03-04-2020, 11:24 AM
২য় পর্ব:
'কিরে এতক্ষণে আসার সময় হলো?'- বাড়িতে ঢুকতেই মায়ের গলা পায় দিশানী। দিশানী ওর বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। ওর বাবা দেবোজিত (47, হাইট 5'7") আর মা সুদীপা (39), হাইট 5'5", ফিগার 36-30-36। দেবোজিত দিল্লীতে একটা আইটি কোম্পানিতে কর্মরত। মাঝে মধ্যে ছুটিতে আসে, হপ্তা দুয়েক আগে দেবোজিত এসছিলো, চার পাঁচদিন থেকে চলে গেছে আর সুদীপা হাউসওয়াইফ। কলেজ ফাইনাল ইয়ারের আগেই দেবোজিতের সাথে বিয়ে হয়ে যায়। এরপর থেকে সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব পালন, মেয়েকে মানুষ করা সবই একার হাতে সামলেছে ও। পাশাপাশি এখন কাবেরীর দেখাশোনার দায়িত্বটাও এখন ওর কাধে, যতই হোক দেবোজিতের বন্ধুর মেয়ে।
সুদীপা দের দোতলা বাড়ি, ওপর তলায় ওরা থাকে আর নীচ তালায় কাবেরী থাকে। ওদের বাড়ির ছাদ আর পাশের অলোকেশদা দের বাড়ির ছাদটা গায়ে গায়ে লাগানো। আগে অলোকেশদা আর বৌদির সাথে ভালোই গল্প গুজব হতো, ওরা চলে যাওয়াতে এখন সেটাও বন্ধ।
দোতলায় উঠে নিজের ঘরে চলে যায় দিশানী। একটু পরেই ওর মা স্নানের জন্য তাড়া দেবে। তার আগে একটু গল্পের বই নিয়ে বসে। যদিও মন বসে না, মাথায় কাবেরী দের ব্যাপার টাই ঘুরতে থাকে। যদি ব্যাপারটা তেমন গুরুতর না হয় তবে কোনো কথা নেই, কিন্তু সেরকম কিছু হলে চাপ আছে আর ওর মা যদি জেনে যায় তবে কোনো কথাই নেই। এমনকি কাবেরী দির বাবা মাকেও জানিয়ে দিতে দ্বিধা করবে না।
কিছুক্ষণ পর সুদীপা আবার ওকে স্নানের জন্য তাড়া দেয় , দিশানী চিন্তা থামিয়ে বাথরুমের দিকে যায়।
বিকেলের দিকে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় দিশানীর । দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর হালকা চোখ লেগে গেছিলো। ঘর থেকে বেরিয়ে এসে মায়ের রুমে উকি দেয় , দেখে সুদীপা ঘুমোচ্ছে। দিশানী হাওয়া খেতে ছাদে যায়, সিড়িতে উঠতেই দেখে ছাদের দরজা খোলা, ওর মা যেহেতু ঘুমোচ্ছে তাই ছাদে কাবেরী দিই আছে, এমনকি কথা বলার আওয়াজও আসছে। উকি দিতেই দেখতে পায় কাবেরীদি অনিলদার সাথে কথা বলছে।কৌতুহল চেপে রাখতে না পেরে উকি দেয় দিশানী-
(কাবেরীর গলা): তুমি একটা অসভ্য বুঝলে
(অনিলের গলা): কি করলাম শুনি?
কাবেরী: এই যে পার্কে গিয়ে যেভাবে কাধে হাত দিয়েছিলে..
অনিল( অনুযোগের সুরে): তোমার বুঝি খারাপ লেগেছে ?
কাবেরী: তা না, তাছাড়া কেউ দেখে ফেললে ।
অনিল: সে দেখলে দেখবে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
কাবেরী: হ্যাঁ তোমার আর কি
অনিল: এই শোনো না, কাল হোক তাহলে
কাবেরী: তুমি না বড্ড বেড়েছো
অনিল: আরে চলো তো, কিছু হবে না
কাবেরী: আচ্ছা দেখছি
অনিল: না দেখছি টেকছি না, কাল ছুটি নাও
কাবেরী: তা কোথায় নিয়ে যাবে শুনি ?
অনিল: আমার চেনাজানা এক বন্ধুর বাড়ি আছে, খালিই থাকে ওখানে
কাবেরী: এই না না ওখানে নয়
অনিল: তবে ?
