Thread Rating:
  • 17 Vote(s) - 3.35 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery সমাজ বিরোধী - লম্বু মানু
#14
পল্টু চুপ করে রইলো কিছুক্ষন বিনি আর রিনি মানুকে বলল - আমরা এখন আসছি তবে কালকে আবার আসবো আর এসে কি ব্যবস্থা মামা করতে পারবে সেটা জানাব। মানুর ঘর থেকে বেরিয়ে এলো দুজনে কিছুটা এগোতেই পিছন থেকে পল্টু ডাকলো দিদি একটু দাড়াও আমি আসছি তোমাদের সাথে আমার বাড়ি দেখিয়ে দিচ্ছি কেননা গুরু বলল আমার জিনিষ পত্র গুছিয়ে নিতে।
পল্টু এবার আগে আগে চলতে লাগল বেশ কিছুটা হেঁটে গিয়ে একটা সরু গলির ভিতর ঢুকলো পল্টু বিনি-রিনিও ওর পিছনে গেলো। একটা খুবই ছোট বাড়ির সামনে এসে দরজাতে টোকা দিলো পল্টু একটু বাদেই দরজা খুলে একজন মহিলা মুখ বাড়ালেন উনি পল্টুকে দেখে কিরে এই সময় তুই বাড়ি এলি ? তারপরেই পিছনে রিনি-বিনিকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন এদের তো চিনতে পারলাম না। পল্টু বলল এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব কথা বলা যাবেনা সরো আমাদের ভিতরে ঢুকতে দাও।
উনি সরে গিয়ে ওদের ঢোকার জায়গা দিলেন পল্টুর সাথে ওরা দুজন ভিতরে ঢুকল খুব ছোট একটা ঘর বেশ অন্ধকার কিন্তু বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রেখেছেন। পল্টুর বাবা বিছানায় বসে ছিলেন হাতে একটা বই সেটা পাশে রেখে বিনি-রিনির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন তোমরা তো দিলীপ মাইতির মেয়ে। রিনি জিজ্ঞেস করল আপনি আমাদের চিনলেন কি করে ?
উনি বললেন আমি মাঝে মাঝে তোমাদের দোকানে যাই তোমার বাবা এক সময় আমার ছাত্র ছিলেন সে সুবাদেই ওকে চিনি আর তোমরাও তো দোকানে এসেছো কখনো সখনো তাই দেখেছি ও তোমার বাবার কাছ থেকে জেনেছি তোমরা ওরই মেয়ে। বাবার শিক্ষক তাই এবার আর কোনো দ্বিধা না করে ওনার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করল দুজনে। কিছু টুকটাক ওদের পড়াশোনার বিষয়ে খোঁজ খবর নিলেন।
এবার পল্টু বলল বাবা আমি আর গুরু এখন থেকে মুম্বাই যাবো নতুন করে নিজেদের জীবন গড়তে আর তার সব ব্যবস্থা এই দুই দিদি করছেন। বিস্তারিত সব কিছু রিনি জানাল ওনাকে। সব শুনে বললেন - খুব ভালো কথা তা মা ওরা চলে গেলে আমাদের চলবে কি করে আর আমার ছোট ছেলেটার পড়াশোনা।
রিনি বলল - আপনি কিচ্ছু চিন্তা করবেন না আমি আছি আপনাদের সাথে যাতে সব কিছুই ঠিকঠাক চলে।
পল্টুর বাবা দুচোখে জল নিয়ে বললেন তোমরা দুজনেই তোমার বাবার মতোই হয়েছ তোমাদের মঙ্গল হোক মা।
পল্টুর মা ওদের পিছনে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাতে দু কাপ চা নিয়ে সেটা বিছানার উপরেই দেখে রিনি-বিনিকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন।
রিনি কোনোমতে ওনাকে শান্ত করে বললেন মাসিমা কাঁদবেননা ঈশ্বর তো নিজে কিছুই করেননা মানুষকে দিয়েই করিয়ে দেন সব কিছু। এক্ষেত্রে ঈশ্বর হয়তো আমাদের বেছেছেন।
পল্টুর মা ওদের ছেড়ে বললেন নাও মা একটু চা খাও আর তো আমার ঘরে কিছুই নেই তোমাদের দেবার মতো তবে আমার আশীর্বাদ সব সময় তোমাদের উপর থাকবে।
রিনি-বিনি ওনার মেয়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে বলল এটাই তো সব থেকে বড় জিনিস বড়োদের এই আশীর্বাদ থাকলেই তো প্রতিটি সন্তান মানুষের মতো মানুষ হয়।
রিনি এবার বলল পল্টুকে বলল তুমি আমার সাথে চলো একটু কাজ আছে। কিন্তু পল্টু এক চুলও নড়লোনা তাই ঢেকে রিনি আবার বলল কি হলো চলো।
