Thread Rating:
  • 53 Vote(s) - 3.38 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery কোন কূলে যে ভীড়লো তরী/কামদেব
#30
 [১৬]


         দিনটা কেটে যায় রাত হলেই বাপির কথা মনে পড়ে।খেয়ে দেয়ে বেরিয়ে যেতো ফিরতো সেই রাতে।দেখা হলেও কথা হতোনা তেমন অথচ বাড়ীর প্রতিটি ইট কাঠ জানান দিচ্ছে বাপি নেই।কেউ না কেউ আসে সহানুভুতি জানাতে,দিলীপ রোজই আসে।ওর কাছেই পাই পাড়ার খবরা খবর। 

দু-রাত্রি কেটে গেলেও লায়লির কোনো খোজ পাওয়া যায় নি।অবশেষে থানা ডায়েরী নিয়েছে। লায়লিকে কেন্দ্র করে রমেনবাবু এবং মণিকার মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে।মণিকাকে আদর করে মণি বলে ডাকলে কিম্বা গায়ে হাত বুলিয়ে দিলেও মণিকা বাধা দেয় না।
এমন কি পাছার কাপড় সরিয়ে রমেনবাবু যখন পাছা টেপে মণিকা নির্বিকার শুয়ে থাকে। রমেনবাবু কি করছে কোথায় টিপছে সে ব্যাপারে কোনো মাথা ব্যথা নেই তার। অন্য পক্ষের এই নিষ্পৃহতা রমেনবাবুকে হতাশ করে,মণিকার শরীর মর্দন করে তেমন আমোদ পায় না। মণিকার শরীরে কি কাম নেই এই প্রশ্ন নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে একসময় মণিকার ঘরে কামদেবের বইয়ের সন্ধান পেয়ে রমেনবাবু উত্তেজিত বোধ করে।
প্রায় প্রতিদিন মণিকা আণ্টি থানায় যায়,মেয়ের কোনো খোজ পাওয়া গেল কিনা।সঙ্গী একমাত্র রমেনবাবু।আশা ছেড়েই দিয়েছিল প্রায় হঠাৎ একদিন পুলিশের গাড়ী লায়লিকে নিয়ে হাজির।
--মণি বকাবকি কোরনা।রমেনবাবু সামলালেন।
পরদিন অফিসে গেল মণিকা।দুপুরবেলা আগুণ দেখে দিলীপ কিরণ আরো অনেকে ছুটে আসে।লায়লি গায়ে আগুণ দিয়েছে।ইতিমধ্যে আরো লোকজন জড়ো হয়,তারা দরজা ভেঙ্গে আগুণ নিভিয়ে লায়লিকে নিয়ে আর জি কর হাসপাতালে  ভর্তি করে দিল।রমেনবাবু অফিসে গিয়ে মণিকাকে নিয়ে হাসপাতালে এলেন।
আমার পক্ষে বাড়ী থেকে বেরনো সম্ভব নয়,দিলীপের কাছে সব খবর পেতাম। পুলিশ বিল্টুর বাড়ী গিয়ে জোরজার করতে বিল্টুর বাবা চিলেকোঠায় লুকিয়ে থাকা বিল্টুকে বের করে দিল।বিল্টু জেরায় ভেঙ্গে পড়ে পুলিশকে ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণণা করে। বাজারে মাংসের দোকান আছে নুর মহম্মদের বেলগাছিয়া বস্তিতে একটী ঘরে তুলে সেখানে বিল্টূ লায়লিকে ;., করে। তারপর বিল্টুর সম্মতিতে নুরও তাকে ;., করে। বিল্টূ বাড়ী ফিরে আসে কিন্ত নুর তারপরও কয়েকবার ;., করে ডায়মণ্ড হারবারে একটি রিসর্টে বিক্রী করে দেয়।পুলিশ বিল্টূ আর নুরকে নিয়ে সেই রিসর্টে অভিযান চালিয়ে লায়লি সহ আরো পাঁচ জন মেয়েকে উদ্ধার করে।রিসর্টের মালিক সুদর্শন মাইতি বিল্টু নুর এখন পুলিশ হেফাজতে। লায়লি হয়তো  বিল্টুকে নিয়ে ঘর বাধার  স্বপ্ন দেখেছিল, দু-দিন পর লায়লি ডাক্তারদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে বুকভরা অভিমান নিয়ে যাত্রা করলো অন্য লোকে। মৃত্যুকালীন জবানবন্দীতে লায়লি সবার নাম বলে গেছে।