- এক কাজ করবো, কাল কাকিমা দুপুরের দিকে থাকবে না আর দিশানীরও কলেজ আছে, আমি অফিস থেকে কিছু একটা ম্যানেজ করে ১টার দিকে বাড়ি চলে আসবো, তুমি এখানে চলে এসো।
- ওকে ডার্লিং, আমার আর তর সইছে না
- আর হ্যাঁ ছাদের দরজা টা খোলা থাকবে, তুমি ছাদ দিয়ে নেমে সোজা আমার ঘরে চলে এসো।
ওদের কথোপকথোন টা আরও চলতো, তবে এসব শুনে দিশানী আর দাঁড়ালো না, সোজা নিজের ঘরে চলে এলো।
তাহলে কাবেরীদির ব্যাপারে পল্লবীরা যা বলেছিলো সেটা একেবারেই ঠিক। শুধু তাই নয় ওদের সম্পর্কটা বেশ গাঢ় ও হয়েছে, তাই অনিলদা কাল ওদের বাড়িতেই আসবে দেখা করতে। কাবেরীদি ঠিকই বলেছে কাল ওর মা দুপুরের দিকে বাড়িতে থাকবে না। সুদীপা কাল জয়িতা মাসি দের বাড়ি যাবে, জয়িতা হল ওর মায়ের কলেজে জীবনের বান্ধবী। আর অনিলদা এর ফাকে ওদের বাড়িতে এলে সেটা যে দেখা করার চেয়েও বেশি কিছু হবে সেটা ভালোই বুঝতে পারছে। তবে দিশানী ভেবে পাচ্ছে না যে ও এখন কি করবে, কেয়া- পল্লবীদের ডাকবে?, ওদের ডাকলে আবার এসব জিনিস ছড়াতেও সময় লাগবে না আর ওর মা যদি এসব জেনে যায় তখন আরো বড় ঝামেলা হবে। এসব ভাবতে ভাবতেই কাবেরীর সিড়ি দিয়ে নীচে নামার শব্দ পায় দিশানী, মানে ওদের কথাবার্তা শেষ। তবে যাই হয়ে যাক না কেন ও কাল দুপুরে বাড়িতেই থাকবে আর নিজের চোখে আসল ব্যাপার টা দেখবে।
'কিরে এতক্ষণে আসার সময় হলো?'- বাড়িতে ঢুকতেই মায়ের গলা পায় দিশানী। দিশানী ওর বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। ওর বাবা দেবোজিত (47, হাইট 5'7") আর মা সুদীপা (39), হাইট 5'5", ফিগার 36-30-36। দেবোজিত দিল্লীতে একটা আইটি কোম্পানিতে কর্মরত। মাঝে মধ্যে ছুটিতে আসে, হপ্তা দুয়েক আগে দেবোজিত এসছিলো, চার পাঁচদিন থেকে চলে গেছে আর সুদীপা হাউসওয়াইফ। কলেজ ফাইনাল ইয়ারের আগেই দেবোজিতের সাথে বিয়ে হয়ে যায়। এরপর থেকে সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব পালন, মেয়েকে মানুষ করা সবই একার হাতে সামলেছে ও। পাশাপাশি এখন কাবেরীর দেখাশোনার দায়িত্বটাও এখন ওর কাধে, যতই হোক দেবোজিতের বন্ধুর মেয়ে।
সুদীপা দের দোতলা বাড়ি, ওপর তলায় ওরা থাকে আর নীচ তালায় কাবেরী থাকে। ওদের বাড়ির ছাদ আর পাশের অলোকেশদা দের বাড়ির ছাদটা গায়ে গায়ে লাগানো। আগে অলোকেশদা আর বৌদির সাথে ভালোই গল্প গুজব হতো, ওরা চলে যাওয়াতে এখন সেটাও বন্ধ।
দোতলায় উঠে নিজের ঘরে চলে যায় দিশানী। একটু পরেই ওর মা স্নানের জন্য তাড়া দেবে। তার আগে একটু গল্পের বই নিয়ে বসে। যদিও মন বসে না, মাথায় কাবেরী দের ব্যাপার টাই ঘুরতে থাকে। যদি ব্যাপারটা তেমন গুরুতর না হয় তবে কোনো কথা নেই, কিন্তু সেরকম কিছু হলে চাপ আছে আর ওর মা যদি জেনে যায় তবে কোনো কথাই নেই। এমনকি কাবেরী দির বাবা মাকেও জানিয়ে দিতে দ্বিধা করবে না।
কিছুক্ষণ পর সুদীপা আবার ওকে স্নানের জন্য তাড়া দেয় , দিশানী চিন্তা থামিয়ে বাথরুমের দিকে যায়।
বিকেলের দিকে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় দিশানীর । দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর হালকা চোখ লেগে গেছিলো। ঘর থেকে বেরিয়ে এসে মায়ের রুমে উকি দেয় , দেখে সুদীপা ঘুমোচ্ছে। দিশানী হাওয়া খেতে ছাদে যায়, সিড়িতে উঠতেই দেখে ছাদের দরজা খোলা, ওর মা যেহেতু ঘুমোচ্ছে তাই ছাদে কাবেরী দিই আছে, এমনকি কথা বলার আওয়াজও আসছে। উকি দিতেই দেখতে পায় কাবেরীদি অনিলদার সাথে কথা বলছে।কৌতুহল চেপে রাখতে না পেরে উকি দেয় দিশানী-
(কাবেরীর গলা): তুমি একটা অসভ্য বুঝলে
(অনিলের গলা): কি করলাম শুনি?
