22-02-2020, 11:15 PM
(Update No.5)
এর মধ্যেই প্রথম বয়স্কা মহিলাটি আরেকজন বয়স্কা মহিলাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “ওমা! ও মেজো, ও ছোটো! এ আমি কাকে দেখছি রে? দ্যাখ দ্যাখ, এ যে হুবুহু আমাদের মন্তির মুখটা রে! মন্তির মুখটাও তো ছোট্টবেলায় ঠিক এমনটিই ছিল”।
তৃতীয় বয়স্কা মহিলাটি স্থির দৃষ্টিতে বাচ্চার মুখটাকে দেখতে দেখতে জবাব দিল, “বড়খুকীর যখন এমন বয়স ছিল তখন তো আর আমি তাকে দেখিনি বড়দি। তবে ওর ছোট বেলাকার ছবির সাথে আমাদের এই ছোট্ট দিদিসোনাটার সত্যিই এতোটা মিল যে মনে হচ্ছে আমাদের বড়খুকীই যেন আবার আমাদের পরিবারে ফিরে এসেছে” বলতে বলতে বাচ্চাটাকে নিজের কোলে টেনে নিয়ে নিজের বুকে চেপে ধরলেন।
পেছনের ডিকি থেকে যাত্রীদের লাগেজগুলো বের করে অজিত বাড়ির ভেতরের দিকে এগোতেই দ্বিতীয় বয়স্কা মহিলাটি তাকে দেখে বলে উঠলেন, “ও মা? অজিত? তুমিই এদের নিয়ে এলে বুঝি”?
অজিত লাগেজগুলো বারান্দায় রেখে একে একে বয়স্কা মহিলাদের সবাইকে প্রণাম করতে করতে বলল, “বড়দা-বড়বৌদিরা যে আজ আসছেন, এ’ কথাটা তো আপনারা কেউ আমাকে জানানই নি মেজোমা? ভাগ্যিস আমি এয়ারপোর্টেই ছিলাম। আর তাদের ওপর আমার চোখে পড়ে গিয়েছিল। নইলে পরে আমাকে কত আফসোস করতে হত বলুন তো। দিদির সবচেয়ে প্রিয় মানুষটা বাড়ি এলেন, আর তাকে বাড়িতে এনে পৌঁছে দেবার সুযোগটা আমি হারালে, আমার কতটা কষ্ট হত বলুন তো”?
প্রথম বয়স্কা মহিলাটি যাকে ‘মেজো’ বলে ডেকেছিলেন তিনি তখন মেয়েকে কোলে নিয়ে খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ছোট্ট মেয়েটার মুখটাকে অনেকক্ষণ ধরে দেখবার পর বললেন, “হ্যাঁ গো বড়দি, তুমি তো ঠিক বলেছ! এ যে অবিকল আমাদের বড় খুকীর সেই মুখটাই গো। আমাদের বড়খুকী তার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটাকে ছেড়ে বেশীদিন থাকতে পারেনি গো। আবার তার কাছেই চলে এসেছে” বলে শিশু কন্যাটিকে বুকে চেপে ধরে আদর করতে করতে কেঁদে ফেললেন।
তার পাশে দাঁড়ানো অপর দুই মহিলা এবং অন্য সকলেও বাচ্চার মুখ দেখে সমস্বরে একই কথা বললেন।
মহিলারা যাকে ‘বড়খুকী’ বলে অভিহিত করলেন সে-ই ‘বড়খুকী’ই এ কাহিনীর মূল কেন্দ্রবিন্দুতে আছে। মূলতঃ তাকে নিয়েই আমাদের এ কল্প-কাহিনী। তবে এই ২০১৬ সালে সে কাহিনী লিখতে শুরু করলেও এ কাহিনীর সূত্রপাত হয়েছিল আরও অন্ততঃ বছর পঁচিশেক আগে। পাঠক পাঠিকাদের অবগত করানোর জন্যে এ কাহিনী শুরু করবার আগে এ পরিবারের কিছুটা পরিচয় করিয়ে দেওয়া আবশ্যক বলে মনে করছি।
