16-03-2020, 08:50 PM
পর্ব-০৩
-----------------------------------
আমি এবার শেষ নিলাকে যা লাগছে না।খোলা চুলে। ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক।চোখে হালকা নীল আইশেড। সব মিলিয়ে একদম পারফেক্ট।
:-----কিরে।(নিলা)
:-----হুমম। কেমন আছিস।(আপু)
:-----হুমম আছি ভালোই।তা আকাশ কেমন আছো।(নিলা)
:-----এই আকাশ।(আপু আমাকে একটু ধাক্কা দিলো)
:-----হুমম...হ্যাঁ....হ্যাঁ....ভালো।তুমি কেমন আছো।(আমি)
:-----হুমম আমিও ভালো।(নিলা)
:-----আচ্ছা তুই ক্লাসে যা।(আপু)
কি করার। একটু এগিয়ে দেখি রাফি আর আল-আমীন বসে আড্ডা দিচ্ছে।আমিও যোগদান করলাম।
:-----কিরে এতো দেরি কেনো।(রাফি)
:-----আর বলিস না।আপুর সাথে রাগ করছিলাম।(আমি)
:-----কেনো কি হলো আবার।(রাফি)
:-----আরে নিলাকে মেনে নেবে না বলেছিলো তাই।(আমি)
:-----ওহ্।চল এখন ভাবিকে দেখে আসি।(আল-আমীন)
:-----হুমম চল।(আমি)
তিনজন নিলার পিছু নিলাম। নিলাকে দেখার পর।
:-----দোস্ত তোর চয়েজ আছে।(রাফি)
:-----হুমম দোস্ত ভাবি আসলেই সুন্দরী।(আল-আমীন)
:-----হইছে আর পাম মারিস না।(আমি)
:-----পাম না রে সত্যিই।(রাফি)
:-----হইছে চল এখন ক্লাসে।আপু বাইরে দেখলে আমার চোদ্দটা বাজাবে।(আমি)
:-----হুমম চল।(আল-আমীন)
কয়টা ক্লাস করে বের হয়ে গেলাম।ক্লাসে কি আর এখন মন বসবে নাকি। বের হতেই দেখি আমার নিলা পরীটা গাছের নিচে একা একা বসে আছে।
:-----কিগো নিলা-পরী।একা একা আমার কথাই ভাবছিলে নাকি।(আমি)
:-----ওহ্ আকাশ।বসো এখানে।(নিলা)
:-----হুমম আপু কোথায়।
:-----রুহি তো বাসায় চলে গেছে।ওর নাকি বাসায় কি কাজ আছে।
:-----ওহ্।তা একা একা বসে কার কথা ভাবছিলে।বি এফের কথা নাকি।(কথাটা বলতে খারাপ লাগলো কিন্তু জিজ্ঞাসা তো করতেই হবে)
:-----কি যে বলো।আমার আবার বি এফ।(ভুবন ভোলানো একটা হাসি দিলো)
:-----আমা......(কথাটা শেষ করতে পারলাম না)
:-----আরে আকাশ এখানে কি করিস।মেয়েদের সাথে কথা বলছিস।(রাত্রি আপু)
:-----আরে আপু কি যে বলো তুমি।আমি কি সেরকম ছেলে নাকি।(আমি)
:-----আজ তো রুহি নেই আসল কথাটা বলেই ফেলি।নাহলে দেরী হয়ে যেতে পারে।(রাত্রি আপু)
:----কি এমন কথা যা আপুর সামনে বলা যাবে না।আবার দেরী ও হয়ে যেতে পারে।ঠিক বুঝলাম না।(আমি)
:-----আসলে...কিভাবে যে বলি।(রাত্রি আপু)
:-----আরে বলে ফেলো তো।(আমি)
:-----আসলে আকাশ আমি না তোকে খুব ভালোবাসি।আমাকে ভালোবাসবি।খুব ভালোবাসি রে তোকে।রুহি সবসময় তোর সাথে থাকে বলে বলতে পারি না।কিন্তু আজ বলেই দিলাম।প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিস না।(এক নিঃশ্বাসে সবগুলো কথা বলে ফেললো রাত্রি আপু)
:-----রাত্রি তুই এগুলো কি বলছিস।তুই কি জানিস না যে আকাশ কে আমি সেই কবে থেকে পছন্দ করি।(রিয়া আপু)
:-----আরে তোমরা এমন মজা করছো কেনো।আর ভালোবাসা নিয়ে কেউ মজা করে।(আমি কিছুটা রাগে কথাটা বললাম)
