ যে কপালে কি অপেক্ষা করে আছে ভালোই বুঝতে পারছি | স্যারকে আসছি বলে তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নেমে ভিতরে পা বাড়ালাম |
ভয়ে ভয়ে ভিতরে ঢুকে দেখি ড্রয়িং রুমে কাকা, কাকীমা আর রুপসা দি | সকলের গম্ভীর থমথমে মুখ গুলো দেখেই বুঝতে পারছি আজকে দেরি হওয়ার জন্য কপালে বিশেষ কিছু নাচছে | আমি ব্যাপারটা আন্দাজ করেই চুপচাপ মাথা নিচু করে নিজের ঘরে যেতে যাব, কাকীমা বলে উঠলো.........
- কতদিন ধরে চলছে এসব???
আমি ঘুরে দাঁড়াতেই দেখি মোটামুটি সবার চোখে একই প্রশ্ন তবে রুপসা দি কেমন যেনো মুচকি হাসছে |
- কেন? আমি কি করলাম?
- আহা কচি খুকি, কিছু জানো না |
- কি বলতে চাইছো কি তোমরা !!! কি জানি না আমি?
- কলেজের পর এতক্ষন কোথায় থাকিস, কি করিস এত রাত অবধি, কি ভেবেছিলি কেউ জানতে পারবে না, না?
- কেন আমি তো বলেছি, কলেজের কাজের পর আমি স্যারের বাড়িতে রান্নার কাজ নিয়েছি | তাই একটু..........
- রাত ৮টা একটু হল বুঝি? আর রান্নার কাজ, সে কি কাজ হয় ভালো করেই বুঝি | বয়সটা তো আর কম হল না |
- কি বলছো কাকীমা? আজ একটু দেরি হয়েছে, অন্যদিন তো ৭টার ভিতরই চলে আসি | আর রান্নার কাজ না তো কি করি? কি বলতে চাইছো?
-দেখো মা, এমন ভান করছে যেনো ভাজা মাছটা উল্টে খেতে পারে না | তুই কি ভাবলি, অনিরুদ্ধ স্যার আর তোর মাঝে কি চলছে কেউ জানতে পারবে না?
- রুপসা দি !!!!
- জানো বাবা ও কলেজের পর ওই অনিরুদ্ধ স্যারের বাড়িই যায় | আর স্যার ও বলিহারি যাই, এমনি তো মেয়েদের সাথে বিশেষ কথা বলে না, গম্ভীর হয়ে থাকে, আর শেষমেষ পছন্দ হল কিনা এই আঁখি কে? হা:
- রুপসা দি এসব তুমি কি বলছো !!!! উনি তোমার গুরুজন, একজন শিক্ষক, ওনার সম্বন্ধে এমন কথা বল না |
- ও ব্বাবা, এর মধ্যেই এত !!!! তা কি এমন রুপ দেখালি যে উনি তোকে........
- আ: রুপসা, তুমি চুপ করো | এসব ব্যাপার নিয়ে আলোচনা একদম শুনতে ভালো লাগছে না |
- তাই বলে বাপি..... ও এমন......
- আ: !!! আমাকে কথা বলতে দাও |
দ্যাখ আঁখি, দাদা বৌদির পর তোর সব দায়িত্ব যখন আমাদেরই দেখতে হয়, আর এখনও যখন আমাদের বাড়িতেই থাকিস, তখন এ বাড়ির নিয়ম মেনেই চলতে হবে | ওসব ফস্টিনস্টি এখানে চলবে না |
- কিন্তু কাকা আমি তো.........
- আমার কথা এখনও শেষ হয়নি | আমি রুপসার থেকে সব শুনেছি, আজ দেখলাম ও | সুতরাং এখানে যদি থাকতে হয় তাহলে ঐ স্যারের সাথে কোনো রকম যোগাযোগ রাখা চলবে না | কলেজে যাবি, কাজ করবি আর বাড়ি চলে আসবি | কোথাও রান্নার কাজ করতে হবে না | আর কাকীমা সারাদিন খাটে, তার হাতে হাতেও তো কিছু করবি | শুধু শুধু তো আর তোকে বসিয়ে......
যাক গে যা হওয়ার হয়েছে, যা বললাম যেন মাথায় থাকে, এবার যে যার মত ঘরে যাও |