Thread Rating:
  • 26 Vote(s) - 3.38 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery বাবা ঠাকুর (ব্লূ মূন ক্লাব দ্বিতীয় খণ্ড)
#97
১৭b

বাজারে কেনা কাটি কোরতে গিয়ে নিজের ভ্যানিটি ব্যাগ খুলে দেখলাম যে শুধু ৪৮০ টাকা রয়েছে। বাবাঠাকুরের বাড়িতে আসার সময় আমি খুব সকাল সকাল নিজের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম। রাস্তায় আমার এটা আর আমার মনে ছিল না যে আমাকে আবার টাকা তুলতে হবে, এখানে এটিএম কোথায় পাব?  আমার কি যেন মনে হল আমি নিজের ব্যাগের ভিতরকার চেনটা খুলে হাতড়ান পর অবাক হয়ে গেলাম, মনে পরে গেল যে টম আমাকে লুকিয়ে মাঝে মাঝে আমার ব্যাগে টাকা রেখে দেয়। আমি না না করি কিন্তু ও শোনে না। দেখলাম তাতে ২০ হাজার টাকা নগদ রাখা আছে। 


শিউলির জন্য দরকারি ব্রা, প্যান্টি আর নাইটি কেনার পরে আমি নিজের জন্যেও এক সেট ব্রা প্যান্টি কিনে নিলাম,  অন্তর্বাস কি নিরাকার টাকা কোন ক্ষতি নয়... এছাড়া আমি ওকে দুটো ভাল দেখে তাঁতের শাড়ি, ব্লাউজ আর কিছু কাঁচের চুড়ি কিনে দিলাম- একটা সম্পদ শিল বাড়ির পালিত কন্যা হয়েও মেয়েটার হাতে একটা পরান মাদুলি ছাড়া আর কিছুই ছিল না, বাড়িতে অন্য মেয়ে মানুষ না থাকলে যা হয়... এছাড়া আমি একটা নেল কাটারও কিনে নিলাম তবে এইবারে বুঝতে পারলাম যে টম আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে টাকা কেন দেয়... ভালবেসে।

আমার নজর পড়ল একটি দোকানে শো কেসে রাখা একটি হেয়ার রিমুভারের উপরে। আমি ঝট করে ওটি কিনে নিলাম। সেই দোকানেই সাজান ছিল নানান রকমের অনুকৃত গহনা (ImitationJewellery) ভাল করে কাছ থেকে লক্ষ না করলে সেই গুলি যেন আসল কেও হার মানাবে। আর দেরি কি? টাকা পয়সা তো আমার কাছে আছেই... দুম দাম করে গলার মোটা দেখে একটা হার, হাতের বালা, কানের দুল, পায়ের তড়া, মাথার টিকলি আর নাক ছাবি আর চার রঙের নেল পালিশ কিনে নিলাম। শিউলি অবাক হয়ে গহনার গুলি কে দেখছিল আর দোকান দারটা ক্ষণেক্ষণে আমার বুক, ম্যাম ঠিকই বলেন পুরুষ মানুষের চোখ মেয়েদের মখের পর বুকের দিকেই যায়।

সবকিছু নিয়ে মোট রসিদ হল চার হাজার দুই শ টাকা... এই গহনা পরে থাকলে যে কেউ যে মেয়েমানুষ দশ- বারো লাখ টাকার খাঁটি সোনার গহনা পরে আছে।

দাদা, এখানে কোল্ড ড্রিঙ্ক পাওয়া যায়ে কি?”, আমি জিজ্ঞেস করলাম।

হ্যাঁ, হ্যাঁ... খাবেন না নিয়ে যাবেন?”, দোকানদার দাঁত কেলিয়ে জানতে চাইল।

নিয়ে যাব, একটা দুই লিটারের কোকা কোলা হলে ভাল হয়...”

হ্যাঁ,হ্যাঁ,হ্যাঁ, একটু বসুন আমি নিয়ে আসছি, দোকানদার কোল্ড ড্রিঙ্কের দাম আর নিল না। এমন কি টাটকা ইলিশ মাছ কেনার সময়ও মাছ ওয়ালা নজর আমার মুখের পর বুকের দিকেই ছিল, পয়সা নেবার সময় ও হিসেবে ভুল করল কিন্তু আমি সঠিক হিসেব করে ওকে পয়সা দিলাম নয়ত গরীব মানুষটা ১৫০ টাকা কম পেত।

রিক্সা করে বাড়ি ফেরার সময় শিউলি থাকতে না পেরে বলে উঠলো,“বৌদি গো, এই গহনা গুলি পরে আমাকে নিশ্চয়ই দেখাবে... আমি জানি যে তোমাকে একটা পরীর মত দেখতে লাগবে...”

হ্যাঁ, নিশ্চয়ই... তবে এই গুলি সব তোর... আমাকে শুধু এক দুবার পোরতে দিবি...”

অ্যাঁ?”, শিউলি চমকে উঠল।

“হ্যাঁ...আমকে বাবাঠাকুরের জন্য ভাল করে সাজিয়ে গুজিয়ে দিবি?”

“নিশ্চয়ই দেব!” বলে শিউলি আমাকে জড়িয়ে ধরে একটা চুমু খেল আর রিকশাওয়ালাটা এক বার আমাদের দিকে ঘুরে দেখল, শিউলি যেন ওকে বোকে উঠলো, “অ্যাই খুড়ো! কি দেখছ? তুমি ঠিক করে রিক্সা চালাও...”
 
আমি ফিক ফিক করে হেঁসে উঠলাম, “কিন্তু শিউলি, বাবাঠাকুরকে এক্ষণ গহনার কথা বলিস না... ওনাকে একটা সারপ্রাইজ দেব।
“সারপ্রাইজ মানে?”

দেখতেই পাবি

ক্রমশ:
[+] 2 users Like naag.champa's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: বাবা ঠাকুর (ব্লূ মূন ক্লাব দ্বিতীয় খণ্ড) 17b - by naag.champa - 14-03-2020, 10:46 AM



Users browsing this thread: 3 Guest(s)