18-02-2020, 10:19 PM
13
ও ফিরে আসার পর ওকে আমি বললাম “তুই একটা বলদ। ওই রকম কাঠের টেবিলের ওপর কাগজ পেতে লেখা যায়? কতক্ষণ সময় লাগিয়েছিস জানিস?” ও বলল “ জানি। আর কাগজটার দু একটা জায়গা ছিঁড়েও গেছে স্বাভাবিকভাবে, তবে প্যাডের ওপরে রেখে লিখলে অরূপদা যে ভুলটা করেছে আমাদেরও সেই একই ভুল করা হত। ও ফিরে আসার পর সন্দেহ করলে প্যাডের কাগজে পেন্সিল বা মাটি ঘষে বুঝতে পারত যে ওর আকাউন্টের ডিটেল কেউ প্যাডের কাগজে নোট করে নিয়েছে। “ আমি একটু ভুরু কুঁচকে বললাম “কার অ্যাঁকাউন্ট?” ও বলল “ আমার বাপের শালার।“ তারপর চোখে ইশারা করতেই আমি চুপ করে গেলাম। ও আমাকে জিজ্ঞেস করল “তুই ইতিহাসে কেমন ছিলিস?” আমি বললাম “ খুব কাঁচা। তবে মুখস্থ করে উগড়ে দিতাম। লেটার পেয়েছিলাম।“ ও আমার সাথে হাত মিলিয়ে বলল “সাবাস রুমি ডার্লিঙ আমিও লেটার পেয়েছিলাম। এইবার একটা প্রশ্ন তোমাকে আমি করব। দেখি তোমার বিশ্ব ইতিহাস কতটা মনে আছে।“ আমি দম নিয়ে সোজা হয়ে বললাম “বল শুনি।“ ও গলা নামিয়ে বলল “জেসাসের পুনর্জন্ম বা ফিরে আসার ব্যাপারটা মনে আছে?” আমি বললাম “সোজাসুজি বল না রিসারেকশন নিয়ে জিজ্ঞেস করছিস।“ ও আমাকে বলল “হ্যাঁ। কিন্তু প্রশ্নটা হল তখন এক্স্যাক্টলি কি হয়েছিল মনে আছে। “ আমি এই প্রশ্নটার জন্য মোটেই তৈরি ছিলাম না। তাই একটু ভেবে নিয়ে বললাম “ ওই তো প্যালেস্টাইনের কিছু কিছু জায়গায় ওকে আবার দেখা গিয়েছিল।“ ও বলল “ বেশ এইবার সংকেতটা মনে পড়ে?” আমি বললাম “তা মনে আছে। bob-ac-(12230??jesus resurrection in PL(how many pl))-dep-82l”। ও আমাকে বলল “ ঠিক। “পি এল” টা কি সেটা বুঝতে পেরেছিস?” আমি চিন্তা করছি দেখে বলল “ খুব সম্ভবত প্যালেস্টাইন।“ একটু থেমে বলল “ সুক্ষ জিনিসটা খেয়াল করে ছিলিস? একটা “পি এল” ক্যাপিটালে লেখা আরেকটা ছোট হাতে। “ সত্যি তো ঠিক তাই। ও বলে চলল গলা নামিয়ে “ বড় হাতের পি এল হল প্যালেস্টাইন। আর ছোট হাতের পি এল হল সাধারণ কথায় প্লেস বা প্লুরাল করে বললে প্লেসেস। আর আমি এই ব্যাপারে মোটামুটি সিওর।“ আমার চমকের ভাব তখনও কাটেনি। বললাম “ এত সিওর হচ্ছিস কিভাবে?” ও বলল “ কটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন ছিল মনে পড়ে ওই লাইনে?” বললাম “দুটো।