দিলীপ দুঃখ করছিল,লায়লির জন্য খারাপ লাগে। এমন বেপরোয়া বেহায়া হয়ে উঠেছিল সবার সামনে বিল্টুর বাইকে চেপে ঘুরতো।
পল্টু ভাবে সেই নির্লজ্জতার জন্য আজ তাকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচার জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হল।
লায়লির মনে ক্ষণিকের জন্য কি বিল্টুর প্রতি সন্দেহের উদ্রেক হয়নি?বিল্টু কি করে নিজের প্রণয়ীকে ভোগ্য করে অন্যের হাতে তুলে দিতে পারলো?নিরুত্তর প্রশ্নগুলো নিয়ে পল্টু নাড়াচাড়া করতে থাকে। দিলীপের সঙ্গে ছিন্ন হয়ে গেছে সম্পর্ক,তাও তার বুকভরা ক্রোধ পারলে বিল্টুকে খুন করে।পল্টুর চোখে জল এসে যায়।বুঝতে পারে না দিলীপের এই ক্রোধ লায়লির অকাল মৃত্যুর জন্য নাকি অবমানিত মানবতার জন্য?
দেবমামার ইচ্ছে ছিল না একগাদা টাকা খরচ করে বারোভুতকে আপ্যায়িত করার,মমের জিদের জন্য পাড়ার প্রায় সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হল।দেবমামা অনেক পরিশ্রম করেছে। বাপির মৃত্যুর পর থেকে মামা বাড়ীতে যেত সামান্য সময়ের জন্য অধিকাংশ সময় আমাদের বাড়ীতে পড়ে থাকতো।হাসি খুশি মামী কাজের দিন এল তারপর আর ফিরে যায় নি। একতালায় পাকাপাকিভাবে থাকা শুরু করল।কাজের দিন মিসেস রাও এসেছিলেন ছেলে নিয়ে।ছেলেটিকে দেখে মনে হয় যেন একেবারে বাঙালি,নাম বলল অনির্বান।পল্টুর থেকে কয়েক বছরের বড়। ছাদে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন হয়েছে।সবাই প্রায় এসেছে পাড়ার।দিলীপ সব দেখাশোনা করছে। মৌপিয়া বৌদি আমার দিকে তাকিয়ে অদ্ভুত হাসলো। মিতামাসী বাড়ীর সবাইকে নিয়ে এসেছে। সঞ্জয় নীরা এলেও ডিসি কাকু আসেন নি।রাঙাপিসির জন্য পার্শেল পাঠিয়ে দেবার কথা বললেও নিতে রাজী হল না সঞ্জয়। একফাকে নীচে এসে মমের ঘরে উকি দিতে অদ্ভুত দৃশ্য নজরে পড়ল, মিসেস রাও মমকে জড়িয়ে হাউ-হাউ করে কাঁদছেন।আমি দ্রুত আড়ালে সরে গেলাম।ডাক্তারের মৃত্যুতে একজন নার্সের এত কান্নাকে আদিখ্যেতা বলে মনে হল। কানে এল মমের গলা,না পার্বতী তোমার উপর আমার কোনো ক্ষোভ নেই।অনু আমাকে নার্সিং হোমের কথা বলেছে।
--জানো সিসটার আমি মন খুলে আজই প্রথম কাঁদলাম।
মিসেস রাওয়ের নাম পার্বতী? মম কি করে জানলো?সব গোল পাকিয়ে যায়। দিলীপের ডাকাডাকিতে উপরে যেতে জিজ্ঞেস করলো,নীচে কেউ থাকলে পাঠিয়ে দে।মনে হচ্ছে এই শেষ ব্যাচ।
মিসেস রাও নীচে আছেন,অঞ্জনা আসবে না আগেই বলেছে।নীচে নেমে গলা খাকারি দিয়ে মনোরমার ঘরে ঢুকে পল্টু বলল,রাত হয়ে গেছে ম্যাম আপনি বসবেন তো?
