06-03-2020, 06:31 PM
তিনজনেই বেশ ক্লান্ত তাই আর কোথাও না গিয়ে একই বিছানায় মানুকে জড়িয়ে ধরে দুবোন দু পাশে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। ভোর চারটে নাগাদ পল্টুর ঘুম ভেঙে যেতে মানুর ঘরের দরজায় এসে টোকা দিতে লাগল মানুর ঘুম খুবই পাতলা ঘুম ভেঙে গেলো ওর ঘড়িতে দেখে চারটে। বিনি আর রিনিকে ডেকে তুলল বলল তাড়াতাড়ি জামা কাপড় পরে নাও। মানুর ডাকে দুজনেই চোখ খুলে উঠে নিজেদের জামা কাপড় পরে নিলো। মানু পল্টুকে বলল তুই ওই ঘরে গিয়ে বাথরুম সেরে তৈরী হয়ে নে। পল্টু আচ্ছা বলে চলে গেলে মনে হয় মানু দরজা খুলে দেখে যে সত্যি পল্টু চলে গেছে তাই ওদের ঘর থেকে বেরোতে বলল ওরাও চুপি চুপি বেরিয়ে ওদের ঘরে গেল। মালা দেবী উপরে উঠে এলেন একটু পরেই হাতে একটা ট্রে করে চা আর বিস্কুট নিয়ে ঘরে ঢুকলেন - বাবা বুবুন এবার চা খেয়ে জামা কাপড় পরে তৈরী হয়ে নাও আমি যাই বিনিকে ডেকে তুলি। মালা দেবী চলে গেলেন মানু আগে জল খেলো তারপর চা খেয়ে বাথরুমে ঢুকে প্রাতঃকৃত সেরে বেরিয়ে এসে জামা প্যান্ট পরে নিলো একটু বাদেই পল্টুও চলে এলো। জিজ্ঞেস করল বুবুনদা বিনি দিদি কোথায় এখনো রেডি হয়নি নাকি। মালাদেবী বিনিকে তৈরী করে নিয়ে এলো ঘরে ঢুকতেই ঘরটা যেন আলোয় ভোরে উঠলো আর ওর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখল মানু কত পবিত্র হৃদয় হলে এমন সুন্দর প্রতিফলন হয় মুখে। মানুর একটু আদর করতে ইচ্ছে করছিলো কিন্তু মালা দেবী রয়েছেন তাই নিজেকে সংযত করে বলল আর দেরি করে লাভ নেই এবার বেরোনো যাক।
বিনি বলল - চলো তাহলে বেরোই আমরা বলে মালা দেবীকে প্রণাম করল বিনি মানু আর পল্টুও প্রণাম সেরে নিয়ে নিচে নেমে এলো। বসার ঘরে দিলীপ বাবু বসে ছিলেন ওদের আসতে দেখে বললেন তোমাদের তিনজনের সুটকেস গাড়িতে তোলা হয়ে গেছে এবার বেরিয়ে পারো তোমরা।
সবাই দিলীপ বাবুকে প্রণাম করল। মানুর মনে হতে লাগল রিনি কোথায় ও কি মন খারাপ করে নিজের ঘরেই বসে আছে
ওরা গাড়িতে উঠতে গিয়ে দেখে রিনি ওদের আগেই গাড়িতে এসে বসে আছে। ওকে দেখে মানুর মোনটা হালকা হলো। সামনের সিটে পল্টু ড্রাইভারের পাশে বসল আর পিছনে মানু মাঝখানে আর দু দিকে বিনি আর রিনি। সবাইকে বিদেয় জানিয়ে ড্রাইভারকে এগোতে বলল। মালাদেবীর চোখে জল দেখে মানুর মনটা খারাপ হয়ে গেল মানুর মনে পড়তে লাগল ওর নিজের মাও ঠিক এই ভাবেই কেঁদে ফেলতেন যখন মানু দূরে কোথাও যেত।
সকাল ৬:৫০সের ফ্লাইট ওর যখন এয়ারপোর্টে পৌঁছলো তখন ঘড়িতে ৫:৪০ বাজে সকাল বলে এতো তাড়াতাড়ি পৌঁছে গেছে। ড্রাইভার লাগেজ
