19-02-2020, 02:18 AM
সকালে ঘুম ভাঙলো. উঠে দেখি বাবা বিছানায় বসে খবরের কাগজ পড়ছে. মা নেই. আমি উঠে বসে চোখ ডলছি. তখন মায়ের গলা পেলাম : তা এতক্ষনে ওঠার সময় হলো ছেলের? কলেজ ছুটি বলে কেউ এতক্ষন ঘুমায়? ওঠ.... দাঁত ব্রাশ কর যা. মা এসে বাবাকে চা দিলো আর মা আবার বেরিয়ে গেলো. আমি বাইরে এলাম. এসে দেখি দাদু আরাম কেদারায় বসে আছে আর মায়ের সাথে কথা বলছে. মায়ের পাশে দেখলাম কমলা মাসিকে. সেও মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে দাদুর সাথে কথা বলছে আর দাদুকে লুচি তরকারি দিচ্ছে. কমলা মাসি হয়তো মায়েরই বয়সী. মায়ের থেকে কম উচ্চতার আর সামান্য মোটা. আমার মা সামান্য রোগা... বা বলা যেতে পারে নিজের শরীরের খেয়াল রাখে আর দেখতে অপরূপ সুন্দরী. তবে কমলা মাসি মায়ের ধারে কাছে না গেলেও দেখতে খাড়াপ নন. আমি দাদুর পেছনে ছিলাম তাই দাদু আমায় দেখতে পায়নি. আমি ওদের ছাড়িয়ে বেসিনের দিকে যাচ্ছি এমন সময় দেখলাম মায়ের হাত দিয়ে একটা বিস্কুটের টুকরো ভেঙে নীচে মাটিতে পড়ে গেলো. মা নিচু হয়ে ওটা তুলতে গেলো আর আবার সেই মায়ের ম্যাক্সি কিছুটা ঝুলে গেলো. কিন্ত এবারে দেখলাম শুধু দাদু নয়, কমলা মাসিও মায়ের ওই বুকের খাঁজটা ভালো করে দেখছে আর দাদু আর মাসি চোখ চাওয়া চাই করছে. ওই বয়সে কিছুই বোঝার মতো বুদ্ধি হয়নি তাই আমি যে কাজের জন্য যাচ্ছিলাম সেদিকে চলে গেলাম. দোতলায় একটা পায়খানা বাথরুম ছিল আর একতলায় আরেকটা. দুটোই বেশ বড়ো. দোতলার বাথরুমটা ছিল একটা গলির ভেতর. আমি সেটাতেই গিয়ে সকালের কাজ সেরে বেরিয়ে এলাম. আর এসে দেখি বাবা আর দাদু বসে কথা বলছে. আমি দাদুর পাশে গিয়ে বসলাম. দাদু আমাকে জড়িয়ে বাবার সাথে দরকারি কথা বলছিলো. আমি টিভি দেখছিলাম. কিন্তু একসময় বোরিং লাগছিলো. তাই দাদুকে জিজ্ঞেস করলাম মা কোথায়? দাদু বললো : তোমার মা রান্নাঘরে গেছে. আজ আমি বৌমার হাতে রান্না খাবো. তুমি যাবে মায়ের কাছে? আমি মাথা নাড়লাম. দাদু বললো : যাও নীচে যাও. আমি তোমার বাবার সাথে কথা বলি. আমি দাদুর কথা মতো নীচে নেমে এলাম. একতলার শেষের কোণে রান্না ঘর. প্রায় দুটো ঘর মিলিয়ে একটা রান্নাঘর. সেখান থেকে হাতা খুন্তি নাড়ানোর আওয়াজ আসছে. আমি এগিয়ে গেলাম সেদিকে. রান্নাঘরে এসে দেখি মা আর কমলা মাসি গল্প করতে করতে রান্না করছে. মা নীচে বসে সবজি কাটছে. আমাদের কলকাতার বাড়িতেও মা এইভাবেই বসে বসে সবজি কাটে বঁটিতে. মা কিছুটা ঝুঁকে বেগুন কাটছিলো আর কমলা মাসি মায়ের সামনেই টেবিলের কাছে দাঁড়িয়ে কিছু রান্না করছিলো. আমি দেখলাম এবারে কথা বলতে বলতে সে মায়ের দিকে ঘুরলো আর কি একটা দেখে ওই ভাবেই মায়ের দিকে