“ ও বলল “এইবার একটা জিনিস বল দেখি জেসাস কে প্যালেস্টাইনের কটা জায়গায় দেখা গিয়েছিল একই দিনে বা একই সাথে? হাউ মেনি প্লেসেস? “ ওর মুখে বিজয়িনীর হাঁসি। বললাম “তা জানি না। বা ভুলে গেছি। “ বলল “চিন্তা করে লাভ নেই আমারও মনে নেই। কিন্তু আমি উত্তরটা জানি। একুশ। “ (In a same day, Jesus appears in 21 different places of the Palestine to confirm in His Resurrection those who believe in Him.) আমি বললাম “বাপরে এটা বুঝলি কি করে?” ও গলা যতটা খাদে নামানো যায় নামিয়ে নিয়ে বলল “ দুটো প্রশ্ন বোধক চিহ্ন, মানে দুটো সংখ্যা। দুই আর এক। মিলল? এইবার আরেকটা তথ্য দিচ্ছি। বি ও বি হল ব্যাঙ্ক অফ বরদা। অ্যাঁকাউন্ট নাম্বার হল এক দুই দুই তিন শূন্য “দুই” “এক”। অ্যাঁকাউন্টের মালিক অরূপ কুমার ঘোষাল। নমিনি শ্রীমতী বিনীতা ঘোষাল। আর আগের মাসের সতের তারিখে পাশ বই শেষ বারের মতন আপডেট করা হয়েছিল। সেই দিনের হিসাব অনুযায়ী অ্যাঁকাউন্ট ব্যাল্যান্স হল ছয় কটি তিয়াত্তর লক্ষ সিক্সটি ফোর থাউজেন্ড অ্যান্ড থার্টি টু রুপিজ অনলি।“ টাকার অঙ্কটা শুনে মাথা ঘুরে গেল আমার। মুখ থেকে আপনা আপনি বেড়িয়ে গেল “এত টাকা এলো কোথা থেকে?” ও আমার দিকে হাঁসি হাঁসি মুখে তাকিয়ে বলল “দ্যাটস অ্যাঁ মিলিয়ন ডলার কোশ্চেন। আলি দার সাথে একটু কথা বলতে পারলে ভালো হত। তবে ও অরূপদার ব্যাপারে জেনে বুঝে মুখ খুলবে বলে মনে হয় না।“ আমি বললাম “অর্থাৎ dep-82l মানে হল যাকে এই সংকেতটা জানাবে সে অ্যাঁকাউন্ট নম্বরটা উদ্ধার করে তাতে বিরাশি লাখ টাকা জমা দেবে। কিন্তু কে সে?” ও বলল “আমিও ততটুকুই দেখেছি যতটা তুই দেখেছিস। তবে আলি দা বা বাকিরা এখানে ভীষণ সজাগ। হিসাব নিকাশ কেউ দেখে না ঠিকই, কিন্তু এত বড় অঙ্কের টাকার গড়মিল হলে ওদের চোখে পড়ার কথা। অন্য কিছু ঘাপলা আছে সোনা, অন্য বড় কিছু ঘাপলা। “ ও আমাকে এরপর একটা বাজে প্রশ্ন করল “ আচ্ছা আমার পিরিয়ডস হয়েছিল অমুক তারিখে। এখন কি আমার সেফ পিরিয়ড? “ মাথা নাড়িয়ে বুঝিয়ে দিলাম “না।“ বলল “এখন পিল খেলে কাজে দেবে?” আবার বুঝিয়ে দিলাম না। বললাম “তোর মতলব খানা কি বলত?” বলল “ আলির উত্তেজনার মুহূর্তে ওর পেট থেকে কিছু কথা বের করা।“ আমি বললাম “আমার এখন সেফ পিরিয়ড চলছে। কিন্তু... “ ও বলল “তাহলে তুই ওকে আজ বিছানায় তোল। আগের দিন রাজুর সাথে বিনীতা যখন করছিল তখন যা বুঝেছি, তাতে এরা সবাই ভেতরে ফেলে অভ্যস্ত। আর আলি দা কত দিন অভুক্ত কে জানে। ভেতরেই ফেলতে চাইবে বলে মনে হয়।“
