Thread Rating:
  • 52 Vote(s) - 3.35 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery কোন কূলে যে ভীড়লো তরী/কামদেব
        [৬৬]



                      সকালে খেতে বসে ভাত নাড়তে নাড়তে পল্টু গভীর চিন্তায় নিমগ্ন। গুরুত্বপুর্ণ অপারেশন আছে না গেলেই নয়। অঞ্জুকে রেখে ইচ্ছে করছে না যেতে।খাটে শুয়ে শুয়ে দেখছে খাদিজা বেগম,অবিন্যস্ত বেশবাস উঠে এসে জিজ্ঞেস করে, কি ভাবছো বলতো?
খাদিজা বেগমকে দেখে পল্টু উদবিগ্ন স্বরে বলে,ও হো তুমি আবার কেন উঠে এলে?
--শুয়ে শুয়ে দেখছি না এসে কি করবো? আল্লাহপাকের উপর ভরসা রাখো।
--ভাবছি কদিন ছুটি নিয়ে বাড়ীতে থাকবো।তুমি বোসো আমি মুখ ধুয়ে আসি।
পল্টু বেসিনে হাতমুখ ধুয়ে এসে বলল,চলো ঘরে চলো।
খাদিজা বেগমকে ধরে ধরে ঘরে নিয়ে যেতে বলল,আমাকে একটু আদর করো।খাদিজা বেগম মুখ তুলে ধরে পল্টু দরজার দিকে তাকিয়ে মুখ নামিয়ে আনে ঠোটে ঠোট রেখে জিভটা মুখে নিয়ে চুষতে লাগল। তারপর বলল,তুমি বিছানায় বসে খাবে।ললিতা
যা বলে তাই শুনবে।লক্ষ্মী হয়ে থাকবে।কাল থেকে আমি বাড়ীতে থাকবো।
নীচে গাড়ীর হর্ণ বাজে। ব্যালকণিতে গিয়ে দেখা দিয়ে ঘরে এসে পল্টু তৈরী হয়।
পার্বতী ম্যাডাম নীচে নেমেছেন সবাই তটস্থ। অফিসে গিয়ে জব ডিশট্রিবিউশন দেখে বললেন,এটা কি করেছেন?একজনের উপর এত লোড?
--পেশেণ্ট পার্টি সবাই ডাক্তার সোমকে চায় কি করবো বলুন?
--চাইলেই দিতে হবে? ট্যাক্টফুলি ম্যানেজ করতে হবে।ছেলেটা একেবারে বাবার মত মুখ বুজে কাজ করে যায়। পার্বতী ম্যাডাম উঠে দাঁড়িয়ে বলেন,পেশেণ্ট পার্টির কথায় নার্সিং হোম চলবে না।ডা.সোমের উপর লোড কমান। আর বলবেন বাড়ী যাবার আগে
যেন মাম্মীর সঙ্গে দেখা করে যায়।
পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে সুর্য। পল্টু হেলান দিয়ে বসে জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে। অঞ্জুর কথা ঘুরপাক খাচ্ছে মনে। কি করছে অঞ্জু?
ললিতা খাইয়ে ফল কেটে দিয়েছে মামীকে। খাদিজাবেগমের মুখ অরুচি কিছু খেতে ইচ্ছে করে না। নানা কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ে।ললিতা ঘরে ঢুকে দেখল পাশে কাটা ফল,ঘুমিয়ে পড়েছে মামী। থালাটা নিয়ে বেরিয়ে গেল। না খেলে সে কি করতে
পারে। বাচ্চা মেয়ে হলে না হয় কথা ছিল।অবশিষ্ট ফল খেয়ে নিল কি করবে ফেলে দেবে?যার জন্য আনা তার চেয়ে বেশি খেতে হয় তাকে।নিজের ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ে। বাড়ী ছেড়ে এসেছে কতদিন,মনে পড়ে ছেলেমেয়ের কথা। মামাকে বললে পৌছে দেবে গাড়ী করে কিন্তু এই অবস্থায় ফেলে যায় কি করে? বাচ্চা হবার পর না হয় ঘুরে আসা যাবে ক-দিন। গাভীন হলে মেয়েদের শরীর একটু খারাপ হয় কিন্তু মামীর শরীর খুব ভেঙ্গেছে। মামার বয়স কম এই বয়সের রসের তেজ খুব বেশি হয়তো সেই তেজ মামীর শরীর নিতে পারছে না। মামা ডাক্তার মামাই ভাল জানে।
