26-03-2020, 01:48 AM
সকাল সকাল চা-বিস্কুট খেয়ে আর দিদার থেকে আরও অতিরিক্ত কিছু জ্ঞ্যানকে পুঁজি করে প্রবল অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে আকাশ | হাতিবাগান মোড় থেকে বাস ধরবে | টাউন কলেজের পাশের গলিতে একতলা কিন্তু বেশ বড় আর ছিমছাম সাজানো বাড়ি আকাশদের | রাস্তার মোড়ে আসতেই তিনবন্ধুর সাথে দেখা | গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতই রব্বারের আড্ডা বাদ দিয়ে চূড়ান্ত বিরক্তি নিয়ে গন্তব্যের দিকে রওনা দেয় আকাশ |
প্রায় ১৫ মিনিট পর হাতিবাগান মোড় থেকে ধর্মতলাগামী বাসে চেপে বসে আকাশ | কিছুক্ষন যাওয়ার পর হঠাৎ মনে পরে যে মা ওই মেয়েটার যে ছবিটা দিল মোবাইলে সেটা তো দেখাই হয়নি | চট করে মোবাইলটা বার করে একবার ভালো করে দেখার জন্য, নাহলে আবার ওই ভীড় ভাট্টার মধ্যে খুঁজে পাওয়া বড় মুস্কিল হয়ে যাবে | ছবিটা একঝলক দেখে একটু গেঁয়ো টাইপ ই মনে হোলো আকাশের | যদিও ছবিটাতে বোঝার মত তেমন কিছু নেই কারন কেমন যেনো ভোটার কার্ডে তোলা ছবির মত এসেছে ছবিটা | তবে দেখে মুখটা চিনে নিয়ে আসার মত | নিজের একাউন্ট একটু ঘেঁটে টেটে নিয়ে মোবাইলটা আবার পকেটে চালান করে দেয় | একটু পরেই নামতে হবে আবার |
ধর্মতলা বাসডিপোতে নেমে একটু এদিক ওদিক দেখে নিয়ে হাঁটা শুরু করে আকাশ | সোজা গিয়ে হাজির হয় হাসনাবাদ-ধর্মতলা ডিপোর সামনে | জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে বাস এখনও ঢোকেনি | মনে মনে ভাবে, ভালোই হল, একটু কিছু খেয়ে নেওয়া যাক | ওই ডিপোর পাশেই একটা ঝুপড়ি মত দোকান থেকে দু'পিস ডিম পাউরুটি আর এক কাপ চা নিয়ে খেতে থাকে | পাউরুটি শেষ করে চা খেতে খেতে মোবাইলটা বার করে বিথীর ফটোটা দেখতে থাকে যাতে এসে গেলে চিনে নিতে পারে, অন্য কোথাও ভুল করে যদি একবার চলে যায় তাহলে মা আর দিদা ওকে আস্ত রাখবে না | আর তাছাড়া, একা একটা মেয়ে, কলকাতার রাস্তায় অনেক বিপদেও পড়তে পারে ওকে না পেলে |
চা খেতে খেতে ছবিটা দেখছিলো ইতিমধ্যেই কে যেন পিছন থেকে ওর পিঠে দুটো টোকা মেরে বলল "আকাশদা? "
থতমত খেয়ে পিছনে ঘুরে দ্যাখে হালকা হাসি মুখ নিয়ে বিথী দাঁড়িয়ে | ওকে এইভাবে ওর পিছনে দেখে একটু অবাক হয়ে যায় আকাশ | কোথা থেকে টপকালো মেয়েটা? ভূত-প্রেত নাকি?
