20-03-2020, 09:20 PM
(This post was last modified: 26-12-2020, 10:51 PM by kumdev. Edited 2 times in total. Edited 2 times in total.)
[৭৭]
মুনলাইট নার্সিং হোম এ্যাণ্ড পলি ক্লিনিক-এর ডকটরস তালিকায় দেখা যাবে ড যশবিন্দার কাউর।মাস খানেকের উপর এখানে যোগ দিয়েছে।খবরটা দিলীপ মারফৎ পেলেও ওরা একজন মহিলা গাইনির খোজ করছিল উপরন্তু ড সোমের স্ত্রী এই পরিচয় কিছুটা কাজে লেগেছে।অনেক অনুরোধ সত্বেও যশ সন্ধ্যের পর থাকতে রাজী হয়নি।অঙ্গন বাসায় ফিরে দেখবে যশ নেই একথা ভাবতে পারেনা যশ বিন্দার।অঙ্গন বেরিয়ে যাবার পর জেসমিনকে নিয়ে বের হল।বাসায় এখন দিবানিদ্রা দিচ্ছে মিতামাসী।বৌদিকে বলেছিল জেনকে রেখে যেতে কিন্তু যশ রাজী হয়নি।
ডিসি পাল কোথাও বেরিয়েছিল বাড়ী ফিরছেন।যশের গাড়ী আসতে রাস্তার ধারে সরে দাড়ালেন।গাড়ী অতিক্রম করতে চশমার উপর দিয়ে খানিক চেয়ে থাকেন। মেয়েছেলে গাড়ী চালায় ওদের বিশ্বাস নেই,দিল হয়তো ঘাড়ের উপর তুলে।এই ফ্যামিলিটাই গোলমেলে ড সোমের কথা শুনেছেন ওর নাকি একজন দক্ষিনী রক্ষিতা আছে।ছেলেটাও বাপের ধাত পেয়েছে।আগে বিয়ে করেছিল মায়ের বয়সী এক . মাগী,সেটা মরে বেচেছে।এবার একটা তুলেছে শিখ।দেশে কি স্বজাতি মেয়ের অভাব।সঞ্জয় বিয়ে করেছে তার যা লেখাপড়া ইচ্ছে করলে কি চাকরি করতে পারত না? যা দিনকাল পড়ল আরো কত কি দেখতে হবে।
মৌপিয়া বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে,সবিতা বলল,দিদিমণি ভিডিওটা চালাবেন?কি দেখতিছেন?
মৌপিয়া জিজ্ঞেস করল কাজ শেষ হয়েছে?
--কাজ শেষ না হলি বলতাম?
মৌপিয়া ভিডিও চালাতে গিয়ে জিজ্ঞেস করে,এইসব দেখলে তোমার শরীর গরম হয়না?
লাজুক হেসে সবিতা বলল,হবে না আবার আমার ছেক্স নাই?
--তাহলে দেখো কেন?
ভিডীও চালু হয়ে গেছে সবিতার কথা বলতে ভাল লাগছে না বলল,নিজিরা করলি একরকম অন্যেরটা দেখলি অন্য রকম।
টিভির পর্দায় চোখ আটকে আছে সবিতা চোখ না সরিয়ে জিজ্ঞেস করে,আচ্ছা দিদিমণি মেয়েগুলো ঘরে সোয়ামী নেই?
মৌপিয়া কি বলবে বুঝতে পারেনা বলল,দেখছো দেখো বক বক কোরনা। দ্বিধা থাকলেও মৌপিয়া জিজ্ঞেস করে,ড সোমের স্ত্রী কোথায় যায় রোজ তুমি জানো?
--কে ঐ মেম ডাক্তার?
--মেম কেন হবে।উনি পাঞ্জাবী।
-- মুনলাইটে যায়।খালি মেয়েদের দেখে।
মেয়েদের দেখে কথাটা বুঝতে পেরে মৌপিয়া হাসল।পাড়ায় একজন গাইনি এসেছেন ভালো।মেয়েদের ঝামেলা তো কম না।
--একজনের কথা আরেকজনরে বলা আমার স্বভাব না আপনেরে বলছি, নীরার বাপ দু-চক্ষে দেখতে পারেনা।
--কে ডিসি পাল?ওর কি ক্ষতি করল?
