Thread Rating:
  • 53 Vote(s) - 3.38 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery কোন কূলে যে ভীড়লো তরী/কামদেব
#7
                                             [দুই]




তিনটে টাটাসুমো আসার কথা একটাও আসেনি। পল্টু ঘুম থেকে উঠে সাজগোজ করে তৈরী।মমকে বলে বেরিয়ে পড়ল।বাপি তখনও ঘুম থেকে ওঠেননি।রাস্তায় বেরিয়ে কাউকে দেখতে পেলনা।উপরদিকে তাকিয়ে দেখল দোতলার বারান্দায় দুলাল বাবু বসে আছেন।গলা তুলে জিজ্ঞেস করে, কাকু সঞ্জু নেই?
সঞ্জয় বেরিয়ে এসে উপর থেকে বলল,ও পল্টু?আয় উপরে চলে আয়।
দিলীপ কিরণ হীরুর মধ্যে সঞ্জয় তার প্রিয় বন্ধু,দুজনে এক কলেজে একই ক্লাসে পড়ে। দুলাল বাবু নিজেকে ডিসি ঘোষ বলে পরিচিত হতে ভালবাসেন।দুই মেয়ে আর এক ছেলে বড় মেয়ে ইরাদির বিয়ে হয়ে গেছে। নীরা আর সঞ্জুর যাবার কথা। মাসীমাও যেতেন কিন্তু ননদকে ফেলে তার যাবার উপায় নেই। ননদ রাঙা পিসি।সঞ্জুর তিন পিসি--দোলন ঝুলন আর গুঞ্জন। দুই পিসির বিয়ে হয়ে গেছে, ছোটো পিসি গুঞ্জনের লাইফটা খুব স্যাড। অথচ তিন পিসির মধ্যে রাঙা পিসি সব চেয়ে সুন্দরী।ছোটো বেলা পোলিও হয়ে পা-দুটো সরু কাঠির মত। পাছা থেকে উপরটা ভারী।ফর্সা পাকা পেয়ারার মত রঙ।কালো কুচকুচে এক মাথা ঝাকড়া চুল।সারাক্ষণ চেয়ারে বসে থাকে মাঝে মাঝে ওয়াকারের সাহায্যে হাটে।রাঙা পিসির মুখ দিয়ে লালা ঝরছে সর্বদা ,প্রথমে কথা বুঝতে পারতাম না। 'স' 'র' উচ্চারণ করতে পারে না 'ত' ‘ল’বেশি ব্যবহার করে। মুখ খুব খারাপ। সারাদিন বাড়ীতে থাকে বাইরে বেরোয় না বলতে গেলে তাহলে কি করে শিখলো খারাপ কথা? একদিন রাঙাপিসি সঞ্জুকে ডেকে বলল,এ্যাই থন্দু এততূ তুলে দেতো।
সঞ্জু দুহাতে রাঙাপিসিকে ধরে দাড় করাবার চেষ্টা করে।রাঙ্গা পিসি বলল,ধুল বালা ভাল কলে ধলনা।
সঞ্জু আমাকে হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করলল,'ধুল বালা' কি বলতো?ধুর বাড়া।
আমার কান লাল হয়ে গেল। লাইন ধারের মেয়েদের মুখে খারাপ কথা মানায়। আর হিজরেদের মুখে খিস্তি লেগে আছে। একবার মিহিরদার যখন ছেলে হয়েছিল তখন একদল হিজরে এসে বলেছিল,ছেলেদের বেলা পাঁচশো দিতে হবে।মিহিরদা অফিসে ছিল বাড়ীতে অঞ্জনা বৌদি একা।অত টাকা ছিলনা তাই বলল,আরেকদিন এসো তখন দেখবো।অমনি হিজরেটা 'কি দেখবি' বলে কোমর অবধি কাপড়তুলে দেখালো।  ওদের ভিতরটা কেমন দেখতে সেদিন ভাল করে দেখতে পারিনি। রাঙা পিসি ওয়াকার ধরে দাঁড়িয়ে সঞ্জুকে বলল,হাতিল মত গিলিত জোল কোতায় যায়?হি-হি-হি।
রাঙা পিসির দাত গুলো মুক্তোর মত সাজানো।বড়দুই বোনের বিয়ে ডিসি ঘোষের বাবা দিয়ে গেলেও কিন্তু এই অথর্ব বোনকে তিনি দেখছেন এই ব্যাপারটা আমার খুব ভাল লাগে। উপরে উঠতে রাঙা পিসি বলল, কিলে পলতু কোতায় যাচ্চিত লে তোলা?
--পিসি আমরা বারাসাতে যাচ্ছি।
সঞ্জয় ভিতর থেকে বলল,লক্ষণদা বলল,বামন গাছি।
--বালাথাতে?আমাকে এততু তুলে দেতো।
আমি কাছে গিয়ে বগলের নীচে হাত দিয়ে দাড় করিয়ে ওয়াকার ধরাবার চেষ্টা করি রাঙা পিসি আমার গায়ের উপর পড়ে যাচ্ছিল,রাঙাপিসির বুকে হাত দিয়ে টাল সামলাই। রাঙা পিসি ওয়াকার ধরে দাঁড়িয়ে চোখ উপরে তুলে জিজ্ঞেস করল, কিলে খুব অথব্য হয়েছিত? রাঙা পিসির মুখে দুষ্টু হাসি।
আমি অবাক কি করলাম আবার?প্রথমটা বুঝতে পারিনি।
রাঙা পিসি বলল,মেয়েদেল বুকে খুব থুক তাই নালে?