(নিলা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আর আমাদের কথা শুনছে)
:----মজা না।সত্যিই তোকে খুব ভালোবাসি।(রাত্রি আপু)
:-----আমিও মজা করছি না।(রিয়া আপু)
:-----না এটা কখনোই হতে পারে না।(আমি)
:-----কেনো হতে পারে না।আমরা কি দেখতে খারাপ।(রাত্রি আর রিয়া আপু একসাথে বলে উঠলো)
:-----না তোমরা দেখতে খারাপ কেনো হবে।প্রথম কারণ তোমাদের আমি ওই নজরে কখনো দেখিনি।আর দ্বিতীয়ত আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি।(আমি)
রাত্রি আপুর চোখে পানি টলমল করছে।মনে হচ্ছে এখনি বৃষ্টি আসবে
আর কিছু না বলে রাত্রি আপু কান্না করতে করতে চলে গেলো। এরপর রিয়া আপু আমার দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে চলে গেলো।
আমি ধপাস করে বসে পড়লাম।
:-----কি হলো আকাশ।শরীর খারাপ লাগছে নাকি।(নিলা)
আমার মাথায় রিয়া আর রাত্রি আপুর কথা ঘুরছে।
:-----কী হলো কিছুই বুঝতে পারলাম না।আর তুমি কাকে ভালোবাসো যে ওদের মতো সুন্দরী দুইটা মেয়েকে দ্বিতীয়বার না ভেবে ফিরিয়ে দিলে।(নিলা)
:-----সে অন্য কেউ নয়।সেটা তুমি।তোমকে সেদিন প্রথম দেখেই খুব ভালোবেসে ফেলেছি।আর তোমার জন্য যে কাউকে আমি ফিরিয়ে দিতে দ্বিতীয়বার ভাববো না।এখন ভালোবাসা না বাসা তোমার হাতে।আমার মনের কথা আমি বলে দিলাম।(এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে ফেললাম।কি বললাম কিছুই বুঝলাম না।যা মুখে এসেছে সব বলে দিয়েছি)
:-----দেখো আকাশ আমি তোমার থেকে বয়সে বড় আর এটা কোনোভাবেই সম্ভব না।আর সমাজের লোকেরা কি ভাববে।তোমার জন্যে এটাই ভালো হবে আমাকে ভুলে যাও।(নিলা কথাগুলো বলেই চলে গেলো)
আমি ওখানেই বসে আছি।চোখে কিছু তরল অনুভব করলাম।শেষ কবে কান্না করেছি মনে নেই। কিছুক্ষণ পরে বাইকটা নিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করলাম। বাসায় গেলাম না। আল-আমীন আর রাফিকে ফোন দিয়ে আনলাম। একটা বারে গিয়ে খুব ড্রিংকস করলাম। ওরা আমাকে অনেক নিষেধ করেছে। হঠাৎ আমি আমার ভারসাম্য হারাচ্ছি। তারপর কিছু কিছু মনে আছে। রাফি আর আল-আমীন আমাকে বাসায় পৌছে দিয়ে গেলো। আম্মু আর আপু আমার এ অবস্থা দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে গেছে। কারণ এর আগে কখনো আমি এমন নেশা করে বাসায় আসিনি। খুব সামান্যই ড্রিংকস করতাম।বন্ধুদের পার্টি থাকলে।
এছাড়া কখনো ড্রিংকস করতাম না। রাফি আর আল-আমীন আমাকে ধরে আমার রোমে দিয়ে গেলো। তারপরে আর কিছু মনে নেই। পরের দিন ঘুম ভাঙলো। অনেক বেলা হয়ে গেছে মনে হলো।
আমার ঘুম কিছুক্ষনের মধ্যেই আপু হাজির।
:-----তোর কি হয়েছিলো রে।এমন ড্রিংকস করে তো আগে বাসায় আসিসনি।
:-----না এমনিই।(একটা বাজে স হাসি দিয়ে বললাম) মাথাটা এখনো ভার হয়ে আছে।
আপু লেবুর শরবত খাইয়ে দিয়ে গেলো। আমি ফ্রেশ হয়ে শুয়ে আছি।
ভাবছি নিলার কথা। আমার সাথে এমনটা না করলেও পারতো।