ড.সোম ঢুকতেই অপেক্ষমান রোগীর বাড়ীর লোকের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ফিসফাস। পল্টু সোজা উপরে উঠে নিজের চেম্বারে ঢুকে পোষাক বদলায়। টেবিলের উপর পড়ে পাঁচটা ফাইল।টেনে নিয়ে চোখ বোলাতে থাকে। পাঁচজনের চার জনই মহিলা। অঞ্জুর কথা মনে পড়ল। পল্টু চোখ বন্ধ করে বারবার অন্যমনষ্ক হয়ে যাচ্ছে আজ।
ললিতার ঘুম ভাঙ্গতে মামীর ঘরে উকি দিল। খাদিজা বেগম ঘুমিয়ে আছে মাথার কাছে বালিশের পাশে একটা ফাইলে গুছিয়ে রাখা যাবতীয় প্যাথোলজিক্যাল টেষ্ট রিপোর্ট প্রেসক্রিপশন ইত্যাদি।ঘমোচ্ছে ঘুমোক চা করে ডাকলেই হবে।
রান্নাঘরে গিয়ে চায়ের জল চাপাল।মামীর বাচ্চাটা হলে নিশ্চিন্ত হওয়া যায়। বাড়ীতে চা পাতা চিনি দুধ একসঙ্গে দিয়ে ফোটাতো।মামী বলেছে এতে নাকি চায়ের বাস চলে যায়। জল গরম করে নামিয়ে তাতে চা পাতা দিতে হয়,মামী শিখিয়ে দিয়েছে। "ললিতারে"চিৎকারে বুকের মধ্যে ছ্যৎ করে ওঠে।গ্যাস বন্ধ করে ছুটে গেল ললিতা।মামী মেঝেতে পড়ে আছে বিছানা ভিজে গেছে।মেঝেতেও জল মামী বলল,ফোন কর।
কি করবে ললিতা দিশাহারা বোধ করে। কাপতে কাপতে ডায়াল করে,হ্যালো মামী...। খাদিজা বলল,বল ড.সোম।
--হ্যা হ্যা ড.সোম.. পেচ্ছাপের মত জল বেরোচ্ছে।আচ্ছা আচ্ছা।ফোন রেখে দিল।
ললিতা কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে,মামী তুমার কষ্ট হচ্ছে?
--তুই মামাকে বল।
ললিতা আবার ফোন করে। লাইন পায় না,খাদিজা বেগম বলল,আবার চেষ্টা কর। বারবার কর।
--হাসপাতাল থেকে গাড়ী পাঠাচ্ছে তুমার শাড়ী ভিজে গেছে। আলমারি থেকে শাড়ী বের করে বলল,এইটা পরো।
ললিতা একটা ভিজে কাপড় এনে মেঝে মুছতে শুরু করে।
--আমি পারছি না তুই শাড়ীটা পরিয়ে দে।
ললিতা উঠে মামীকে শাড়ী পরাতে লাগল।শাড়ী পরানো হলে খাদিজা বেগম বলল,তুই ফোন কর।
নীচে গাড়ীর শব্দ হতে ললিতা ব্যালকনিতে গিয়ে উকি দিয়ে হাত নেড়ে ইশারা করে ভিতরে এসে ফোন করে,হ্যালো মামাকে দেন তো?জিভ কেটে বলে,ডাক্তার সোম.. আমি ললিতা..কিছু বলতি হবে না..ললিতা বললি হবে।
স্ট্রেচার নিয়ে দুটী লোক উপরে উঠে এসেছে। খাদিজা বেগমকে শুইয়ে নীচে নিয়ে গেল।ললিতা দরজায় তালা দিয়ে সঙ্গে গেল।
এ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমে ললিতার চোখ ধাধিয়ে যায় কোথায় এল ,মামীকে নিয়ে উপরে চলে গেল। তারপর একটা ঘরে নিয়ে গেল ললিতা যেতে গেলে একজন বাধা দিল। কি করবে বুঝতে পারে না। একজন মেয়ে ডাক্তার এসে জিজ্ঞেস করল, মিসেস সোমের সঙ্গে কে এসেছেন?
ললিতা এগিয়ে যেতে বলল,কাগজপত্র কোথায়?
কি বলবে কিসের কাগজ পত্র?ডাক্তার মহিলা বলল,ড.সোমকে খবর দেওয়া হয়েছে? আপনি কে?
--আমি ললিতা।
--উনি আপনার কে?
--আমি কাজ করি।
--ও গড! তুমি কাগজগুলো নিয়ে আসতে পারবে?