--সংসার ফেলে ড্যাং ড্যাঙ্গায়ে কাজ করতি যায় তাই বলতেছিল।
--তুমিও তো কাজ করো।
--এই কাজ না চাকরির কথা।
মৌপিয়া কিছু বলেনা।বয়স্ক লোকদের এই এক স্বভাব কেবল অন্যের খুঁত ধরা।কাজকর্ম না থাকলে যত আজেবাজে চিন্তা মাথায় ভীড় করে।
অনেক পেষেণ্ট ইতিমধ্যে এসে গেছে।ড যশ ঢুকতেই ওদের মধ্যে চঞ্চলতা শুরু।অবশ্য আগে থেকে নাম লেখা আছে সময় হলেই ডাক পড়বে।
পাশের চেয়ারে জেনকে বসিয়ে যশ বলল,মিস হাসদা ডাকুন।
মিনু হাসদা মুন লাইটের একজন নার্স।যশের সহকারী হিসেবে সাধারণত মিস হাসদাই থাকে।
একজন মহিলা তার বছর পচিশের মেয়েকে নিয়ে ঢুকলেন।
--আমার মেয়ে।পেটে যন্ত্রণা হয়।
যশ মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করে,কতদিন ধরে হচ্ছে?
--দশ বারো দিন হবে।
--ওখানে শুয়ে পড়ো।
মিস হাসদা মেয়েটিকে ধরে টেবিলের উপর শুইয়ে দিল।যশ প্যাণ্টের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে তলপেটে হাত রেখে জিজ্ঞেস করে,কতদিন বিয়ে হয়েছে?
মেয়ের মা বলল,বিয়ে?আর বলবেন না।এইটাই তো সমস্যা।আজকাল কি যে হয়েছে বলে বিয়ে করব না।
যশ বললেন,আপনি কথা বলবেন না ওকে বলতে দিন।তোমার বয় ফ্রেণ্ড আছে?
মেয়েটী ইতস্তত করে।যশ বলল,আমাকে গোপন করলে তোমারই ক্ষতি।
--এখন কেটে গেছে।মেয়েটী মৃদু স্বরে বলল।
--ওর সঙ্গে সহবাস করেছিলে?
--ও আমাকে জোর করে--।
--ঠিক আছে।তারপর ওষুধ খেয়েছিলে?
ফোন বাজতে মিনু হাসদা এগিয়ে গিয়ে রিসিভার তুলে বলল,মুন লাইট...হ্যা-হ্যা দিচ্ছি।ম্যাডাম স্যার ফোন করেছেন।
যশের মুখে হাসি।অঙ্গন ফোন করলে খুব ভাল লাগে।রিসিভার কানে লাগিয়ে বলল,হ্যা বলো..আজই....আচ্ছা আচ্ছা জেরক্স বুঝেছি...সাতটার মধ্যে ফিরে যাবো।রাখছি..সাবধানে থেকো।
মেয়েটির মা উত্তেজিত হয়ে বললেন,তুই তো আমাকে কিছু বলিস নি?হায় হায় বংশের নাম--।মিস হাসদা ইশারায় চুপ করতে বলে।
যশ নিজের চেয়ারে বসে মেয়েটীর মাকে বলল,শুনুন যা বলার মেয়েকে বাড়ীতে গিয়ে বলবেন।
--কি হয়েছে ম্যাডাম?
--ওষুধ সময়মতো খায়নি।গ্রোথ হয়ে গেছিল, পিণ্ডটা পেটে পচে গেছে।
ভদ্রমহিলা ভয়ার্ত গলায় বললেন,তাহলে?