নিজের থেকে বয়সে ছোটো ছেলেদের কি ভালোবাসা যায় না।
সারাদিন পরে বিকালে একটু বাইরে বের হলাম। চায়ের দোকানের সামনে আমি,রাফি আর আল-আমীন বসে চা খাচ্ছি আর আড্ডা দিচ্ছি। কালকের ঘটনা খুলে বললাম। এমন সময় পাশের গার্লস কলেজ টা ছুটি দিলো। একটু পরে দেখি নিশা বের হচ্ছে।(নিশা হচ্ছে নিলার ছোট বোনের নাম)
:-----কিরে শালি।(আমি)
:-----আকাশ ভাইয়া তুমি আমাকে শালি বললে কেনো।(নিশা)
:-----তোর বোনকে যদি আমি বিয়ে করি তাহলে তুই আমার কি হবি।
:-----হুমম...হুমম...(একটু ভেবে)শালি ই হবো।কিন্তু আপুকে বিয়ে করবে মানে কি।(মেয়েটা অনেক পাঁকা)
:-----কেনো আমাকে কি তোর বোনের সাথে মানাবে না।
:-----হুমম।দেখতে তো ভালোই।তবে.....(কথা শেষ করার আগেই হাতে দুইটা ক্যাটবেরী ডেইরি মিল্ক ধরিয়ে দিলাম)
:-----হুমম।তুমি তো আমার আপুর জন্যে একদম পারফেক্ট।
:-----অনেক পাকামো হয়েছে।এখন বাইকে বসে পড়।
:-----কেনো।
:-----তোকে কিডন্যাপ করবো।হয়েছে।
:-----ওরে বাবা।আমি তো ভয় পেয়ে গেছি।
:-----এবার ওঠ।
:-----হুমম।
:-----এই তোর আপুর ফোন নাম্বার টা দে তো।
:-----আপু তো ফোন ব্যবহার করে না।
:-----এই নে।(আরো দুইটা চকলেট দিলাম)
:-----018........
:-----গুড গার্ল। ফুচকা খাবি
:-----না।ফুচকা খেতে গেলে অনেক দেরী হয়ে যাবে।
:-----ওকে।
নিশাকে বাড়িতে পৌছে দিয়ে গেলাম। বাসায় এসে শুয়ে আছি।
একটুপরে নিলাকে কল দিলাম।
চলবে........
-----------------------------------
আমি এবার শেষ নিলাকে যা লাগছে না।খোলা চুলে। ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক।চোখে হালকা নীল আইশেড। সব মিলিয়ে একদম পারফেক্ট।
:-----কিরে।(নিলা)
:-----হুমম। কেমন আছিস।(আপু)
:-----হুমম আছি ভালোই।তা আকাশ কেমন আছো।(নিলা)
:-----এই আকাশ।(আপু আমাকে একটু ধাক্কা দিলো)
:-----হুমম...হ্যাঁ....হ্যাঁ....ভালো।তুমি কেমন আছো।(আমি)
:-----হুমম আমিও ভালো।(নিলা)
:-----আচ্ছা তুই ক্লাসে যা।(আপু)
কি করার। একটু এগিয়ে দেখি রাফি আর আল-আমীন বসে আড্ডা দিচ্ছে।আমিও যোগদান করলাম।
:-----কিরে এতো দেরি কেনো।(রাফি)
:-----আর বলিস না।আপুর সাথে রাগ করছিলাম।(আমি)
:-----কেনো কি হলো আবার।(রাফি)
:-----আরে নিলাকে মেনে নেবে না বলেছিলো তাই।(আমি)
:-----ওহ্।চল এখন ভাবিকে দেখে আসি।(আল-আমীন)
:-----হুমম চল।(আমি)
তিনজন নিলার পিছু নিলাম। নিলাকে দেখার পর।
:-----দোস্ত তোর চয়েজ আছে।(রাফি)
:-----হুমম দোস্ত ভাবি আসলেই সুন্দরী।(আল-আমীন)
:-----হইছে আর পাম মারিস না।(আমি)
:-----পাম না রে সত্যিই।(রাফি)
:-----হইছে চল এখন ক্লাসে।আপু বাইরে দেখলে আমার চোদ্দটা বাজাবে।(আমি)
:-----হুমম চল।(আল-আমীন)
কয়টা ক্লাস করে বের হয়ে গেলাম।ক্লাসে কি আর এখন মন বসবে নাকি। বের হতেই দেখি আমার নিলা পরীটা গাছের নিচে একা একা বসে আছে।
:-----কিগো নিলা-পরী।একা একা আমার কথাই ভাবছিলে নাকি।(আমি)