কাবেরী: এই যে পার্কে গিয়ে যেভাবে কাধে হাত দিয়েছিলে..
অনিল( অনুযোগের সুরে): তোমার বুঝি খারাপ লেগেছে ?
কাবেরী: তা না, তাছাড়া কেউ দেখে ফেললে ।
অনিল: সে দেখলে দেখবে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
কাবেরী: হ্যাঁ তোমার আর কি
অনিল: এই শোনো না, কাল হোক তাহলে
কাবেরী: তুমি না বড্ড বেড়েছো
অনিল: আরে চলো তো, কিছু হবে না
কাবেরী: আচ্ছা দেখছি
অনিল: না দেখছি টেকছি না, কাল ছুটি নাও
কাবেরী: তা কোথায় নিয়ে যাবে শুনি ?
অনিল: আমার চেনাজানা এক বন্ধুর বাড়ি আছে, খালিই থাকে ওখানে
কাবেরী: এই না না ওখানে নয়
অনিল: তবে ?
- এক কাজ করবো, কাল কাকিমা দুপুরের দিকে থাকবে না আর দিশানীরও কলেজ আছে, আমি অফিস থেকে কিছু একটা ম্যানেজ করে ১টার দিকে বাড়ি চলে আসবো, তুমি এখানে চলে এসো।
- ওকে ডার্লিং, আমার আর তর সইছে না
- আর হ্যাঁ ছাদের দরজা টা খোলা থাকবে, তুমি ছাদ দিয়ে নেমে সোজা আমার ঘরে চলে এসো।
ওদের কথোপকথোন টা আরও চলতো, তবে এসব শুনে দিশানী আর দাঁড়ালো না, সোজা নিজের ঘরে চলে এলো।
তাহলে কাবেরীদির ব্যাপারে পল্লবীরা যা বলেছিলো সেটা একেবারেই ঠিক। শুধু তাই নয় ওদের সম্পর্কটা বেশ গাঢ় ও হয়েছে, তাই অনিলদা কাল ওদের বাড়িতেই আসবে দেখা করতে। কাবেরীদি ঠিকই বলেছে কাল ওর মা দুপুরের দিকে বাড়িতে থাকবে না। সুদীপা কাল জয়িতা মাসি দের বাড়ি যাবে, জয়িতা হল ওর মায়ের কলেজে জীবনের বান্ধবী। আর অনিলদা এর ফাকে ওদের বাড়িতে এলে সেটা যে দেখা করার চেয়েও বেশি কিছু হবে সেটা ভালোই বুঝতে পারছে। তবে দিশানী ভেবে পাচ্ছে না যে ও এখন কি করবে, কেয়া- পল্লবীদের ডাকবে?, ওদের ডাকলে আবার এসব জিনিস ছড়াতেও সময় লাগবে না আর ওর মা যদি এসব জেনে যায় তখন আরো বড় ঝামেলা হবে। এসব ভাবতে ভাবতেই কাবেরীর সিড়ি দিয়ে নীচে নামার শব্দ পায় দিশানী, মানে ওদের কথাবার্তা শেষ। তবে যাই হয়ে যাক না কেন ও কাল দুপুরে বাড়িতেই থাকবে আর নিজের চোখে আসল ব্যাপার টা দেখবে।