নামাতে গেলে পল্টু বলল অরে কাকা আপনি পারবেন না বেশ ভারী আছে সুটকেস গুলো আমি নামছি। এবার রিনির কাছে বিদায় নেবার পালা বিনি ওর দিদিকে জড়িয়ে ধরে বলল তোর পরীক্ষা হয়ে গেলেই চলে আসবি আমার কাছে এরপর মানু আর পল্টুও রিনির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ঢুকে পড়ল এয়ারপোর্টে। সব রকম ফর্মালিটি সেরে তিনজনে হ্যান্ড লাগেজ নিয়ে নির্দিষ্ট গেটে গিয়ে দাঁড়াল আর এক করে বোর্ডিং পাশ দেখিয়ে প্লেনে গিয়ে উঠলো। ওদের জন্য নির্দিষ্ট তিনটে সিটে গিয়ে বসল। ২ ঘন্টা ৫৫ মিনিট লাগল মুম্বাই পৌঁছতে। প্লেন থেকে নেমে ওর লাগেজ নেবার জন্ন্যে গিয়ে দাঁড়াল ১৫ মিনিট টাইম লাগল লাগেজ নিয়ে বেরিয়ে এলো এয়ারপোর্ট থেকে সেখানে বিনির মামা দাঁড়িয়ে ছিলেন বিনিকে দেখে হাত নাড়াল বিনিও হাত নাড়িয়ে এগিয়ে গেল পিছনে মানু আর পল্টু। বিনি মামার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো মানু আর পল্টুর।
বিনি বলল - চলো তাহলে বেরোই আমরা বলে মালা দেবীকে প্রণাম করল বিনি মানু আর পল্টুও প্রণাম সেরে নিয়ে নিচে নেমে এলো। বসার ঘরে দিলীপ বাবু বসে ছিলেন ওদের আসতে দেখে বললেন তোমাদের তিনজনের সুটকেস গাড়িতে তোলা হয়ে গেছে এবার বেরিয়ে পারো তোমরা।
সবাই দিলীপ বাবুকে প্রণাম করল। মানুর মনে হতে লাগল রিনি কোথায় ও কি মন খারাপ করে নিজের ঘরেই বসে আছে
ওরা গাড়িতে উঠতে গিয়ে দেখে রিনি ওদের আগেই গাড়িতে এসে বসে আছে। ওকে দেখে মানুর মোনটা হালকা হলো। সামনের সিটে পল্টু ড্রাইভারের পাশে বসল আর পিছনে মানু মাঝখানে আর দু দিকে বিনি আর রিনি। সবাইকে বিদেয় জানিয়ে ড্রাইভারকে এগোতে বলল। মালাদেবীর চোখে জল দেখে মানুর মনটা খারাপ হয়ে গেল মানুর মনে পড়তে লাগল ওর নিজের মাও ঠিক এই ভাবেই কেঁদে ফেলতেন যখন মানু দূরে কোথাও যেত।
সকাল ৬:৫০সের ফ্লাইট ওর যখন এয়ারপোর্টে পৌঁছলো তখন ঘড়িতে ৫:৪০ বাজে সকাল বলে এতো তাড়াতাড়ি পৌঁছে গেছে। ড্রাইভার লাগেজ
নামাতে গেলে পল্টু বলল অরে কাকা আপনি পারবেন না বেশ ভারী আছে সুটকেস গুলো আমি নামছি। এবার রিনির কাছে বিদায় নেবার পালা বিনি ওর দিদিকে জড়িয়ে ধরে বলল তোর পরীক্ষা হয়ে গেলেই চলে আসবি আমার কাছে এরপর মানু আর পল্টুও রিনির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ঢুকে পড়ল এয়ারপোর্টে। সব রকম ফর্মালিটি সেরে তিনজনে হ্যান্ড লাগেজ নিয়ে নির্দিষ্ট গেটে গিয়ে দাঁড়াল আর এক করে বোর্ডিং পাশ দেখিয়ে প্লেনে গিয়ে উঠলো। ওদের জন্য নির্দিষ্ট তিনটে সিটে গিয়ে বসল। ২ ঘন্টা ৫৫ মিনিট লাগল মুম্বাই পৌঁছতে। প্লেন থেকে নেমে ওর লাগেজ নেবার জন্ন্যে গিয়ে দাঁড়াল ১৫ মিনিট টাইম লাগল লাগেজ নিয়ে বেরিয়ে এলো এয়ারপোর্ট থেকে সেখানে বিনির মামা দাঁড়িয়ে ছিলেন বিনিকে দেখে হাত নাড়াল বিনিও হাত নাড়িয়ে এগিয়ে গেল পিছনে মানু আর পল্টু। বিনি মামার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো মানু আর পল্টুর।