--ভয় পাওয়ার কিছু নেই।নার্সিং হোমে ভর্তি হতে হবে।ওয়াশ করে দেব।একদিনের ব্যাপার।
ভদ্র মহিলা কাদো-কাদো গলায় বললেন,ম্যাডাম দেখবেন যেন জানাজানি না হয়--।
--আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন।মিস হাসদা নেক্সট। তাড়াতাড়ি করুন সাতটার পর এক মিনিটও থাকবো না।
--ম্যাডাম ওষুধ খেয়েও এরকম হয়?মিস হাসদা জিজ্ঞেস করে।
যশ অবাক হয়ে মিনুকে দেখে বলল,কণ্ডোম বেটার।
দেওয়ালে ঝোলানো ক্যালেণ্ডার দেখল,আজ ৭ই জানুয়ারী,নভেম্বরে প্রথম দিনই কনসিভ করে।অঙ্গনকে বলেনি.৭ই জানুয়ারী তার জীবনে বিশেষ দিন হয়ে থাকবে।
সন্ধ্যে হয়ে এসেছে।ডিসি পাল বিছানায় বসে চা পান করছেন।সঞ্জয় অফিস থেকে ফিরেছে।
--হ্যারে সঞ্জু পল্টু কি পাঞ্জাবী মেয়েছেলেটা বিয়ে করেছে?
সঞ্জয় বিরক্ত হয়ে বলল,আমি কি করে বলব?
--বাঃ তোরা বন্ধু বান্ধব কথা হয় না।
--সে বন্ধু ছিল আগে ছিল।এখন ও আর সেই পল্টু নেই এখন নামকরা একজন সার্জেন।ওর সময় কোথা?
--বড় ডাক্তার হলেই হয়না--।
--বাবা তোমার কি হয়েছে বলতো?পল্টূকে নিয়ে পড়ল
--দেববাবু সব বানিয়ে বলছে?,
--কে পল্টুর মামা?বাড়ীটা হাতাতে চেয়েছিল পারেনি তাই রাগ।
--যা তো।ডিসি পাল বিরক্ত হয়ে বললেন,যা বুঝিস না তা নিয়ে কথা বলিস না।
বাসায় ফিরতে দেরী হয়ে যায়।অঙ্গন তখনো ফেরেনি ভাবছিল বকা ঝকা করবে।ট্রলি ব্যাগ খুলে সার্টিফিকেট গুলো বের করে ভ্যানিটী ব্যাগে রাখল।আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজেকে দেখে।বাস্তবিক তার বাটক একটু ভারী।অঙ্গন বলছিল পায়জামা পরার জন্য বেশী ভারী মনে হয়,শাড়ীতে অতটা মনে হবে না।উড়ূনি মাথায় দিয়ে প্রতিবিম্বের দিকে ভেংচি কাটে।নীচে গাড়ীর শব্দ হতে বারান্দায় গিয়ে উকি দিল।মুখ বাড়ীয়ে বলল,তুমি মোহনজীকে চলে যেতে বলো।
--আমি উপরে উঠছিনা তাড়াতাড়ি এসো।
যশ ড্রাইভ করছে পিছনে জেনকে নিয়ে বসে আছে পল্টূ।রাস্তায় একটা দোকানের সামনে দাড়ীয়ে বলল,যাও এগুলো জেরক্স করে আনো।লেকভিউতে সব ব্যবস্থা আছে।
স্বপ্না আঢ্য ওদের অপেক্ষায় ছিলেন।উঠে দরজার কাছে গিয়ে বললেন,আসুন ড সোম।
ভিতরে ঢূকে একটা সোফায় দুজনে বসল।স্বপ্না আঢ্য একটা ফরম নিয়ে জিজ্ঞেস করেন,ড সোম আপনার বয়সটা?
পল্টু বলল,সেভেন্থ মে নাইন্টিন ফরটি সিক্স্।
যশের দিকে ঘুরে জিজ্ঞেস করলেন ম্যাডাম আপনার?