পল্টু এবার একটু অভিমানের সুরে বলল - যেতে পারি যদি আমাকে তোমরা দুজনেই তুই করে বলো ভাইকে কোনো দিদি কি তুমি করে বলে।
রিনি এবার হেসে বলল - চল রে ভাই আমাদের তো কোনো ভাই নেই তুই আমার ভাই এখন থেকে আর তোর যে ছোট ভাই আছে তাকে আমাদের বাড়ি দেখিয়ে দিবি যাতে প্রয়োজনে যেতে পারে।
এবার আর পল্টু কিছু না বলে বলল এই বড়দি চল দেখি তোদের কি কাজ আছে আমার সাথে।
পল্টুর তুই ডাক শুনে রিনি ও বিনির বেশ ভালো লাগল ওকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ল ওদের বাড়ি থেকে এখন থেকে পাড়ার মুদির দোকানে গিয়ে একটা সংসারে যা যা লাগে সব কিনে বলল পল্টু এগুলো নিয়ে যা বাড়িতে আর দোকানের মালিককে বলে দিলো এদের যখন যা লাগবে দিয়ে দেবেন লিখে রাখবেন আমি পরে সব দিয়ে দেব আপনাকে।
পল্টু কিছু বলতে যাচ্ছিলো ওকে থামিয়ে দিয়ে রিনি বলল - তুই যখন রোজগার করবি তখন আর আমি কিছুই করবো না সব দায়িত্য তখন থেকে তোর বুঝেছিস - ব্যাগ থেকে কিছু টাকা বের করে পল্টুকে দিয়ে বলল এই টাকা মাসিমার হাতে দিবি।
দোকান থেকে বেরিয়ে পল্টু বাড়ির পথ ধরল আর রিনি-বিনি ওদের বাড়ির দিকে।
রিনি আর বিনি বাড়িতে ঢুকে ওর মাকে ডাকলো আর সব কথা খুলে বলল শুনে একটু সময় ওদের মা চুপ করে বসে রইলো।
রিনি জিজ্ঞেস করল - মা কি হলো কিছু বলো আমরা কি কোনো খারাপ কাজ করছি বা কোনো ভুল ?
ওদের মা ভীষণ নরম মনের ভালো মানুষ ওনার চোখেও জল এসে গেল আর গলা দিয়ে কোনো কথা বেরোলোনা চুপ করে রইলেন।
ঘড়িতে তখন সাড়ে সাতটা বাজে দিলীপ বাবু শুনেছেন যে ওনার দুই মেয়েই মানুর কাছে গিয়েছিলো তাই দোকানের কর্মচারীদের দোকান দেখতে বলে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরলেন।
বসার ঘরেই পেয়ে গেলেন তার দুই মেয়ে আর ওনার স্ত্রী কে।
মালা দেবী ওনার স্বামীকে দেখে বললেন এখানে চুপ করে বস আর কোনো কথা না বলে চুপ করে শোনো সব কিছু আর তারপর তোমার মতামত জানাও।
দিলীপ বাবু চুপ করে সব শুনলেন ওদের তিনজনের কাছ থেকেই শুনে একদম গুম মেরে গেলেন। বেশ কয়েক মিনিট কারো মুখে কথা নেই শেষে দিলীপ বাবুই নীরবতা ভঙ্গ করে বিনিকে বললেন হ্যারে মা তোর ওই গুন্ডা ছেলেটাকে কি ভাবে বস করলি আমিও জানি ও খুব বড় বংশের ছেলে অবস্থার চাপে আর পরিস্থিতি ওকে গুন্ডামীতে নামতে বাধ্য করেছে। তবে আমার কথা হলো তুই ওকে নিয়ে সারা জীবন সুখে থাকতে পারবি তো।
বিনি - দেখো বাবা আমার তো এখনই বিয়ে করছিনা ও ওখানে চাকরি পাবে একটু গুছিয়ে নেবে আর আমারও পড়াশোনা শেষ করতে হবে তারপর। এর মধ্যে যদি কিছু বেচাল দেখি মানুর ভিতর তখন আমার ভাবনা পাল্টাতে সময় নেবোনা।
দিলীপ বাবু বিনির মাথায় হাত রেখে বলল তোদের দুটোকে সত্যি সত্যি ঈশ্বর মানুষের মতো মানুষ করেছেন।
বিনির এবার চোখ ভিজে গেল চোখ মুছে বলল বাবা মানুর মনটা শিশুর মতো ছিল আবার আগের মানুকে ফিরিয়ে আনতে হবে আর ও তো পড়াশোনায় খুবই ভালো ছেলে ছিল আমার বিশ্বাস ওকে আমি আবার আগের জাগায় ফিরিয়ে আনতে পারবো তুমি শুধু আমার উপর বিশ্বাস রেখো। আর জানো বাবা ও তোমার কাছে আসবে ক্ষমা চাইতে তবে দোকানে নয় আমি বলেছি যে রাত্রে বাড়িতে আসতে।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: সমাজ বিরোধী - লম্বু মানু - by gopal192 - 03-03-2020, 06:14 PM



Users browsing this thread: 4 Guest(s)