ঝা-ঝা করে উঠল কান তাকিয়ে দেখলাম আশে পাশে কেউ শুনল কিনা?অপরাধী ধী মুখ করে বললাম, পিসি আমি ইচ্ছে করে হাত দিই নি বিশ্বাস করো।
--থিক আছে থিক আছে তুই হাত দিলে আমি কিছু বলবো না।ধল ধল বলে আমার হাত নিয়ে নিজের বুকের উপর রাখে।
আমি লোভ সামলাতে না পেরে বাসে হর্ণ টেপার মত পক পক করে টীপে দিলাম।
--আল না আবাল পলে।ভালো না-আ?রাঙা পিসি জিজ্ঞেস করলো।
কিছু বললাম না সম্মতিসুচক হাসলাম।বুকের মধ্যে দপ দপ করছে।
--শুনেছিস তপনদা যাবে না?বাথরুম থেকে সঞ্জয় বলল।
তপন নন্দী মেরিন ইঞ্জিনীয়ার,বছর খানেকের উপর বিয়ে করেছে। মৌপিয়া বৌদি কলকাতার মেয়ে খুব মডার্ণ মাঝে মাঝে জিন্স পরে বেরোয়। বব কাট চুল পার্লারে গিয়ে সাজে। আমাদের অঞ্চলে বেমানান,কারও সঙ্গে তেমন আলাপ নেই। তপনদা যাবে না শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। তপনদা গেলে ক্যামেরা টেপ রেকর্ডার ইত্যাদি নিয়ে যেত। নানা ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী বাড়িতে ঠাষা।জাহাজে করে দেশ-বিদেশ ঘোরে আর কত রকম জিনিস নিয়ে আসে।মৌপিয়া বৌদির খুব দেমাক। রাঙা পিসির কাছ থেকে সরে গিয়ে বাথরুমের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করি,কেন যাবে না কেন?
নিজের বুকের ধুকধুক শব্দ শুনতে পাচ্ছি।কি নরম তুলতুলে রাঙা পিসির মাই।হাতের উপর লালা পড়েছে,বেসিনে হাত ধুয়ে নিলাম।
পিছন থেকে নীরা এসে বলল,অফিস থেকে জরুরী ডাক এসেছে,এই হল জাহাজের চাকরি। এ্যাই দাদা বেরো আমি বাথরুম যাবো।একদিক দিয়ে ভালই হয়েছে কি বল পল্টুদা?
--কেন ভাল কেন?
--তপনদা গেলে ঐ ফাটুশটাও যেতো।নীরা বলল।
মৌপিয়া বৌদির কথা বলছে।কারো সাতে পাঁচে নাক গলায় না নিজে নিজের মত থাকে, বৌদির উপর কেন যে এত রাগ ওদের বুঝি না।রাস্তা ঘাটে আমার সঙ্গে দেখা হলে মৃদু হেসে জিজ্ঞেস করে,কিরে ভাল?
বাইরে লক্ষণদার গলা পাওয়া যাচ্ছে।লক্ষণদাই সব ব্যবস্থা করছেন,হেভি ক্ষমতা। একটা ফোন করলেই থানা থেকে পুলিশ এসে যাবে।পার্টির লোক,শুনেছি মন্ত্রীদের সঙ্গে ওঠাবসা আছে।
সঞ্জয় বেরোতে নীরা ঢুকে গেল।সঞ্জয় ঘরে ঢুকে রেডী হতে লাগল। বাথরুম থেকে বেরিয়ে পল্টুর হাত ধরে নীরা বলল,পল্টুদা তুমি চলতো ওর এখনো রেডী হতে সময় লাগবে,মেয়েদের অধম।
এক দমক সুন্দর গন্ধ নাকে লাগে,মেয়েরা গন্ধ মাখতে ভালবাসে।নীচে নেমে দেখল রমেনবাবু ঘুরঘুর করছেন।ওর স্ত্রী হাঁপানি রুগী কোথাও যান না। ওর ছেলে হীরু গল্প করছে দিলীপের সঙ্গে।দিলীপ কথা বলতে বলতে আড়চোখে লায়লিকে দেখছে। দিলীপের সঙ্গে ইয়ে আছে আমরা বন্ধু-বান্ধবরা জানি।নীরা বলল,পল্টুদা দেখো লায়লিটা কেমন সেজেছে।
লায়লির বাবা নেই,ওর মা মণিকাআণ্টি এসেছেন।রমেনবাবু দাঁড়িয়ে মণিকা আণ্টির গা ঘেষে। লক্ষণদা তাগাদা দিলেন উঠে পড়ো,গাড়ী ছেড়ে দেবে।
সঞ্জয়কে দেখছি না,কোথায় গেল।আরে ঐতো লক্ষণদার সঙ্গে প্রথম গাড়ীতে উঠল। খুব রাগ হল লক্ষণদাকে তেল মারা হচ্ছে? সবাই পয়সা দিয়ে যাচ্ছি লক্ষণদার টাকায় যাচ্ছিনা। সঞ্জয়ের ব্যবহার খুব খারাপ লাগলো। নীরা হাত ধরে টেনে শেষের গাড়িতে তুললো।এ গাড়ীতে মেয়েরা বেশি।গাড়ী ছেড়ে দিল।জগা উকিলের বউ সুমিত্রা আণ্টি দুই মেয়ে রমিতা শমিতাকে পাশে নিয়ে বসেছেন। চুপচাপ সবাই বসে আছি এমন সময় সুমিত্রা আণ্টি বলল,তপন আসলে ভাল হতো। টেপ রেকরডার নিয়ে আসতো বেশ গান শুনতে শুনতে যেতাম।
পল্টুরও সেকথা মনে হয়েছিল।শীলা আন্টি বলল,নীরা একটা গান ধর না।
শীলা আণ্টি এখানে কিন্তু দিলীপ কোথায় গেল? মণিকা আণ্টির সঙ্গে লায়লিও নেই। তাহলে প্লান করে দুজনে এক গাড়িতে উঠেছে?