যশ বলল,সেকেণ্ড নভেম্বর নাইটিন ফরটি সিক্স।
পল্টু মনে মনে হিসেব করে,যশ তার চেয়ে মাস ছয়েকের ছোটো।অথচ সব সময় একটা গার্ডিয়ানগিরি ভাব থাকে।
সই সাবুদের পর স্বপ্না আঢ্য বললেন,সোম বলুন যশ বিন্দার সিং কাউরকে আমি পত্নী হিসেবে গ্রহণ করলাম।তারপর যশকে বললেন,অনঙ্গ দেব সোমকে আমি স্বামী হিসেবে গ্রহন করলাম।
যশ বলল,আননগ দেব সোমকে স্বামী হিসেবে গ্রহন করলাম।
স্বপ্না আঢ্য অবাক হয়ে পল্টুর দিকে তাকাতে হাত তুলে ইশারা করলেন,ভাবখানা ঠিক আছে।
স্বপ্না আঢ্যের অফিস থেকে বেরিয়ে যশ গাড়ী স্টার্ট করল।পল্টুর কোলে ঘুমন্ত জেন।হঠাৎ গাড়ীটা বাজারের কাছে দাড় করিয়ে যশ নেমে গেল।পল্টু বিরক্ত আবার কোথায় গেল?মেয়েটা তো জ্বালালে।কিছুক্ষন পর কয়েকটা মিষ্টির প্যাকেট আর সব কি জানলা দিয়ে পিছনে ঢুকিয়ে দিল।
যশ গাড়ী স্টার্ট করে গতি বাড়ীয়ে দিল।পল্টূ বলল,কি হচ্ছে কি আস্তে চালাও।
--হাজব্যাণ্ড ওয়াইফ এক সাথে মরবো।যশের মনে ফুর্তি।
--জেনের ঘুম ভেঙ্গে যাবে।যশ গাড়ীর গতি কমিয়ে দিল।
পল্টু ভাবে অঞ্জনার একেবারে বিপরীত।
মিতামাসী একা একা বসে ভাবে কোথায় গেল দুজনে?এমন তো করে না।আগের দিদিমণি ছিল শান্ত আর এই বৌদি তার উলটো।
মুনলাইট নার্সিং হোম এ্যাণ্ড পলি ক্লিনিক-এর ডকটরস তালিকায় দেখা যাবে ড যশবিন্দার কাউর।মাস খানেকের উপর এখানে যোগ দিয়েছে।খবরটা দিলীপ মারফৎ পেলেও ওরা একজন মহিলা গাইনির খোজ করছিল উপরন্তু ড সোমের স্ত্রী এই পরিচয় কিছুটা কাজে লেগেছে।অনেক অনুরোধ সত্বেও যশ সন্ধ্যের পর থাকতে রাজী হয়নি।অঙ্গন বাসায় ফিরে দেখবে যশ নেই একথা ভাবতে পারেনা যশ বিন্দার।অঙ্গন বেরিয়ে যাবার পর জেসমিনকে নিয়ে বের হল।বাসায় এখন দিবানিদ্রা দিচ্ছে মিতামাসী।বৌদিকে বলেছিল জেনকে রেখে যেতে কিন্তু যশ রাজী হয়নি।
ডিসি পাল কোথাও বেরিয়েছিল বাড়ী ফিরছেন।যশের গাড়ী আসতে রাস্তার ধারে সরে দাড়ালেন।গাড়ী অতিক্রম করতে চশমার উপর দিয়ে খানিক চেয়ে থাকেন। মেয়েছেলে গাড়ী চালায় ওদের বিশ্বাস নেই,দিল হয়তো ঘাড়ের উপর তুলে।এই ফ্যামিলিটাই গোলমেলে ড সোমের কথা শুনেছেন ওর নাকি একজন দক্ষিনী রক্ষিতা আছে।ছেলেটাও বাপের ধাত পেয়েছে।আগে বিয়ে করেছিল মায়ের বয়সী এক . মাগী,সেটা মরে বেচেছে।এবার একটা তুলেছে শিখ।দেশে কি স্বজাতি মেয়ের অভাব।সঞ্জয় বিয়ে করেছে তার যা লেখাপড়া ইচ্ছে করলে কি চাকরি করতে পারত না? যা দিনকাল পড়ল আরো কত কি দেখতে হবে।
মৌপিয়া বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে,সবিতা বলল,দিদিমণি ভিডিওটা চালাবেন?কি দেখতিছেন?