"তুমি আমার পিছনে কোথা থেকে এলে? তোমার বাস তো সামনেটায় এসে দাঁড়ানোর কথা"
"আমি এখনই নামলাম বাস থেকে | ওই দিকটায় নামিয়ে দিয়েছে | আর সামনের দিকটায় ভীড় ছিলো তাই এই পিছন ঘুরে এলাম"
"আচ্ছা চলো, জার্নি করে এসেছো এতটা | তাড়াতাড়ি বাড়ির দিকে রওনা দি"
তারপর নিজের একটা বড় ভুল বুঝতে পেরে জিভ কেটে বলে
"তোমার খিদে পেয়েছে নিশ্চই | আগে তোমায় কিছু খাইয়ে নি চলো"
"না, না | আমি বাড়ি থেকে পেট ভরে খেয়ে এসেছি গো | আর বাসেও টুকটাক খেয়েছি, তাই পেট ভর্তি | একবারে দুপুরে খাবো "
"কিচ্ছু খাবে না? "
"না গো এখন আর কিছু খাবো না, তবে... "
"কি বলো? থেমে গেলে কেনো? যা দরকার নির্দ্ধিদায় বলে ফ্যালো"
"একটু জল হলে ভালো হয় | জলতেষ্টা পেয়েছে খুব"
"হ্যাঁ, নিশ্চই | দাও ব্যাগ গুলো আমার কাছে দাও আর ওদিকটা চলো | আমি ওদিক থেকে জল কিনে নিচ্ছি | এদিকটা অনেক ভীড়"
"আরে না না, তুমি চলো, ব্যাগ আমি নিতে পারবো"
"আরে ধুর তাই আবার হয় নাকি | দাও ব্যাগদুটো আমায় দাও আর ঠিক আমার পিছন পিছন এসো"
আকাশ ব্যাগ নিয়ে সামনের দিকে হাঁটা দেয় আর বিথী ঠিক ওর পিছন পিছন বাধ্য মেয়ের মত ওকে অনুসরন করতে থাকে | পিছনে তাকিয়ে মাঝে মাঝে দেখে নেয় মেয়েটা ঠিকমতো আসছে কিনা | হঠাৎ নিজেকে জিবনে প্রথমবারের জন্য অভিভাবক টাইপ মনে হতে থাকে | নিজের মনেই একটু হেঁসে দেয় আকাশ যদিও সেটার কোনোরকম প্রকাশ মুখে পড়ে না |
একটু দুর এগিয়ে একটা ফাঁকা যায়গা দেখে দাঁড়ায় দুজনে | পাশের দোকান থেকে এক বোতল মিনারেল ওয়াটার কিনে এনে বিথীর হাতে দেয় | বিথী জল খেতে খেতে ও ফোনটা বের করে একটা উবের ভাড়া করে | দিদার কড়া নির্দেশ মেয়েটা বাসে করে অনেকটা রাস্তা আসবে, ভুলেও যেনো আবার বাসে করে না নিয়ে যায়, ট্যাক্সি ভাড়া করে |
উবের চালকের ম্যাপ দেখতে দেখতে আড় চোখে একবার বিথীর আপাদমস্তক জরিপ করে নেয় আকাশ | নাহ: , ছবি তো যতটা মনে হচ্ছিলো ততটা না হলেও একটু গেঁয়োই বলা চলে | তবে কেমন যেনো এক অদভূত সরলতা আর স্নিগ্ধতা আছে মেয়েটার মধ্যে | খুব ফরসা না হলেও ঠিক শ্যামবর্ণ বলা চলে না, চুল টা ভালোই বড় মনে হয়, মাথার নিচ থেকে একটা মাঝারি সাইজের খোঁপা করার পরেও প্রায় কোমরের নিচ অবধি পৌঁছে গিয়েছে | নীল রঙের চুরিদারে খুব সাধারন হলেও বেশ লাগছে | আর ওইটুকু সময়ে খুঁটিনাটি না বুঝতে পারলেও তন্বী শরীরে যে সমুদ্রের ঢেউ ভালোই আছে সেটা বুঝতে তেমন অসুবিধা হয় না আকাশের |
দেখতে দেখতে ক্যাব ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে ওদের লোকেশানে উপস্থিত হয়ে যায় | ব্যাগ পত্র গাড়ির ডিকিতে রেখে দুজনে গাড়িতে চেপে রওনা নিজেদের গন্তব্যের দিকে | দুজনেই চুপচাপ জানলা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে বসে থাকে বেশ কিছুক্ষন | অবশ্য দুজনের চুপ থাকার কারন ভিন্ন | একজন বেশ উৎসাহের সাথে কলকাতার সব অলি গলি, দোকানপাট, ব্রীজ এইসব দেখতে থাকে আর একজন সদ্য পরিচিত একটি মেয়েকে কি আর বলবে সেই ভেবে চুপ | কিন্তু হটাৎ ই আকাশের মনে একটা প্রশ্নের মেঘ জমাট বাঁধে | কিন্তু সেটা কি করে বলবে এইসব ভাবতে ভাবতে একটু গলা খাঁকিয়ে ওঠে | আচমকা ওই আওয়াজ শুনে ওর দিকে তাকায় বিথী, এতে লাভ হয় আকাশের, বলার সুযোগটা পেয়ে যায়