ডাক্তার মহিলা একটা লোককে ডেকে বলল,ওর সঙ্গে যাও তো।একশো টাকা দিল। ট্যাক্সিতে পৌছে ললিতা চিন্তায় পড়ে যায় কি কাগজ নিতে হবে? খাটের উপর ফাইল দেখে মনে হল এটা হতে পারে। বালিশের নীচ থেকে একটা কাগজ বেরিয়ে আছে সেটাও ফাইলে ঢুকিয়ে নিল।
খাদিজা বেগমকে দেখছিলেন ড.চৌধুরি,আজ তিনি আসেন নি।সেজন্য ড.শেঠির অধীনে ভর্তি করা হয়।তিনি অসহায় বোধ করেন কেস হিষ্ট্রি কিছুই জানা নেই,ব্লাড গ্রুপ কি?তাকে সাহায্য করছেন ড.কাউর।ড.কাউর সবে যোগ দিয়েছেন,খাদিজা বেগমকে দেখে তিনি অতি আগ্রহী। ভেবেছিলেন ড.সোমের সঙ্গে দেখা হবে কিন্তু তিনি আসেননি,সঙ্গে এসেছে বাড়ীর কাজের লোক।গরজ করে টাকা দিয়ে বাড়ী থেকে কাগজ পত্র আনার ব্যবস্থা করেছেন।পেষেণ্ট ক্রমশ ঝিমিয়ে পড়ছে।পেশেণ্টকে রক্ত দিতে হবে।রক্ত দেবার জন্য চ্যানেল করে অপেক্ষা করছেন কাগজপত্র দেখে ব্লাড গ্রুপ জেনে নিয়ে ব্যবস্থা করবেন। এখন রক্ত নিয়ে ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় করা সময়ের ব্যাপার। পেশেণ্ট হেচকি তুলছেন,ড.কাউর সিনিয়ারকে ডাকলেন। ড.শেটী দেখলেন বেবি বেরোতে চাইছে। ড.শেঠী বললেন,পুশ ম্যাডাম পুশ।
খাদিজা বেগম দাতে দাত চেপে সন্তানকে বের করার চেষ্টা করে। ড.শেঠী বললেন, প্লিজ ট্রাই--ট্রাই।লিটল মোর।
ড.কাউর ললিতাকে দেখতে পেয়ে বেরিয়ে এসে ললিতার কাছে থেকে ফাইল নিয়ে খুলতে একটা কাগজ মাটিতে পড়ে যায়।ললিতা কাগজটা তুলে ড.কাউরের হাতে দিল।কাগজটা একপলক দেখে ভাজ করে বুকে গুজে রাখলেন। কাগজ ঘাটতে ঘাটতে দেখলেন সব সুন্দর করে সাজানো। ড.চৌধুরির প্রেসক্রিপশন পর্যন্ত সযত্নে রাখা।ভিতর থেকে ড.শেঠীর উত্তেজিত গলা পাওয়া গেল,ড.কাউর--নার্স।
ড.কাউরকে দেখে ড.শেঠী বললেন,পেশেণ্ট সেন্স হারিয়েছে বেবি সিরিয়াস কণ্ডিশন, নার্স ফোরসেপ প্লিজ।
নার্স ফোরসেপ এগিয়ে দিতে বেবিকে টেনে বের করার চেষ্টা করেন। ড.কাউর পেশেণ্টের পেটে চাপ দিতে লাগলেন।এইভাবে টানাটানি করতে করতে বাচ্চাটা বেরিয়ে এল। বেশ বড় ফিমেল বেবি। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করার পর বাচ্চা কেদে উঠল। দ্রুত নার্সের হাতে দিয়ে পেশেন্টের জ্ঞান ফেরাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ড.শেঠী। হাতের কজি হাতে ধরে নাড়ি পরীক্ষা করেন, ও মাই গড পেশেণ্ট সেন্সলেস।দৌড়ঝাপ শুরু হয়ে যায়।ড কাউর কব্জি ধরে বোঝার চেষ্টা করেন।


পল্টুর অপারেশন শেষ চেঞ্জ করে বেরোবার জন্য প্রস্তুত। একজন অফিস করমী এসে বলল,স্যার ম্যাডাম ললিতা আপনার খোজ করছেন।
--ম্যাডাম ললিতা? পল্টুর নামটা মনে মনে চিন্তা করছিল। কর্মচারিটি বলল,ললিতা বললে মামা বললেই বুঝতে পারবে।পল্টুর মনে আগুণ জ্বলে ওঠে লোকটির কলার চেপে ধরে বলল,স্কাউণ্ড্রেল এতক্ষণ বলেন নি কেন? তারপর লজ্জা পেয়ে 'স্যরি' বোলে দ্রুত সিড়ি দিয়ে নীচে নেমে গেল। গাড়ীতে উঠে বলল,ইকবাল ড্যাফোডিল নার্সিং হোম চলো।

[+] 5 users Like kumdev's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: কোন কূলে যে ভীড়লো তরী/কামদেব - by kumdev - 15-03-2020, 04:41 PM



Users browsing this thread: 6 Guest(s)