--হ্যা,অনির্বাণ কোথায়?মিসেস রাও জিজ্ঞেস করেন।
--ও খেতে বসেছে। পল্টু বলল।
মনোরমা বলল,চলো উপরে চলো।
মিসেস রাওকে নিয়ে মনোরমা উপরে উঠে গেল।আচমকা জিজ্ঞেস করলো,অঞ্জনা এসেছিল?
--ও বলেছিল আসতে পারবে না।পল্টু বলল।
--তুই একটা টিফিন কেরিয়ারে করে ওকে দিয়ে আয়।
দিলীপ এগিয়ে এসে বলল,পল্টু খেতে বসে যাক কাকীমা আমি দিয়ে আসছি।
--না পল্টুরই যাওয়া উচিত--যা পল্টু।মনোরমা হেসে বলল।
দিলীপ একটা টিফিন কেরিয়ারে সুন্দর করে সাজিয়ে দিল।এতরাত অবধি কি অঞ্জনা না খেয়ে বসে আছে। কিন্তু মমের মুখের উপর কথা বলা যায় না।সারাদিন কিছু খাওয়া হয় নি,এখন সিড়ি ভেঙ্গে তিনতলায় ওঠো।মম দেবমামার ছোটো বোন হলেও মুখের উপর কোনো কথা বলার সাহস নেই।নীচে মামী বিছানা করছে মানে রাতে এখানেই থাকবে?হাসি খুশি এগিয়ে এসে বলল,পল্টুদা কোথায় চললে?
--একটু কাজ আছে।পল্টু হেসে বলল।
--আমরা এখানেই থাকবো।
সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে বেল বাজাবার আগেই দরজা খুলে দিল অঞ্জনা। যেন তারই জন্য অপেক্ষা করছিল।
--এতক্ষণে সময় হল? আমি ভাবলাম বুঝি আজ উপোস করতে হবে।
--তুমি যেতে পারতে।কেউ তো মানা করেনি?
হাত থেকে টিফিন কেরিয়ার নিয়ে টেবিলে একটা প্লেট নিয়ে বসে বলল,দেব তুমি খেয়েছো?
--কি করে খাবো?সবাইকে খাইয়ে তবে আমার খাওয়া।
ভাত মাখতে মাখতে খিল খিল করে হেসে উঠল অঞ্জনা। একগ্রাস তুলে পল্টুর মুখের সামনে তুলে ধরে বলল অঞ্জনা,তোমার পরে আমি খাবো।
পীড়াপিড়িতে বাধ্য হয়ে পল্টু হা-করে অঞ্জনা ওর মুখে ভাত তুলে দিয়ে খাওয়া শুরু করে। তারপর বলল,দেব তুমি যাও।সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।
পল্টু বাড়ী ফিরে দেখল মম আর মিসেস রাও না খেয়ে বসে আছে।তিনজনে একসঙ্গে খেতে বসলো। দেবমামা ব্যাজার মুখে ঘোরাঘুরি করছে।ক্যাটারারের লোকজন গোছগাছ শুরু করেছে।মিসেস রাওকে মম নীচ পর্যন্ত পৌছে দিল।
--দিদি কোনো দরকার পড়লে আমাকে খবর দেবে।আসি।
মম অনির্বাণের মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করলো।পল্টুর মনে রহস্য ঘনীভুত হয়।
অনির্বান কি করে মিস রাওয়ের ছেলে হয়?তাহলে ওর বাবা কে?মিসেস রাও কি বিধবা?
[+] 5 users Like kumdev's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: কোন কূলে যে ভীড়লো তরী/কামদেব - by kumdev - 25-02-2020, 11:09 AM



Users browsing this thread: 12 Guest(s)