"আচ্ছা, তুমি আমায় চিনলে কি করে? আমি তো তোমায় দেখতে পাইনি "
প্রশ্নটা শুনে আবার আগের মতই একটা হাল্কা হাসির সাথে উত্তর দেয় বিথী
"আসলে বাপি আমায় আগেই তোমার ছবি দিয়ে দিয়েছিল ফোনে | আর আমি যেখানটায় নামলাম তার ঠিক সোজাসুজি একটু দুরেই তুমি দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলে | তাই চিনতে তেমন অসুবিধা হয়নি"
"তাও ওখানটা তো বেশ ভালোই ভীড় ছিলো | অতজনের মধ্যে আমায় ঠিক চিনতে পেরেছো, তাও আবার যেখানে আগে কখনও আমায় দেখোইনি | যথেষ্ট প্রশংসনীয় তোমার দৃষ্টি"
বিথী হাসিটা এবার আর একটু উজ্জ্বল করে
"কে বলেছে তোমায় আগে দেখিনি? বাবার কাছে তোমার বেশ কিছু ছবি আছে | দিদুন পাঠিয়েছিল বাবাকে | আর একটা কথা জানো আকাশদা? "
"কি? "
"নিজের মানুষকে হাজার মানুষের ভীড়ের মধ্যেও ঠিক চিনে নেওয়া যায় | অসুবিধা হয় না |"
কথাটা শেষ করেই আবার আগের মতই রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকে বিথী |
কিন্তু এই ছোট্ট একটা কথা আকাশের মনে কেমন যেনো মেঘ জমাট বাঁধিয়ে দেয় |
প্রায় ১৫ মিনিট পর হাতিবাগান মোড় থেকে ধর্মতলাগামী বাসে চেপে বসে আকাশ | কিছুক্ষন যাওয়ার পর হঠাৎ মনে পরে যে মা ওই মেয়েটার যে ছবিটা দিল মোবাইলে সেটা তো দেখাই হয়নি | চট করে মোবাইলটা বার করে একবার ভালো করে দেখার জন্য, নাহলে আবার ওই ভীড় ভাট্টার মধ্যে খুঁজে পাওয়া বড় মুস্কিল হয়ে যাবে | ছবিটা একঝলক দেখে একটু গেঁয়ো টাইপ ই মনে হোলো আকাশের | যদিও ছবিটাতে বোঝার মত তেমন কিছু নেই কারন কেমন যেনো ভোটার কার্ডে তোলা ছবির মত এসেছে ছবিটা | তবে দেখে মুখটা চিনে নিয়ে আসার মত | নিজের একাউন্ট একটু ঘেঁটে টেটে নিয়ে মোবাইলটা আবার পকেটে চালান করে দেয় | একটু পরেই নামতে হবে আবার |
ধর্মতলা বাসডিপোতে নেমে একটু এদিক ওদিক দেখে নিয়ে হাঁটা শুরু করে আকাশ | সোজা গিয়ে হাজির হয় হাসনাবাদ-ধর্মতলা ডিপোর সামনে | জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে বাস এখনও ঢোকেনি | মনে মনে ভাবে, ভালোই হল, একটু কিছু খেয়ে নেওয়া যাক | ওই ডিপোর পাশেই একটা ঝুপড়ি মত দোকান থেকে দু'পিস ডিম পাউরুটি আর এক কাপ চা নিয়ে খেতে থাকে | পাউরুটি শেষ করে চা খেতে খেতে মোবাইলটা বার করে বিথীর ফটোটা দেখতে থাকে যাতে এসে গেলে চিনে নিতে পারে, অন্য কোথাও ভুল করে যদি একবার চলে যায় তাহলে মা আর দিদা ওকে আস্ত রাখবে না | আর তাছাড়া, একা একটা মেয়ে, কলকাতার রাস্তায় অনেক বিপদেও পড়তে পারে ওকে না পেলে |
চা খেতে খেতে ছবিটা দেখছিলো ইতিমধ্যেই কে যেন পিছন থেকে ওর পিঠে দুটো টোকা মেরে বলল "আকাশদা? "
থতমত খেয়ে পিছনে ঘুরে দ্যাখে হালকা হাসি মুখ নিয়ে বিথী দাঁড়িয়ে | ওকে এইভাবে ওর পিছনে দেখে একটু অবাক হয়ে যায় আকাশ | কোথা থেকে টপকালো মেয়েটা? ভূত-প্রেত নাকি?