মৌপিয়া জিজ্ঞেস করল কাজ শেষ হয়েছে?
--কাজ শেষ না হলি বলতাম?
মৌপিয়া ভিডিও চালাতে গিয়ে জিজ্ঞেস করে,এইসব দেখলে তোমার শরীর গরম হয়না?
লাজুক হেসে সবিতা বলল,হবে না আবার আমার ছেক্স নাই?
--তাহলে দেখো কেন?
ভিডীও চালু হয়ে গেছে সবিতার কথা বলতে ভাল লাগছে না বলল,নিজিরা করলি একরকম অন্যেরটা দেখলি অন্য রকম।
টিভির পর্দায় চোখ আটকে আছে সবিতা চোখ না সরিয়ে জিজ্ঞেস করে,আচ্ছা দিদিমণি মেয়েগুলো ঘরে সোয়ামী নেই?
মৌপিয়া কি বলবে বুঝতে পারেনা বলল,দেখছো দেখো বক বক কোরনা। দ্বিধা থাকলেও মৌপিয়া জিজ্ঞেস করে,ড সোমের স্ত্রী কোথায় যায় রোজ তুমি জানো?
--কে ঐ মেম ডাক্তার?
--মেম কেন হবে।উনি পাঞ্জাবী।
-- মুনলাইটে যায়।খালি মেয়েদের দেখে।
মেয়েদের দেখে কথাটা বুঝতে পেরে মৌপিয়া হাসল।পাড়ায় একজন গাইনি এসেছেন ভালো।মেয়েদের ঝামেলা তো কম না।
--একজনের কথা আরেকজনরে বলা আমার স্বভাব না আপনেরে বলছি, নীরার বাপ দু-চক্ষে দেখতে পারেনা।
--কে ডিসি পাল?ওর কি ক্ষতি করল?
--সংসার ফেলে ড্যাং ড্যাঙ্গায়ে কাজ করতি যায় তাই বলতেছিল।
--তুমিও তো কাজ করো।
--এই কাজ না চাকরির কথা।
মৌপিয়া কিছু বলেনা।বয়স্ক লোকদের এই এক স্বভাব কেবল অন্যের খুঁত ধরা।কাজকর্ম না থাকলে যত আজেবাজে চিন্তা মাথায় ভীড় করে।
অনেক পেষেণ্ট ইতিমধ্যে এসে গেছে।ড যশ ঢুকতেই ওদের মধ্যে চঞ্চলতা শুরু।অবশ্য আগে থেকে নাম লেখা আছে সময় হলেই ডাক পড়বে।
পাশের চেয়ারে জেনকে বসিয়ে যশ বলল,মিস হাসদা ডাকুন।
মিনু হাসদা মুন লাইটের একজন নার্স।যশের সহকারী হিসেবে সাধারণত মিস হাসদাই থাকে।
একজন মহিলা তার বছর পচিশের মেয়েকে নিয়ে ঢুকলেন।
--আমার মেয়ে।পেটে যন্ত্রণা হয়।
যশ মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করে,কতদিন ধরে হচ্ছে?
--দশ বারো দিন হবে।
--ওখানে শুয়ে পড়ো।
মিস হাসদা মেয়েটিকে ধরে টেবিলের উপর শুইয়ে দিল।যশ প্যাণ্টের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে তলপেটে হাত রেখে জিজ্ঞেস করে,কতদিন বিয়ে হয়েছে?
মেয়ের মা বলল,বিয়ে?আর বলবেন না।এইটাই তো সমস্যা।আজকাল কি যে হয়েছে বলে বিয়ে করব না।
যশ বললেন,আপনি কথা বলবেন না ওকে বলতে দিন।তোমার বয় ফ্রেণ্ড আছে?