তাকিয়ে রইলো. আমি দেখলাম কমলা মাসি মায়ের আরও কাছে সরে এসে মায়ের ওই ম্যাক্সি দিয়ে সামান্য বেরিয়ে আসা দুদুর খাঁজটা দেখছে. এদিকে মায়ের খেয়াল নেই. সে হেসে হেসে কমলা মাসির সাথে গল্প করছে কিন্তু কমলা মাসি মায়ের সাথে গল্প করতে করতে ভালো করে ওই ম্যাক্সির ফাঁক দিয়ে খাঁজটা দেখার চেষ্টা করছে. এবারে দেখলাম কমলা মাসি নিজেও নিজের হাতটা নিজের বুকের কাছে এনে নিজের দুদুর ওপর হাত বোলাচ্ছে আর মায়ের দুদু দেখছে. আমি কিছু না বুঝে ভেতরে ঢুকে গেলাম. কমলা মাসি অমনি নিজের হাত সরিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাসলো. মা আমাকে দেখে বললো : কিরে? এখানে? একা একা ভালো লাগছেনা? আমি মায়ের পাশে গিয়ে বললাম : দাদু বাবার সাথে গল্প করছে. আমার একা ভালো লাগছেনা তাই তোমার কাছে এলাম. কমলা মাসি আমার গাল টিপে দিয়ে বললো : ওলে বাবলে সোনা ছেলেটা একা একা ভালো লাগছেনা? তাহলে দাদুর সাথে বিকেলে ঘুরে এসো না. পাশেই একটা বড়ো মাঠ আছে. ঐখানে বিকেল বেলা সবাই খেলা করে. তুমি দাদুকে বলো ওখান থেকে ঘুরিয়ে আনতে.
আমি শুনে খুশি হয়ে গেলাম. তখনি ভোলা মানে কমলা মাসির বর এলো ওখানে. ভোলা এসে নিজের বৌকে বললো : কমলা তুমি এখানে? আমি বলতে এলুম আমি একটু বাইরে জাসসি. তুমি এদিকগর খেয়াল রেখো. কমলা মুখ ঝামটা দিয়ে বললো : তা আমিই তো খেয়াল রাখি বাপু...... তুমি তো হয় নেশা করে উল্টে থাকো নইলে একটু খেটেই হাপিয়ে পড়ো. ভোলা হেসে চলে গেলো. আমার মনে হলো দুইজনের মধ্যে সম্পর্ক ভালো নয়. আমি কিছুক্ষন মায়ের সাথে থেকে আবার ওপরে চলে গেলাম. ওপরে এসে দেখি বাবা দাদুর সাথে নেই. দাদু একাই টিভি দেখছে. টিভিতে একটা গান হচ্ছে. এই গানটা আমার চেনা. হিন্দি গান. অনিল কাপুর আর মধুরিমা দীক্ষিতের. ধক ধক করনে লাগা. যদিও গানটার মাথা মুন্ডু কিছুই বুঝতাম না. কারণ তখনো আমি হিন্দি ভাসা বুঝতে শিখিনি. কিন্তু দাদু দেখলাম হা করে ওই গানটা দেখছে. একটা সিনে মধুরি আউউচ করে উঠলো তখনি দেখলাম দাদু বলে উঠলো : উফফফ.... কুত্তি তোকে যদি পেতাম না....ছিঁড়ে খেতাম. তখনি আমি দাদুকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম দাদু তৎক্ষণাৎ টিভি বন্ধ করে আমায় কাছে এনে বসালো.
দাদু : কি? মায়ের সাথে দেখা হলো?
আমি : হুম.
দাদু : মা কি করছে?
আমি : কমলা মাসির সাথে রান্না করছে.
দাদু : বেশ বেশ. খুবই ভালো কথা.
আমি : কেন? খুবই ভালো কেন?
দাদু : ও তুমি বুঝবেনা. ছাড়ো.
আমি : আচ্ছা দাদু জানো কালকে না আমি ভুত দেখেছি.
দাদু : ওমা সেকি? কখন?
আমি : কাল রাতে. আমার ঘুম ভেঙে গেলো আর দেখি দরজার বাইরে একটা হাত. তার হাতে একটা ডান্ডা. আমাকে দেখে পালিয়ে গেলো.