--নীরা গাও না,সবাই বলছে।পল্টু অনুরোধ করলো।
--তুমিও গাইবে?নীরা বলল।
--হ্যা -হ্যা আমরা সবাই গাইবো।শীলা আণ্টি তাল দিল।
নীরা গলা খাকারি দিয়ে শুরু করে,
আম-রা নূতন যৌবনের দূত
আম-রা চঞ্চল,আম-রা অদ্ভুত
আম-রা বেড়া ভাঙ্গি-ই-ই
আমরা অশোক বনের রাঙা নেশায় রাঙি..
পল্টুর উরুতে চাপড় দিয়ে তাল দিতে দিতে গাইছে নীরা।পল্টু তুড়ি মেরে তাল দিচ্ছে।নীরা গান শেখে না কিন্তু ওর গলা বেশ।নীরা নেশায় রাঙিতে এসে বলল,যাঃ মনে করতে পারছি না...।
পল্টু ধরিয়ে দেয়,ঝঞ্ঝার বন্ধন ছিন্ন করে দিই--"
--থাক আর মনে করতে হবে না,অন্য গান গাও বেশ জমাটি।সুমিত্রা আণ্টি বলল।
--হ্যা জমছে না,এ গানে রসকস নেই। নীরার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে পল্টু।
নীরা খিল খিল করে হেসে উঠল।
--কি বললি রে পল্টূ?সুমিত্রা আণ্টি জিজ্ঞেস করে।
--বললাম একটা হিন্দি গান গাইতে।
--সবাইকে বোকা ভাবিস? বুঝি না কিছু? তোরা কি করছিস কিছুই দেখছি না ভেবেছিস?
নীরা বিব্রত হয়ে বলল,আণ্টি আমি কি করলাম? আপনি আমাকে কেন বলছেন?
--আহা চুপ করো না মা।সুমিত্রা আণ্টিকে বলল রমিতা।
শীলা আণ্টি ফোড়ন দিল,আমাদের কি আর যৌবন আছে,দিদি বলছে আমাদের গান গাইতে।একটা কীর্তন ধর।
সবাই হো-হো করে হেসে উঠল।সুমিত্রা আণ্টি মেয়েকে ধমক দিল,হ্যা-হ্যা করে হাসিস নাতো,গা জ্বলে যায়।
চুপি চুপি পল্টু জিজ্ঞেস করে,নীরা কীর্তন গাইবে?
--চুপ করো,সব সময় ইয়ার্কি ভাল লাগে না।নীরা ধমক দিল।পিকনিকের মেজাজটাই খারাপ করে দিল।
একটা বাজারের কাছে গাড়ী দাঁড়িয়ে পড়ল।লক্ষণদা এসে বলল,সবাই নেমে একটু রিলাক্স করে নেও।চা খেয়ে আবার যাত্রা শুরু হবে।
আমরা নেমে পড়লাম গাড়ী থেকে।নীরা বলল,জগা উকিলের বউটা আনকালচার্ড।
আমি হাসলাম।নীরা ধমকে উঠল,হাসছো যে কি বলল শোনো নি?
--হিন্দি গান শুনতে চাইছিল।
--তোমার মাথা।আমাদের নিয়ে কি বলল শোনো নি?
পল্টুদা লেখাপড়ায় ভাল কিন্তু খুব সরল।এযুগে এত সরল হলে চলে না। সুমিত্রা-আণ্টির "তোরা কি করছিস" কথাটার মানে বোঝাতে নীরার সঙ্কোচ হয়।
--বাদ দাও,চলো চা খাই।
[+] 8 users Like kumdev's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: কোন কূলে যে ভীড়লো তরী/কামদেব - by kumdev - 22-02-2020, 05:17 PM



Users browsing this thread: 8 Guest(s)