Thread Rating:
  • 28 Vote(s) - 3.21 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
সীমন্তিনী BY SS_SEXY
#14
(Update No. 30)

বিধুবাবু একটু ইতস্ততঃ করে বললেন, “দ্যাখ মা। আমার বয়স হয়ে গেছে। রোজগারপাতি কোনদিনই সংসারের প্রয়োজন মেটাবার মত করে করতে পারিনি। তাই সংসারের চিন্তায় প্রায় সারাক্ষণই মনটা বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। তাই মনে মনে না চাইলেও কখনও কখনও মুখ ফস্কে অনেক কিছুই বেরিয়ে যায়। তাই বলছি, তোমাকে তখন যে প্রশ্ন গুলো করেছি তাতে যদি তুমি মনে দুঃখ পেয়ে থাক, তাহলে আমায় ক্ষমা করে দিও মা”।

সীমন্তিনী মিষ্টি করে হেসে বলল, “ছিঃ ছিঃ মেসোমশাই। আপনার দু’মেয়ের চেয়ে বয়সে খানিকটা বড় হলেও আমি তো আপনার মেয়েরই মত। তাই আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে আমাকে পাপের ভাগী করে তুলবেন না প্লীজ। আমিও তো আপনাদের দু’জনকে আমার মা বাবার জায়গায় বসিয়ে প্রণাম করলাম”।

বিধুবাবু বললেন, “তুমি সত্যি বড় লক্ষী মাগো। তোমাকে দেখেই বুঝেছি তোমার ভেতরে অনেক শক্তি আছে। ধন্য তোমার বাবা মা, যাদের ঘরে তুমি জন্ম নিয়েছ”।

সীমন্তিনী মনে মনে একটু ভেবে বলল, “মেসোমশাই আমি তো বলতে গেলে আপনাদের কাছে পুরোপুরি অজানা। আগন্তুক এক অতিথি। তাই কথাটা বলতে একটু সঙ্কোচ হচ্ছে। আপনি যদি এটাকে আমার অনধিকার চর্চা বলে না ভাবেন, তাহলে একটা কথা বলতাম”।

বিধুবাবু বললেন, “হ্যা হ্যা মা, বল না কি বলবে”?

সীমন্তিনী একটু ইতস্ততঃ করে বলল, “আসলে মেসোমশাই, রচনার সাথে এতক্ষন ধরে কথা বলতে বলতে হঠাৎ করেই ওর দিদির প্রসঙ্গ আসতে ও কেঁদে ফেলল। ওর দিদি নাকি শ্বশুর বাড়িতে একদম ভাল নেই”।

বিধুবাবু ওপরের দিকে মুখ তুলে ঘরের কড়িকাঠের দিকে চেয়ে একটা বড় করে শ্বাস নিয়ে বললেন, “আমি তোমায় কী বলি মা? জীবনে এত বড় ভুল আমি আর কখনও করিনি। তিনটে হীরের টুকরো ছেলে মেয়ের বাবা হয়েও কোনদিন তাদের কোন চাহিদা পূরন করবার ক্ষমতা আমার ছিল না। আজও আমি সেটা করতে পারিনা। চেনাজানা ঘটকের মুখে ভাল উপায়ী পাত্রের সম্মন্ধ পেয়ে আমি তার কথাতেই বিশ্বাস করে খুব কম বয়সেই মেয়েটার বিয়ে দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম গরীব বাবার ঘরে জন্মে কোন সুখ না পেলেও শ্বশুর বাড়ি গিয়ে অন্ততঃ একটু সুখে থাকবে। নিজের তরফ থেকে আর কোন খবরাখবর নেবার চেষ্টাই করিনি। আমার সে ভুলের মাশুল এখন মেয়েটাকে সারা জীবন ধরে দিয়ে যেতে হবে। এত বড় একটা আঘাত পেয়েও আমি যে এখনও বেঁচে আছি, সেটা ভেবেই অবাক হচ্ছি আমি। জানিনা, ঈশ্বর আমার এ
পাপের কি শাস্তি বিধান করে রেখেছেন। খোকা আর রচু না থাকলে, আমরা বুড়োবুড়ি দু’জনেই হয়ত প্রাণ
বিসর্জন দিয়ে সে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতুম”।

সীমন্তিনী বিধুবাবুর কথা শুনে চমকে উঠে তার একটা হাত ধরে বলল, “ছিঃ মেসোমশাই। এসব কথা মনেও আনবেন না। যার কপালে যেটা হবার সেকি আর কেউ পাল্টে দিতে পারে? মেয়েটার কপালে


______________________________________________
ss_sexy
[+] 2 users Like riank55's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: সীমন্তিনী BY SS_SEXY - by riank55 - 23-02-2020, 09:16 PM



Users browsing this thread: 5 Guest(s)