আমি দেখলাম দাদু আমার কথা শুনে মুচকি হাসলো তারপরে মনে মনে কি বললো. তারপরে আমাকে বললো : ও কিছুনা. তুমি মনে হয় গাছের ছায়া দেখেছো. আচ্ছা তোমার মা কি বাড়িতেও ম্যাক্সি পড়ে?
আমি : হুম... মতো ম্যাক্সিই পড়ে. আমাদের ওখানে মা সবসময় ম্যাক্সি পড়ে আর কোথাও বেরোতে হলে শাড়ী পড়ে. কেন?
দাদু : এমনি সোনা. আসলে তোমার মাকে ম্যাক্সিতে খুবই ভালো লাগে. শুধু ম্যাক্সি কেন? তোমার মা যাই পড়ে তাতেই ভালো লাগে? যা দেখতে বৌমাকে. উফফফ.
আমি : জানোতো দাদু একবার মা বাথরুমে ঢুকে কাপড় কাচতে গেছে. সব কাচা হয়ে যাবার পর মা দেখে নিজে যে ম্যাক্সিটা পড়বে বলে নিয়ে গেছিলো সেটাও কেচে দিয়েছে. হি হি... সেকি মজা আমার. শেষে তোয়ালে জড়িয়ে বেরিয়ে এসে আবার আলমারি থেকে নতুন ম্যাক্সি বার করে পড়তে হলো.
আমার এই কথাটা আমার কাছে মজার হলেও দাদু দেখলাম একটুও হাঁসলোনা. বরং ফিস ফিস করে বলতে শুনলাম : তোয়ালে জড়িয়ে? উফফফফ আমি যদি ওখানে থাকতাম তাহলে নিজেই ম্যাক্সি এনে বাথরুমে ঢুকে নিজের হাতে বৌমাকে নতুন ম্যাক্সি পরিয়ে দিতাম তবে তার আগে একটু........ এই বলেই মুচকি হেসে উঠলো দাদু.
আমি : দাদু কি বললে?
দাদু : ও কিছুনা সোনা.
আমি : দাদু আমাকে বিকেলে বেড়াতে নিয়ে যাবে? কমলা মাসি বললো সামনে বড়ো মাঠ আছে. যাবে দাদু?
দাদু : অবশ্যই যাবো দাদুভাই. আমার দাদুভাই যেতে চায় আর আমি যাবোনা. ৫ টার সময় দুজনে বেরোবো. কেমন? আচ্ছা তুমি বসো, টিভি দেখো. আমি একটু আসছি. তোমার বাবা বাথরুমে গেলেন একটু আগে. বসো বাবা.
এই বলে দাদু কোথায় গেলেন. আমি বসে কার্টুন দেখতে লাগলাম. একটু পরেই আমার মনে হলো যাই ঘরের দিকে. আমি উঠে দাঁড়ালাম আর ঘরের দিকে যেতে লাগলাম আর বারান্দার সামনে এসে ওই জানলা দিয়ে আয়নায় দেখতে পেলাম দাদু ভেতরে. আর দাদুর হাতে কি একটা সাদা মতো রয়েছে. দাদু ওটা শুকছে আর হাসছে. আমার কেন জানি মনে হলো ওটা মায়ের ব্রা. হয়তো ভুলও করতে পারি কিন্তু মনে হলো. দাদু হঠাৎ আয়নায় তাকালো মনে হয় আমাকে পেলো কারণ আমি এত কাছে ছিলাম যে ওই আয়নায় আমার প্রতিফলন মনে হয় দাদু দেখতে পেয়েছিলো. অমনি সরে গিয়ে পরক্ষনেই বেরিয়ে এলেন হাসিমুখে. আর বললেন : ওই তোমার ঘরে একটা দরকারি কাগজ ছিল আমার. ওটা নিতেই এসেছিলাম. চলো বাবা আমরা টিভি দেখি.