:-----ওহ্ আকাশ।বসো এখানে।(নিলা)
:-----হুমম আপু কোথায়।
:-----রুহি তো বাসায় চলে গেছে।ওর নাকি বাসায় কি কাজ আছে।
:-----ওহ্।তা একা একা বসে কার কথা ভাবছিলে।বি এফের কথা নাকি।(কথাটা বলতে খারাপ লাগলো কিন্তু জিজ্ঞাসা তো করতেই হবে)
:-----কি যে বলো।আমার আবার বি এফ।(ভুবন ভোলানো একটা হাসি দিলো)
:-----আমা......(কথাটা শেষ করতে পারলাম না)
:-----আরে আকাশ এখানে কি করিস।মেয়েদের সাথে কথা বলছিস।(রাত্রি আপু)
:-----আরে আপু কি যে বলো তুমি।আমি কি সেরকম ছেলে নাকি।(আমি)
:-----আজ তো রুহি নেই আসল কথাটা বলেই ফেলি।নাহলে দেরী হয়ে যেতে পারে।(রাত্রি আপু)
:----কি এমন কথা যা আপুর সামনে বলা যাবে না।আবার দেরী ও হয়ে যেতে পারে।ঠিক বুঝলাম না।(আমি)
:-----আসলে...কিভাবে যে বলি।(রাত্রি আপু)
:-----আরে বলে ফেলো তো।(আমি)
:-----আসলে আকাশ আমি না তোকে খুব ভালোবাসি।আমাকে ভালোবাসবি।খুব ভালোবাসি রে তোকে।রুহি সবসময় তোর সাথে থাকে বলে বলতে পারি না।কিন্তু আজ বলেই দিলাম।প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিস না।(এক নিঃশ্বাসে সবগুলো কথা বলে ফেললো রাত্রি আপু)
:-----রাত্রি তুই এগুলো কি বলছিস।তুই কি জানিস না যে আকাশ কে আমি সেই কবে থেকে পছন্দ করি।(রিয়া আপু)
:-----আরে তোমরা এমন মজা করছো কেনো।আর ভালোবাসা নিয়ে কেউ মজা করে।(আমি কিছুটা রাগে কথাটা বললাম)
(নিলা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আর আমাদের কথা শুনছে)
:----মজা না।সত্যিই তোকে খুব ভালোবাসি।(রাত্রি আপু)
:-----আমিও মজা করছি না।(রিয়া আপু)
:-----না এটা কখনোই হতে পারে না।(আমি)
:-----কেনো হতে পারে না।আমরা কি দেখতে খারাপ।(রাত্রি আর রিয়া আপু একসাথে বলে উঠলো)
:-----না তোমরা দেখতে খারাপ কেনো হবে।প্রথম কারণ তোমাদের আমি ওই নজরে কখনো দেখিনি।আর দ্বিতীয়ত আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি।(আমি)
রাত্রি আপুর চোখে পানি টলমল করছে।মনে হচ্ছে এখনি বৃষ্টি আসবে
আর কিছু না বলে রাত্রি আপু কান্না করতে করতে চলে গেলো। এরপর রিয়া আপু আমার দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে চলে গেলো।
আমি ধপাস করে বসে পড়লাম।
:-----কি হলো আকাশ।শরীর খারাপ লাগছে নাকি।(নিলা)
আমার মাথায় রিয়া আর রাত্রি আপুর কথা ঘুরছে।
:-----কী হলো কিছুই বুঝতে পারলাম না।আর তুমি কাকে ভালোবাসো যে ওদের মতো সুন্দরী দুইটা মেয়েকে দ্বিতীয়বার না ভেবে ফিরিয়ে দিলে।(নিলা)
:-----সে অন্য কেউ নয়।সেটা তুমি।তোমকে সেদিন প্রথম দেখেই খুব ভালোবেসে ফেলেছি।আর তোমার জন্য যে কাউকে আমি ফিরিয়ে দিতে দ্বিতীয়বার ভাববো না।এখন ভালোবাসা না বাসা তোমার হাতে।আমার মনের কথা আমি বলে দিলাম।(এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে ফেললাম।কি বললাম কিছুই বুঝলাম না।যা মুখে এসেছে সব বলে দিয়েছি)