**************
এর মধ্যেই প্রথম বয়স্কা মহিলাটি আরেকজন বয়স্কা মহিলাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “ওমা! ও মেজো, ও ছোটো! এ আমি কাকে দেখছি রে? দ্যাখ দ্যাখ, এ যে হুবুহু আমাদের মন্তির মুখটা রে! মন্তির মুখটাও তো ছোট্টবেলায় ঠিক এমনটিই ছিল”।
তৃতীয় বয়স্কা মহিলাটি স্থির দৃষ্টিতে বাচ্চার মুখটাকে দেখতে দেখতে জবাব দিল, “বড়খুকীর যখন এমন বয়স ছিল তখন তো আর আমি তাকে দেখিনি বড়দি। তবে ওর ছোট বেলাকার ছবির সাথে আমাদের এই ছোট্ট দিদিসোনাটার সত্যিই এতোটা মিল যে মনে হচ্ছে আমাদের বড়খুকীই যেন আবার আমাদের পরিবারে ফিরে এসেছে” বলতে বলতে বাচ্চাটাকে নিজের কোলে টেনে নিয়ে নিজের বুকে চেপে ধরলেন।
পেছনের ডিকি থেকে যাত্রীদের লাগেজগুলো বের করে অজিত বাড়ির ভেতরের দিকে এগোতেই দ্বিতীয় বয়স্কা মহিলাটি তাকে দেখে বলে উঠলেন, “ও মা? অজিত? তুমিই এদের নিয়ে এলে বুঝি”?
অজিত লাগেজগুলো বারান্দায় রেখে একে একে বয়স্কা মহিলাদের সবাইকে প্রণাম করতে করতে বলল, “বড়দা-বড়বৌদিরা যে আজ আসছেন, এ’ কথাটা তো আপনারা কেউ আমাকে জানানই নি মেজোমা? ভাগ্যিস আমি এয়ারপোর্টেই ছিলাম। আর তাদের ওপর আমার চোখে পড়ে গিয়েছিল। নইলে পরে আমাকে কত আফসোস করতে হত বলুন তো। দিদির সবচেয়ে প্রিয় মানুষটা বাড়ি এলেন, আর তাকে বাড়িতে এনে পৌঁছে দেবার সুযোগটা আমি হারালে, আমার কতটা কষ্ট হত বলুন তো”?
প্রথম বয়স্কা মহিলাটি যাকে ‘মেজো’ বলে ডেকেছিলেন তিনি তখন মেয়েকে কোলে নিয়ে খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ছোট্ট মেয়েটার মুখটাকে অনেকক্ষণ ধরে দেখবার পর বললেন, “হ্যাঁ গো বড়দি, তুমি তো ঠিক বলেছ! এ যে অবিকল আমাদের বড় খুকীর সেই মুখটাই গো। আমাদের বড়খুকী তার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটাকে ছেড়ে বেশীদিন থাকতে পারেনি গো। আবার তার কাছেই চলে এসেছে” বলে শিশু কন্যাটিকে বুকে চেপে ধরে আদর করতে করতে কেঁদে ফেললেন।
তার পাশে দাঁড়ানো অপর দুই মহিলা এবং অন্য সকলেও বাচ্চার মুখ দেখে সমস্বরে একই কথা বললেন।
মহিলারা যাকে ‘বড়খুকী’ বলে অভিহিত করলেন সে-ই ‘বড়খুকী’ই এ কাহিনীর মূল কেন্দ্রবিন্দুতে আছে। মূলতঃ তাকে নিয়েই আমাদের এ কল্প-কাহিনী। তবে এই ২০১৬ সালে সে কাহিনী লিখতে শুরু করলেও এ কাহিনীর সূত্রপাত হয়েছিল আরও অন্ততঃ বছর পঁচিশেক আগে। পাঠক পাঠিকাদের অবগত করানোর জন্যে এ কাহিনী শুরু করবার আগে এ পরিবারের কিছুটা পরিচয় করিয়ে দেওয়া আবশ্যক বলে মনে করছি।
**************