"তুমি আমার পিছনে কোথা থেকে এলে? তোমার বাস তো সামনেটায় এসে দাঁড়ানোর কথা"
"আমি এখনই নামলাম বাস থেকে | ওই দিকটায় নামিয়ে দিয়েছে | আর সামনের দিকটায় ভীড় ছিলো তাই এই পিছন ঘুরে এলাম"
"আচ্ছা চলো, জার্নি করে এসেছো এতটা | তাড়াতাড়ি বাড়ির দিকে রওনা দি"
তারপর নিজের একটা বড় ভুল বুঝতে পেরে জিভ কেটে বলে
"তোমার খিদে পেয়েছে নিশ্চই | আগে তোমায় কিছু খাইয়ে নি চলো"
"না, না | আমি বাড়ি থেকে পেট ভরে খেয়ে এসেছি গো | আর বাসেও টুকটাক খেয়েছি, তাই পেট ভর্তি | একবারে দুপুরে খাবো "
"কিচ্ছু খাবে না? "
"না গো এখন আর কিছু খাবো না, তবে... "
"কি বলো? থেমে গেলে কেনো? যা দরকার নির্দ্ধিদায় বলে ফ্যালো"
"একটু জল হলে ভালো হয় | জলতেষ্টা পেয়েছে খুব"
"হ্যাঁ, নিশ্চই | দাও ব্যাগ গুলো আমার কাছে দাও আর ওদিকটা চলো | আমি ওদিক থেকে জল কিনে নিচ্ছি | এদিকটা অনেক ভীড়"
"আরে না না, তুমি চলো, ব্যাগ আমি নিতে পারবো"
"আরে ধুর তাই আবার হয় নাকি | দাও ব্যাগদুটো আমায় দাও আর ঠিক আমার পিছন পিছন এসো"
আকাশ ব্যাগ নিয়ে সামনের দিকে হাঁটা দেয় আর বিথী ঠিক ওর পিছন পিছন বাধ্য মেয়ের মত ওকে অনুসরন করতে থাকে | পিছনে তাকিয়ে মাঝে মাঝে দেখে নেয় মেয়েটা ঠিকমতো আসছে কিনা | হঠাৎ নিজেকে জিবনে প্রথমবারের জন্য অভিভাবক টাইপ মনে হতে থাকে | নিজের মনেই একটু হেঁসে দেয় আকাশ যদিও সেটার কোনোরকম প্রকাশ মুখে পড়ে না |
একটু দুর এগিয়ে একটা ফাঁকা যায়গা দেখে দাঁড়ায় দুজনে | পাশের দোকান থেকে এক বোতল মিনারেল ওয়াটার কিনে এনে বিথীর হাতে দেয় | বিথী জল খেতে খেতে ও ফোনটা বের করে একটা উবের ভাড়া করে | দিদার কড়া নির্দেশ মেয়েটা বাসে করে অনেকটা রাস্তা আসবে, ভুলেও যেনো আবার বাসে করে না নিয়ে যায়, ট্যাক্সি ভাড়া করে |
উবের চালকের ম্যাপ দেখতে দেখতে আড় চোখে একবার বিথীর আপাদমস্তক জরিপ করে নেয় আকাশ | নাহ: , ছবি তো যতটা মনে হচ্ছিলো ততটা না হলেও একটু গেঁয়োই বলা চলে | তবে কেমন যেনো এক অদভূত সরলতা আর স্নিগ্ধতা আছে মেয়েটার মধ্যে | খুব ফরসা না হলেও ঠিক শ্যামবর্ণ বলা চলে না, চুল টা ভালোই বড় মনে হয়, মাথার নিচ থেকে একটা মাঝারি সাইজের খোঁপা করার পরেও প্রায় কোমরের নিচ অবধি পৌঁছে গিয়েছে | নীল রঙের চুরিদারে খুব সাধারন হলেও বেশ লাগছে | আর ওইটুকু সময়ে খুঁটিনাটি না বুঝতে পারলেও তন্বী শরীরে যে সমুদ্রের ঢেউ ভালোই আছে সেটা বুঝতে তেমন অসুবিধা হয় না আকাশের |