ও ফিরে আসার পর ওকে আমি বললাম “তুই একটা বলদ। ওই রকম কাঠের টেবিলের ওপর কাগজ পেতে লেখা যায়? কতক্ষণ সময় লাগিয়েছিস জানিস?” ও বলল “ জানি। আর কাগজটার দু একটা জায়গা ছিঁড়েও গেছে স্বাভাবিকভাবে, তবে প্যাডের ওপরে রেখে লিখলে অরূপদা যে ভুলটা করেছে আমাদেরও সেই একই ভুল করা হত। ও ফিরে আসার পর সন্দেহ করলে প্যাডের কাগজে পেন্সিল বা মাটি ঘষে বুঝতে পারত যে ওর আকাউন্টের ডিটেল কেউ প্যাডের কাগজে নোট করে নিয়েছে। “ আমি একটু ভুরু কুঁচকে বললাম “কার অ্যাঁকাউন্ট?” ও বলল “ আমার বাপের শালার।“ তারপর চোখে ইশারা করতেই আমি চুপ করে গেলাম। ও আমাকে জিজ্ঞেস করল “তুই ইতিহাসে কেমন ছিলিস?” আমি বললাম “ খুব কাঁচা। তবে মুখস্থ করে উগড়ে দিতাম। লেটার পেয়েছিলাম।“ ও আমার সাথে হাত মিলিয়ে বলল “সাবাস রুমি ডার্লিঙ আমিও লেটার পেয়েছিলাম। এইবার একটা প্রশ্ন তোমাকে আমি করব। দেখি তোমার বিশ্ব ইতিহাস কতটা মনে আছে।“ আমি দম নিয়ে সোজা হয়ে বললাম “বল শুনি।“ ও গলা নামিয়ে বলল “জেসাসের পুনর্জন্ম বা ফিরে আসার ব্যাপারটা মনে আছে?” আমি বললাম “সোজাসুজি বল না রিসারেকশন নিয়ে জিজ্ঞেস করছিস।“ ও আমাকে বলল “হ্যাঁ। কিন্তু প্রশ্নটা হল তখন এক্স্যাক্টলি কি হয়েছিল মনে আছে। “ আমি এই প্রশ্নটার জন্য মোটেই তৈরি ছিলাম না। তাই একটু ভেবে নিয়ে বললাম “ ওই তো প্যালেস্টাইনের কিছু কিছু জায়গায় ওকে আবার দেখা গিয়েছিল।“ ও বলল “ বেশ এইবার সংকেতটা মনে পড়ে?” আমি বললাম “তা মনে আছে। bob-ac-(12230??jesus resurrection in PL(how many pl))-dep-82l”। ও আমাকে বলল “ ঠিক। “পি এল” টা কি সেটা বুঝতে পেরেছিস?” আমি চিন্তা করছি দেখে বলল “ খুব সম্ভবত প্যালেস্টাইন।“ একটু থেমে বলল “ সুক্ষ জিনিসটা খেয়াল করে ছিলিস? একটা “পি এল” ক্যাপিটালে লেখা আরেকটা ছোট হাতে। “ সত্যি তো ঠিক তাই। ও বলে চলল গলা নামিয়ে “ বড় হাতের পি এল হল প্যালেস্টাইন। আর ছোট হাতের পি এল হল সাধারণ কথায় প্লেস বা প্লুরাল করে বললে প্লেসেস। আর আমি এই ব্যাপারে মোটামুটি সিওর।“ আমার চমকের ভাব তখনও কাটেনি। বললাম “ এত সিওর হচ্ছিস কিভাবে?” ও বলল “ কটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন ছিল মনে পড়ে ওই লাইনে?” বললাম “দুটো।