:-----দেখো আকাশ আমি তোমার থেকে বয়সে বড় আর এটা কোনোভাবেই সম্ভব না।আর সমাজের লোকেরা কি ভাববে।তোমার জন্যে এটাই ভালো হবে আমাকে ভুলে যাও।(নিলা কথাগুলো বলেই চলে গেলো)
আমি ওখানেই বসে আছি।চোখে কিছু তরল অনুভব করলাম।শেষ কবে কান্না করেছি মনে নেই। কিছুক্ষণ পরে বাইকটা নিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করলাম। বাসায় গেলাম না। আল-আমীন আর রাফিকে ফোন দিয়ে আনলাম। একটা বারে গিয়ে খুব ড্রিংকস করলাম। ওরা আমাকে অনেক নিষেধ করেছে। হঠাৎ আমি আমার ভারসাম্য হারাচ্ছি। তারপর কিছু কিছু মনে আছে। রাফি আর আল-আমীন আমাকে বাসায় পৌছে দিয়ে গেলো। আম্মু আর আপু আমার এ অবস্থা দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে গেছে। কারণ এর আগে কখনো আমি এমন নেশা করে বাসায় আসিনি। খুব সামান্যই ড্রিংকস করতাম।বন্ধুদের পার্টি থাকলে।
এছাড়া কখনো ড্রিংকস করতাম না। রাফি আর আল-আমীন আমাকে ধরে আমার রোমে দিয়ে গেলো। তারপরে আর কিছু মনে নেই। পরের দিন ঘুম ভাঙলো। অনেক বেলা হয়ে গেছে মনে হলো।
আমার ঘুম কিছুক্ষনের মধ্যেই আপু হাজির।
:-----তোর কি হয়েছিলো রে।এমন ড্রিংকস করে তো আগে বাসায় আসিসনি।
:-----না এমনিই।(একটা বাজে স হাসি দিয়ে বললাম) মাথাটা এখনো ভার হয়ে আছে।
আপু লেবুর শরবত খাইয়ে দিয়ে গেলো। আমি ফ্রেশ হয়ে শুয়ে আছি।
ভাবছি নিলার কথা। আমার সাথে এমনটা না করলেও পারতো।
নিজের থেকে বয়সে ছোটো ছেলেদের কি ভালোবাসা যায় না।
সারাদিন পরে বিকালে একটু বাইরে বের হলাম। চায়ের দোকানের সামনে আমি,রাফি আর আল-আমীন বসে চা খাচ্ছি আর আড্ডা দিচ্ছি। কালকের ঘটনা খুলে বললাম। এমন সময় পাশের গার্লস কলেজ টা ছুটি দিলো। একটু পরে দেখি নিশা বের হচ্ছে।(নিশা হচ্ছে নিলার ছোট বোনের নাম)
:-----কিরে শালি।(আমি)
:-----আকাশ ভাইয়া তুমি আমাকে শালি বললে কেনো।(নিশা)
:-----তোর বোনকে যদি আমি বিয়ে করি তাহলে তুই আমার কি হবি।
:-----হুমম...হুমম...(একটু ভেবে)শালি ই হবো।কিন্তু আপুকে বিয়ে করবে মানে কি।(মেয়েটা অনেক পাঁকা)
:-----কেনো আমাকে কি তোর বোনের সাথে মানাবে না।
:-----হুমম।দেখতে তো ভালোই।তবে.....(কথা শেষ করার আগেই হাতে দুইটা ক্যাটবেরী ডেইরি মিল্ক ধরিয়ে দিলাম)
:-----হুমম।তুমি তো আমার আপুর জন্যে একদম পারফেক্ট।
:-----অনেক পাকামো হয়েছে।এখন বাইকে বসে পড়।
:-----কেনো।
:-----তোকে কিডন্যাপ করবো।হয়েছে।
:-----ওরে বাবা।আমি তো ভয় পেয়ে গেছি।
:-----এবার ওঠ।
:-----হুমম।
:-----এই তোর আপুর ফোন নাম্বার টা দে তো।
:-----আপু তো ফোন ব্যবহার করে না।
:-----এই নে।(আরো দুইটা চকলেট দিলাম)
:-----018........
:-----গুড গার্ল। ফুচকা খাবি
:-----না।ফুচকা খেতে গেলে অনেক দেরী হয়ে যাবে।
:-----ওকে।
নিশাকে বাড়িতে পৌছে দিয়ে গেলাম। বাসায় এসে শুয়ে আছি।
একটুপরে নিলাকে কল দিলাম।
চলবে........