দেখতে দেখতে ক্যাব ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে ওদের লোকেশানে উপস্থিত হয়ে যায় | ব্যাগ পত্র গাড়ির ডিকিতে রেখে দুজনে গাড়িতে চেপে রওনা নিজেদের গন্তব্যের দিকে | দুজনেই চুপচাপ জানলা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে বসে থাকে বেশ কিছুক্ষন | অবশ্য দুজনের চুপ থাকার কারন ভিন্ন | একজন বেশ উৎসাহের সাথে কলকাতার সব অলি গলি, দোকানপাট, ব্রীজ এইসব দেখতে থাকে আর একজন সদ্য পরিচিত একটি মেয়েকে কি আর বলবে সেই ভেবে চুপ | কিন্তু হটাৎ ই আকাশের মনে একটা প্রশ্নের মেঘ জমাট বাঁধে | কিন্তু সেটা কি করে বলবে এইসব ভাবতে ভাবতে একটু গলা খাঁকিয়ে ওঠে | আচমকা ওই আওয়াজ শুনে ওর দিকে তাকায় বিথী, এতে লাভ হয় আকাশের, বলার সুযোগটা পেয়ে যায়
"আচ্ছা, তুমি আমায় চিনলে কি করে? আমি তো তোমায় দেখতে পাইনি "
প্রশ্নটা শুনে আবার আগের মতই একটা হাল্কা হাসির সাথে উত্তর দেয় বিথী
"আসলে বাপি আমায় আগেই তোমার ছবি দিয়ে দিয়েছিল ফোনে | আর আমি যেখানটায় নামলাম তার ঠিক সোজাসুজি একটু দুরেই তুমি দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলে | তাই চিনতে তেমন অসুবিধা হয়নি"
"তাও ওখানটা তো বেশ ভালোই ভীড় ছিলো | অতজনের মধ্যে আমায় ঠিক চিনতে পেরেছো, তাও আবার যেখানে আগে কখনও আমায় দেখোইনি | যথেষ্ট প্রশংসনীয় তোমার দৃষ্টি"
বিথী হাসিটা এবার আর একটু উজ্জ্বল করে
"কে বলেছে তোমায় আগে দেখিনি? বাবার কাছে তোমার বেশ কিছু ছবি আছে | দিদুন পাঠিয়েছিল বাবাকে | আর একটা কথা জানো আকাশদা? "
"কি? "
"নিজের মানুষকে হাজার মানুষের ভীড়ের মধ্যেও ঠিক চিনে নেওয়া যায় | অসুবিধা হয় না |"
কথাটা শেষ করেই আবার আগের মতই রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকে বিথী |
কিন্তু এই ছোট্ট একটা কথা আকাশের মনে কেমন যেনো মেঘ জমাট বাঁধিয়ে দেয় |
না চাইতেও ওর দিকে তাকিয়ে থাকে | মেয়েটার মধ্যে এক অমায়িক নিজস্বতা আছে | কিন্তু "নিজের মানুষ" বলতে কি বোঝালো ও? কে ওর নিজের মানুষ? আমি?