“ ও বলল “এইবার একটা জিনিস বল দেখি জেসাস কে প্যালেস্টাইনের কটা জায়গায় দেখা গিয়েছিল একই দিনে বা একই সাথে? হাউ মেনি প্লেসেস? “ ওর মুখে বিজয়িনীর হাঁসি। বললাম “তা জানি না। বা ভুলে গেছি। “ বলল “চিন্তা করে লাভ নেই আমারও মনে নেই। কিন্তু আমি উত্তরটা জানি। একুশ। “ (In a same day, Jesus appears in 21 different places of the Palestine to confirm in His Resurrection those who believe in Him.) আমি বললাম “বাপরে এটা বুঝলি কি করে?” ও গলা যতটা খাদে নামানো যায় নামিয়ে নিয়ে বলল “ দুটো প্রশ্ন বোধক চিহ্ন, মানে দুটো সংখ্যা। দুই আর এক। মিলল? এইবার আরেকটা তথ্য দিচ্ছি। বি ও বি হল ব্যাঙ্ক অফ বরদা। অ্যাঁকাউন্ট নাম্বার হল এক দুই দুই তিন শূন্য “দুই” “এক”। অ্যাঁকাউন্টের মালিক অরূপ কুমার ঘোষাল। নমিনি শ্রীমতী বিনীতা ঘোষাল। আর আগের মাসের সতের তারিখে পাশ বই শেষ বারের মতন আপডেট করা হয়েছিল। সেই দিনের হিসাব অনুযায়ী অ্যাঁকাউন্ট ব্যাল্যান্স হল ছয় কটি তিয়াত্তর লক্ষ সিক্সটি ফোর থাউজেন্ড অ্যান্ড থার্টি টু রুপিজ অনলি।“ টাকার অঙ্কটা শুনে মাথা ঘুরে গেল আমার। মুখ থেকে আপনা আপনি বেড়িয়ে গেল “এত টাকা এলো কোথা থেকে?” ও আমার দিকে হাঁসি হাঁসি মুখে তাকিয়ে বলল “দ্যাটস অ্যাঁ মিলিয়ন ডলার কোশ্চেন। আলি দার সাথে একটু কথা বলতে পারলে ভালো হত। তবে ও অরূপদার ব্যাপারে জেনে বুঝে মুখ খুলবে বলে মনে হয় না।“ আমি বললাম “অর্থাৎ dep-82l মানে হল যাকে এই সংকেতটা জানাবে সে অ্যাঁকাউন্ট নম্বরটা উদ্ধার করে তাতে বিরাশি লাখ টাকা জমা দেবে। কিন্তু কে সে?” ও বলল “আমিও ততটুকুই দেখেছি যতটা তুই দেখেছিস। তবে আলি দা বা বাকিরা এখানে ভীষণ সজাগ। হিসাব নিকাশ কেউ দেখে না ঠিকই, কিন্তু এত বড় অঙ্কের টাকার গড়মিল হলে ওদের চোখে পড়ার কথা। অন্য কিছু ঘাপলা আছে সোনা, অন্য বড় কিছু ঘাপলা। “ ও আমাকে এরপর একটা বাজে প্রশ্ন করল “ আচ্ছা আমার পিরিয়ডস হয়েছিল অমুক তারিখে। এখন কি আমার সেফ পিরিয়ড? “ মাথা নাড়িয়ে বুঝিয়ে দিলাম “না।“ বলল “এখন পিল খেলে কাজে দেবে?” আবার বুঝিয়ে দিলাম না। বললাম “তোর মতলব খানা কি বলত?” বলল “ আলির উত্তেজনার মুহূর্তে ওর পেট থেকে কিছু কথা বের করা।“ আমি বললাম “আমার এখন সেফ পিরিয়ড চলছে। কিন্তু... “ ও বলল “তাহলে তুই ওকে আজ বিছানায় তোল। আগের দিন রাজুর সাথে বিনীতা যখন করছিল তখন যা বুঝেছি, তাতে এরা সবাই ভেতরে ফেলে অভ্যস্ত। আর আলি দা কত দিন অভুক্ত কে জানে। ভেতরেই ফেলতে চাইবে বলে মনে হয়।“