মেয়েটী ইতস্তত করে।যশ বলল,আমাকে গোপন করলে তোমারই ক্ষতি।
--এখন কেটে গেছে।মেয়েটী মৃদু স্বরে বলল।
--ওর সঙ্গে সহবাস করেছিলে?
--ও আমাকে জোর করে--।
--ঠিক আছে।তারপর ওষুধ খেয়েছিলে?
ফোন বাজতে মিনু হাসদা এগিয়ে গিয়ে রিসিভার তুলে বলল,মুন লাইট...হ্যা-হ্যা দিচ্ছি।ম্যাডাম স্যার ফোন করেছেন।
যশের মুখে হাসি।অঙ্গন ফোন করলে খুব ভাল লাগে।রিসিভার কানে লাগিয়ে বলল,হ্যা বলো..আজই....আচ্ছা আচ্ছা জেরক্স বুঝেছি...সাতটার মধ্যে ফিরে যাবো।রাখছি..সাবধানে থেকো।
মেয়েটির মা উত্তেজিত হয়ে বললেন,তুই তো আমাকে কিছু বলিস নি?হায় হায় বংশের নাম--।মিস হাসদা ইশারায় চুপ করতে বলে।
যশ নিজের চেয়ারে বসে মেয়েটীর মাকে বলল,শুনুন যা বলার মেয়েকে বাড়ীতে গিয়ে বলবেন।
--কি হয়েছে ম্যাডাম?
--ওষুধ সময়মতো খায়নি।গ্রোথ হয়ে গেছিল, পিণ্ডটা পেটে পচে গেছে।
ভদ্রমহিলা ভয়ার্ত গলায় বললেন,তাহলে?
--ভয় পাওয়ার কিছু নেই।নার্সিং হোমে ভর্তি হতে হবে।ওয়াশ করে দেব।একদিনের ব্যাপার।
ভদ্র মহিলা কাদো-কাদো গলায় বললেন,ম্যাডাম দেখবেন যেন জানাজানি না হয়--।
--আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন।মিস হাসদা নেক্সট। তাড়াতাড়ি করুন সাতটার পর এক মিনিটও থাকবো না।
--ম্যাডাম ওষুধ খেয়েও এরকম হয়?মিস হাসদা জিজ্ঞেস করে।
যশ অবাক হয়ে মিনুকে দেখে বলল,কণ্ডোম বেটার।
দেওয়ালে ঝোলানো ক্যালেণ্ডার দেখল,আজ ৭ই জানুয়ারী,নভেম্বরে প্রথম দিনই কনসিভ করে।অঙ্গনকে বলেনি.৭ই জানুয়ারী তার জীবনে বিশেষ দিন হয়ে থাকবে।
সন্ধ্যে হয়ে এসেছে।ডিসি পাল বিছানায় বসে চা পান করছেন।সঞ্জয় অফিস থেকে ফিরেছে।
--হ্যারে সঞ্জু পল্টু কি পাঞ্জাবী মেয়েছেলেটা বিয়ে করেছে?
সঞ্জয় বিরক্ত হয়ে বলল,আমি কি করে বলব?
--বাঃ তোরা বন্ধু বান্ধব কথা হয় না।
--সে বন্ধু ছিল আগে ছিল।এখন ও আর সেই পল্টু নেই এখন নামকরা একজন সার্জেন।ওর সময় কোথা?