দুপুরে জম্পেস খাওয়া হলো. মা দারুন রান্না করেছিল. দাদু চেটেপুটে খেলো. আমি বাবা মা শুয়ে পড়লাম দুপুরে. তবে মা বাবাকে আগেই বলে ছিল দাদু আমাকে নিয়ে বেরোনোর কথা. সেই মতো ঠিক পাঁচটায় আমাদের দরজায় টোকা. মা দরজা খুললো. দাদু দাঁড়িয়ে. মাকে দেখে হাসলো. মা আমাকে দাদুর কাছে দিয়ে বললেন : একদম দুস্টুমি করবে না. দাদুর কথা শুনবে. দূরে যাবেনা. দাদু হেসে বললেন : চিন্তা করোনা বৌমা. ও আমার সাথে যাচ্ছে. কিচ্ছু হতে দেবোনা. তুমি নিশ্চিন্তে থাকো. যাও তুমি বিশ্রাম নাও. মা হেসে দরজা ভিজিয়ে দিলো আর আমরা নীচে নামতে লাগলাম. বাইরে বেশ ভালো রোদ. আমি আর দাদু বাইরে এসে গেট খুলে বেরিয়ে এলাম. দাদু গেট লাগিয়ে আমার হাত ধরে ডান দিকে যেতে লাগলেন. রাস্তায় দেখলাম এইদিকে বাড়ী ঘর বেশি নেই. কিছুদূর যাবার পর মাঠটা দেখতে পেলাম. সত্যি বেশ বড়ো মাঠ. সামনে অনেক গাছ আর নীচে বাঁধানো যাতে লোক গাছের নীচে বসতে পারে. আমরা মাঠের কাছে আসতেই একটা গাছের নীচে বসে থাকা লোক আমাদের দেখে হাসিমুখে আমাদের দিকে এগিয়ে এলো. দাদুরই বয়সী, বেশ রোগা কিন্তু ইনিও দাদুর মতো লম্বা. উনি এগিয়ে এসে দাদুকে বললেন : কি রে সুবীর? এটা কে? তোর নাতি নাকি? দাদু হেসে বললো : হ্যারে.... নাতি. আমার ছেলে বৌমারা কাল এসেছে. এই প্রথম নাতির মুখ দেখলাম. দাদুভাই ইনি হলেন আমার কলেজের বন্ধু তরুণ. প্রণাম কোরো.
আমি ওই নতুন দাদুকে প্রণাম করতে যাচ্ছিলাম উনি আমাকে বাঁধা দিয়ে কোলে তুলে নিলেন আর আমার গালে চুমু খেয়ে বললেন : ওলে বাবলে থাক বাবা থাক. কি নাম তোমার? আমি বললাম অজয়. উনি বললেন : বাহ্ বাহ্ চলো এসো বাবু. আমরা ওই খানে যাই. এইবলে উনি আমাকে নিয়ে আর দাদুর সাথে কথা বলতে বলতে মাঠের দিকে যেতে লাগলেন. প্রথমে এই দাদুর বন্ধু মানে নতুন দাদুকেও আমার ভালো লেগেছিলো. কিন্ত তখন বুঝতে পারিনি আমার আর বাবার সর্বনাশের পেছনে এই লোকটারও একটা হাত থাকবে. আমার কাছ থেকে আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটাকে কেড়ে নেবার পেছনে এই লোকটারও একটা হাত থাকবে. তবে সে শুধু একা নয় তার সাথে থাকবে এমন একজন মানুষ যে এটা করতে পারে সেটা আমি বা বাবা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি.
আমি শুনে খুশি হয়ে গেলাম. তখনি ভোলা মানে কমলা মাসির বর এলো ওখানে. ভোলা এসে নিজের বৌকে বললো : কমলা তুমি এখানে? আমি বলতে এলুম আমি একটু বাইরে জাসসি. তুমি এদিকগর খেয়াল রেখো. কমলা মুখ ঝামটা দিয়ে বললো : তা আমিই তো খেয়াল রাখি বাপু...... তুমি তো হয় নেশা করে উল্টে থাকো নইলে একটু খেটেই হাপিয়ে পড়ো. ভোলা হেসে চলে গেলো. আমার মনে হলো দুইজনের মধ্যে সম্পর্ক ভালো নয়. আমি কিছুক্ষন মায়ের সাথে থেকে আবার ওপরে চলে গেলাম. ওপরে এসে দেখি বাবা দাদুর সাথে নেই. দাদু একাই টিভি দেখছে. টিভিতে একটা গান হচ্ছে. এই গানটা আমার চেনা. হিন্দি গান. অনিল কাপুর আর মধুরিমা দীক্ষিতের. ধক ধক করনে লাগা. যদিও গানটার মাথা মুন্ডু কিছুই বুঝতাম না. কারণ তখনো আমি হিন্দি ভাসা বুঝতে শিখিনি. কিন্তু দাদু দেখলাম হা করে ওই গানটা দেখছে. একটা সিনে মধুরি আউউচ করে উঠলো তখনি দেখলাম দাদু বলে উঠলো : উফফফ.... কুত্তি তোকে যদি পেতাম না....ছিঁড়ে খেতাম. তখনি আমি দাদুকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম দাদু তৎক্ষণাৎ টিভি বন্ধ করে আমায় কাছে এনে বসালো.
দাদু : কি? মায়ের সাথে দেখা হলো?
আমি : হুম.
দাদু : মা কি করছে?
আমি : কমলা মাসির সাথে রান্না করছে.
দাদু : বেশ বেশ. খুবই ভালো কথা.
আমি : কেন? খুবই ভালো কেন?
দাদু : ও তুমি বুঝবেনা. ছাড়ো.
আমি : আচ্ছা দাদু জানো কালকে না আমি ভুত দেখেছি.
দাদু : ওমা সেকি? কখন?
আমি : কাল রাতে. আমার ঘুম ভেঙে গেলো আর দেখি দরজার বাইরে একটা হাত. তার হাতে একটা ডান্ডা. আমাকে দেখে পালিয়ে গেলো.
আমি দেখলাম দাদু আমার কথা শুনে মুচকি হাসলো তারপরে মনে মনে কি বললো. তারপরে আমাকে বললো : ও কিছুনা. তুমি মনে হয় গাছের ছায়া দেখেছো. আচ্ছা তোমার মা কি বাড়িতেও ম্যাক্সি পড়ে?
আমি : হুম... মতো ম্যাক্সিই পড়ে. আমাদের ওখানে মা সবসময় ম্যাক্সি পড়ে আর কোথাও বেরোতে হলে শাড়ী পড়ে. কেন?
দাদু : এমনি সোনা. আসলে তোমার মাকে ম্যাক্সিতে খুবই ভালো লাগে. শুধু ম্যাক্সি কেন? তোমার মা যাই পড়ে তাতেই ভালো লাগে? যা দেখতে বৌমাকে. উফফফ.
আমি : জানোতো দাদু একবার মা বাথরুমে ঢুকে কাপড় কাচতে গেছে. সব কাচা হয়ে যাবার পর মা দেখে নিজে যে ম্যাক্সিটা পড়বে বলে নিয়ে গেছিলো সেটাও কেচে দিয়েছে. হি হি... সেকি মজা আমার. শেষে তোয়ালে জড়িয়ে বেরিয়ে এসে আবার আলমারি থেকে নতুন ম্যাক্সি বার করে পড়তে হলো.
আমার এই কথাটা আমার কাছে মজার হলেও দাদু দেখলাম একটুও হাঁসলোনা. বরং ফিস ফিস করে বলতে শুনলাম : তোয়ালে জড়িয়ে? উফফফফ আমি যদি ওখানে থাকতাম তাহলে নিজেই ম্যাক্সি এনে বাথরুমে ঢুকে নিজের হাতে বৌমাকে নতুন ম্যাক্সি পরিয়ে দিতাম তবে তার আগে একটু........ এই বলেই মুচকি হেসে উঠলো দাদু.
আমি : দাদু কি বললে?
দাদু : ও কিছুনা সোনা.
আমি : দাদু আমাকে বিকেলে বেড়াতে নিয়ে যাবে? কমলা মাসি বললো সামনে বড়ো মাঠ আছে. যাবে দাদু?
দাদু : অবশ্যই যাবো দাদুভাই. আমার দাদুভাই যেতে চায় আর আমি যাবোনা. ৫ টার সময় দুজনে বেরোবো. কেমন? আচ্ছা তুমি বসো, টিভি দেখো. আমি একটু আসছি. তোমার বাবা বাথরুমে গেলেন একটু আগে. বসো বাবা.