--বড় ডাক্তার হলেই হয়না--।
--বাবা তোমার কি হয়েছে বলতো?পল্টূকে নিয়ে পড়ল
--দেববাবু সব বানিয়ে বলছে?,
--কে পল্টুর মামা?বাড়ীটা হাতাতে চেয়েছিল পারেনি তাই রাগ।
--যা তো।ডিসি পাল বিরক্ত হয়ে বললেন,যা বুঝিস না তা নিয়ে কথা বলিস না।
বাসায় ফিরতে দেরী হয়ে যায়।অঙ্গন তখনো ফেরেনি ভাবছিল বকা ঝকা করবে।ট্রলি ব্যাগ খুলে সার্টিফিকেট গুলো বের করে ভ্যানিটী ব্যাগে রাখল।আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজেকে দেখে।বাস্তবিক তার বাটক একটু ভারী।অঙ্গন বলছিল পায়জামা পরার জন্য বেশী ভারী মনে হয়,শাড়ীতে অতটা মনে হবে না।উড়ূনি মাথায় দিয়ে প্রতিবিম্বের দিকে ভেংচি কাটে।নীচে গাড়ীর শব্দ হতে বারান্দায় গিয়ে উকি দিল।মুখ বাড়ীয়ে বলল,তুমি মোহনজীকে চলে যেতে বলো।
--আমি উপরে উঠছিনা তাড়াতাড়ি এসো।
যশ ড্রাইভ করছে পিছনে জেনকে নিয়ে বসে আছে পল্টূ।রাস্তায় একটা দোকানের সামনে দাড়ীয়ে বলল,যাও এগুলো জেরক্স করে আনো।লেকভিউতে সব ব্যবস্থা আছে।
স্বপ্না আঢ্য ওদের অপেক্ষায় ছিলেন।উঠে দরজার কাছে গিয়ে বললেন,আসুন ড সোম।
ভিতরে ঢূকে একটা সোফায় দুজনে বসল।স্বপ্না আঢ্য একটা ফরম নিয়ে জিজ্ঞেস করেন,ড সোম আপনার বয়সটা?
পল্টু বলল,সেভেন্থ মে নাইন্টিন ফরটি সিক্স্।
যশের দিকে ঘুরে জিজ্ঞেস করলেন ম্যাডাম আপনার?
যশ বলল,সেকেণ্ড নভেম্বর নাইটিন ফরটি সিক্স।
পল্টু মনে মনে হিসেব করে,যশ তার চেয়ে মাস ছয়েকের ছোটো।অথচ সব সময় একটা গার্ডিয়ানগিরি ভাব থাকে।
সই সাবুদের পর স্বপ্না আঢ্য বললেন,সোম বলুন যশ বিন্দার সিং কাউরকে আমি পত্নী হিসেবে গ্রহণ করলাম।তারপর যশকে বললেন,অনঙ্গ দেব সোমকে আমি স্বামী হিসেবে গ্রহন করলাম।
যশ বলল,আননগ দেব সোমকে স্বামী হিসেবে গ্রহন করলাম।
স্বপ্না আঢ্য অবাক হয়ে পল্টুর দিকে তাকাতে হাত তুলে ইশারা করলেন,ভাবখানা ঠিক আছে।
স্বপ্না আঢ্যের অফিস থেকে বেরিয়ে যশ গাড়ী স্টার্ট করল।পল্টুর কোলে ঘুমন্ত জেন।হঠাৎ গাড়ীটা বাজারের কাছে দাড় করিয়ে যশ নেমে গেল।পল্টু বিরক্ত আবার কোথায় গেল?মেয়েটা তো জ্বালালে।কিছুক্ষন পর কয়েকটা মিষ্টির প্যাকেট আর সব কি জানলা দিয়ে পিছনে ঢুকিয়ে দিল।
যশ গাড়ী স্টার্ট করে গতি বাড়ীয়ে দিল।পল্টূ বলল,কি হচ্ছে কি আস্তে চালাও।
--হাজব্যাণ্ড ওয়াইফ এক সাথে মরবো।যশের মনে ফুর্তি।
--জেনের ঘুম ভেঙ্গে যাবে।যশ গাড়ীর গতি কমিয়ে দিল।
পল্টু ভাবে অঞ্জনার একেবারে বিপরীত।
মিতামাসী একা একা বসে ভাবে কোথায় গেল দুজনে?এমন তো করে না।আগের দিদিমণি ছিল শান্ত আর এই বৌদি তার উলটো।