এই বলে দাদু কোথায় গেলেন. আমি বসে কার্টুন দেখতে লাগলাম. একটু পরেই আমার মনে হলো যাই ঘরের দিকে. আমি উঠে দাঁড়ালাম আর ঘরের দিকে যেতে লাগলাম আর বারান্দার সামনে এসে ওই জানলা দিয়ে আয়নায় দেখতে পেলাম দাদু ভেতরে. আর দাদুর হাতে কি একটা সাদা মতো রয়েছে. দাদু ওটা শুকছে আর হাসছে. আমার কেন জানি মনে হলো ওটা মায়ের ব্রা. হয়তো ভুলও করতে পারি কিন্তু মনে হলো. দাদু হঠাৎ আয়নায় তাকালো মনে হয় আমাকে পেলো কারণ আমি এত কাছে ছিলাম যে ওই আয়নায় আমার প্রতিফলন মনে হয় দাদু দেখতে পেয়েছিলো. অমনি সরে গিয়ে পরক্ষনেই বেরিয়ে এলেন হাসিমুখে. আর বললেন : ওই তোমার ঘরে একটা দরকারি কাগজ ছিল আমার. ওটা নিতেই এসেছিলাম. চলো বাবা আমরা টিভি দেখি.
দুপুরে জম্পেস খাওয়া হলো. মা দারুন রান্না করেছিল. দাদু চেটেপুটে খেলো. আমি বাবা মা শুয়ে পড়লাম দুপুরে. তবে মা বাবাকে আগেই বলে ছিল দাদু আমাকে নিয়ে বেরোনোর কথা. সেই মতো ঠিক পাঁচটায় আমাদের দরজায় টোকা. মা দরজা খুললো. দাদু দাঁড়িয়ে. মাকে দেখে হাসলো. মা আমাকে দাদুর কাছে দিয়ে বললেন : একদম দুস্টুমি করবে না. দাদুর কথা শুনবে. দূরে যাবেনা. দাদু হেসে বললেন : চিন্তা করোনা বৌমা. ও আমার সাথে যাচ্ছে. কিচ্ছু হতে দেবোনা. তুমি নিশ্চিন্তে থাকো. যাও তুমি বিশ্রাম নাও. মা হেসে দরজা ভিজিয়ে দিলো আর আমরা নীচে নামতে লাগলাম. বাইরে বেশ ভালো রোদ. আমি আর দাদু বাইরে এসে গেট খুলে বেরিয়ে এলাম. দাদু গেট লাগিয়ে আমার হাত ধরে ডান দিকে যেতে লাগলেন. রাস্তায় দেখলাম এইদিকে বাড়ী ঘর বেশি নেই. কিছুদূর যাবার পর মাঠটা দেখতে পেলাম. সত্যি বেশ বড়ো মাঠ. সামনে অনেক গাছ আর নীচে বাঁধানো যাতে লোক গাছের নীচে বসতে পারে. আমরা মাঠের কাছে আসতেই একটা গাছের নীচে বসে থাকা লোক আমাদের দেখে হাসিমুখে আমাদের দিকে এগিয়ে এলো. দাদুরই বয়সী, বেশ রোগা কিন্তু ইনিও দাদুর মতো লম্বা. উনি এগিয়ে এসে দাদুকে বললেন : কি রে সুবীর? এটা কে? তোর নাতি নাকি? দাদু হেসে বললো : হ্যারে.... নাতি. আমার ছেলে বৌমারা কাল এসেছে. এই প্রথম নাতির মুখ দেখলাম. দাদুভাই ইনি হলেন আমার কলেজের বন্ধু তরুণ. প্রণাম কোরো.
আমি ওই নতুন দাদুকে প্রণাম করতে যাচ্ছিলাম উনি আমাকে বাঁধা দিয়ে কোলে তুলে নিলেন আর আমার গালে চুমু খেয়ে বললেন : ওলে বাবলে থাক বাবা থাক. কি নাম তোমার? আমি বললাম অজয়. উনি বললেন : বাহ্ বাহ্ চলো এসো বাবু. আমরা ওই খানে যাই. এইবলে উনি আমাকে নিয়ে আর দাদুর সাথে কথা বলতে বলতে মাঠের দিকে যেতে লাগলেন. প্রথমে এই দাদুর বন্ধু মানে নতুন দাদুকেও আমার ভালো লেগেছিলো. কিন্ত তখন বুঝতে পারিনি আমার আর বাবার সর্বনাশের পেছনে এই লোকটারও একটা হাত থাকবে. আমার কাছ থেকে আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটাকে কেড়ে নেবার পেছনে এই লোকটারও একটা হাত থাকবে. তবে সে শুধু একা নয় তার সাথে থাকবে এমন একজন মানুষ যে এটা করতে পারে সেটা আমি বা বাবা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি.
চলবে.....
ভালো লাগলে Reps দেবেন বন্ধুরা.